আজ তুলে ধরছি কুমিল্লার ভ্রমনের স্থান গুলো সম্পর্কে। কুমিল্লা ঐতিহ্যগত দিক থেকে অন্যন্য জেলা থেকে ব্যাতিক্রম, বলা হয় এই কুমিল্লা ছিল ৮৯ জন রাজার রাজধানী। তাই এখানে গড়ে উঠে ছিল প্রাচীন বাংলার সমৃদ্ধ এক নগর ব্যবস্থা তারই সাক্ষ্যবহন করছে শালবন বিহার,ইটাখোলা মুড়া, রুপবান মুড়া, সহ আরও অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান সমূহ।এছাড়া এখানে রয়েছে ময়নামতি জাদুঘর যার মধ্যে সংরক্ষিত আছে কুমিল্লা অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রাচীন ও মধ্যযুগের মানুষের ব্যবহৃত নানা বস্তুগত নিদর্শন।।
অন্যন্য স্থানের মধ্যে যেতে পারেন লালমাই পাহাড়,২য় বিশ্বযুদ্ধে নিহত হওয়া সৈন্যদের কবর (ওয়ার সিমেন্ট্রি),কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়,নীলাচল পাহাড়,বার্ড,রুপসাগর পার্ক,ধর্মসাগর পার্ক, উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী শচীনদেব বর্মনের বাড়ি, বিজয়পুর মৃৎশিল্প পল্লী,লাকসাম নবাব বাড়ি ইত্যাদি।
খাবারের বিষয়ে কুমিল্লা খুবই বিখ্যাত এখানে সর্বোচ্চ মানের খাবার ও পাওয়া যায় কারণ কুমিল্লাতে সাধারণ খাবারের হোটেল ও অনেক আধুনিক রেস্টুরেন্ট রয়েছে।তাছাড়া কুমিল্লার বিখ্যাত মাতৃভান্ডারের রসমলাই পাবেন নগরীর কান্দিরপাড়ের মনোহরপুরে।
যাতায়াত:কুমিল্লার যাতায়াত ব্যবস্থা ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন ও সরাসরি বাস পাওয়া যায়।ট্রেনে আসলে স্টেশন থেকে সিএনজিতে করে কোটবাড়ি চলে আসবেন(রিজার্ভ) , রিজার্ভ না নিলে স্টেশন থেকে কান্দিরপাড় এবং কান্দির পাড় থেকে কোটবাড়ি।আর বাসে আসলে কোটবাড়ি বিশ্বরোড নামতে হবে নামলেই অনেক সিএনজি পাওয়া যাবে সেখান থেকে ২০ টাকাতেই গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন।উল্লেখ্য ভাড়া এখানে বেশি নয়,আর খাবার শহরেও পাওয়া যাবে আবার স্পট গুলোতেও পাওয়া যাবে।
সর্বোপরি ইতিহাস,ৈঐতিহ্য নিয়ে যাদের আগ্রহ তাদের জন্য খুবই উপযুক্ত স্থান,এছাড়া ভ্রমনপিপাসুদের জন্যও মনের খোরাক মিটাতে সক্ষম হবে।।
Post Copied From:hahadat Hossain Shahin>Travelers of Bangladesh (ToB)