যারা রোজকার শহুরে জীবন থেকে একটু অবসর চান তাদের জন্য এই পোস্ট

যারা রোজকার শহুরে জীবন থেকে একটু অবসর চান, আবার খুব বেশি ধকল এর ভ্রমন করতে চান না তারা বেছে নিতে পারেন আমাদের এই ২ দিনের ভ্রমন অভিজ্ঞতা…..
১ম দিন: টিকেট স্বল্পতায় আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম নারায়ণগঞ্জ থেকে।রাত ১১ টায় যাত্রা শুরু চিটাগাং এর উদ্দেশ্য।সকাল ৭ টায় নামলাম। বান্ধবী থাকার সুবাদে চলে গেলাম তার বাসায়,নাস্তা খেয়েই যাত্রা শুরু কাপ্তাই এর পথে।আমরা মাইক্রো ভাড়া করেছিলাম সারাদিনের জন্য ৪০০০ টাকায়।কাপ্তাই যেতে সময় নিল ২ ঘনটার মত।জুম রেস্তোরা নেমে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার সেরে নিলাম।ঝামেলা এরাতে খাবার এর আগে কায়াকিং এর বুকিং দিয়ে দিবেন আমরা না দিয়ে সমস্যায় পরেছিলাম।প্রতি ঘণ্টা কায়াকিং ২০০ টাকা, ১ কায়াকে ২ জন উঠতে পারবেন। চারপাশে পাহাড় ঘেরা লেকের নিস্তব্ধতায় আপনার মন হারিয়ে যাবে কিছু সময় এর জন্য হলেও।এরপর গন্তব্য শেখ রাসেল ইকো পার্ক, বিদেশ এর ক্যাবল কার এর সাধ দেশেই, যাওয়ার আগে খবর নিয়ে যাবেন বন্ধ নাকি। পার্ক থেকে যেতে পারেন নেভাল বিচ।কাকড়া ভাজা, পেঁয়াজু আর মুড়ি মাখা দিয়ে বিকেলের নাস্তা সেরে নিতে। 

২য় দিনঃ আমরা ২য় দিন রাতেই ফিরবো বলে খুব একটা জার্নি করতে ইচ্ছুক ছিলাম না, আর তাই বেছে নিয়েছিলাম ফয়েজ লেক কে। ২৫০ টাকায় টিকেট কেটে আবারো নিজেকে প্রকৃতির কাছে সপে দিতে পারেন।আমরা পাহাড় ঘেরা চারপাশ টা হেটে বেড়িয়েছি, প্রতিজন ১০০ টাকা করে লেকে বোটিং করেছি ১ ঘণ্টা।ফয়েজ লেক থেকে বেরিয়ে চলে যেতে পারেন চিটাগাং ওয়ার ছিমেট্রি। এটি বন্ধ হয়ে যায় বিকেল ৫টায়,তাই চেষ্টা করবেন একটু সময় নিয়ে যেতে।বিকেল এর সময় টা অলস না কাটাতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন চিটাগাং ডিসি হিল,চেরাগি মোড়। এই মোড় চার আউলিয়ার মিলন স্থল বলে কথিত আছে। একটু বিশ্রাম আর রাতের খাবার সেরে বেরিয়ে পড়ুন ঢাকা ফেরার উদ্দেশে।আমরা ফিরেছিলাম ট্রেন পথে

Post Copied From:Hasina Mridha Popy>Travelers of Bangladesh (ToB)

কাপ্তাই লেকে নৌকা ভ্রমণ ও কায়াকিং

কম খরচেই এক দিনের ট্যুর দিয়ে মন ভালো করে আসার মত সেরা একটা জায়গা চট্টগ্রামের কাপ্তাই। 💜
বিশেষ করে যারা চট্টগ্রামে থেকেও এখনো কাপ্তাই যান নি, তাদেরকে বলছি ঘরের কাছের এত অসাধারণ জায়গা মিস করবেন না 😍
যেভাবে যাবেন:
আমরা ৪ জন চট্টগ্রাম শহর থেকেই গিয়েছি। যারা চট্টগ্রামের বাইরে থেকে আসবেন তাদের জন্য বিভিন্ন জায়গার ডিরেক্ট কাপ্তাইয়ের বাস সার্ভিস আছে।
বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে ডিরেক্ট কাপ্তাইয়ের বাসে উঠতে হবে, ভাড়া ৬৫ টাকা (জেনে উঠবেন)
সাজেশন থাকবে একটু আগে রওনা দেওয়ার, কারণ টার্মিনাল থেকে কাপ্তাই পৌঁছাতেই লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার মত। দেরী করে বের হলে সবকিছু দেখার সময় থাকবে না।
ওখান থেকে আগে যদি কায়াকিং করতে চান তাহলে “জুম রেস্তোরাঁ” তে নামতে হবে। ওখান থেকে কিছু সামনেই “Kaptai Kayak Club” এর ব্যানার দেখতে পাবেন। ভাড়া – প্রতি কায়াকে ২ জন, ৩০০ টাকা প্রতি ঘণ্টা (ডিস্কাউন্ট থাকলে ২৫০ টাকা)
কায়াকিং করার পর লাঞ্চ টা সেরে নিতে পারেন কায়াক পয়েন্টের উপরেই “ফ্লোটিং প্যারাডাইস রেস্টুরেন্ট” এই। অনেক ভালো এবং সাশ্রয়ী।
তারপর সেখান থেকেই সিএনজিতে করে সরাসরি আসল কাপ্তাই লেকে চলে যাবেন। ভাড়া জনপ্রতি ২৫-৩০ টাকা নিবে। দরদার করেই উঠবেন।
(ওখানে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। কারোর পাস বা পরিচিত থাকলে ঘুরে আসতে পারবেন।)
কাপ্তাই লেকে নৌকা ভাড়া করার সময় খেয়াল রাখবেন ভাড়া নিয়ে। ওরা ৩-৪ শ টাকা ভাড়া বলবে প্রতি ঘণ্টা সাম্পান।
আমরা ১৫০ টাকা দিয়ে দরদার করে ভাড়া করেছিলাম প্রতি ঘণ্টা।
১৫০ টাকা ভাড়া দিয়েছিলাম, কিন্তু যে সৌন্দর্য টা উপভোগ করেছিলাম সেটা ১৫০ কোটি টাকারও বেশি 😍😍
দুটো রংধনু চোখের সামনে উঠতে আর মিলিয়ে যেতে দেখা 😍😍 স্বর্গীয় 😍😍
কাপ্তাই লেক ঘুরার পর যদি সময় থাকে তাহলে নেভী ক্যাম্প যেতে পারেন, ওই জায়গাটা নাকি সুন্দর। আমাদের সময় না থাকায় যেতে পারি নি।
কাপ্তাই থেকে ফিরার পথে ডিরেক্ট কাপ্তাই টু বহদ্দারহাট এর বাস গুলা লেট করে অনেক। তাই যারা চট্টগ্রাম শহরে ব্যাক করবেন তাদের সাজেস্ট করবো কাপ্তাই টু লিচুবাগান চলে আসা, ভাড়া জনপ্রতি ৩৫ টাকা সিএনজি তে।
তারপর লিচুবাগান থেকে বাস ছাড়ে ১০-১৫ মিনিট পরপর শহরের উদ্দেশ্যে, ভাড়া জনপ্রতি ৪৫ টাকা।
এভাবেই খুব সহজেই এক দিনের ট্যুর দিয়েই অল্প খরচেই ঘুরে আসতে পারেন কাপ্তাই 😍😍😍😍
#HappyTravelling

post Copied From:Sourav Chowdhury‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

যারা কিনা শুক্রবার-শনিবার ছাড়া সময় বের করতে পারেন না, তাদের জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন

আমার মতো ভ্রমনপ্রিয় কেরানিদের জন্য, যারা কিনা শুক্রবার-শনিবার ছাড়া সময় বের করতে পারেন না, তাদের জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন হতে পারে কাপ্তাই-রাংগামাটি। আমরা এমনই ৬ জন কেরানি বৃহস্পতিবার রাতের শেষ বাসে (শ্যামলী পরিবহন- রাত ১১.৩০) উঠে রওনা হয়েছিলাম কাপ্তাই-এর উদ্দেশ্যে। শুক্রবার সকাল ৮ টা নাগাদ বড়ইছড়ি বাজারে নেমে সকালের নাস্তা সেরে ১০ মিনিট হেটে পৌছে গেলাম কাপ্তাই কায়াক ক্লাবে। এখানকার ভিউ দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না। এরপর ফর্মালিটিজ সেরে লাইফ জ্যাকেট পরে নেমে পরলাম কায়াকিং-এ। প্রতি ঘন্টা ২৫০-৩০০ টাকা, প্রতি কায়াকে ২ জন চড়া যায়। প্রথম ১০ মিনিট এলোমেলো চালালেও, অচিরেই দক্ষ রাইডার হয়ে গেলাম একেকজন। কায়াকিং করতে করতে আমরা চলে গেলাম অনেক অনেক দূর। প্রায় ২ ঘন্টা কায়াকিং করে কায়াক ক্লাবের সামনে থেকেই অটো নিয়ে চলে গিয়েছিলাম Berannaye Lake Shore Cafe তে। দুপুরের খাবার ওখানেই খেলাম। ছোট ছোট মাচাং এর মতো করে বানানো ঘরে বসে পাহাড়ি মজাদার সব খাবার খেতে খেতে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য উপভোগ-সবই চললো একসাথে। কখন যে বিকাল হয়ে গেলো টেরই পেলাম না। এবারের গন্তব্য রাংগামাটি। ক্যাফের সামনেই আসাম বস্তির ব্রিজ। সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে অটোতে রওনা হলাম রাংগামাটির উদ্দেশ্যে। রাংগামাটিতে রাত কাটিয়ে পরদিন সারাদিন ইঞ্জিন বোটে করে টইটই করে ঘুরে বেড়ালাম কাপ্তাই হ্রদের চারপাশ। ইঞ্জিন বোট যখন আমাদের রাংগামাটি ঘাটে নামিয়ে দিলো তখন ততক্ষনে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। রাতের খাবার শেষে সুবোধ কেরানির মতো বাসে চড়ে বসলাম, পরদিন অফিস ধরতে হবে না???

Post copied From:Shoaib Mahmood‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

একদিনের ছোট ট্রিপের জন্যে কাপ্তাই কে বেছে নেয়া যায়

একদিনের ছোট ট্রিপের জন্যে কাপ্তাই কে বেছে নেয়া যায়.
কায়াকিং এর এর সাথে উপোভোগ করতে পারবেন লেকের আশেপাশের মনোরম দৃশ.
কায়াকিং প্রতি ঘন্টা ২৫০ টাকা
যেভাবে যাবেন 
ঢাকা থেকে কাপ্তাই যায় এমন একটি বাসে উঠে বসে পরবেন সুপারভাইজারকে বল্লেই হবে শিলছড়ি ঝুম রেস্তোরার সামনে নামিয়ে দিতে. কাওকে বল্লেই দেখিয়ে দিবে. রাস্তা থেকে একটু নিচের দিকে নামলেই হবে.

Post Copied From:Mazharul Shikder‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

চট্টগ্রাম টু কাপ্তাই & বিস্তারিত

আমরা গিয়েছিলাম বহদ্দারহাট থেকে। জায়গা ফিক্সড করেছিলাম শেখ রাসেল পার্ক, নেভী ক্যাম্প আর জুম রেস্টুরেন্ট ফর কায়াকিং।
.
সকাল ৮ টায় আমরা ছয় জন বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে পৌছাই। সেখান থেকে ডিরেক্ট কিছু বাস লিচু বাগান আর কাপ্তাইয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কাপ্তাই লেকের দিকে গেলে অবশ্যই কাপ্তাইয়ের বাসে উঠবেন। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৬৫ টাকা।
.
#শেখ_রাসেল_পার্কঃ আমরা কাপ্তাই যাওয়ার আগে রাঙ্গুনিয়া শেখ রাসেল পার্কে নেমে যাই। নামার পর সেখানে জনপ্রতি মাত্র ২৩ টাকার বিনিময়ে ৬ টা টিকেট নিই। ভেতরের সৌন্দর্যের কথা বলতে গেলে মোটামুটি সুন্দর বলা যায়। ঢালু পথ বেয়ে উপরে উঠার সময় ওদের গাইড ম্যাপটা দেখে নিবেন অবশ্যই। সেখানে আছে কৃত্রিম দ্বীপ, কৃত্রিম লেক, কৃত্রিম গুহা। সময় সল্পতার কারণে আমরা কৃত্রিম গুহা দেখতে পারিনি…
.
#নেভীক্যাম্পঃ শেখ রাসেল পার্ক থেকে বের হয়ে আমরা নেভী ক্যাম্পের দিকে যাব স্থির করলাম। শেখ রাসেল পার্কের বাইরে কিছু সিএনজি থাকে। নেভী পিকনিক স্পট বললে নিয়ে যাবে। রিজার্ভ ভাড়া ২০০ নিবে। নেভী ক্যাম্পে প্রবেশের পর সেখানকার কর্মরত নেভী সৈনিকেরা আপনাকে সালাম দিয়ে সম্মানিত করে টিকেট নিতে বলবে তাদের কাউন্টার থেকে। টিকেট মাত্র ২০ টাকা। আমরা ছয়টা টিকেট নিয়েছিলাম। ঘোরাঘুরির জন্য অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা। তবে বৃষ্টি পড়লে লেকের পানি ঘোলাটে থাকবে, যা দেখতে আপনি মোটেই ভাল বোধ করবেননা। ওখানে কিছু প্যাডেল বোটও আছে। প্রতি ঘন্টায় ৩০০ করে নেয়। আমরা কায়াকিং করব চিন্তা করে প্যাডেল বোটটা ব্যবহার করিনি। প্যাডেল বোট গুলো যেখানে আছে সেই ঘাট দিয়ে আমরা ঘাটের বিপরীত পাড়ে পৌছায় (মাঝখানে রাস্তা আছে)। তারপর সিড়ি বেয়ে আরও উপরে চলে যাই। রৌদ্র পরিবেশে পুরো লেক আপনি সেখান থেকে দেখতে পাবেন। একেক জলবায়ুতে লেককে একেক রকম দেখায় সাধারণত। শীতে গেলে এক রকম, গ্রীষ্মকালে গেলে এক রকম আর বর্ষা মৌসুমে গেলে আরেক রকম। শীতে গেলে লেকের পানি সমুদ্রের পানির মত নীল হয়ে যায়, গ্রীষ্মে গেলে পানি গুলো সবুজ আভা ধারণ করে আর বর্ষায় গেলে পানি গুলো ঘোলাটে কাদাযুক্ত হয়ে যায়। শীতকালে গেলেই বেষ্ট মজাটা পাবেন… আমরা সেখানে কিছু ফটোশ্যূট করলাম। তারপর খাওয়ার উদ্দেশ্যে ক্যাম্প ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত স্থির করলাম।
.
#নয়াবাজারঃ ক্যাম্প থেকে যারা খাবারের জন্য যাবেন তারা অবশ্যই নয়াবাজারে যাবেন। ক্যাম্পের রাস্তায় কিছুক্ষণ দাড়ালেই খালি সিএনজি পেয়ে যাবেন। সিএনজি ভাড়া রিজার্ভ ১০০ টাকা। আমরা ৬ জন হওয়াতে ১২০ টাকা নিয়েছিল। নয়াবাজারে সিএনজি স্টেশনে নামার পর অনেক গুলো খাবারের হোটেল দেখবেন। মোটামুটি সুস্বাদু খাবার এখানেই পাবেন। আমরা খেয়েছিলাম “নোয়াখালী ভাত ঘর” দোকানে। তবে ভাত ছিল সিদ্ধ চালের। তরকারী প্রায় আইটেম পাওয়া যায়। আমরা খেয়ে ছিলাম কাঁচকি মাছ আর শুঁটকি বুনো। প্রতি প্লেট ৪০ টাকা। এমন কাঁচকি মাছ আর শুঁটকি বুনো আমি খুব কমই খেয়েছি। পেট পুরে আমরা মোট ৬ জন খেলাম। বিল আসল মাত্র ৩৯০ টাকা।
.
#জুম_রেস্টুরেন্টঃ আমরা নয়াবাজার থেকে দুপুরের খাবার শেষে এবার জুম রেস্টুরেন্টের দিকে যাব স্থির করলাম। সেখান থেকেও সিএনজি নিতে পারেন, ভাড়া রিজার্ভ তাও ১০০ টাকা। তবে আমরা একটি চলন্ত বাস পেয়ে যাই, সেটা করে জনপ্রতি মাত্র ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে আমরা জুম রেস্টুরেন্টে নামি। জুম রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ সচরাচর জনপ্রতি ২০ টাকা এন্ট্রি ফি নেয়। তবে সেটা আমাদের থেকে ওরা চায়নি…
.
#কায়াকিংঃ যেটার জন্য মূলত এই ট্যূরটা দিয়েছি এখন সেটা নিতে যাচ্ছিলাম। জুম রেস্টুরেন্ট কাউন্টারে গিয়ে বললাম আমাদের ৩ টা কায়াকিং বোট দেয়ার জন্য। উনি বললেন ঘন্টায় ২০০ টাকা। অথচ আমি শুনে এসেছি এগুলো ঘন্টায় ৩০০ টাকা নেয়। ১০০ টাকা কমে গেল? ওদের পাশে আরও একটি কায়াকিং বোটের ঘাট আছে দেখলাম। পাশেরটা অন্য পাবলিকদের তত্ত্বাবধানে ছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম,”পাশের ঘাটে মনে হয় ৩০০ করে নেয়, আপনারা কম নিচ্ছেন কেন?” ভাবলাম বোট গুলোর মধ্যে হয়তো পার্থক্য আছে। তাই দুই ঘাটেরই বোট গুলো চেক করে দেখলাম বোট সব গুলোর সাইজ এক রকম বরং ২০০ টাকার গুলোর জ্যাকেট আর বোট গুলো আরও নতুন দেখাচ্ছিল। আমরা ৬ জনের জন্য ৬০০ টাকা দিয়ে ৩ টা বোট নিয়। সাথে আমাদের ৩ বোটের ৩ জনের নাম,ফোন নাম্বার এবং ঠিকানা এন্ট্রি করে নিল ওরা। মোবাইল, মানি ব্যাগ, ক্যামেরা একটা পলিথিনে বেধে ওদের রেস্টুরেন্টে জমা দিলাম আমরা। আমরা নিচে চলে গেলাম, নিচে সেখানে একজন বোট মাষ্টার আছেন। উনি আপনাকে সব শিখিয়ে পড়িয়ে দিবেন। তারপর লাইফ জ্যাকেট পড়িয়ে দিবেন। আপনার সাতার জানা সত্ত্বেও ভুলেও লাইফ জ্যাকেট না পড়ার সিদ্ধান্ত নিবেননা কারণ (আল্লাহ্‌ না করুক) লাইফ জ্যাকেট পড়া অবস্থায় আপনি সাতরালে আপনার শক্তি কম খরচ হবে আর ওটা ছাড়া সাতরালে আপনি ১০ মিনিটেই এনার্জিলেস হবেন এবং ডুবে যাবেন। কাজেই লাইফ জ্যাকেট পড়ে থাকলে অন্তত ডুবার সম্ভাবনা নাই।
.
#কায়াকিং_চালনার_কৌশলঃ নামার আগে এই কৌশলটা বোট মাষ্টার আমাদের জানাতে ভুলে গিয়েছিল। যার কারণে আমরা কেবল এদিক ওদিক ঘোরপাক খাচ্ছিলাম। মনে রাখবেন বৈটা যদি বাম দিকে চালান তাহলে নৌকা ডান দিকে ঘুরবে, আর ডান দিকে চালালে নৌকা বাম দিকে ঘুরবে। কিন্তু নৌকাকে যদি সোজা সাপ্টা বরাবর নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনি চালাবেন বাম দিকে, আর আপনার পেছনের জন চালাবে ডান দিকে। বাম আর ডান দিকে লব্ধি একই হওয়াতে নৌকা অবশ্যই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। ও বলা হয়নি, ছোট ছোট নৌকা গুলোতে দুইজন করে বসা যাবে। আর যদি নদীর মাঝখানে ছবি তুলতে চান তাহলে অবশ্যই সেলফি স্টিক নিয়ে যাবেন, এতে আপনি বিভিন্ন এঙ্গেলে ছবি নিতে বেশ ভাল বোধ করবেন, ডিএসএলার না নেওয়াই ভাল। টাইম শেষ হয়ে গেলে ওরা আপনাকে কাউন্টার থেকে ফোন দিবে, তবে আমরা ফিরতে ফিরতে আরো ২০ মিনিট দেরি করে ফেলি, কিন্তু এরজন্য কোনো এক্সট্রা চার্জ দাবি করেনি তারা। মোটামুটি জুম প্যানোরমা রেস্টুরেন্ট থেকে এই সার্ভিসটা পেয়ে আমরা খুব ভাল বোধ করলাম। সময় তখন বিকেল ৫ টা…
.
#বাড়ি_ফেরাঃ আমরা জুম রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে পড়ি। এখানে আপনি চলন্ত বাসেও উঠে ডিরেক্ট সিটিতে এসে পৌছাতে পারেন তবে এক্ষেত্রে সিট না পাওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হয় যদি সিএনজি করে লিচু বাগান বাস স্টেশনে চলে আসতে পারেন। আমরা তাই করেছিলাম। জুম রেস্টুরেন্ট থেকে রিজার্ভ ১২০ টাকা (৫ জন ১০০) দিয়ে লিচু বাগান বাস ষ্ট্যান্ডে পৌছাই। সেখানে হালকা নাশতা সেরে আমরা শহরে উদ্দেশ্যে বাসে উঠি। লিচু বাগান থেকে বাস ভাড়া জনপ্রতি ৪৫ টাকা নিবে। রাস্তাঘাট কিছুটা বিঘ্নিত অবস্থায় আছে বলে আমরা প্রায় আড়াই ঘন্টা পর রাত ৮ টায় বহদ্দারহাট টার্মিনালে পৌছায়।

#খরচাদিঃ খরচ খুব একটা বেশি পড়েনি আমাদের। আমরা ৬ জন মোট ৩০০০ হাজার টাকা বাজেট করেছিলাম, জনপ্রতি ৫০০ করে। কিন্তু হিসেব করে দেখলাম আমাদের মাত্র ৪৫০ টাকা করে খরচ হয়েছে সব মিলিয়ে।
.
#সতর্কতাঃ নেভি ক্যাম্পে প্যাডেল বোট বা জুম রেস্টুরেন্টে কায়াকিং বোট যেটাই রাইডিং করেননা কেন অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পড়ে নিবেন, কথিত নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলবেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর আর পরিচ্ছন্ন রাখা আমার আপনার নাগরিক দায়িত্ব, তাই যেখানে সেখানে ময়লা করবেননা…

#হ্যাপী_কাপ্তাই_ট্যূর 😊

Post Copied From:Soeb Kayes‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

একদিনে অনেক কিছু

কায়াকিং: চারপাশে পাহাড় ঘেরা, নিরিবিলি, প্রশান্তিময় এক আবহে কায়াকিং করতে ৬ বন্ধু চলে গিয়েছিলাম মহামায়া লেকে। ভিতরের দিকে একদমই পিন পতন নিরবতা।

কায়াকিং প্রতি ঘন্টা প্রতি কায়াক ৩০০/-, আধা ঘন্টা ২০০/-। প্রতি কায়াকে ২ জন করে বসা যায়। তবে স্টুডেন্ট আইডি সাথে থাকলে ঘন্টা প্রতি ২০০/-।

গুলিয়াখালি সী বিচ: অস্থির এক জায়গা, অনেকটা ম্যানগ্রোভ বনের ফিল পাবেন, সাথে সামনে সমুদ্দুর।

বাশবাড়িয়া সী বিচ: জোয়ারের সময় যাওয়াতে একটু অপেক্ষা করতে হয়েছে ব্রীজটা ভেসে উঠা পর্যন্ত। তবে আমরা কজন অতো অপেক্ষা করতে পারি নাই, কোমর সমান পানি ডিঙ্গিয়ে গিয়ে ব্রীজে উঠে পড়ি।

যাতায়াত: বাশবাড়িয়া সী বিচ বাজারে নেমে সরাসরি সিএনজি পাওয়া যায় বিচ পর্যন্ত।

Post Copied From:Sharker Abir‎>Travelers of Bangladesh (ToB)