কাপ্তাই এ একদিন: ঘোরা ও থাকা

দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ত সময় থেকে একটু সময় বের করে ঘুরে আসুন কাপ্তাই। গ্রুপে এটা আমার প্রথম পোস্ট,তাই যেকোনো ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করছি। ট্যুরের আরো কিছু ছবির লিংক প্রথম কমেন্টে দিচ্ছি।
আমাদের ট্যুর প্ল্যান ছিলো রাতে রওনা দিয়ে সারাদিন কাপ্তাই ঘুরে,রাতে কাপ্তাই এ থেকে পরদিন সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া। তো প্ল্যান মোতাবেক রাত সাড়ে দশটার মধ্যে আমরা সবাই কমলাপুর রেলস্টেশনে হাজির হই, ট্যুরমেট ছিলাম পাঁচজন। ট্রেন সাড়ে এগারোটায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায়- তূর্ণা নিশীতা ট্রেনের শোভন চেয়ারে করে একটি আরামদায়ক জার্নি শেষে সকাল ৭টায় আমরা পৌঁছে যাই চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে। নেমেই ব্রেকফাস্ট করার পালা। একটা দিক মাথায় রাখতে হবে, খুব সকালে রেলস্টেশনের অপর পাশের খাবার দোকানগুলো আমরা খোলা পাইনি,স্টেশন থেকে বের হয়ে নিউমার্কেট মোড়ের দিকে একটু এগিয়ে গেলেই হাতের বাম পাশে পাবেন খাবার হোটেল, পরোটা-ডাল-ডিমভাজি-চা দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে আমরা রওনা দেই বহদ্দারহাটের উদ্দেশ্যে।খাবার হোটেল থেকে বের হয়ে হাতের বামে দশ পনেরো কদম আগালেই নিউ মার্কেট মোড়, ওখান থেকে ১নং বাস ছেড়ে যায় বহদ্দারহাটের উদ্দেশ্যে,সময় লাগবে সর্বোচ্চ বিশ-পঁচিশ মিনিট। বাসের হেল্পারকে বলবেন আপনাকে বহদ্দারহাট টার্মিনাল নামাতে, বহদ্দারহাটের পরের স্টপেজ হচ্ছে বহদ্দারহাট টার্মিনাল,ভাড়া নিবে ১০/-
টার্মিনালে বাস থেকে নেমে রাস্তা পার হলেই দেখবেন হাপ্তাই( কাপ্তাই) আর লেচুবাগান বলে বাস ডাকছে। কিছু বাস আছে সরাসরি কাপ্তাই যায় আর কিছু আছে লিচুবাগান পর্যন্ত। আমরা সরাসরি কাপ্তাই এর বাসে উঠেছিলাম যা আমাদের নামিয়ে দিয়েছিলো জুম রেস্তোরার একদম সামনে।আপনি লিচুবাগানের বাসে উঠলে,সেখান থেকে নেমে আবার জুম রেস্তোরা পর্যন্ত সিএনজি নিতে পারবেন।
কিংবা আপনি প্রথমে যে ১ নাম্বার বাসে উঠলেন সেটা দিয়ে টার্মিনালে না নেমে আরো একটু সামনে গিয়ে কাপ্তাই রাস্তার মাথায় নামতে পারেন,সেখান থেকে পুরো রাস্তাই সিএনজিতে যেতে পারবেন। তবে যেহেতু লিচুবাগান পর্যন্ত রাস্তা খারাপ,তাই আমার পারসোনাল সাজেশন থাকবে বাসেই যাওয়ার।বাসে জুম রেস্তোরায় পৌঁছাতে সময় লেগেছে ২ঘন্টা ১০ মিনিটের মত।
টার্মিনাল থেকে কাপ্তাই জুম রেস্তোরার বাস ভাড়া ৬০/-
টার্মিনাল থেকে লিচুবাগানের বাস ভাড়া ৪৫/-
জুম রেস্তোরায় আমাদের আগে থেকেই কটেজ বুক করা ছিলো,ওদের তিনটা কটেজ রয়েছে-হেলেন,ভেনাস এবং কর্ণফুলি- কটেজগুলোয় থাকতে আপনাকে দিনপ্রতি যথাক্রমে গুণতে হবে ১০০০,১৫০০ এবং ২০০০ টাকা।
জুম রেস্তোরা সম্পূর্ণ বিজিবির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত, কটেজে ফ্যামিলি নিয়ে থাকলে কোনো রেস্ট্রিকশন নেই কিন্ত ফ্রেন্ডরা মিলে ঘুরতে গেলে ছেলেদের এবং মেয়েদের আলাদা কটেজ নিতে হবে এবং অবশ্যই আগে থেকেই যথাযথ পারমিশন নিতে হবে ডিফেন্স কোনো পারসনের রেফারেন্স সহ। মেয়েদের কটেজের সামনে একজন এবং পুরো জুম রেস্তোরা এলাকায় সর্বমোট পাঁচজন আর্মড বিজিবি প্রহরায় থাকে ২৪ ঘন্টা,তাই সেফটি নিয়ে কিছু ভাবতে হয়নি। কটেজে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে আমরা বের হয়ে যাই কাপ্তাই কায়াক ক্লাবে যাওয়ার জন্য,জুম রেস্তোরায় কায়াকিং এবং বোটিং এর ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের পারসোনাল পছন্দ ছিলো কাপ্তাই কায়াক ক্লাব- যা জুম রেস্তোরা থেকে জাস্ট ১০০ গজ সামনেই।
কায়াকিং পার বোট ২৫০ টাকা, স্টুডেন্ট আইডি সাথে থাকলে ২০০টাকা করে। অর্থাৎ, প্রতিজন মাত্র ১০০টাকা খরচ করে এক ঘন্টা কায়াকিং এর স্বাদ নিতে পারবেন। কায়াকিং অন্যরকম একটা এক্সপেরিয়েন্স, পাহাড়ের মাঝ দিয়ে কাপ্তাই লেকে আপনি ভাসছেন সরু একটা বোটে চেয়ারের উপর বসে,চাইলেই হাত দিয়ে ছুঁতে পারছেন সবুজ পানি-চোখ বন্ধ করে সিনারিও টা চিন্তা করুন শুধু। যত যাই হোক, কায়াকিং এর থ্রিল আপনি কখনো ট্রাভেল এক্সপেরিয়েন্স পড়ে বুঝতে পারবেন না,এজন্য আপনাকে কায়াকিং করতেই হবে 😉
আমরা এক ঘন্টার বিশ মিনিটের মতো কায়াকিং করলেও আমাদের থেকে এক্সট্রা কোনো চার্জ রাখা হয়নি 😀
কায়াকিং শেষে প্রচন্ড ক্ষুধায় আমরা কায়াক ক্লাব থেকে চলে যাই ঠিক দেড়শ হাত সামনেই ফ্লোটিং প্যারাডাইস রেস্টুরেন্টে এবং এই লাঞ্চের স্বাদ আমি জীবনেও ভুলবো না। সিম্পলি দা বেস্ট। একে তো প্রচন্ড ক্ষুধা,তার উপর অনেক বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ফ্রেশ খাবার। আর ডানে তাকালেই দেখবেন কাপ্তাই লেকের মাথা নষ্ট করা ভিউ,যদিও খাবার এত বেশিই মজা ছিলো যে খাওয়ার সময় তাকানো হয়নি আমার,বরং খাওয়াদাওয়া শেষে সামনে বারান্দায় চেয়ার নিয়ে বসে কাপ্তাই এর অপরূপ সৌন্দর্য দেখেছি। ফ্লোটিং প্যারাডাইসের মালিক আর খাবার পরিবেশনকারী ভাইটার আতিথেয়তা ছিলো এক কথায় অস্বাধারণ, আমরা চারজন মুরগির মাংস এবং একজন নিয়েছিলো পাবদা মাছ।সাথে ছিলো ডাল, আলুভর্তা, সালাদ, তিনটা কোল্ড ড্রিংকস, এবং দুই লিটার পানি।সবাই পেট ভরে খেয়ে একদম নড়তে পারছিলো না এমন অবস্থা। সবমিলে পাঁচজনের খাবার বিল এসেছিলো ১০৯০ টাকা,৫০ টাকা ডিসকাউন্ট পেয়ে হয়েছে ১০৪০/- :p
লাঞ্চ শেষে আমরা আবার জুম রেস্তোরার সামনে চলে আসি সিএনজি নেয়ার জন্য। ওখান থেকে কাপ্তাই জেটিঘাট পর্যন্ত সিএনজি নেই জনপ্রতি ২৫টাকা ভাড়া। সিএনজি দিয়ে এই রাস্তাটা যাওয়া হচ্ছে স্বপ্নের মতো, একপাশে পাহাড় আর অন্যপাশে কাপ্তাই লেক,তার মাঝে রাস্তা দিয়ে চলছে আপনার সিএনজি। পথে দেখবেন কার্গো পারাপার প্রণালী, পারমিশন থাকলে যেতে পারবেন কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও। আমরা জেটিঘাট নামি, জেটিঘাট থেকে আমরা মাঝারি সাইজের নৌকা নেই মাত্র ৭৫/- তে আমাদের নেভি লেকভিউ আইল্যান্ডে নামাবে,কিন্ত নেভি ভিউ আইল্যান্ডের পাশে গিয়ে আমরা ঠিক করি ওখানে যাবো না কারণ দেখে আমাদের ততটা ভালো লাগেনি,তাই আমরা মাঝি ছেলেটাকে বলি আইল্যান্ডের চারপাশে আমাদের ঘুরে দেখাতে, আইল্যান্ড থেকে কাপ্তাই বাঁধ দেখা যায়,চাইলে যেতে পারেন কাছাকাছি। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আমরা আর ওদিকে যাইনি। আইল্যান্ডের আশেপাশে ঘুরে আমরা আবার চলে আসি জেটিঘাটে,কাপ্তাই লেকের উপর পিচ্চি একটা নৌকায় বসে আমরা সূর্যাস্ত দেখি,ভাবুন অনুভূতিটা :’) অনেকদিন মনে থাকবে ওই সময়টা। যাওয়া আসায় নৌকা খরচ ৭৫+৭৫= ১৫০টাকা। জেটিঘাট থেকেই জুম পর্যন্ত সিএনজি পাবেন। সিএনজিতে ওঠার পর একটু সামনেই কাপ্তাই বাজারে নামি পরদিন সকালের ঢাকাগামী বাসের টিকেট করার জন্য, শ্যামলী এবং সৌদিয়ার বাস কাউন্টার আছে ওখানে, ভাড়া ৫৫০/- করে প্রতিজন। জুম রেস্তোরার সামনে দিয়েই বাস যাবে,আমাদেরকে ওখান থেকেই তুলে নিবে সকালে এমন কথা হলো। টিকেট করা শেষে সিএনজিতে জুম রেস্তোরায় ব্যাক করি,ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। জুম রেস্তোরায় রাতের খাবার সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যেই বানিয়ে ফেলে কিন্ত আমরা চাচ্ছিলাম একটু লেইট করে গরম খাবার খেতে এবং জুমে বারবিকিউ এর ও কোনো ব্যবস্থা ছিলো না। তাই জুম থেকে বের হয়ে আবার হেটে চলে আসি ফ্লোটিং প্যারাডাইসে, ওদের চুলায় তখন একটু সমস্যা হচ্ছিলো প্রথমে বলেছিলো সেদিন বারবিকিউ কিংবা গ্রিল কোনোটাই পসিবল হবে না হয়তো, রেগুলার ডিনার থাকবে.. কিন্ত ওই যে বললাম এই রেস্টুরেন্টের সাথে রিলেটেড মানুষগুলা বেশি ভালো,নিজেরাই পরে বললো সমস্যা নাই ভাই,আইসেন, ব্যবস্থা করে দিবো। খুশিমনে চিকেন সমুচা আর চা খেয়ে বিল দিতে গেলে বলা হলো, রাতের খাবারের সময় একবারেই বিল দিতে :’) রাত সোয়া নয়টার দিকে ডিনার করতে আসবো বলে চলে আসলাম জুমে। ফ্রেশ হয়ে জুম রেস্তোরার মধ্যেই আড্ডা দেয়ার অনেকগুলো সুন্দর জায়গা আছে, দোলনার পাশে এমন একটা জায়গায় বসে আমরা UNO খেললাম কিছুক্ষণ, তারপর একটা ক্লাসিকাল রেডিওর গানের সাথে লুডো খেলা হলো। এভাবেই আড্ডার সাথে সাথে চলে আসলো ডিনারের সময়। গিয়ে বসলাম, ফ্লোটিং রেস্টুরেন্টের বারান্দায়, সারাটা আকাশ ভর্তি তারার দিকে অনেকক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে ছিলাম আমরা। এরপর গ্রিল আসলো, সাথে পরোটা আর সস! বারান্দায় বসেই গ্রিল খাওয়া শেষে আসলো ফানুশ ওড়ানোর পালা। ঢাকা থেকেই ফানুশ নিয়ে গিয়েছিলাম আমরা, অনেক উঁচু থেকে ফ্লোটিং রেস্টুরেন্টের বারান্দা থেকে ফানুশ ওড়াচ্ছেন ঠিক কাপ্তাই লেকের উপর আর দেখছেন আকাশ ভরা তারা, কেমন লাগবে কিছুক্ষণ ভাবুন আর ডিসিশন নিন কাপ্তাই যাবেন কিনা।সুন্দর একটা দিনশেষে কটেজে গিয়ে শুতেই রাজ্যের ঘুম চলে আসবে আপনার চোখে,ভোরবেলা ঘুম ভাঙলে দেখবেন ঘন কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা,একটু একটু করে কুয়াশা কমবে আর আপনি দেখবেন কাপ্তাই এই অন্যরকম একট রূপ। এইসব দেখতে দেখতে রেডি হয়ে সকালে ৮:৪৫ এ জুম রেস্তোরার সামনে থেকে উঠে পড়ুন ঢাকার বাসে।
সর্বমোট খরচ(জনপ্রতি)
ঢাকা- চট্টগ্রাম (ট্রেন) : ৩৪৫/-
ব্রেকফাস্ট: ৬০/-
রেলস্টেশন- টার্মিনাল( ১নং বাস) : ১০/-
টার্মিনাল-জুম রেস্তোরা: ৬০/-
কটেজ : দুইটা (হেলেন ও রজনীগন্ধা) : ১০০০+২০০০=৩০০০/-, প্রতিজন ৬০০/-
কায়াক ক্লাবে কায়াকিং: ১০০/-
লাঞ্চ: ২১০/-
জুম- কাপ্তাই জেটিঘাট (সিএনজি): ২৫/-
সাম্পানে ঘোরা: ১৫০/- (জনপ্রতি ৩০/-) বিভিন্ন সাইজের নৌকা আছে,আপনার উপর নির্ভর করে
জেটিঘাট- জুম: ২৫/-
নাস্তা: ২০/-
ডিনার: ১২০/- (গ্রিল এবং একটা পরোটা ১০০/-, আমরা দুটো করে পরোটা এক্সট্রা নিয়েছিলাম)
কাপ্তাই-ঢাকা: ৫৫০/-
সর্বমোট: ২১৫০/-

জুম রেস্তোরা: 01811460460
ফ্লোটিং প্যারাডাইস রেস্টুরেন্ট: 01823-930265

আমাদের আরো বিভিন্নভাবে এক্সট্রা খরচ গিয়েছে,যেমন আমরা ফানুশ নিয়ে গিয়েছিলাম, ট্রেনে বাসে যাওয়ার পথে টুকটাক খাবার দাবারে খরচ হয়েছে কিছু।আমরা টার্মিনালে না নেমে ভুলে বহদ্দারহাট নেমে গিয়েছিলাম ওখান থেকে রিকশায় যেতে হয়েছে আবার। যাই হোক,সব মিলে ২৩০০ টাকা নিয়ে কাপ্তাই যান, সারাজীবন মনে রাখার মতো ট্যুর হবে কথা দিলাম।

Post Copied From:Rakib Ahmed Akash‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

যারা রোজকার শহুরে জীবন থেকে একটু অবসর চান তাদের জন্য এই পোস্ট

যারা রোজকার শহুরে জীবন থেকে একটু অবসর চান, আবার খুব বেশি ধকল এর ভ্রমন করতে চান না তারা বেছে নিতে পারেন আমাদের এই ২ দিনের ভ্রমন অভিজ্ঞতা…..
১ম দিন: টিকেট স্বল্পতায় আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম নারায়ণগঞ্জ থেকে।রাত ১১ টায় যাত্রা শুরু চিটাগাং এর উদ্দেশ্য।সকাল ৭ টায় নামলাম। বান্ধবী থাকার সুবাদে চলে গেলাম তার বাসায়,নাস্তা খেয়েই যাত্রা শুরু কাপ্তাই এর পথে।আমরা মাইক্রো ভাড়া করেছিলাম সারাদিনের জন্য ৪০০০ টাকায়।কাপ্তাই যেতে সময় নিল ২ ঘনটার মত।জুম রেস্তোরা নেমে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার সেরে নিলাম।ঝামেলা এরাতে খাবার এর আগে কায়াকিং এর বুকিং দিয়ে দিবেন আমরা না দিয়ে সমস্যায় পরেছিলাম।প্রতি ঘণ্টা কায়াকিং ২০০ টাকা, ১ কায়াকে ২ জন উঠতে পারবেন। চারপাশে পাহাড় ঘেরা লেকের নিস্তব্ধতায় আপনার মন হারিয়ে যাবে কিছু সময় এর জন্য হলেও।এরপর গন্তব্য শেখ রাসেল ইকো পার্ক, বিদেশ এর ক্যাবল কার এর সাধ দেশেই, যাওয়ার আগে খবর নিয়ে যাবেন বন্ধ নাকি। পার্ক থেকে যেতে পারেন নেভাল বিচ।কাকড়া ভাজা, পেঁয়াজু আর মুড়ি মাখা দিয়ে বিকেলের নাস্তা সেরে নিতে। 

২য় দিনঃ আমরা ২য় দিন রাতেই ফিরবো বলে খুব একটা জার্নি করতে ইচ্ছুক ছিলাম না, আর তাই বেছে নিয়েছিলাম ফয়েজ লেক কে। ২৫০ টাকায় টিকেট কেটে আবারো নিজেকে প্রকৃতির কাছে সপে দিতে পারেন।আমরা পাহাড় ঘেরা চারপাশ টা হেটে বেড়িয়েছি, প্রতিজন ১০০ টাকা করে লেকে বোটিং করেছি ১ ঘণ্টা।ফয়েজ লেক থেকে বেরিয়ে চলে যেতে পারেন চিটাগাং ওয়ার ছিমেট্রি। এটি বন্ধ হয়ে যায় বিকেল ৫টায়,তাই চেষ্টা করবেন একটু সময় নিয়ে যেতে।বিকেল এর সময় টা অলস না কাটাতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন চিটাগাং ডিসি হিল,চেরাগি মোড়। এই মোড় চার আউলিয়ার মিলন স্থল বলে কথিত আছে। একটু বিশ্রাম আর রাতের খাবার সেরে বেরিয়ে পড়ুন ঢাকা ফেরার উদ্দেশে।আমরা ফিরেছিলাম ট্রেন পথে

Post Copied From:Hasina Mridha Popy>Travelers of Bangladesh (ToB)

কাপ্তাই লেকে নৌকা ভ্রমণ ও কায়াকিং

কম খরচেই এক দিনের ট্যুর দিয়ে মন ভালো করে আসার মত সেরা একটা জায়গা চট্টগ্রামের কাপ্তাই। 💜
বিশেষ করে যারা চট্টগ্রামে থেকেও এখনো কাপ্তাই যান নি, তাদেরকে বলছি ঘরের কাছের এত অসাধারণ জায়গা মিস করবেন না 😍
যেভাবে যাবেন:
আমরা ৪ জন চট্টগ্রাম শহর থেকেই গিয়েছি। যারা চট্টগ্রামের বাইরে থেকে আসবেন তাদের জন্য বিভিন্ন জায়গার ডিরেক্ট কাপ্তাইয়ের বাস সার্ভিস আছে।
বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে ডিরেক্ট কাপ্তাইয়ের বাসে উঠতে হবে, ভাড়া ৬৫ টাকা (জেনে উঠবেন)
সাজেশন থাকবে একটু আগে রওনা দেওয়ার, কারণ টার্মিনাল থেকে কাপ্তাই পৌঁছাতেই লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার মত। দেরী করে বের হলে সবকিছু দেখার সময় থাকবে না।
ওখান থেকে আগে যদি কায়াকিং করতে চান তাহলে “জুম রেস্তোরাঁ” তে নামতে হবে। ওখান থেকে কিছু সামনেই “Kaptai Kayak Club” এর ব্যানার দেখতে পাবেন। ভাড়া – প্রতি কায়াকে ২ জন, ৩০০ টাকা প্রতি ঘণ্টা (ডিস্কাউন্ট থাকলে ২৫০ টাকা)
কায়াকিং করার পর লাঞ্চ টা সেরে নিতে পারেন কায়াক পয়েন্টের উপরেই “ফ্লোটিং প্যারাডাইস রেস্টুরেন্ট” এই। অনেক ভালো এবং সাশ্রয়ী।
তারপর সেখান থেকেই সিএনজিতে করে সরাসরি আসল কাপ্তাই লেকে চলে যাবেন। ভাড়া জনপ্রতি ২৫-৩০ টাকা নিবে। দরদার করেই উঠবেন।
(ওখানে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। কারোর পাস বা পরিচিত থাকলে ঘুরে আসতে পারবেন।)
কাপ্তাই লেকে নৌকা ভাড়া করার সময় খেয়াল রাখবেন ভাড়া নিয়ে। ওরা ৩-৪ শ টাকা ভাড়া বলবে প্রতি ঘণ্টা সাম্পান।
আমরা ১৫০ টাকা দিয়ে দরদার করে ভাড়া করেছিলাম প্রতি ঘণ্টা।
১৫০ টাকা ভাড়া দিয়েছিলাম, কিন্তু যে সৌন্দর্য টা উপভোগ করেছিলাম সেটা ১৫০ কোটি টাকারও বেশি 😍😍
দুটো রংধনু চোখের সামনে উঠতে আর মিলিয়ে যেতে দেখা 😍😍 স্বর্গীয় 😍😍
কাপ্তাই লেক ঘুরার পর যদি সময় থাকে তাহলে নেভী ক্যাম্প যেতে পারেন, ওই জায়গাটা নাকি সুন্দর। আমাদের সময় না থাকায় যেতে পারি নি।
কাপ্তাই থেকে ফিরার পথে ডিরেক্ট কাপ্তাই টু বহদ্দারহাট এর বাস গুলা লেট করে অনেক। তাই যারা চট্টগ্রাম শহরে ব্যাক করবেন তাদের সাজেস্ট করবো কাপ্তাই টু লিচুবাগান চলে আসা, ভাড়া জনপ্রতি ৩৫ টাকা সিএনজি তে।
তারপর লিচুবাগান থেকে বাস ছাড়ে ১০-১৫ মিনিট পরপর শহরের উদ্দেশ্যে, ভাড়া জনপ্রতি ৪৫ টাকা।
এভাবেই খুব সহজেই এক দিনের ট্যুর দিয়েই অল্প খরচেই ঘুরে আসতে পারেন কাপ্তাই 😍😍😍😍
#HappyTravelling

post Copied From:Sourav Chowdhury‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ধুপপানি ঝর্না

ঘুরে আসলাম কাপ্তাই এর বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপপানি ঝর্না থেকে। ধুপপানি ঝর্নার বিশালতার কাছে ক্ষনিকের জন্যে হলেও আপনার নিজেকে তুচ্ছ মনে হবে…

যেভাবে যাবেন:-
ঢাকা -কাপ্তাই বাসে করে, তারপর কাপ্তাই জেটি ঘাট থেকে বোট রিজার্ভ করে উলুছড়ি, সময় লাগবে ৪-৪:৩০ ঘন্টার মত। সাথে করে অবশ্যই সবাই NID নিয়ে যাবেন, আর্মি চেক পোস্টে আছে! তারপর সেখান থেকে হাঁটা শুরু, ঘন্টা দেড়েক সময় লাগবে হেঁটে/ ট্র্যাকিং করে ধুপপানিপাড়ায় পৌঁছাতে। ধুপপানিপাড়া থেকে ৩০ মিনিট নিচে নামলেই “ধুপপানি” ঝর্না।

এই ঝর্নার মাঝামাঝি ১টি ধাপে ১জন “ভান্তে” (বৌদ্ধদের ধর্ম গুরু) বিগত প্রায় ১০বছর যাবত ধ্যান করেন। শুধুমাত্র রবিবার উনি আহার গ্রহন করেন বিধায় এই ঝর্নায় রবিবার যাবার ক্ষেত্রে তেমন কোন বিধি-নিষেধ বা কড়াকড়ি থাকে না। সপ্তাহের অন্য যেকোন দিন গেলে কিছু শর্ত সাপেক্ষে যেতে দেয় যেমন – কোন আওয়াজ করা যাবে না, হৈ-হুল্লোড় করা যাবে না। তবে রবিবার গেলে এই ধরনের শর্ত প্রযোজ্য হয় না।

অদ্ভুত সুন্দর একটা ঝর্না।এই ঝর্নার বিশালতার কাছে আপনার নিজেকে তুচ্ছ মনে হবে।এই ঝর্নায় আপনি প্রাকৃতিক Rainbow দেখতে পাবে

Post Copied From:Dip Biswas>Travelers of Bangladesh (ToB)

জুম রেস্তোরা(কর্ণফুলী নদী)

জুম রেস্তোরা কর্ণফুলী নদীর পাশে অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র । এখান থেকে কাপ্তাই লেকের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন । এখানে রয়েছে দোলনা, কাঠের ব্রিজ, গেম শো , রাত্রি যাপনের জন্য কঠেজ, বোট রাইড, গাছের উপর নির্মিত মাচা , খাবার হোটেল, ওয়াচ টাওয়ার । টিকিট মূল্য ১০ টাকা ।এমন সুন্দর মুহুর্ত উপভোগ করতে হলে আপনাকে সকালবেলা সুর্য উঠা মুহুর্তে জুম রেস্তোরায় উপস্থিত থাকতে হবে

কিভাবে যাবেনঃ চট্টগ্রাম শহর এর বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে বাস রয়েছে । ভাড়া ৬০-৬৫ টাকা (সঠিক জানা নেই ) , তবে কাপ্তাই বাঁধ পর্যন্ত বাস ভাড়া ৭৫ টাকা । এছাড়া নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেক সি,এন,জি ট্যাক্সি তে করে ৫০ টাকায় (প্রতি জন) লিচু বাগান যেতে পারেন । অখান থেকে লোকাল সি,এন,জি ট্যাক্সি তে জুম রেস্তোরা যেতে পারেন ।

Post Copied From:Samiul Islam Shatil‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

যারা কিনা শুক্রবার-শনিবার ছাড়া সময় বের করতে পারেন না, তাদের জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন

আমার মতো ভ্রমনপ্রিয় কেরানিদের জন্য, যারা কিনা শুক্রবার-শনিবার ছাড়া সময় বের করতে পারেন না, তাদের জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন হতে পারে কাপ্তাই-রাংগামাটি। আমরা এমনই ৬ জন কেরানি বৃহস্পতিবার রাতের শেষ বাসে (শ্যামলী পরিবহন- রাত ১১.৩০) উঠে রওনা হয়েছিলাম কাপ্তাই-এর উদ্দেশ্যে। শুক্রবার সকাল ৮ টা নাগাদ বড়ইছড়ি বাজারে নেমে সকালের নাস্তা সেরে ১০ মিনিট হেটে পৌছে গেলাম কাপ্তাই কায়াক ক্লাবে। এখানকার ভিউ দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না। এরপর ফর্মালিটিজ সেরে লাইফ জ্যাকেট পরে নেমে পরলাম কায়াকিং-এ। প্রতি ঘন্টা ২৫০-৩০০ টাকা, প্রতি কায়াকে ২ জন চড়া যায়। প্রথম ১০ মিনিট এলোমেলো চালালেও, অচিরেই দক্ষ রাইডার হয়ে গেলাম একেকজন। কায়াকিং করতে করতে আমরা চলে গেলাম অনেক অনেক দূর। প্রায় ২ ঘন্টা কায়াকিং করে কায়াক ক্লাবের সামনে থেকেই অটো নিয়ে চলে গিয়েছিলাম Berannaye Lake Shore Cafe তে। দুপুরের খাবার ওখানেই খেলাম। ছোট ছোট মাচাং এর মতো করে বানানো ঘরে বসে পাহাড়ি মজাদার সব খাবার খেতে খেতে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য উপভোগ-সবই চললো একসাথে। কখন যে বিকাল হয়ে গেলো টেরই পেলাম না। এবারের গন্তব্য রাংগামাটি। ক্যাফের সামনেই আসাম বস্তির ব্রিজ। সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে অটোতে রওনা হলাম রাংগামাটির উদ্দেশ্যে। রাংগামাটিতে রাত কাটিয়ে পরদিন সারাদিন ইঞ্জিন বোটে করে টইটই করে ঘুরে বেড়ালাম কাপ্তাই হ্রদের চারপাশ। ইঞ্জিন বোট যখন আমাদের রাংগামাটি ঘাটে নামিয়ে দিলো তখন ততক্ষনে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। রাতের খাবার শেষে সুবোধ কেরানির মতো বাসে চড়ে বসলাম, পরদিন অফিস ধরতে হবে না???

Post copied From:Shoaib Mahmood‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

লেকের নীল পানির ঢেউ খেলানো দৃশ্য দেখতে দেখতে সারাটাদিন কাটিয়ে দেওয়ার মত একটা প্লেইস হল বেরাইন্না লেক

এই নামে এখানে একটা ক্যাফেও আছে। খোলামেলা আর পাহাড় নদীর সমাবেশপূর্ণ এই পরিবেশে দুটা ডাল ভাত খেয়েও শান্তি পাওয়া যায়!

এইরকম একটা পরিবেশে রেস্টুরেন্ট দেওয়ার মত পরিকল্পনা করাটা চরম বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের বুদ্ধির প্রতিফলন মাত্র!
এছাড়া কর্মচারীদের ব্যবহারও যথেষ্ট ভাল ও আন্তরিক।

যেভাবে যাবেনঃ

চট্টগ্রামের বহদ্দার হাট বাস টার্মিনাল থেকে ৬৫ টাকা ভাড়া তে কাপ্তাই নতুন বাজার যাবেন। এরপর অইখান থেকে রিসার্ভ সি এন জি নিয়ে সোজাসুজি বেরাইন্না লেকে… । 🙂 সি এন জি রিসার্ভ করলে আপ ডাউন কমপক্ষে ৫০০ পড়বে যদি আলাদা আলাদা সি এন জি নিবেন।

খুবই সুন্দর জায়গা!! আপনারা যারা এখনো যান নি তারা ঘুরে আসুন।

Post Copied From:রত্নম অর্জুন‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

একদিনের ছোট ট্রিপের জন্যে কাপ্তাই কে বেছে নেয়া যায়

একদিনের ছোট ট্রিপের জন্যে কাপ্তাই কে বেছে নেয়া যায়.
কায়াকিং এর এর সাথে উপোভোগ করতে পারবেন লেকের আশেপাশের মনোরম দৃশ.
কায়াকিং প্রতি ঘন্টা ২৫০ টাকা
যেভাবে যাবেন 
ঢাকা থেকে কাপ্তাই যায় এমন একটি বাসে উঠে বসে পরবেন সুপারভাইজারকে বল্লেই হবে শিলছড়ি ঝুম রেস্তোরার সামনে নামিয়ে দিতে. কাওকে বল্লেই দেখিয়ে দিবে. রাস্তা থেকে একটু নিচের দিকে নামলেই হবে.

Post Copied From:Mazharul Shikder‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

কাপ্তাই-বিলাইছড়ি (৩৪ কিমি) কায়াক অভিযান।

জলপথে বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই লেকে ২৪ থেকে ২৫শে নভেম্বর সফলভাবে শেষ হল কাপ্তাই- কাপ্তাই কায়াক ক্লাব (৩৪ কিমি) কায়াক অভিযান।

অভিযানে ৯ টা কায়াকে ১৬ জন অভিযাত্রী অংশগ্রহণ করেছে। আর সাপোর্ট বোটে অভিযাত্রীদের উৎসাহ ও সাপোর্ট দিতে ক্যামেরা হাতে ছিল আরো ৬ জন। ঢাকা থেকে এসেছে ১০ জন।

অভিযানটির মুল আয়োজক( Kaptai Kayak Club) কাপ্তাই কায়াক ক্লাবের নিজস্ব ছয়টি রিক্রিয়েশনাল কায়াক ছাড়াও এতে অংশ নেয় ব্যক্তি মালিকানাধীন তিনটি ইনফ্ল্যাটাবেল কায়াক।

২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩ জন অভিযাত্রী কাপ্তাই কায়াক ক্লাবে এসে ঝড়ো হয়। কায়াকিং এক্সপিডিশনের হোস্ট ইউসুফ রানার নেতৃত্ব ৬ টা কায়াক কাপ্তাই কায়াক ক্লাবের ঘাট থেকে ৭ কিমি দূরে এক্সপিডিশন শুরুর মুল পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। কাপ্তাইয়ের বিলাসবহুল হাউজ বোটে রাতে ক্যাম্পিং এর আয়োজন করা হয়। ১৫ জন বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পিং এ যোগ দিলে ও বাকি ৯ জন শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে এসে পৌছাইছে। রাতে ক্যাম্পিং এ ভুতের আড্ডাটা মজার ছিল। যদিও অনেকে ভুতের ভয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমাই গেছে।

২৪শে নভেম্বর শুক্রবার কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার হাউজ বোট থেকে সকাল ৭:৩০ মিনিটে বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে অভিযাত্রীরা কায়াকিং শুরু করেন। দুপুর ১১:৩০ মিনিটে অভিযাত্রীরা গাছকাটাছড়া আর্মি ক্যাম্পে নিজেদের নাম নিবন্ধন করেন ও একটা গ্রুপ ছবি আর্মি ক্যাম্পে জমা দেন। ২ পাশে পাহাড় পরিবেষ্টিত হ্রদে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা কায়াকিং করে ১৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বেলা ১টার দিকে তারা গন্তব্যস্থল বিলাইছড়িতে পৌঁছান।

বিলাইছড়িতে দুপুরের খাবার শেষ করে সবাই হেটে বিলাইছড়ি উপজেলার আশেপাশে ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। হালকা চা নাস্তা খেয়ে বোটের ছাদে বসে চাঁদ দেখতে দেখতে আড্ডা জমে উঠল। কেউ বা ক্লান্ত শরীর নিয়ে অনেকে ঘুমিয়ে পড়ল। রাত ৯ টায় স্থানীয় হোটেলে খাওয়া – দাওয়া শেষে যে সবাই টেন্ট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। কয়েক জনের বাথরুমের সমস্যা থাকায় নিরিবিলি বোডিং রুম নিল ২ টা।

সকাল ৬ টা থেকে অভিযাত্রীরা একে অপরকে ডাকাডাকি শুরু করে দিল। আমার কয়েকজন অলস অভিযাত্রী তাবুর ভিতরে বসে সকালে কুয়ায়াশাচ্ছন্ন হ্রদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ব্যস্ত হয়ে গেল, কেউ বা ছবি বা সেলফী খিচাতে ব্যস্ত। যথাসময়ে সকাল ৮:০০ এ নাস্তা শেষে অভিযাত্রীরা শুকনো খাবার নিয়ে যে যার মত করে কায়াকে উঠে বসল। আগের দিনেত মত ৮:৩০ কাপ্তাইয়ের গন্তব্যে কায়াকিং শুরু হল। ১ম দিনের ছেয়ে ২য় দিন অভিযাত্রীদের অনেক সতেজ ও প্রাণবন্ত দেখা যায়। সবার মাঝে ১ম হওয়ার একটা নীরব অভিপ্রায় লক্ষ্য করা যায়। কে কার আগে যাবে এই লক্ষ্য নিয়ে সেদিন সবার মাঝে উত্তেজনা কাজ করে। ইমরুল ভাই আর আমার কায়াকে জিপিএস এ কায়াকিং স্পিড এভারেজ ৭.১৫ দেখাল। টান টান উত্তেজনায় সেদিন অভিযাত্রীরা বেলা ১২ টার দিকে পুনরায় কাপ্তাই ফিরে আসেন। পথিমধ্য গাছকাটা আর্মি ক্যাম্প সহ ২ টা বিরতি ছিল।

এক্সপিডিশনের মুল লক্ষ্য ছিল নদীমাতৃক বাংলাদেশে কায়াকিং একটিভিটি বাড়ানো, কায়াকিং এর প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করা, শুধু বিনোদনের জন্য কায়াকিং না করে কায়াকিং কে একটা স্পোর্টস হিসেবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা। তাছাড়া এই দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক পুরনো কায়াকার বা নৌ পথে এডভেঞ্চার পছন্দ করে এরকম যারা আছে সব পরিচিত মুখদের এক করা।

খুব শীঘ্রই দেশের বিভিন্ন নৌপথে নিয়মিত এই ধরণের অভিযান পরিচালনা করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি কাপ্তাই কায়াক ক্লাব এর পক্ষ থেকে। এই উদ্দেশে অচিরেই বেশ কিছু অভিযান উপযোগী সিঙেল রেসিং কায়াক নিয়ে আসতেছি।

তাছাড়া কাপ্তাই কায়াক ক্লাব মেম্বারশিফ শুরু করতে যাচ্ছি ২০১৭ থেকে। অভিযানে কায়াক ক্লাব মেম্বারদের নিয়মিত ইভেন্ট হিসেবে রাখা হবে সারা বছর। এর মাধ্যমে আমরা কায়াক ক্লাবকে একটা বড় এডভেঞ্চার কমিউনিটি তে পরিনত করতে চাই।

আপকামিং এক্সপিডিশন :
কাপ্তাই – রাঙামাটি
কাপ্তাই – পতেঙ্গা

Post Copied From:Mohammad Yousuf Rana‎>Travelers of Bangladesh (ToB)