মাত্র ইন্দোনেশিয়া ঘুরে আসলাম। বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য ভিসা ফ্রি, দেনপাসার এয়ারপোর্টে নেমে ডান দিক থেকে বাম দিক ভালমত তাকানোর আগেই সিল পরে যায়। সর্বোচ্চ এক মিনিট সময় লাগে। কোন ভিসা ফি লাগে না, কোন ডকুমেন্টও লাগে না।
এয়ারপোর্টে ডলার যত কম ভাঙ্গানো যায়, তত ভাল। এয়ারপোর্টে মিনিমাম ২০০ রুপিয়া কম হয় রেট। তবে ২০০ রুপিয়া মানে বাংলাদেশি ১ টাকা ২৪ পয়সা। আজকে ডলার রেট ছিল, ১ ডলার = ১৩০৫০ রুপিয়াহ। একসাথে বেশি ডলার ভাঙ্গালেও সমস্যা, এতো টাকা রাখার জন্য ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হতে পারে।
এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নেয়ার সময় আপনি ঠকবেনই। ব্লু বার্ড ট্যাক্সি বালির সবচেয়ে বিখ্যাত। ওরাও এয়ারপোর্ট থেকে সানুর যাওয়ার জন্য প্রায় ১,০০,০০০ রুপিয়াহ মানে ৬২৫ টাকা বেশি নিয়েছে। তবে ব্লু বার্ড উত্তম।
সি-ওয়াক করলে সানুরে করা ভাল। আর বাকি ওয়াটার স্পোর্টস সব নুসা-দুয়াতে। অনেক কম খরচে ভাল্ভাবে শেষ করে আসতে পারবেন। যাদের বুকিং দেবেন, তারাই গাড়ি পাঠাবে। যে কোন একজনের রেট বিশ্বাস না করে, রেট যাচাই করা ভাল।
মাউন্ট বাতুর ট্রেকিং অনেক অনেক অনেক কস্টকর। আমাদের ট্যুরের একটা দিন শেষ করে দিছে এই ট্রেকিং। ওইদিন আর কিছু করতে পারি নাই। খালি ঘুমাইছি। কাজেই বেশিদিনের ট্রেকিং না হলে মাউন্ট বাতুর ট্রেকিং এভোয়েড করা উত্তম।
স্নরকের্লিং করেছি, সাতার জানি না। তবে ডাইভ দেওয়াটাই বেস্ট ছিল, সময়ের অভাবে দিতে পারি নাই। সাতার না জানলেও কোন সমস্যা নাই।
জিম্বারান বীচে সি-ফুড অনেক কস্টলি। সেই তুলনাই আমার কাছে সানুর বিচের সি-ফুড ভাল লেগেছে। অনেক শান্ত পরিবেশে, জিম্বারান বিচের ফিল। অনেক বেশি কমফোর্টেবল।
অনেক স্কুটি চলে, স্কুটি চালাতে পারলে, একটা স্কুটি ভাড়া করে নিলে আর গুগল ম্যাপ থাকলে খরচ অর্ধেক কমে যাবে। দূরে কোথাও গেলে গাড়ি কন্ট্রাক্টে নিয়ে যাওয়া ভাল। কাছে গেলে মিটারে।
সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়। রাতের বেলা সাইক্লিং করে সানুরে বেশ মজা আছে। আমরা অবশ্য মানুষের মজা দেখছি। নিজেরা ভাড়া করি নাই। ভাড়া বাংলাদেশের মতই। দিনে ৩০,০০০ রুপিয়াহ মানে ২৪০ টাকার মত।
আমরা সানুরে ছিলাম, অনেক কম কস্টলি, নির্ঝঞ্ঝাট।
সবশেষে, ৩-৪ দিনের জন্য বালি ট্যুর দিয়ে লাভ নাই। কমপক্ষে ৭ দিনের ট্যুর দেন। মনে রাখার মত কিছু স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারবেন।