ক্ষিণ নেদারল্যান্ডেসের ছোট্ট শহর লিসি’তে (Lisse) অবস্থিত। আমস্টারডামের বিখ্যাত সিপল (Schiphol) বিমানবন্দর থেকে বেশি দূরে নয়। কোকেনহফের অর্থ কিচেন গার্ডেন যার আরো পরিচিতি গার্ডেন অব ইউরোপ নামে। এটিই পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ও আকর্ষণীয় ফুলবাগান। এর আয়তন ৭৯ একর /৩২ হেক্টর এবং বছরে সাত মিলিয়ন (৭০ লক্ষ) ফুল বীজ এখানে রোপন করা হয়। সারা বছর কোকেনহফে টিউলিপের দেখা মিলবে না, এই বাগান খোলা থাকে মধ্য মার্চ থেকে মধ্য মে পর্যন্ত।
বাগানের বাইরে বিশাল প্রান্তর জুড়েও দেখা মিলবে টিউলিপের ক্ষেত। এক এক সারি এক এক রঙের টিউলিপে সাজানো, বিশাল মাঠ জুড়ে টিউলিপ অপরূপ সৌন্দর্য বিলিয়েই চলেছে। এখানে টিউলিপ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হয় এবং সমগ্র ইউরোপ তথা সারা বিশ্বে তা রপ্তানি হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক উৎপাদনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত শখ ও টিউলিপ বন্দন, শিরোনাম হয়ে আছে কয়েক শতাব্দী। শত শত কবিতা লেখা হয়েছে টিউলিপকে নিয়ে। বিখ্যাত চলচ্চিত্র সিলসিলা’র একটির অংশের চিত্রায়ণ এই টিউলিপ বাগানেই হয়েছিল। অনেক বরেণ্য ব্যক্তিদের আগমন ঘটেছিল এই ঐতিহ্যম-ময়ী ফুল বাগানে। রানি জুলিয়ানা ছিলেন বাগানটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
প্রায় সাত মিলিয়ন ফুলের সম্ভারে যে অপরূপা তাকে দেখতে কিছু নজরানা দিতেই হয়ে। ১৬ ইউরো দিয়ে টিকিট কাটার সাথে একটি গাইড বইও মেলে। বাস, কার পার্কিং-এর জন্য বিশাল এলাকা, সর্বত্র এক সুশৃঙ্খল পরিবেশ। প্রবেশ তোরণ আকর্ষণীয়। বাগানে প্রবেশের আগে থেকেই টিউলিপ সুন্দরীরা অভিবাদন জানাতে থাকে। সারা বাগান জুড়ে ছোট ছোট খাল এবং তার উপর নান্দনিক সেতু, সেখানেও ফুলের ছোয়া আছে। নবোঢ়ার সাজের জন্য বা নব-দম্পতির ছবি তোলার জন্য যা কিছু দরকার, শুধু এই বাগানে এসে পড়লেই চলবে। বহুরঙের টিউলিপ স্বাগত জানাবে, শুভেচ্ছা জানাবে, বিনিময় করবে অকৃত্রিম ভালোবাসা।
post copied From:Fardun Islam>Travelers of Bangladesh (ToB)