আড়িয়াল বিল

বর্ষায় পানিতে টই টই, শীতে শুকিয়ে বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। আর এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেতে হবে মুন্সীগঞ্জ এর “আড়িয়াল বিল” এ। আড়িয়াল বিল ঢাকার দক্ষিণে পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর মাঝখানে অবস্থিত প্রায় ১৩৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি অবভূমি।

#কীভাবে_যাবেন:
ঢাকার মালিবাগ/মৌচাক থেকে প্রচেষ্টা পরিবহন অথবা গুলিস্তান থেকে যে কোন মাওয়াগামী বাসে উঠে পড়ুন। যার মধ্যে “বিআরটিসি”, “ইলিশ পরিবহন” ভালো। শ্রীনগর ছনবাড়ি বাস স্ট্যান্ডে নামবেন। এক-দেড় ঘন্টা সময় লাগবে। বাস ভাড়া ৫০/৬০/৭০ টাকার মত নিবে।

সেখান থেকে রাস্তার অপরপাশে গিয়ে অটো ভাড়া করবেন গাদিঘাটের উদ্দেশ্যে। ভাড়া পড়বে মাথাপিছু ১৫-২০ টাকা। আর রিজার্ভ করে নিলে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা।

গাদিঘাট বড় ব্রিজে নামিয়ে দিবে অটো। সময় লাগবে ২০-২৫ মিনিটের মত। সেখান থেকেই বিলে ঘোরার নৌকা বা ট্রলার ভাড়া পাবেন। নৌকা বা ট্রলার ভাড়া করে ফেলুন। ২/৩/৪ ঘন্টার জন্য ৬০০-১০০০ টাকার মত খরচ হবে। তবে আমি সাজেস্ট করবো ইঞ্জিন চালিত ট্রলার গুলো ভাড়া করতে। এতে আপনি অনেক দূর আর গভীরে চলে যেতে পারবেন।

ফেরার পালা এরপর। অটো করে শ্রীনগর বাজারে চলে আসুন। অটোর ভাড়া আগের মতই। বাজার থেকে দুই মিনিট হেঁটে গেলেই বাসস্ট্যান্ড। উঠে পড়ুন বাসে।

দেরী না করে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার কাছেই এই সুন্দর জায়গাটা থেকে। 🙂

#প্রয়োজনীয়_তথ্য:
১. এ সময়ে রোদের তেজ ভালো। ভ্রমণে তাই অবশ্যই ছাতা এবং রোদ টুপি নিয়ে নিবেন।
২. শ্রীনগরের পর বিলের কোথাও দোকান পাট নেই। গাদিঘাট এ কিছু গ্রাম্য দোকান পাবেন। সঙ্গে অবশ্যই পর্যাপ্ত খাবার পানি ও শুকনা খাবার নিতে ভুলবেন না।

আর অনুরোধ করবো, গ্রামের মানুষগুলোর সাথে সুন্দর আচরণ করবেন আর বিল ও গ্রামের পরিবেশ নোংরা করবেন না।

Post Copied From:Ariful Huda Ashik>Travelers of Bangladesh (ToB)

ছোট একটা tour এর plan

time duration দুপুর ১২ টা থেকে রাত ১০ টা। খরচ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা জনপ্রতি। ঢাকার গুলিস্তান থেকে মাওয়ার বাসে উঠবেন দুপুর ১২ টায়। ভাড়া জনপ্রতি ৭০ টাকা। জ্যাম না থাকলে ১.৩০ টার মধ্যে মাওয়া। ঘাটে গিয়ে যেকোনো হোটেল ইলিশ মাছ, মাছর ডিম, ভর্তা দিয়ে একপেট খেয়ে নিবেন। অমৃত মনে হবে। ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে খাওয়া হয়ে যাবে। এরপর লন্চ এর টিকিট কাটবেন মাঝির ঘাটের। ভাড়া জনপ্রতি ৩৫ টাকা। সময় লাগবে ১.১৫ থেকে ১.৩০ ঘন্টা। দুপুর এর দিকে একটু ভীর থাকে তারপরেও শিতের দুপুরের নরম রোদে লন্চের ডেকে বসে থাকতে খারাপ লাগবে না। পদ্দা সেতুর পাইলিং কাজ দেখতে পারবেন খুব কাছ থেকে। ৪ টার দিকে মাঝির ঘাট নামবেন। গরুর দুধের এক কাপ চা খেয়ে নিতে পারেন। নদীর পাড় ধরে হাটতে পারেন। পড়ন্ত বিকেলে একপাশে নদী আর একপাশে বিভিন্ন সবজির খেত। কখোনো শরিষা খেত। খারাপ লাগবে না মোটেও। কম দামে জাষ্ট খেত থেকে তোলা ফ্রেশ শাক সবজি কিনতে পাবেন। শিতকালে মাঝির ঘাট থেকে ঢাকার লাষ্ট লন্চ সন্ধ্যা ৭ টায়। সাধারনত এই সময় যাত্রী খুব কম থাকে। ডেকের উপর হাত পা ছড়িয়ে বসতে পারবেন। এই ১.৩০ ঘন্টার জার্নি মনে রাখার মত। শুনশান নিরবতা। চারিদিক অন্ধকার। মাথার উপর খোলা আকাশ। মাঝে মাঝে একটু আলো অন্য কোন লন্চের অথবা কোনো ড্রেজার মেশিনের। সব মিলিয়ে ভালোই লাগবে। ৮.৩০ এর দিকে মাওয়া পৌছে যাবেন। ঘাট থেকে ঢাকার অনেক বাস পাবেন।
ইচ্ছা করলে এই tour টাকে আরো expensive or cheap করতে পারেন। মাওয়া ঘাট থেকে মাঝির ঘাট স্পিড বোটে যেতে পারেন। ১৫০ টাকা জনপ্রতি। সময় লাগে ২০ মিনিট। দুপুরের খাবার টা লন্চেই সেরে নিতে পারেন। মেনু্ থাকে সাদা ভাত, ইলিশ ভাজা, মাছের তেল, শুকনা মরিচ ভাজা আর ডাল। পেটে খুধা থাকলে অমৃত মনে হবে। ১০০ টাকায় ভরপেট খেতে পারবেন।

সতকর্তা: মাওয়া থেকে মাঝির ঘাট আর কাওড়াকান্দির লন্চ ছাড়ে। একটু শিওর হয়ে মাঝির ঘাটের লন্চে উঠবেন। নদীর অবস্থা বুঝে স্পিড বোটে উঠবেন। সাধারনত বর্ষাকালে না উঠাই ভালো। ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলবেন না। Local people and culture কে সম্মান দিবেন।

Post Copied From:Jahid Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)