কারো ঢাকার কাছে day tour দেয়ার ইচ্ছা হলে

কারো ঢাকার কাছে day tour দেয়ার ইচ্ছা হলে
ঘুরে আসতে পারেন ঢাকারই খুব কাছের #ময়মনসিংহ জেলায়। খুব সকালে( ৬টা) রওনা দিলে রাত ১০ টার মধ্যেই ঢাকায় পৌছাতে পারবেন👌 ময়মনসিংহে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। আপনার time management ভাল থাকলে ১দিনেই এই জায়গাগুলি ( বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়->ব্রম্মপুত্র নদ
->শশীলজ-> মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি-> জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা- জয়নুল আবেদিন পার্ক) ঘুরে আসতে পারেন👌

যেভাবে যাবেন : মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে এনা, শামিমসহ বেশ কটি বাস ছেড়ে যায় প্রতি ঘণ্টায়। সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা😊ময়মনসিংহ নেমে অটোভাড়া দিয়ে যে কোনো জায়গায় যেতে পারবেন।

খাওয়াদাওয়া :- দুপুরে lunch সারিন্দা রেস্টুরেন্ট এ করেছিলাম👌খাবার বেশ ভালই reasonable price এর মধ্যে👌

তাই আর দেরি না করে যে কোনো এক ছুটির দিনে চলে যান ময়মনসিংহে

Post Copied From:Nifat S. Bristy>Travelers of Bangladesh (ToB)

মহেড়া জমিদার বাড়ি

ঢাকার আশেপাশে একদিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে ঘুরে আসতে পারেন টাঙ্গাইলের মহেড়া জমিদার বাড়ি থেকে। জমিদার বাড়ির অপূর্ব কারুকাজ ও নির্মাণশৈলী আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত।বিশাল এলাকা জুড়ে মহেড়া জমিদার বাড়ি অবস্থিত। হঠাৎ দেখলে মনে হবে সবুজ ঘাসের চাদরে যেন ফুটে আছে বিশাল শ্বেতপদ্ম! একটি নয়, পাশাপাশি কয়েকটি ভবন দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। আভিজাত্যের ছোঁয়া রয়েছে প্রতিটি প্রাসাদজুড়েই। জমিদার বাড়ির সামনে রয়েছে পুকুর। চাইলে পুকুরে ঘুরতে পারবেন নৌকায়। রয়েছে বিশাল বাগান। বাগানে আনমনে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিতির পাখি ,টার্কি আর উট পাখি ।১৮৯০ সালে তৎকালীন জমিদারগণ চার ভাই মিলে জমিদারি পত্তন করেন। তাদের নাম বুদাই সাহা, বুদ্ধু সাহা, হরেন্দ্র সাহা এবং কালীচরণ সাহা। তারা সাহা পদবী ধারণ করেই শুরু করেন জমিদারি। তবে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম সবাই রায় চৌধুরী পদবী গ্রহণ করেন। জমিদার বাড়ি নির্মাণ হয় চার অংশে।মহেড়া জমিদার বাড়িটি মূলত চারটি ভবনে বেষ্টিত। মহারাজ লজ, আনন্দ লজ, চৌধুরী লজ এবং কালীচরণ লজ। বাড়িটির মোট ৮ একর জমির উপর অবস্থিত। এখানে বাসভবন, কাছারি ভবন, পুকুর এবং মাঠ রয়েছে।১৯৭২ সালে মহেড়া জমিদার বাড়িটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জোনাল পুলিশ তট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৯০ সালে এটিকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত করা হয়। যেভাবে যাবেন

ঢাকার মহাখালী থেকে সরাসরি টাঙ্গাইলের বাস রয়েছে। মহেড়া জমিদার বাড়ি যাবেন বললেই নামিয়ে দেবে। ডুবাইল বাস স্ট্যান্ডে নেমে সিএনজিতে যেতে পারবেন মহেড়া জমিদার বাড়ি। ঢুকতে হলে টিকেট করতে হবে জনপ্রতি ৫০ টাকা। রাতের জমিদার বাড়িও অদ্ভুত সুন্দর ।রুম ভাড়া নিয়ে মুল জমিদার বাড়িতেই থাকতে পারবেন জমিদারি স্টাইলে ।

Post Copied From:Rina Husnayn>Travelers of Bangladesh (ToB)

কথা দিচ্ছি, স্বরনীয় একটা ট্যুর হবে

চলুন না, ভিন্ন একটা জায়গায়। প্রাইভেটকার হোক কিংবা সাধারণ বাসে, অথবা মোটরসাইকেলে । একা হোক কিংবা দলবদ্ধ। কথা দিচ্ছি, স্বরনীয় একটা ট্যুর হবে।

শেরপুর এর গারো পাহাড়। নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই শেরপুর। ঢাকা থেকে একদিনেই ঘুরে আসা যায় এবং রাস্তাঘাটও এখন অনেক ভালো কন্ডিশনে। মধুটিলা ইকোপার্ক এবং গজনী অবকাশ এর সাথে এখন বোনাস হিসেবে পাচ্ছেন পাহাড়ের ভেতর দিয়ে একেবেকে চলা বর্ডার রোড। অন্যান্য জায়গার তুলনায় থাকা কিংবা খাওয়া খরচও তুলনামূলক সাশ্রয়ী। এই পর্যটন মৌসুমে একদিন কিংবা দুইদিনের ট্যুর প্ল্যান এবং অন্যান্য প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে লিখুন। সকল উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

যাত্রাপথ: ঢাকার মহাখালী থেকে সোনার বাংলা কিংবা অন্যান্য বাসে সরাসরি শেরপুর। শেরপুরের খোয়ারপার মোড় থেকে সিএনজিতে সরাসরি মধুটিলা ইকোপার্ক কিংবা গজনী অবকাশ। এছাড়াও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা তো আছেই।।

খরচ : ১ দিনের ট্যুরের জন্য জনপ্রতি ১৫০০ টাকা হলেই হবে। এরপরও মানিব্যাগ এর চিপায় একটা ৫০০ টাকার নোট থাকাটা উত্তম।

পুনশ্চঃ যে ছবিটা দিয়েছি, চাঁদনি রাতে ওই ন্যাড়া পাহাড়ের উপরটায় বসে থাকলে কেমন লাগবে তা একবার কল্পনা করুণ তো।।

Post Copied From:Asif Shahneoaz Tushar‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

নুহাশ পল্লী

পিরুজ আলী গ্রামে অবস্থিত যা কিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) ঢাকার অদূরে গাজীপুরে প্রতিষ্ঠা করেছেন এই প্রাকৃতিক নৈসর্গ নুহাশ পল্লী। গাজীপুর (Gazipur) চৌরাস্তা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে হোতাপাড়া বাজার। সেখান থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে পিরুজালী গ্রামে অবস্থিত নুহাশ পল্লী যা ৪০ বিঘা জায়গা নিয়ে তৈরি। একেবারে জঙ্গলের ভিতরে হঠাৎ করে এক টুকরো পরিচ্ছন্ন উদ্যান। শান্ত সৌম্য পরিবেশ। উপরে লিচু, জাম আর শান্তির প্রতীক জলপাই গাছ। নিচে সবুজ ঘাসের গালিচা। যেন এক টুকরো শান্তি নিকেতন। এইখানে চির নিদ্রায় হুমায়ূন আহমেদ, উত্তরাধুনিক বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী লেখক। কি কি আছে নুহাশ পল্লীতেঃ এখানে ২৫০ প্রজাতির দূর্লভ ঔষধি, মসলা জাতীয়, ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছের গায়ে সেটে দেয়া আছে পরিচিতি ফলক, যা দেখে গাছ চেনা যাবে সহজেই। সবুজ মাঠের মাঝখানে একটি বড় গাছের উপর ছোট ছোট ঘর তৈরি করা হয়েছে। উদ্যানের পূর্ব দিকে রয়েছে খেজুর বাগান। বাগনের এক পাশে “বৃষ্টি বিলাস” নমে অত্যাধুনিক একটি বাড়ি রয়েছে। নুহাশ পল্লীর আরেক আকর্ষণ “লীলাবতী দীঘি।
দীঘির চারপাশ জুড়ে নানা রকমের গাছ। রয়েছে সানকাধানো ঘাট। পুকুরের মাঝখানে একটি দ্বীপ। সেখানে অনেকগুলো নরিকেল গাছ। এছাড়া এখানে দেখা মিলবে হুমায়ূন আহমেদের আবক্ষ মূর্তি ও সমাধিস্থল, পদ্মপুকুর, সরোবরে পাথরের মৎসকন্যা, প্রাগৈতিহাসিক প্রানীদের অনুকীর্তি, অর্গানিক ফর্মে ডিজাইন করা অ্যাবড়োথেবড়ো সুইমিং পুল যেখানে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (Sunil Gangopadhyay) এবং হুমায়ূন আহমেদ একসঙ্গে জলে নেমেছিলেন, দাবার গুটির প্রতিকৃতি, টি-হাউসসহ নানা রকম দৃষ্টিনন্দন সব স্থাপত্য।
ভূত বিলাস, বৃষ্টিবিলাসসহ তিনটি বাংলো রয়েছে এই বাগানবাড়িটিতে।

কিভাবে যাবেনঃ
আপনি পুরান ঢাকা থেকে যেতে চাইলে গুলিস্তান থেকে ঢাকা পরিবহনের বাস যেটা কাপাসিয়া যায় এবং প্রভাতী বনশ্রীর বাস যেটা বরমী যায় সেটাতে উঠুন, মহাখালী থেকে আসতে চাইলে সম্রাট লাইন , রাজদূত পরিবহন, ডাউন টাউন, বাসে উঠুন। এবার আপনি হোতাপারা নামক স্থানে নেমে সিএনজি বা লেগুনা বা যান্ত্রিক রিক্সায় নুহাস পল্লীতে যেতে পারবেন। মনে রাখবেন ময়মসিংহের বাস ও প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের বাসগুলো গাজীপুর চৌরাস্তায় অনেকক্ষন দেরি করে। কিন্তু সম্রাট লাইন বা রাজদূত বা ঢাকা পরিবহনের বাসগুলো যাত্রি নামিয়ে চলে যায়।

খরচ কত গুনতে হবেঃ
এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নুহাশ পল্লী সকল দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন খোলা থাকে। ১২ বছরের উপরে জনপ্রতি টিকেট লাগবে ২০০ টাকা।

কিন্তু নভেম্বর থেকে মার্চ মূলত পিকনিকের জন্য ভাড়া দেয়া হয়। প্রতিদিন পিকনিকের জন্য ১টি গ্রুপে সর্বোচ্চ ৩০০ জন আসতে পারবে। সরকারি ছুটির দিনে পিকনিকের জন্য গুনতে হবে ৬০ হাজার টাকা, অন্যদিন ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া সরকারি ছুটির দিনে পিকনিকের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাড়া পড়বে ৫০ হাজার টাকা, অন্যদিনগুলোতে ভাড়ার জন্য গুনতে হবে ৪০ হাজার টাকা।

Post Copied From:

M Jahidul Islam Khandaker>Travelers of Bangladesh (ToB)