দেশের সবথেকে বড় ফুলের বাজার এবং ফুল চাষের এলাকা ঘুরে আসতে পারেন একদিনেই।

রাতে ঢাকা থেকে সরাসরি যশোরের অনেক বাস আছে পছন্দসই বাসে উঠে পড়ুন (হানিফ ভালো এই রোডে আমার মতে )। পৌছে যাবেন ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরে। নাশতা করে নিন যশোরে। তারপরে যশোর বেনাপোল লোকাল বাসে উঠে পড়ুন গদখালী বাজার পর্যন্ত যাওয়ার জন্য (25 টাকা ভাড়া)। 9-10 টা পর্যন্ত বাজার থাকে এরপরে বিক্রি শেষ হয়ে যায়। যারা খুলনা থেকে যেতে চান তাদের ট্রেনে যাওয়াই ভাল। বাসে গেলে সময়ও বেশী লাগবে রাস্তাও অনেক খারাপ। সকাল 7 টায় বেনাপোল কমিউটার ট্রেন যায় সরাসরি ঝিকরগাছা নামতে পারবেন। স্টেশন থেকে ভ্যানে সরাসরি গদখালী বাজার। এছাড়া অন্য ট্রেন গুলোতে যশোর নামতে পারবেন (6.30 এ রাজশাহীর ট্রেন আছে) । সেখান থেকে লোকাল বাসে গদখালী। বাজার ঘোরা শেষ হলে এবার যাত্রা ফুলের মাঠের উদ্দেশ্যে। গদখালী বাজার থেকে ফুলের মোড় বললেই নিয়ে যাবে (10 টাকা ভ্যান ভাড়া)। মোড়ে যাওয়ার আগে থেকেই দুইপাশেই দেখবেন ফুল আর ফুল। নেমে পড়ুন বাগানের ভিতর এবং ঘুরুন। তবে ফুল ছিড়বেন না এবং গাছের কোন ক্ষতি করবেন না।
দেখবেন জারবেরা গাছ গুলো লাগানো আছে অনেকটা গ্রিন হাউস টাইপ ঘরে। মালিকের অনুমতি নিন দেখবেন তারাই ঘরেই তালা খুলে আপনাকে ঘুরাবে। তবে গাছ বা ফুল নষ্ট করবেন না। যদি ফুল কিনতে চান সরাসরি ক্ষেতের চাষীর সাথে কথা বলে কিনুন অনেক কমেই পাবেন। ফুল দেখতে গেলে একটা জিনিস মাথায় রাখা ভাল সামনের দুই তিন দিনের ভিতর কোন অনুষ্ঠান আছে কিনা। থাকলে কিন্তু ফুল অধিকাংশই বিক্রির জন্য কেটে ফেলবে। আমরা 14 ডিসেম্বর গেছিলাম, বিজয় দিবস উপলক্ষে অধিকাংশ ফুলই বিক্রির জন্য কেটে ফেলছিল। ফুল বাগান ঘোরা এবং ফুল কেনা শেষ হলে গদখালী বাজার হয়ে যশোরে চলে আসুন। খাবারের জন্য হাজী বিরিয়ানীতে যেতে পারেন। খাওয়া শেষে যশোর শহর ঘুরে দেখতে পারেন। এবার যশোর থেকে ঢাকাগামী বাসে উঠে পড়ুন।
দিনটা ভালোই কাটবে ফুলের রাজ্যে।
হ্যাপি ট্রাভেলিং।

Post Copied From:Sonnet Das‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ফুলের রাজ্য যশোরের গদখালী থেকে

ঘুরে আসুন ফুলের রাজ্য যশোরের গদখালী থেকে, গ্রামের পর গ্রাম এরকম ফুলের ক্ষেত চোখে পড়বে, সারাদেশের ফুলের চাহিদার অন্তত ৭০ ভাগ ফুল নাকি এই গদখালীতেই উৎপাদন করা হয়।

যেভাবে যাবেন:
বাস: ঢাকা থেকে বাসে যশোর চলে আসুন, নন এসি বাস ভাড়া ৪৮০-৫০০ টাকা আর এসিতে ৭৫০-৮৫০ টাকা। এরপর যশোর শহরের চাঁচড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বেনাপোলের বাসে করে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি বাজারে যাবেন। গদখালি যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশেই। শহর থেকে ১৯ কি.মি. দূরত্বে গদখালি পৌঁছাতে সময় নেবে আধ ঘন্টার মত। অথবা ঢাকা থেকে সরাসরি বেনাপোলের বাসে উঠলেই গদখালি নামিয়ে দেবে। হাতের বামে যে রোডটা গেছে সেটা ধরে কয়েক কিলো গেলেই এরকম ফুলের বাগান দেখতে পাবেন অহরহ! বাজার থেকে একটা ভ্যান নিয়ে নিতে পারেন, ঘুরুন ইচ্ছে মতো!

ট্রেন: গদখালি যাবার সবচেয়ে আরামদায়ক বাহন হল ট্রেন। ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে যশোর। চিত্রা সন্ধ্যা ৭টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায়। যশোর পৌছায় খুব ভোরে। স্টেশন থেকে বেনাপোলের বাস পেলে ভাল, না পেলে অটোতে করে চাঁচড়া বাসস্ট্যান্ড। এখান থেকে বেনাপোলগামী বাসে উঠলেই গদখালি নামিয়ে দেবে।

আশেপাশে ঘুরার মত জায়গায় হিসেবে আছে ঐতিহাসিক দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহাসীন নির্মিত সেই বিখ্যাত ” ইমাম বাড়া”,
চাঁচড়ার রাজবাড়ি “;
এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলারফার্ম ” জগদীশ পুর তুলারফার্ম ” + প্রায় ৬০০ বছরের পুরান তেতুলগাছ!

যশোর শহরের মধ্যেই দেশের প্রথম এবং সর্ববৃহৎ কালেক্টরেট ভবন দেখতে পারেন, দৃষ্টিনন্দন এই ভবন দেখার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাসও জেনে নিতে পারবেন!

ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটা জাদুঘর আছে, সেখানেও যাওয়া যেতে পারে!

চাইলে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত এলাকা সাগরদাঁড়ি গ্রাম ও কপোতাক্ষ নদ ঘুরতে যেতে পারেন, তবে শহর থেকে এটা বেশ দূরে; কেশবপুর উপজেলায়!

সাগরদাঁড়ি গেলে চুকনগরের চুইঝালের মাংস খেয়ে আসতে ভূলবেন না! কেশবপুর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলো দূরে চুকনগর, আব্বাস হোটেল বললে যে কেউ দেখিয়ে দিবে!

কক্সবাজার বান্দরবন সিলেটের বাইরে যারা দেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে তাদের কাছে এটা ভাল লাগবেই!

আমার বাড়ি কক্সবাজার, তাও গিয়েছিলাম অতদূরে, এসব দেখার জন্য! ভালই লেগেছে, আমি অবশ্য গিয়েছিলাম গত সেপ্টেম্বরে, চাষীরা জানিয়েছিল এখানে বেড়াতে যেতে চাইলে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসই হচ্ছে উপযুক্ত সময়, তখন ফুল ফুটে বেশি!

ভ্রমণপ্রেমীরা ঘুরে আসুন, ভাল লাগবে আশা রাখি!

Post Copied From:Sujauddin F. Sohan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

অদেখা পৃথিবী দার্জিলিং ভারত

কি বলব আর দার্জিলিং সম্পর্কে!!!!!বলার ও লেখার যোগ্যতা নেই দেখা ছাড়া।।।।। 

#যাওয়া_আসা:
ঢাকা(৮ঘন্টা ৫০০ কি.মি ৫০০ টাকা ) – বেনাপোল ইমিগ্রেশন- বনগা রেলস্টেশন(২৫ মিনিট ৫ কি.মি ২০ রুপি) – শিয়ালদাহ স্টেশন (২ ঘন্টা ১০০ কি,মি ৫০ রুপি) -হাওরা বাস/ট্যাক্সি ২০ রুপি – শিলিগুড়ি (১২ ঘ ন্টা ৫০০ কি,মি,১৭০ রুপি) – দার্জিলিং (চাঁদের গাড়ি ৭০ কি মি পাহাড়ি রাস্তা ১৫০ রুপি -আসা-শিলিগুড়ি-বুড়িমারি১০০ কি.মি ২ ঘন্টা-চ্যাংরাবান্দা বর্ডার ক্রস – ৫৫০ কি.মি ১২ ঘণ্টা ৬০০ টাকা ঢাকা…..
#খাওয়া_দাওয়া:
ইসলামিয়া হোটেল মুসলিম হোটেল।খাবার মান অত্যন্ত ভাল।দামও কম।ভাত, কাবাব সব পাওয়া যায়।
আর মম তো খেতেই হবে।।।
#ঘুরাঘুরি:
ট্রেন আছে এটা সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে উচু জায়গায় অবস্থিত।।।গাড়ি রিজার্ভ করে যেতে হয়।।।অথবা দলের সাথে যাওয়া যায়।।।সাইদ ভাই নামে ১ জন আছে খুব ভাল নিজের গাড়ি আছে।১০/১২ টা স্থান আছে দেখার।
#নামাজ :
মুসলিম এলাকা আছে।। সুন্দর ৩টি মসজিদ আছে পাহাড়ের কোল ঘেষে।নাম বড় ও ছোট মসজিদ।আযান শোনা ও নামায আদায় করা যায়।।।
#হোটেল:
Hill charm Hotel..মসজিদের পাশেই
মালিক থেকে শুরু করে কর্মচারী সব মুসলিম ব্যবহার ও পরিবেশ অত্যন্ত ভাল…..

আর,
অসংখ্য ধন্যবাদ বিন্দাসের Redwan Khan ভাই কে যিনি হোটেল থেকে শুরু করে,জীপ গাড়ি, চ্যাংরাবান্দা বর্ডার ক্রস করার ক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে আপন ভাই এর মত সাহায্য করে গেছেন।

Post Copied From:Shariful Islam Robin‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ফুলের রাজধানী যশোর

নানা রঙের বাহারী ফুলের চাষ হয়ে থাকে যশোরে। ভোর থেকে সে ফুল নিয়ে জড়ো হতে থাকে ফুল ব্যবসায়ীরা। সকাল ৮টা নাগাদ জমে উঠে “গদখালী ফুলের বাজার।” বলা হয়ে থাকে দেশের ৭০% ফুলের জোগান যশোর থেকে হয়।

গোলাপ, গ্লাডিওলাস, গাদা, রঙ বেরঙের জারবেরা কি নেই এই গদখালী বাজারে। এ যেন ফুলের স্বর্গ, শুধু আনন্দটুকু খুঁজে নিতে হবে। সাইকেল, ভ্যানে করে চাষীরা তাদের ফুল নিয়ে বাজারে জমায়েত হয়। ১০-১১টার মধ্যেই বেচাকিনি শেষে বাজার নিরব হয়ে পরে। তাই বাজার দেখতে হলে যেতে হবে সকাল সকাল।

বাজার দেখা শেষে ঘুরে আসতে পারেন পানিসারায় ফুলের বাগানে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে ফুল চাষ হচ্ছে। এ যেন ফুলের স্বর্গ। তবে এ স্বর্গ দেখতে হলে আপনাকে যেত হবে জানুয়ারীর মাঝামাঝিতে ফুল তখনই সবচেয়ে বেশি থাকে।

যাওয়ার উপায়ঃ

ঢাকা/অন্য জেলা থেকে বাস/ট্রেনে যশোর। যশোর থেকে বেনাপোলগামী বাসে করে গদখালী মোড়। রাস্তার পাশেই ফুলের বাজার। বাজার ঘুরা শেষে ১০টাকা ভ্যান ভাড়ায় পানিসারা ফুলের বাগান। যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দিবে পথ।

*ফুলের বাজার দেখতে হলে অবশ্যই ভোরে যশোর থাকতে হবে সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে গেলে ট্রেন জার্নিটাই আরামদায়ক হবে।

Post Copied From:Himel Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)