বিরুলিয়ায় একদিন!

বিরুলিয়ায় একদিন।🌹🌹

👌 বিরুলিয়া জমিদারবাড়ি।
👌ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ের সেই বিখ্যাত বটগাছ।
👌গোলাপ গ্রাম। 🌹🌹
👌তুরাগ ভ্রমন।

তুরাগ নদীর পাড়ে প্রাচীন ও ছোট্ট একটি গ্রাম বিরুলিয়া। জমিদার রজনীকান্তের সুদৃশ্য বাড়ি সহ প্রায় অনেকগুলো প্রাচীন স্থাপনার জন্য বিরুলিয়া বিখ্যাত। এখানে রয়েছে অনেকগুলো জমিদার বাড়ি। চোখে পড়বে বিলুপ্ত প্রায় মাটির ঘর। ঢাকা শহরের কাছেই এমন সুন্দর একটি জায়গায় একবার ঘুরে আসবেন না তা আবার হয় নাকি!!

তুরাগ নদীর পাড়ের এই ছোট্ট গ্রামটি যে কারো মন কেড়ে নিবে আশা করি। গ্রামটির বেশিরভাগ অধিবাসীই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখতে অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গেলেও বিরুলিয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও জমিদার বাড়ি লোকচক্ষুর অন্তরালেই রয়ে গেছে। গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়বে ছড়ানো ছিটানো কালের সাক্ষী এই বাড়িগুলো। আছে একটি মন্দিরও।

গ্রামের শেষ মাথায় নদীর তীর ঘেঁষে বাড়িটি জমিদার রজনীকান্ত ঘোষের। সেখানে এখন বাস করছেন রজনীকান্ত ঘোষের বংশধররা।

বাড়িগুলোতে আছে সদরঘর, বিশ্রামঘর, বিচারঘর, পেয়াদাঘর, ঘোড়াশালাসহ উল্ল্যেখযোগ্য আরও কিছু ঘর। তবে এসব এখন অন্য কাজে ব্যবহার হচ্ছে।প্রায় সবগুলোই অন্যদের দখলে। ঘুরে দেখার তেমন সুযোগ নেই।

গ্রামের শেষ মাথায় কালের সাক্ষী শতববর্ষী সেই বিখ্যাত বটগাছ।বটগাছটি গ্রাম থেকে বিচ্ছিম্ন হলেও একেবারে কাছাকাছি।এই বটগাছটিরই ছবি বড় করে ঝোলানো আছে কলকাতায় অবস্থিত ইন্ডিয়া তথা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত আদি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ের প্রধান শোরুমে।

সব দেখে চলে আসুন গোলাপ গ্রাম খ্যাত সাদুল্লাপুর। ছবির মত সুন্দর একটি গ্রাম ।গোলাপ বাগান,গ্লাদিয়াস বাগান, ক্যাকটাস বাগান ছাড়াও রয়েছে নানা সবজির বাগান ।

যাতায়াত :

ঢাকার যে কোন প্রান্ত থেকে মিরপুর -১ মাজারে চলে আসুন। এখান থেকে লেগুনায় বিরুলিয়া ব্রিজ।(ভাড়া ২০ টাকা)
ব্রিজ থেকে নেমে হাতের বামে আরেকটা ছোট্ট ব্রিজ পারেন। এদিকে ৫ মিনিট হাটলেই জমিদার বাড়ি। সব দেখে চলে আসুন আবার ব্রিজে। এখান থেকে লেগুনায় আকরাইন বাজার।(ভাড়া ৫ টাকা)
এখানে ভালো হোটেল পাবেন খাওয়াদাওয়া সেরে নিন।দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরুলিয়ার মিরচিনি মুরালির খুব কদর। এখানেই পাবেন।
এবার রিক্সায় গোলাপ গ্রাম।(ভাড়া ৩০ টাকা)
গোলাপ গ্রাম ভ্রমন শেষে রিক্সায় চলে আসুন সাদুল্লাপুর ঘাট।(৩০ টাকা)
ঘাট থেকে ট্রলারে দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট।(ভাড়া ২০)
দিয়াবাড়ি ঘাট থেকে রিক্সায় মিরপুর ১। ( ভাড়া ৩০ টাকা)

মিরপুর ১ > বিরুলিয়া ব্রিজ > আকরাইন বাজার > গোলাপ গ্রাম > সাদুল্লাপুর ঘাট > দিয়াবাড়ি ঘাট > মিরপুর ১

ভাড়া : ২০+৫+৩০+৩০+২০+৩০=১৩৫

বি: দ্র:
গোলাপ গ্রাম ভ্রমনের জন্য উপযুক্ত সময় এখন না। মাস খানেক পর গেলে ভালো হয়। এখন বাগানে গোলাপ কম।

সন্ধ্যার পর ট্রলার চলে না। তাই সন্ধ্যা হওয়ার ৪৫ মিনিট আগেই ঘাটে থাকবেন

Post Copied from:Shahadat H Apu‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

তামান্না পার্ক

একদিনের টুরে ঘুরে আসতে পারেন মিরপুর দিয়াবাড়ীতে অবস্থিত তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক সুইমিংপুল +রাইড, বিরুলিয়া জমিদারবাড়ি – মন্দির, সাদুল্লাপুর গোলাপ গ্রাম+তাজা তালের রস আর তুরাগ নদীতে নৌ ভ্রমন (সাদুল্লাপুর – মিরপুর দিয়াবাড়ী ঘাট/ সিন্নি ঘাট)
ছবি: মোবাইল mi note 3 pro

যেভাবে যাবেন:

তামান্না পার্ক: মিরপুর -১ নং থেকে বেড়িবাঁধ হয়ে গাবতলি গামি যে কোন বাসে আলিফ/ মোহনা / লেগুনায় (১০-১৫ টাকা) তামান্না পার্কের গেটে নামবেন(মেইন রোডের পাশে)। এন্ট্রি -৫০ টাকা, সুইমিংপুল -২০০ টাকা/ ঘন্টা(যদিও ভোরে যাওয়ায় আর বড় গ্রুপ হওয়ায় টাইমের ব্যাপারে ছাড় আছে আমরা ২ ঘন্টা ছিলাম+ ড্রেস চেঞ্জ ফ্যাসিলিটি আছে। পার্কে বেশ কিছু রাইড আছে খুবই সাধারণ মানের (৪০ টাকা পার রাইড)। মসজিদ ও খাবার হোটেল আছে পার্কের ভিতরেই।

বিরুলিয়া জমিদারবাড়ি : তামান্না পার্কের গেইট থেকে মেইনরোডে এসে বিরুলিয়াগামী যে কোন লেগুনা বা বাসে(১৫-২০টাকা) উঠে যাবেন। নামতে হবে বিরুলিয়া ব্রিজ পার হয়েই হাতের বামে নদীর মাঝ দিয়ে জমিদারবাড়ির দিকে যে রাস্তা চলে গেছে সেখানে। ব্রীজের শেষ মাথা থেকে ৫ মিনিট হাটা দুরত্ত্বে জমিদারবাড়ি, মন্দির, নদীর ঘাট।

গোলাপ গ্রাম: জমিদারবাড়ি ঘুরে বিরুলিয়া ব্রীজের মাথায় মেইনরোডে এসে আক্রাইন বাজার(সাভার) অভিমুখি যে কোন মিনিবাস /লেগুনা /অটোতে(১০ টাকা) আক্রাইন বাজার নামতে হবে। দুপুরে খাবার এখানেই খেতে পারেন। মোটামুটি ভাল খাবার হোটেল আছে(গরু ৮০/ মুরগি ৬০)।
আক্রাইন বাজার অটো স্ট্যান্ড থেকে সাদুল্লাপুর বাজারগামী ব্যাটারিচালিত অটো পাবেন(১৩ টাকা)। পথেই পড়বে গোলাপ গ্রাম। ভাল গোলাপের রাজ্যে যেতে রাস্তা থেকে একটু ভেতরে ঢুকে যেতে হবে তখনি পাবেন চারপাশে গোলাপ আর গোলাপ। (৩০ পিসের গোলাপ তোড়া কিনতে পারেন, প্রতি পিস গোলাপ মাত্র ৩ টাকা!)। অনেক তালগাছ চোখে পড়বে।তাজা তালের রস নিয়ে গাছিরা যাবার সময় তাদের থেকে কিনে খেতে পারেন। (এক হাড়ি/৩ লিটার ১৫০ টাকা)।

গোলাপ গ্রাম ঘুরে কাছেই সাদুল্লাপুর বাজার থেকে মিরপুর দিয়াবাড়ী গামী ট্রলারে উঠে যাবেন (২৫-৩০ টাকা) অথবা বড় গ্রুপ হলে রিজার্ভ ট্রলার ভাড়া করতে পারেন শুয়ে বসে যেতে পারবেন (৮০০-১০০০ টাকা)। এখন বর্ষায় অনেক পানি আর কচুরিপানা থাকায় ডিংগি নৌকা চলে না তাই ট্রলারই ভরসা।মিরপুর নৌকা ঘাটে নেমে মিরপুর-১ বা উত্তরাগামী বাস পাবেন। মিরপুর -১ থেকে ঢাকার যেকোন দিকে যাবার বাস পাবেন।

তামান্না পার্কে দুইটি রাইড+সুইমিংপুল সহ আমরা ২২ জনের গ্রুপে সব স্পট ঘুরে আসছি গতকাল শুক্রবার, পার হেড ৬৫০ টাকা খরচ পড়েছে। কেউ তামান্না পার্কে না গেলে ৩৫০ টাকাতেই সব ঘুরা হয়ে যাবে।

মনে রাখবেন: সন্ধ্যা ৬ টার পরে সাদাল্লুপার গোলাপ গ্রাম থেকে ট্রলার নাও পেতে পারেন। তখন আবার সড়কপথে আক্রাইনবাজার এসে মিরপুরগামী রাইডারে উঠতে হবে।

Post Copied From:Gm Shariful Hassan>Travelers of Bangladesh (ToB)