নাফ নদীতে যাত্রা পথে নিস্বর্গের ছোঁয়া

এই সময়টাতে নাফ নদী হয়ে সেন্টমার্টিনে যেতে যেতে আপনি নিস্বর্গের ছোঁয়া পাবেন,
নাফ নদীর পাশেই দেখবেন কুয়াশায় ঢাকা টেকনাফের পাহাড়ের সারি কয়েক স্তরে।

১৬ই ডিসেম্বর রাতে গিয়ে ১৭ই ডিসেম্বর সেন্টমার্টিনে থেকে ১৮তারিখ ফিরলাম,
৬জন ঘুরে আসলাম (চট্টগ্রাম থেকে) জনপ্রতি ৩০০০/টাকায়,
খরচ বেশি পড়েছে কারণ ফুল সিজন এটা।

আর আমরা গিয়েছিলাম “কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন” এ জনপ্রতি ৮০০/ টাকা টিকেটে,
কেয়ারী সিনদাবাদ এ গেলে ৫৫০/ টাকায় যেতে পারবেন,
দুটো জাহাজই কেয়ারী ঘাট থেকে একসাথে ছাড়ে সকাল ৯:১৫মিনিটে।

আমার মনে হয় শীতকালে ডিসেম্বরের এই সময়টাই সেন্টমার্টিন ঘুরে আসার জন্য সেরা সময়।

বিঃদ্রঃ
নিজেতো কোন আবর্জনা বা প্যাকেট সেন্টমার্টিন বা নাফ নদীতে ফেলবেনই না,
বরং কাউকে ফেলতে দেখলে বুঝিয়ে নিষেধ করুন।

অনেককেই দেখেছি নদীতে/সাগরে চিপসের প্যাকেট পানির বোতল ছুঁড়ে ফেলছে,
অথচ জাহাজের আনাচে কানাচে ডাস্টবিন রাখা আছে,
এমনকি মাইকেও নিষেধ করা হয়।

প্রকৃতির সাথে নিজের বেডরুমের মত আচরন করুন,
প্রকৃতি সুন্দর রাখুন,
তা নাহলে এদেশে নীল পানির সৈকত খুঁজে পাওয়া যাবেনা আর।

আমাদের দেশীয় পানি/চিপসের মোড়ক ভেসে ভেসে অন্যদেশের সীমানায় গেলে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিবেশ আইনে জরিমানা করা হতে পারে,
তাছাড়াও একটা ইমেজের ব্যাপারতো থাকছেই।।

Post Copied From:Nazmul Abhie‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সেন্টমার্টিন ট্যুর প্ল্যান

কিছুদিন পূর্বে আমরা ১০ জনের গ্রুপ সেন্টমার্টিন আর কক্সবাজার ঘুরে এলাম। ২ রাত, ৩ দিনের এই ট্যুরে আমাদের জনপ্রতি খরচ হয়েছে ৩৮৫০ টাকা। আপনারা যারা আমাদের মত বাজেট ট্রাবেলার তাদের জন্য আমি পুরো খরচ এর বিস্তারিত তুলে ধরছি।

আমাদের যাত্রা শুরু সায়েদাবাদ থেকে হানিফ নন এসি বাস, রাত ৭:৩০ এ। ভাড়া ৯০০ টাকা, টেকনাফ পর্যন্ত।
এখানে আমি পার পারসন হিসেব তুলে ধরছি।
টেকনাফ পৌঁছে নাস্তা সেরে নিন, ৫০ টাকায়। জাহাজের আপ ডাউন টিকেট ৫৫০ টাকা। এটা স্ট্যান্ডিং টিকেট। নাফ নদী আর সাগর দেখতে দেখতে সেণ্টমার্টিন পৌঁছাবেন বেলা একটায়। এখান থেকে আমরা রিয়াদ গেস্ট হাউজে ১০ জনের বড় এক রুম নিলাম ৮০০ টাকায়। জন প্রতি ৮০ টাকা করে। এরপর দুপুরের খাবারের জন্য ১৫০ টাকার প্যাকেজ নিলাম। ভাত, ডাল, সবজি ইচ্ছেমত। সাথে ১ টা ২০০ গ্রাম ওজনের টুনা মাছ,পার পারসন। এরপর একটু রেস্ট নিয়ে বীচে চলে যান,গোসল করে রুমে ফেরত আসুন। এরপর সাইকেল ভাড়া নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন পুরো দ্বীপ ঘুরতে। ২ ঘন্টার সাইকেল ভাড়া ৬০ টাকা। দ্বীপের শেষ প্রান্তে গিয়ে সূর্যাস্ত দেখে ফিরে আসুন। এর পর রাতের জন্য বারবিকিউ অর্ডার করে বীচে চলে যান সাগরের ঢেউ উপভোগের জন্য। মুরগীর বারবিকিউ এর জন্য আমাদের পার পারসন ২০০ টাকা করে লাগছে। এক্সট্রা ২০০ টাকায় একটা হাফ কেজি ওজনের কোরাল ফ্রাই ও দিছে। বারবিকিউ হলে, ওরাই আপনাকে ফোন দিয়ে জানাবে। খাবার খেয়ে ইচ্ছে হলে বীচে যেতে পারেন। আর না হয় রুমে চলে যান।
সকালে ভোরে উঠে পড়ুন, আর সূর্যোদয় দেখতে বেরিয়ে পড়ুন। এরপর ৫০ টাকায় নাস্তা সেরে ছেঁড়া দ্বীপের ট্রলারে চেপে বসুন। ১৫০ টাকা আপ ডাউন। ১:৩০ ঘন্টা ওখানে কাটিয়ে আবার সেন্টমার্টিন ফিরে আসুন ১২ টার মধ্যে। এবার এসেই বীচে গোসল করতে চলে যান।সাবধান লাল কাপড় টানানো এরিয়া এড়িয়ে চলুন। বীচ থেকে ১:৩০ এর মধ্যে ফিরে এসে আবার দুপুরের খাবার খেয়ে নিন ১৫০ টাকার প্যাকেজ এ। এরপর ৩ টার আগেই টেকনাফগামী জাহাজে চড়ে বসুন। ৬ টার মধ্যে টেকনাফ পৌঁছাবেন। জনপ্রতি ১৫০ টাকায় কক্সবাজার গামী গাড়ীতে চেপে বসুন। আর একটা কথা সবাই ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ভার্সিটির আইডি কার্ড সাথে রাখবেন। এই পথে পুলিশ চেকিং হয়।

রাত ৮:৩০ এর মধ্যে কক্সবাজার পৌঁছাবেন। আমরা সী হিল হোটেল এ ডাবল দুই রুম ভাড়া নিছি ২০০০ টাকায়। পার পারসন ২০০ টাকা। রাতের খাবার কম্বাইন্ড করে জনপ্রতি ১৫০ টাকা। এরপর অনেক রাত পর্যন্ত বীচে আড্ডা দিয়ে ৩ টার দিকে হোটেল ফিরে এলাম। সকাল বেলা জনপ্রতি ৫০ টাকায় নাস্তা সেরে হিমছড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম,অটোতে। আপ ডাউন পার পারসন ৫০ টাকা করে। ১২:০০ টার মধ্যে হোটেল ফিরে আসলাম। আগের রাতে ঢাকার ফিরতি টিকেট কেটে রাখলাম,৮০০ টাকা করে। হিমছড়ি থেকে ফিরে বীচে গোসল করলাম। দুপুরের খাবারের জন্য জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে খরচ হল। বলে রাখা ভালো আমদের হোটেল চেক আউট ১২:০০ টায় শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা একটা রুম ৮০০ টাকায় নিয়ে রাখি। যেহেতু, আমাদের বাস ছিল রাত ৯:৩০ এ। দুপুরের খাবারের পর একটু রেস্ট নিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে বীচে চলে গেলাম। সন্ধ্যার পর বার্মিজ মার্কেট এ সময় কাটিয়ে, বীচে ঘোরাঘুরি করে ৯ টায় হোটেল এ ফিরে এলাম। এরপর হোটেল চেক আউট করে রাতের বাসে ঢাকার উদ্দ্যেশে উঠে পড়লাম।

নিচের ভিডিওটি সেন্টমার্টিন থেকে ছেঁড়াদ্বীপ যাওয়ার সময় করা।

জাহাজের টিকেট বুকিং এর নাম্বার – 01823438150
(জালাল ভাই)

রিয়াদ গেস্ট হাউজ – 01860617152( নাজির ভাই

Post Copied From:

Saif Mahmud‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

জালিয়ার দ্বীপ

দ্বীপটি নাফ নদীর মাঝখানে অবস্থিত। এর একপাশে মিয়ানমার, অপর পাশে বাংলাদেশের নেটং পাহাড়।

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর মোহনার জালিয়ার দ্বীপে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), যার নাম হবে নাফ ট্যুরিজম পার্ক।

পুরো দ্বীপে থাকবে কেব্ল কার, ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ, ইকো-কটেজ, কনভেনশন সেন্টার, সুইমিং পুল, অ্যাকোয়া লেক, ফান লেক, মাছ ধরার জেটি, বিনোদন পার্ক, শিশুপার্ক ইত্যাদি।

যেভাবে যাবেনঃ সেন্টমার্টিন যাওয়ার সময় টেকনাফের কেয়ারি শিপ ঘাট থেকে নৌকা করে 10/15 মিনিটে যাওয়া যায়।
ভাড়া: 150/200 টাকা 😊😊