চিটাগাংএ কম বাজেটের নিরাপদ কিছু হোটেলের পরিচয়

অনেকে চিটাগাং ট্রাভেল করেন,
আর মোটামুটি কম বাজেটের মাঝে রুম খুঁজেন,
চিটাগাং এর ভাল নিরাপদ কিছু হোটেলের পরিচয় তুলে ধরলাম।

হোটেল পার্ক (আবাসিক)
৫/৬ জাকির হোসেন রোড,দামপাড়া চট্রগ্রাম।
জি.ই.সি,
দামপাড়া,

গ্রীন লাইন কাউন্টারের উপরে অবস্থিত,
যেখানে বাস এসে থামে।
ফোন-০১৫২১৩২৮৪৮২।
রুম রেন্ট-৫০০ হতে ১৫০০।

হোটেল অবকাশ (আবাসিক)
জিইসি মোড়,নিড়িবিলি রেস্টুরেন্টের উপরে।চিটাগাং।
ফোন- ০৩১২৬৬৫৪৩।
রুম রেন্ট-১২০০ হতে ২০০০।

হোটেল লর্ডস ইন।
সি এন্ড বি জিইসি মোড়,চিটাগাং।
ফোন-
রুম রেন্ট ২০০০ হতে ৭০০০।

হোটেল সিলমুন।
ওয়াশা মোড়,দামপাড়া,চিটাগাং।
ফোন-০১৮২৩২৮৭৪৬৪।
রুম রেন্ট ১৮০০ হতে ৪০০০।

গোধুলী গেস্ট ইনন।
৫/৬জাকির হোসেন রোড চট্রগ্রাম দামপাড়া।
ফোন-০১৯৭৬১২৩০১৭।
রুম রেন্ট- ১৮০০ হতে ৪০০০।

এছাড়া আরো অনেক হোটেল চিটাগাং এর বহদ্দারহাট,আগ্রাবাদ,নিউ মার্কেট এলাকাতে আছে।
নিজ দায়িত্বে খুঁজে নিতে পারেন।

তবে নিউ মার্কেট এলাকাতে একটু সাবধানে চলাফেরা করবেন।

বি:দ্র:আর যারা চিটাগাং এর নতুন ঘুরতে আসবেন তাদের জন্য
আছে,
*পাহাড় আর লেকে ঘেরা ভাটিয়ারী,
*পতেঙ্গা সী বিচ
*,কাপ্তাই লেক,
*খাগড়াছড়ি
*,সাজেক ভ্যালী,
*রাঙামাটি,
*মিরসসরাই,
*ওয়ার সেমেট্রি,
*বাটালী হিল,
*ফয়েজলেক,
*সীতাকুন্ড মহামায়া,
*মিরসরাই
*খৈয়াছড়া ঝর্ণা।

মায়ুং কপাল

জায়গাটা কিছুদিন ধরেই বেশ হাইপড!তাই খাগড়াছড়ি জেলা ট্যুরে আমারও প্ল্যান ছিলো জায়গাটা ঘুরে আসার…

কিন্তু,চিটাগাং থেকে খাগড়াছড়ি ঢুকতে ঢুকতে বেজে যায় ১১ টা…তারপর রিসাং,তারেং আর আলুটিলা ঘুরে এসে বাসস্ট্যাড নামলাম ৩ টায়…

বাসস্টান্ডে নেমেই সবাইকে জিজ্ঞাস করতে থাকলাম জায়গাটা কই? কিভাবে যায়? কেউ বলতে পারে না…! অবশেষ একজন বললো,জামতলী যান,এইখানে একটা মন্দির আছে মন্দিরের পাশ দিয়ে রাস্তা চলে গেছে…

মন্দিরে আসলাম ৩:৩০ এ…আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাস করলাম যেয়ে ঘুরে আসতে কত সময় লাগবে…সবাই বললো আজকে আর সম্ভন না কালকে আসেন…কেউ বলে একদিন লাগবে,কেউ বলে ৬-৭ ঘন্টা…! কেউ বলে এখন যেতে পারেন তবে ঘুরে আসতে আসতে রাত হয়ে যাবে…তখন সবকিছু ছিনতাই হয়ে যেতে পারে…

সব শুনে মনে মনে ঠিক করলাম,আজ যাবোই,যা থাকে কপালে…বিসমিল্লাহ বলে হাটা দিলাম…

১০ মিনিট হাটার পরে চেংগী খাল পড়লো..নৌকায় উঠে জিজ্ঞাস করলাম সিড়িতে যাবো কেউ পথ চেনে কিনা? কপাল ভালো একজনকে পেয়ে গেলাম,সে ওই সিড়ি পার হয়ে পরের গ্রামে যাবে।সে বললো চলেন আমার সাথে,১ ঘন্টা মত লাগবে,যাবার সময় পথ চিনে নেন,আসার সময় অন্ধকার হয়ে যাবে,একাই আসতে হবে…

তাই সই! আল্লাহঅর নামে চলিলাম…যা থাকে কপালে..যাবোই আজকে…কি আছে দেখেই আসবো…!

নৌকা পার হয়ে আমরা তিনজন হাটা শুরু করলাম, ৩:৪৫ এর দিকে…বার বার ঘড়ি দেখছি,আলো থাকতে থাকতে ফিরে আসতে হবে…ট্রেইলে রীতিমত উড়ে উড়ে চলছি…আর দৌড়চ্ছি…বেশ কষ্ট হচ্ছিল,সেই ১১ টায় শেষবার খেয়েছি,সাথে পানিও নেই…অবস্থা খুব খারাপ…

পথ চলছি তো চলছিই,শেষ আর হয় না..বার বার ঘড়ি দেখি,পিঠে ৭-৮ কেজি ওজনের ব্যাগ! পাহাড় বেয়ে চলছি,শুধু উপরেই উঠছি…সে কিছুক্ষন পর পর বলে এইতো চলে আসছি…দূরে আঙুল দিয়ে দেখায়,ওই যে, ওই দেখেন সিড়ি…আমি খালি হু হা করি,কিন্তু কিচ্ছু দেখি না…!

বেলা ৪:১০ বাজতে বাজতেই আকাশ কালো হয়ে এলো,আকাশে বজ্রপাত হচ্ছে,জোরালো বাতাস..ভয় পেয়ে গেলাম এইবার,নাহয় কোনভাবে চলে গেলাম..কিন্তু ফিরবো কি করে!

যাইহোক,এভাবে আরো কিছুক্ষন চলার পর ৪:৩০ মিনিটে পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে! আহা! শান্তি! উদ্দেশ্য সফল! মাত্র ৪৫ মিনিটে পৌঁছে গেছি! (আমার এই সময় সবার সাথে মিলবে না,আগে অনেকগুলো ট্রেকিংয়ের এক্সপিরিয়েন্স ছিলো,তাই পেরেছি,নরমালি একজনের ১:৩০-২ ঘন্টা লাগবে)

তারপর সিঁড়িতে উঠলাম…উপরে উঠেই চারিদিকে বিশাল সীমানা…স্বর্গে হয়তো এবার পৌছেই যাবো! দারুন অপরুপ এক পরিবেশ…!

সিঁড়িতে কিছুক্ষন দাড়ানোর পরেই বৃষ্টি শুরু হলো…! বৃষ্টি আসলেই শেষ,চারিদিক প্রায় অন্ধকার!আর বৃষ্টিতে ওই পথে নামা অসম্ভব!

পড়িমরি করে ছুটলাম আবার…আবার শুরু হলো দৌড়…ক্লান্তির শেষ সীমায় পৌছে গেছি,কিন্তু থামলেই শেষ! নিজেকে আবার চ্যালেঞ্জ করার পালা!

কিছুক্ষন পর বৃষ্টি থামলো…এইবার একটু শান্তি পেলাম…নির্জন জঙলের ভিতর দিয়ে দুইজন চলছি,কারো মুখে কথা নেই,মনে শুধু দারূন এক তৃপ্তি!

পাহাড় বেয়ে গ্রামে ঢুকতে ঢুকতেই পুরো অন্ধকার হয়ে এলো। ঘড়ি দেখলাম…মাত্র ৫:৩০ বাজে!মাত্র ৩০ মিনিটে এসেছি! নিজের প্রতি আস্থাটা অনেকখানি বেড়ে গেলো এইবার!

চাইলে সবকিছু সম্ভব…সব! অজানাকে জানার নেশা অন্য রকম,আফিমের চেয়েও ভয়ংকর এ নেশা!

কিন্তু,তবুও আমি ট্রাভেলিং ভালোবাসি…বারবার নিজেকে চ্যালেঞ্জ করা যায়! আমি কি করতে পারি,তা হয়তো একটু একটু করে বুঝতে পারছি…!

আর আমি ঘুরি কারন আমি চাইনা আমার জীবন আর অন্য সবার মতো হোক! আমি চাই আমার ঝুলিতে হাজার হাজার গল্প থাকুক! মুগ্ধতায় কেটে যাক সবগুলো নির্ঘুম রাত!

খাগড়াছড়ি ডায়েরী,৫৯ তম জেলা।

Post Copied From:Bishan Sadid‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সন্দীপ , চিটাগাং

সুন্দরবনের স্বাদ পেয়ে আসুন সন্দীপে…..

যেভাবে যাবেন–
ঢাকা থেকে চিটাগাং এর বাসে যাবেন … রাতে যাওয়া ভাল …. নামবেন বাশবাড়িয়া বাজার এ… 
তারপর সিএনজি তে করে চলে যান বাশবাড়িয়া সি বিচ এ ..
সকাল বেলা ভাটা থাকে …
এর জন্য যাওয়া আসার স্পিড বোটে টিকে ট কেটে ঘুরে আসুন সন্দীপ ….
যাওয়া আসা ৫০০ জন প্রতি ….

৩০ মিনিট লাগে যেতে অস্থির অনুভুতি

অইখানে নেমেই দোকান দেখবেন ডাবের দাম মাত্র ২৫ টাকা …
আশেপাশে সুন্দরবনের মত বন দেখতে পাবেন ।দুপুরের আগেই চলে আসুন
তারপর বাশবাড়ি্য়ার জোয়ার চলে আসবে …

Post Copied From:Insaad Khan Riyad‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

গুলিয়াখালি সি বিচ

আমার দেখা অন্যতম সুন্দর বিচ
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে চিটাগাং এর বাসে উঠবেন, সিতকুন্ড নামবেন,সিতাকুন্ড বাজার থেকে সিনজি তে করে পশ্চিমে ৩ কিমি দূরে, ৩০০ টাকা ভাড়া পরবে রিজার্ভ করলে…মুরাদপুর সি বিচ বললেই চিনবে।।।
থাকার জায়গা সিতাকুন্ডতেই…
অনেক সুন্দর মাঠ আছে,ফুটবল নিলে টার্ফ এর ফিলিং পাবেন…জেলেদের বটে করে সমুদ্রেও ঘুরতে পারবেন..২০০০ টাকাতেই ঘুরে আশা যাবে.এটা গত সপ্তাহে তলা বিকেল বেলা..দুপুর এর পর গেলেই ভালো কারণ খাবার র থাকার জায়গা নাই

Post Copied From:Nafi Uz Zaman‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

সাজেক যাওয়ার উদ্দেশ্যে

সাজেক যাওয়ার উদ্দেশ্যে যখন ব্যাগ প্যাক গোছাচ্ছিলাম.. আম্মু বললো সারাবছর তো পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরিস, নায়রী যাওয়ার মত এত প্রস্তুতি কেন এবার?
স্মিত হেসে বললাম, ফিরে এসেই দেখাবো কি জন্য যাচ্ছি সাজেক। যদিও প্ল্যান ছিল সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী টাইপ দ্বীপে রাত কাটাবো কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে বন্ধুদের নিয়ে রওনা হলাম রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে। যাত্রাপথে একটি সড়ক দুর্ঘটনার কারনে সৃষ্ট যানজটে আটকা পড়ে দেড় ঘন্টা দেরীতে পৌঁছাই খাগড়াছড়ি বাসস্ট্যান্ডে। ততক্ষনে যথেষ্ট দেরী হয়ে গেছে..
আগেই রিজার্ভ করে রাখা জীপ গাড়িতে চেপে রওনা দেই দিঘীনালা আর্মি চেক পোস্টের দিকে। বলে রাখা ভালো, ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তা রক্ষায় আর্মি দুই শিফটে এস্কর্ট প্রদান করে থাকে। একটি সকাল ১১টায়, অন্যটি বিকাল তিনটায়.. অনুরূপ সাজেক থেকেও একই সময়ে এস্কর্ট দুটো ছাড়ে..
বিকাল চারটায় যখন চেক পোস্টে পৌঁছাই, ততক্ষনে এস্কর্ট অনেক দূর ছেড়ে গিয়েছিল। অন্যান্য সময় হয়তো যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যেতনা.. সৌভাগ্যবশত আরও তিনটি গাড়ি এস্কর্ট মিস করে অপেক্ষারত ছিল ওখানে। শেষে বিনা এস্কর্টে চারটি গাড়ি একসাথে কাছাকাছি দূরত্ব রেখে যাওয়ার শর্তে অনুমতি মিললো। সব ফর্মালিটিজ পূরণ করে শুরু হলো এক ভয়াবহ রোমাঞ্চকর যাত্রা। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় একদিকে পাহাড়ি আতঙ্ক, অন্যদিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে উঁচুনিচু রাস্তায় দক্ষ ড্রাইভারের দুর্দান্ত সব স্টান্ড মনে শিহরণ তোলছিল। একেকটি ঢাউস সাইজের উঁচু পাহাড়ে গাড়ি যখন বুলেট গতিতে গাড়ি উঠে, মনে হবে যেন ৪৫ডিগ্রি এঙ্গেলে আকাশে উড়ছেন।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সাজেক ভ্যালিতে পৌঁছাই। এবার থাকার ব্যবস্থা করতে হবে..
ছুটির দিন + আগের দিন স্ট্রাইক থাকায় ট্যুরিস্টদের চাপ ছিল বেশী। কোন রিসোর্ট/কটেজ খালি পাচ্ছিলাম না। পরে ড্রাইভারের সহযোগীতায় একটি মাচাং কটেজে এটাচ বাথ সহ দুই বেডের একটি রুম ভাড়া নেই প্রতিরাত ২৫০০ করে।
এখানে খাবার আগে থেকে অর্ডার করে যেতে হয়। একটি জুম রেস্তোরাঁয় ভাত + আলুভর্তা (১বার) + ডাল অর্ডার করলাম প্রতিজন ১০০টাকা করে। লাইট বাজেটের ট্যুরে এটুকুই যথেষ্ট কারন এখানে সবকিছু এক্সপেনসিভ।
খাবার পর্ব সেরে রওনা হলাম হ্যালিপ্যাডে। লোকে লোকারণ্য চারিদিক। কেউ ফানুশ উড়াচ্ছে, কেউ দলবেঁধে বা আনমনে গান গাচ্ছে, কেউ অতি উচ্ছ্বাসে হুদাই চিল্লাচ্ছে.. এ এক অন্য দুনিয়া।
একেকজনের চাহনির ভাষা জানান দেয় এরা বহুদিন খোলা আকাশ দেখেনি, মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেয়নি। এই পরিবেশ ওদের রোবটিক মনকে দান করেছে সীমাহীন উদারতা। অফিসের জাঁদরেল কর্তাটি এখানে অমায়িক, আত্মকেন্দ্রিক মানুষটি মিশুক, কৃপন লোকটি সহযাত্রীকে স্যান্ডউইচ অফার করে, লাজুক মেয়েটি এখানে গলা ছেড়ে গায়…….

ইচ্ছে করছিল ওখানে রাত কাটিয়ে দেই। কিন্তু ভ্রমনক্লান্তি, আকস্মিক বৃষ্টির ভয়, ভোরে মেঘ ভেদ করে সুর্যোদয় দেখার তাড়া থাকায় কটেজে ফিরে যাই। কিন্তু ঘুমাবো কি! পাশের রুমের পোলাপান তাস খেলার অফার দিয়ে বসে। মনে হচ্ছিলো ছেলেগুলো কতদিনের পরিচিত!!
আমাদের কেউ কেউ ওদের রুমে, ওদের কেউ কেউ আমাদের রুমে হাসি ঠাট্টা আনন্দে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই। ভোররাতে এ্যালার্মের শব্দে উঠে পড়ি। ফ্রেশ হয়ে ঝুলন্ত বারান্দায় মেঘ দেখতে যাই..
ভোরের আলো তখনো পুরোপুরি ফুটেনি। ঝাপ্সা আর্দ্র হয়ে থাকায় বুঝতে পারি মেঘের ভেলা বারান্দায় ঢুকে পড়েছে।
সূর্যোদয় দেখতে হ্যালিপ্যাডে রওনা দেই। দেখলাম আমাদের আগেই শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছে। মেঘ ভেদ করে সূর্য ঠিক উদয় হয়নি, উদয় হয়েছে আরও অনেক উপর দিয়ে.. তবে মেঘের উপর সূর্যের আলো পড়ার স্বর্গীয় দৃশ্যটি সারাজীবন মানসপটে উঁকি দিবে।
এরপর রওনা হলাম সাজেকের সবচেয়ে উঁচু চূড়া কংলাক পাহাড়ে, যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ফিট উপরে। জিরো পয়েন্ট থেকে ৩০মিনিট হাঁটলেই কংলাক। খাড়া পাহাড় বেয়ে উপরে উঠে পুরো এলকার নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। কংলাক থেকে ফিরে সকালের নাস্তা সারলাম। ওহ বলতে ভুলে গেছি.. আমাদের পাঁচজনের গ্রুপের সাথে এক দম্পতিও যোগ দেয় খাগড়াছড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে। পুরো যাত্রাপথেই আপুটি ভাইয়ার উপর চোটপাট করেছেন কেন উনাকে মিথ্যা বলে সাজেক নিয়ে আসা হলো!!
বিষয়টা হলো এমন, এক ফাইন দিনে ভাইয়া প্রিয়তমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে সাজেকে একটি সুইট বুকিং করেন। বাসা থেকে বেরোনোর সময় বলেছিলেন শুধুমাত্র চিটাগাং ঘুরবে ওরা। চিটাগাং এসে ভাইয়া সাজেকে রুম বুক করার কথা জানান। কিন্তু আপুর চরম আপত্তি। উনার কন্সার্ন হলো, লোকটি নিজেই অসুস্থ প্লাস বাচ্চা নিয়ে এত দূর ভ্রমণ খুব কষ্টের। তবুও যেহেতু রুম বুকিংয়ের টাকা পে করে ফেলেছে, বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে সাজেক। ভাইয়া চুপচাপ হজম করে গেছেন বৌয়ের চোটপাট। 😜😜
পরেরদিন বেলা ১১টার দিকে ঐ দম্পতির সাথে দেখা। দেখলাম ভাই-আপু আর পিচ্চি তিনজনেই ফুরফুরে মেজাজে। আপুকে বললাম কালকে তো খুব মূখ গোমড়া করে ছিলেন, আজ কি সাজেকের রূপ দেখে ফিদা??? মূখে স্বীকার না করলেও আপু সত্যি সত্যিই সারপ্রাইজড হয়েছিলেন বলা বাহুল্য।

এদিকে বাসায় ফিরে আম্মুকে যখন মেঘের উপর সূর্যের আলোকছটা দেখাচ্ছিলাম, পেছন থেকে ছোটভাই বলে উঠে “ঐগুলা এডিট করা যায় ভাইয়া”
😜

যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা/চিটাগাং থেকে শান্তি পরিবহণ, সৌদিয়া, ঈগল, এস আলমে খাগড়াছড়ি বাসস্ট্যান্ড। খাগড়াছড়ি থেকে চান্দের গাড়ি/জীপ, অটোরিক্সা রিজার্ভে সাজেক ভ্যালি। ভাড়া ৬-১১হাজার।

নোটঃ

*সাজেক নারী ও শিশুবান্ধব ট্যুরিস্ট স্পট। ফ্যামিলি ট্যুরে কোন অসুবিধা নেই।

*সাজেকে পানির খুব স্বল্পতা। চেষ্টা করবেন খাওয়ার পানি খাগড়াছড়ি থেকে নিয়ে আসতে। হোটেলে ব্যবহার্য পানি খরচে মিতব্যয়ী হোন।

*বিস্কুট/চিপ্সের প্যাকেট, খালি বোতল, সিগারেটের ফুটকি যেখানে সেখানে ফেলবেননা।

*স্থানীয়দের সাথে অভদ্র আচরণ করবেননা। এক ভাইকে দেখলাম আদিবাসী হোটেল বয়কে ম্যানার শেখাচ্ছেন খুব কদর্য ভাষায়।

*অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে জীপের ছাদের উঠবেননা।

*নিরাপত্তাবাহিনীর সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন।

পরিশেষে সকলের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ ভ্রমন কামনা করি।

Post Copied From:Junayed M. Rayan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

চাঁদপুর বেলগাঁও চা-বাগান

অনেকদিন আগে এই গ্রুপেই কেউ একজন চট্টগ্রাম এ চাবাগান নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিল। ওনার পোষ্ট পড়েই আজ গিয়েছিলাম চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক “চাঁদপুর বেলগাঁও চা-বাগান” এ। অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা। যেদিকেই তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ। পাহাড়, লেক,টিলা কি নেই! আর সবচেয়ে বড় কথা চাবাগান টা অসম্ভব বড়। কেউ যদি কোন ছুটির দিনে পরিবারকে নিয়ে একদিন সবুজের মাঝে কাটিয়ে আসতে চান তাহলে এরচেয়ে ভাল জায়গা হয় না। 😊

যাওয়ার উপায়:-
চিটাগাং এর যে কোন স্থান থেকে প্রথম বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল আসতে হবে। সেখান থেকে সিটিং বাসে চাঁদপুর। ভাড়া ৮০ টাকা। ওখান থেকে সিএনজিতে চাবাগান। ভাড়া ১৫০ টাকা রিজার্ভ। একজন গেলেও যেই ভাড়া পাঁচজন গেলেও একই ভাড়া। আর অবশ্যই যেই সিএনজিতে যাবেন সেই সিএনজি রেখে দিবেন নাহলে আমার মত দেড়ঘন্টা হেঁটে বাসস্টপ পর্যন্ত আসতে হবে