Advertise Here

চিটাগাং বোটক্লাব

মরা আটজন গিয়েছিলাম এই মনোরম স্বর্গীয় সুন্দর উপভোগ করতে।ভাবছেন কোথায় এটি?
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এর নগরের শেষপ্রান্তে কর্নফুলী নদীর কোল ঘেষে ‘চিটাগাং বোটক্লাব’,যা বাংলাদেশ নেভি দ্বারা পরিচালিত ও বেশ এলিট জায়গা।এই বোটক্লাব ই আয়োজন করে থাকে এই অনিন্দ্যসুন্দর সি ক্রুস!!!😍😍😍
কর্নফুলি নদী দিয়ে শুরু করে যাত্রা শুরু করে Bay of Bengal এ নিয়ে যাবে।ঘুরে আসতে পারবেন তেলবাহী, মাছবাহী জাহাজগুলির পাশ দিয়ে।কিছু অংশ কর্নফুলি তে ঘুরে তার পর ঢোকে সাগরে।
সাগরের ঢেউএর দোল খেতে খেতে শিপ হতেই দেখতে পারবেন একদিকের দুরের পতেংগা বিচ,ওয়েস্টপয়েন্ট নেভাল বিচ, আরেকদিকের কমলা সূর্য সাগরে ডুবে যাচ্ছে!সাগরের বাতাস,মিউজিক, ম্যাজিক শো আপনাকে ভুলিয়ে দিবে কোন দেশে আছেন,অবশেষে ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে যাত্রা শেষ হবে….
ফেরার সময় বেশ খারাপ লাগবে যে আরেকটু থাকি ইশ!….
যাবেন কিভাবে-
যেখানেই থাকেন আগে চিটাগাং শহরে যেতে হবে।চিটাগাং শহরে পতেংগার কাছে বোটক্লাব এ যাবেন।সেখানে নেভি অফিস এ এই ক্রুস টিকেট পাওয়া যায়।১০০০ টাকা প্রতিজন।তবে টিকেট পেতে একটু নেভাল অথবা ভি আই পি কাওকে বলে রাখলে ভালো।সিট সংখা লিমিটেড হওয়াতে গেলেই টিকেট পাবেন এ আশা করা ভুল😂.টিকেট কালেক্ট করতে হয় ৩.৩০ এর পর থেকে।যতই বুক থাকুক।
সময়-২. ৩০ঘন্টা।প্রতিদিন একটা শিপ যায়।বিকেল ৪ টা-৬টা. নিয়ে যাবে আবার বোট ক্লাবেই নামাবে।
কিছু হাল্কাপাতলা স্ন্যাক্স ওরাই দিবে।তাছাড়াও কফি ও অনেক কিছু কিনতে পাওয়া যায়।
খেয়াল রাখবেন সেল্ফি তুলতে গিয়ে সাগরে যাতে না পড়েন!!😲
খাদ্যদ্রব্য যা খাবেন তার প্যাকেট খোসা বোতল সাগরে বা শিপ এ ফেলবেন না!! প্রচুর বাস্কেট আছে,সেখানে ফেলবেন।
নাবিকরা বেশ কো অপারেটিভ! দেখে ঘুরে ছবি তুলতে পারেন কন্ট্রোল রুম থেকে।প্রশ্ন থাকলে করতেও পারেন!
শীতকাল বেস্ট সময়!আশা করি ঘুরে আসবেন

Post Copied From:Sirajum Munera Anindita>Travelers of Bangladesh (ToB)

পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী – অামাদের ঐতিহ্য

ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ইংরেজদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে রামকৃষ্ণ সাহা মন্ডল পাকুটিয়ায় জমিদারী শুরু করেন। তাঁর ছিল দুই ছেলে বৃন্দাবন ও রাধা গোবিন্দ। রাধা গোবিন্দ ছিলেন নিঃসন্তান এবং বৃন্দাবন চন্দ্রের ছিল তিন ছেলে। এরা হলেন- ব্রজেন্দ্র মোহন, উপেন্দ্র মোহন ও যোগেন্দ্র মোহন। বৃন্দাবনের মেজছেলে উপেন্দ্রকে তাঁর কাকা নিঃসন্তান রাধা গোবিন্দ দত্তক নেন। ফলে উপেন্দ্র মোহন দত্তক সন্তান হিসাবে কাকার জমিদারীর পুরো সম্পদের অংশটুকু লাভ করেন। ১৯১৫ সালের ১৫ই এপ্রিল প্রায় ১৫ একর এলাকা জুড়ে তিন ভাইয়ের নামে উদ্ভোদন করা হয় একই নকশার পর পর তিনটি প্যালেস বা অট্টালিকা। পাকুটিয়া জমিদার বাড়িটি তিন মহলা বা তিন তরফ নামে পরিচিত ছিল। প্রতিটি মহলের রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য, লতাপাতার চমৎকার কারুকাজ গুলো মুগ্ধ করার মতো। প্রতিটি জমিদার বাড়ীর মাঝ বরাবর মুকুট হিসাবে লতা ও ফুলের অলংকরণে কারুকার্য মন্ডিত পূর্ণাঙ্গ দুই সুন্দরী নারী মূর্ত্তি এবং সাথে এক মূয়ূর সম্ভাষণ জানাচ্ছে অথিতিকে। এছাড়া দ্বিতীয় তলার রেলিং টপ বা কার্নিশের উপর রয়েছে পাঁচ ফুট পর পর বিভিন্ন ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য সুন্দর সুন্দর ছোট আকৃতির নারী মূর্ত্তি।

এই তিনটি স্থাপনাই অপূর্ব শিল্প সুষমামণ্ডিত। পাশ্চত্তীয় শিল্প সংস্কৃতি সমৃদ্ধ মনের মাধুরী মিশিয়ে স্থাপত্য মূল্যের এক অনন্য সৃষ্টি তাদের এই অট্টালিকা গুলো। তিনটি বাড়ীর সামনেই রয়েছে তিনটি নাট মন্দির। বড় তরফের পূজা মন্ডপের শিল্পিত কারুকাজ শতবছর পর এখনও পর্যটককে মুগ্ধ করে। জমিদার বাড়ির সামনে বিশাল মাঠ আর মাঠের মাঝখানে রয়েছে দ্বিতল নাচঘর। প্রতিটি জমিদার বাড়ির রয়েছে নিজস্ব পাতকূয়া। জমিদার বাড়ির কাছাকাছি পশ্চিমে আছে উপেন্দ্র সরোবর নামে বিশাল একটি আট ঘাটলা পুকুর। এই তিন মহলার জমিদাররা প্রত্যেকেই ছিলেন প্রজানন্দিত। তাঁদের নিজেদের প্যালেস তৈরীর পর ১৯১৬ খ্রিঃ তাঁরা তাঁদের পিতা বৃন্দাবন এবং কাকা রাধা গোবিন্দের যৌথ নামে বৃন্দবন চন্দ্র রাধা গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয় (বিসিআরজি) প্রতিষ্ঠা করেন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃতি ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা উপচার্য এবং সাবেক মন্ত্রী ডঃ এ,আর মল্লিক, সাবেক প্রধান মন্ত্রী আতাউর রহমান খান এবং ভবা পাগলার মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ । দেশ বিভাগের পরে তৎকালীন সরকার কর্তৃক পুরো সম্পদ অধিগ্রহণের পর জমিদারদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের নিদর্শন স্বরূপ ১৯৬৭ সালে এই সম্পদের উপর গড়ে তোলা হয় বিসিআরজি ডিগ্রী কলেজ।

যেভাবে যাবেন- গাবতুলী থেকে বাসে এস বি লিংক/জনসেবা – পাকুটিয়া। ভাড়া ৫০-৬০ টাকা

Post Copied From:Likhon Ahmed‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

অমৃতসর,পাঞ্জাব..

অমৃতসর যেতে হলে আপনাকে কলকাতা থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে দিল্লি যেতে হবে।ভাড়া জনপ্রতি ৩০০০ রুপি এসি থ্রী-টায়ার।কলকাতা থেকে দিল্লি ১৬ ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন।দিল্লি থেকে অমৃতসর মেইল ট্রেনে অমৃতসর আসতে হবে।দিল্লি থেকে অমৃতসর পৌঁছাতে সময় লাগবে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা। ভাড়া জনপ্রতি ১৩৫০ রুপি এসি থ্রী-টায়ার।এছাড়াও দিল্লি থেকে ভলভো বাসে অমৃতসর যাওয়া যায়।

আমার মতে জীবনে একবার হলেও পাঞ্জাব যাওয়া উচিত।পাঞ্জাবের খাবার আর পাঞ্জাবের মানুষের অমায়িক ব্যবহারের জন্য।যারা খেতে ভালোবাসেন তাদের জন্য পাঞ্জাব ভ্রমন অতি আবশ্যক।পাঞ্জাবের লাচ্ছি একবার খেলে আপনার অন্য কোন লাচ্ছি আর ভালো লাগবে না।শুধু পাঞ্জাবের খাবার খাওয়ার জন্য হলেও সবার একবার পাঞ্জাব যাওয়া উচিত।

ব্রাদারস অমৃতসরী ধাবা নামে একটা রেস্টুরেন্ট আছে গোল্ডেন টেম্পল এর পাশে।খুবই ভালো মানের রেস্টুরেন্ট আর দামও কম। ওখানে খেতে পারেন।সব মজাদার আইটেম পেয়ে যাবেন।

পাঞ্জাবে জিনিষপত্রের দাম অপেক্ষাকৃত কম। এখান থেকে শপিং করতে পারেন। গোল্ডেন টেম্পল এর চারপাশে ছোট ছোট অসংখ্য দোকান। অনেকটা ঢাকার চকবাজারের মতো। এই মার্কেটটার নাম গুরু বাজার। অমৃতসর থেকে এমব্রয়ডারী, কাঠের উপর সুক্ষ কাজ, উলেন পোশাক ও গহনা কিনতে পারেন।ঢাকার চেয়ে অনেক কম দামে কিনতে পারবেন।

অমৃতসরে যা যা দেখবেন:-

১) গোল্ডেন টেম্পল।

২) জালিয়ানওয়ালা বাগ।

৩) ওয়াগা বর্ডার।

৪) ইন্ডিয়া গেট/ ওয়ার মেমোরিয়াল।

৫) হাতি গেট।

৬) দুরজিয়ানা টেম্পল।

৭) গোবিন্দগড় ফোর্ট ।

৮) মহারাজা রনজিত সিং প্যানারোমা।

৯) মহারাজা রনজিত সিং মিউজিয়াম।

১০) রামবাগ গার্ডেন।

১১) ভাটিন্ডা ফোর্ট।

গোল্ডেন টেম্পল:-

অমৃতসরের প্রধান আকর্ষণ স্বর্ণমন্দির। ১৫০২ খ্রিস্টাব্দে লাহোর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে জি টি রোডের ধারে এক প্রকাণ্ড জলাশয়ের ধারে, শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরুনানক একটি মন্দির গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। এই সময় তিনি এই জলাশয়ের নাম রাখেন অমৃত সায়র। তার থেকেই শহরের নাম হয় অমৃতসর। গুরু নানক জীবদ্দশায় তাঁর এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। ১৫৮৮ খ্রিস্টাব্দে শিখ গুরু অর্জুন সিং অমৃত সায়র-এর ধারে স্বর্ণ মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ষষ্ঠ গুরু হরগোবিন্দ সিং-এর সময় ৪০০ কেজি সোনার পাতে মুড়ে ফেলা হয় মন্দিরের উপরিভাগ।

১৬০৪ খ্রিস্টাব্দে এই মন্দিরের শিখদের ধর্মগ্রন্থ গ্রন্থসাহেব স্থাপন করা হয়। মন্দিরের এই অংশের নাম হরবিন্দ সাহিব। হরমন্দির সাহিবে ঢোকার দরজা চারদিকে চারটি। জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলের অবারিত দ্বার বোঝাবার জন্যেই নাকি এই চার দুয়ারের নির্মাণ। বর্তমান স্বর্ণমন্দিরটি মোট সাড়ে চার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে। শিখধর্মাবলম্বী ছাড়াও সারা পৃথিবী থেকে পর্যটক এই স্বর্ণমন্দিরটি দেখতে আসেন। প্রতিদিন এখানে প্রায় ৯০ হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়। এই মন্দিরটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে।

কথিত আছে এই মন্দিরে প্রণামী সংগ্রহ হয় প্রতি মাসে প্রায় ৮০ কোটি রুপি। শিখধর্মাবলম্বীর প্রত্যেক যুবককে রণবিদ্যা, আত্মরক্ষা কৌশলবিদ্যা ও যুদ্ধবিদ্যা রপ্ত করতে হয় প্রথা হিসেবে। আদি যুদ্ধের এই কলাকৌশল শিক্ষা দেয়ার জন্য রয়েছে একটি বিশাল মাঠ আছে। মূলত এখান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রণকৌশলীরা এই মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত। এখনো নিরাপত্তা রক্ষীরা তীর, ধনু, কাতরা, বল্লম, খাজা, খঞ্জনী জাতীয় অস্ত্র ব্যবহার করে।

এই মন্দিরে প্রবেশের আগে নারী পুরুষ নির্বিশেষে মাথা আবৃত করতে হয়। ঢুকেই একটু গিয়ে অমৃত সরোবর, যার চারদিকে মার্বেলে মোড়া রাস্তা। অনেকেই সরোবরের জল পবিত্র মনে করে মাথায় স্পর্শ করান, অনেকে স্নানও করেন। প্রবেশপথ সরোবরের যেদিকে হরমন্দির সাহিব তার বিপরীতে। কাজেই একদিক থেকে যাত্রা শুরু করে হরমন্দির সাহিব দর্শন করে অপর দিক দিয়ে বেরোলে অমৃত সরোবরকে পরিক্রমা করা হয়ে যায়। সরোবরটি যথেষ্ট বড়ো এবং চত্বরটি বিশাল। হরমন্দির সাহিবের আশেপাশে সরোবরের ধার দিয়ে আরো গুরদ্বোয়ারা আছে, সেখানেও সব সময় গুরু গ্রন্থসাহিব পাঠ হয়।

অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে আফগান আক্রমণের পর মন্দিরের কিছু অংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, যা ১৭৬৪ সালে পুর্নস্থাপিত হয়। ঊনবিংশ শতকের গোড়ার দিকে, মহারাজা রঞ্জিত সিং স্বর্ণের দ্বারা মন্দিরটিকে সজ্জিত এবং আবৃত করেছিলেন, যার থেকে মন্দিরটি “স্বর্ণ মন্দির” ডাক নামে পরিচিত।

সরোবরটিতে একটি দুঃখ ভঞ্জনি বেড়ি নামে অলৌকিক স্থান রয়েছে। পট্টি শহরের এক ধনী জমিদার দূনি চাঁদ খত্রী এই কিংবদন্তী বেড়ীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন, এঁনার পাঁচটি কন্যা ছিল। একদিন তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তাদেরকে খাবার কে দেয়। তাদের মধ্যে বড় চার কন্যা উত্তর দিল, তাদের পিতাই তাদের অনুগ্রহকারী বা পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের খাবার তিনিই দেন। কিন্তু রজনী নামের কনিষ্ঠতম কন্যাটি বলল ঈশ্বরই সমস্ত জীবকে বাঁচিয়ে রাখেন। দূনী চাঁদ এই কথা শুনে ক্রুদ্ধ হয়ে, সেই কন্যাকে একজন কুষ্ঠরোগীর সঙ্গে বিবাহ দেন। তিনি তাঁর স্বামীকে ভালোবাসতেন এবং তার যত্নও করতেন। সেই সময় গুরু রাম দাস জী অমৃতসরে একটি নতুন শহর নির্মাণ করছিলেন। রজনী তাঁর স্বামীকে অমৃতসরে নিয়ে আসেন। তিনি গুরুর ভক্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তাঁরা রজনীর অবস্থার প্রতি করুণা করে থাকার জন্য একটি কক্ষ প্রদান করেন। তাঁকে সর্বসাধারণ রান্নাঘরের মধ্যে খাবার রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি যখন তার কর্মে যোগ দিতে আসতেন তখন সঙ্গে করে তাঁর স্বামীকে নিয়ে আসতেন। স্বামীকে একটি গাছের ছায়ার নীচে বসিয়ে রান্নাঘরে ঢুকতেন। একদিন সে তার স্বামীকে একটি বেড় গাছের নীচে ছেড়ে যান। তাঁর স্বামী, লক্ষ্য করেন যে সেখানকর কিছু কাক পুকুরের জলে ডুব দিচ্ছে এবং তারা কালো থেকে সাদায় রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে। তিনি তখন বুঝতে পারলেন যে এটি কোনও সাধারণ জল নয়। তিনি পুকুরটির সামনে গেলেন এবং জলের মধ্যে ডুব দিলেন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেন এবং তিনি আর কুষ্ঠরোগী রইলেন না। তিনি পুনরায় সেই গাছের তলায় এসে বসে রইলেন। রজনী তাকে সনাক্ত করতে সক্ষম হচ্ছিলেন না। সেই যুবক তাঁকে বিশ্বস্ত করালেন এবং এই দম্পতি পুকুরটি সম্পর্কে গুরু রাম দাস জীকে বলে গেলেন। এটি শ্রবণের পর গুরু রাম দাস জী এই কথা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বাবা বুদ্ধ জী-কে বলেন। তিনি বলেন যে এই পুকুরটি এমন একটি স্থান যেটি গুরু অমর দাস জী-র পূর্ব প্রতীক্ষায় ছিল। বৃক্ষটি কষ্ট এবং যন্ত্রণার উপশম হিসাবে, এটি দুঃখ ভঞ্জনি বেড়ী হিসাবে পরিচিত ছিল।

মন্দিরটির সরলতার প্রতীকস্বরূপ, মন্দিরটিতে চারটি প্রবেশপথ আছে; যা জীবনের সমস্ত দিক ও পথ থেকে আসা মানুষকে স্বাগত জানায়। গোল্ডেন টেম্পল বা স্বর্ণ মন্দিরটি শিখদের জন্য একটি পবিত্র স্থান ও উপাসনার একটি জায়গা।

শিখ ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে দুনিয়ার সবাই সমান। ধনী, গরিব, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ধর্ম-কর্ম করা না করা লোক, সবাই-ই সমান। এইটাই মূলনীতি।

টেম্পলে একটা লংগরখানা আছে, যেখানে দিন রাত ২৪ ঘন্টা সবাইকে ফ্রী খাওয়ানো হয়। যে কেউ, যখন তখন গিয়ে সেখানে খেতে পারবে। “রাব নে বানা দে জোড়ি” মুভির একটা গানের শ্যুটিং এখানে হয়েছিল।হারমিন্দার সাহিব/ গোল্ডেন টেম্পেল এরিয়ার ভিতরেই রয়েছে আকাল তাকত এবং তারা তারান সাহিব।

১) এটি প্রতিদিন প্রায় ১,০০,০০০ জন ব্যক্তি দ্বারা পরিদর্শিত হয়।

২) স্বর্ণ মন্দিরের চূড়াটি শুদ্ধ সোনা দ্বারা নির্মিত।

৩) মন্দিরটির যৌথ রন্ধনশালায় প্রায় ৭৫,০০০ জন উপাসক প্রতিদিন লঙ্গর (খাবার) গ্রহণ করে।

জালিয়ানওয়ালা বাগঃ-

১৯১৯ সালে বৈশাখী উৎসবের আগের দিন অনেক মানুষ সেখানে জড়ো হয়। তারা জানত না যে তখন মার্শাল ল চলছিল। সেখানে ব্রিটিশ সেনারা টানা দশ মিনিট এলোপাথারি গুলিবর্ষন করে। পরে একটা কুয়োর ভিতরে হাজারখানেক লাশ পাওয়া যায়। এরিয়াটা অনেক বড় এবং খুবই সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছে। এর পরে গেলাম লাঞ্চ করতে, খেলাম পাঞ্জাবী আর সাউথ ইন্ডিয়ান থালি। ফেরার পথে কুলফি আর লাচ্ছি খেলাম। কুলফিটা মনে হল পুরাই দুধের ক্ষীর! মাত্র ৩০টাকা দাম। আর লাচ্ছিটা ছিল ২৫টাকা কিন্তু একদম অরিজিনাল টক দই। আমার সুগার থাকা সত্বেও পরপর দুবার খেলাম! এখনো স্বাদ মুখে লেগে আছে।

ওয়াগা বর্ডারঃ

সাড়ে তিনটার মধ্যে ওয়াগা বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে,তা না’হলে ভারতীয় ও পাকিস্তানী সীমান্তপ্রহরীদের যৌথভাবে পতাকা নামানো ও গার্ড বদলের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান মিস হয়ে যাবে।
ওয়াগা বর্ডার থেকে লাহোর মাত্র ২৩ কিমি দূর। আর অমৃতসর শহর থেকে ওয়াগা বর্ডার ২৫ কি.মি.।সেখানে প্রতিদিন বিকেলে ভারতীয় এবং পাকিস্তানি কিছু সেনা মিলে কুচকাওয়াজ করে। এটাকে ওরা ফ্রেন্ডলি এক্টিভিটি বলে। বছরের ৩৬৫ দিনই এটা চলে। এই বর্ডার দিয়েই লাহোর দিল্লী বাস যাতায়াত করে। কুচকাওয়াজ ঠিক ৪.৩০ মিনিটে শুরু হয়।৩০ মিনিট হয়।৫ টায় শেষ হয়।প্রচুর লোকের সমাগম হয়।ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তান দুই দেশের লোকের মধ্যেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।দুই দিক থেকেই স্লোগান চলে।

গোবিন্দগড় ফোর্ট (Gobindgarh Fort):-

The foundation of the Gobindgarh Fort was laid in the mid 18th century by the leader of the Bhangi misl (clan). The imposing brick and lime structure, though locally known as the Bhangian Da Kila, derives its formal name from Guru Gobind Singh. Historically, possession of the fort was considered akin to possessing power over Punjab’s religious and political centres. It fell into Maharaja Ranjit Singh’s hands in the early 19th century during his expansionist missions. He further strengthened the walls of the fort and built a moat around it, adding several strong bastions to the structure.

It is said to have housed the Maharaja’s treasury, including the famed Kohinoor diamond within its walls. Legend has it that Ranjit Singh was coveting the legendary cannon Zamzama (which finds mention in Rudyard Kipling’s Kim), reportedly fashioned for Ahmad Shah Abdali out of metal utensils looted from Lahore. It was appropriated by the Bhangis and housed within Gobindgarh fort. Following his annexation of Amritsar, the cannon was transported to Lahore by Maharaja Ranjit Singh for use in subsequent expeditions and today, it stands sentinel outside the Lahore Museum.

One of the most striking and historic edifices of Amritsar, this is the only surviving fort from the times of Maharaja Ranjit Singh. It has had a continuous historical narrative including events from the struggle for independence. This historical layering is also visible in the fort’s distinct military architectural style and layout. It comprises two concentric layers of fortified walls with bastions and is entered through two successive gateways. The inner enclosure includes numerous buildings which have an obvious colonial look and feel about them. Currently under renovation, it will soon be thrown open to public visits.

দুরজিয়ানা টেম্পেল (Durgiana Temple):-

দুরজিয়ানা টেম্পেল গোবিন্দগড় ফোর্ট থেকে হাটা দূরত্বে অবস্থিত। দুরজিয়ানা টেম্পেল ও গোবিন্দগড় ফোর্ট থেকে হাতি গেট কাছেই।

The 16th century Durgiana Temple draws Hindu sages and scholars from all over the country as it is a well known repository of Hindu scriptures. Dedicated to goddess Durga, the temple is modelled on the Golden Temple with its main shrine rising from the midst of a tank, its central dome covered with gold, and the rest of the structure clad in marble. Also known as the Lakshmi Narayan Temple, as a large section of it is dedicated to the Hindu deities Laxmi and Narayan, the intricate carvings of goddess Durga in her various incarnations, are particularly remarkable. The Durgiana temple was rebuilt in the 20th century, and its foundation stone was laid by the freedom fighter Pandit Madan Mohan Malviya, who was also an educationist and founded the Benaras Hindu University.

অমৃতসরে থাকার জায়গাঃ

গোল্ডেন টেম্পল এর আশেপাশে প্রচুর হোটেল আছে।ভাড়াও খুব কম।৫০০ থেকে ৮০০ রুপির মধ্যে ভালো হোটেল পেয়ে যাবেন।গোল্ডেন টেম্পল থেকে অমৃতসর রেলওয়ে জংশন এর দুরত্ব মাত্র ২০-৩০ মিনিটের (গাড়ীতে)।

অমৃতসরে খাওয়াঃ-

১) জালিয়ানওয়ালা বাগে কুলফি আর লাচ্ছি। কুলফিটা মনে হবে পুরাই দুধের ক্ষীর।

২) অমৃতসরি খুলচা (Amritsari Kulcha)

৩) লাচ্ছি chilled Punjabi Lassi (sweetened yogurt)

৪) আলু পরোটা।পান্জাবের আলু পরোটা অসাধারন খেতে।

৫) ফিন্নি।

৬) ভেজিটেবল বিরিয়ানী।অসাধারন খেতে।

৭) চানা মাশালা।

৮) সর্ষে কি শাক।

৯) মাখ্খি দি রুটি।

১০) মাশালা ডোসা।

১১) মেথি মালাই পনির।

১২) ডাল মাখানি।

১৩) কাজু কারি।

১৪) মালাই কোপ্তা।

১৫) রাজমা।

Post Copied FromDip Biswas>Travelers of Bangladesh (ToB)

নরসিংদীর চাঁন্দের পাড়ার হলুদ রূপ

যেভাবে যাবেনঃ

আপনি মহাখালী/বনানী এরিয়া থেকে নরসিংদী আসতে চাইলে এসে পিপিএল বাসের টিকিট কেটে সরাসরি নরসিংদী চলে আসবেন। নতুন বাসস্টেন্ড থেকে রিক্সায় যাবেন সাটিরপাড়া রজনীগন্ধা চত্বর।ওখান থেকে অটোতে সুইচগেট। আর তার একটু সামনে আগালেই চাঁন্দের পাড়া গ্রাম।

আর যারা গুলিস্থান থেকে যারা আসবেন তারা সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স সংলগ্ন মেঘালয় লাক্সারী বাসে সরাসরি নরসিংদী নতুন বাসস্টেন্ড ওখান থেকে অটোতে সুইচ গেইট। সুইচ গেইট বাজারে নেমে একটু আগালেই চাঁন্দের পাড়া গ্রাম।

যদি চাঁন্দের পাড়া সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখে দিনের অর্ধেক সময় বেঁচে যায় তাহলে আপনি দুপুরের খাবারটা নরসিংদী শহরে খেতে পারেন। খাওয়া শেষে নরসিংদীর পুরান লঞ্চঘাট থেকে ট্রলার নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন মেঘনায়।

আর যদি হেরিটেজ ভালবাসেন তাহলে সুইচগেইট বাজার থেকে চাইলে রিজার্ভ চার্জের অটোরিক্সা নিয়ে শর্টকাট ওয়েতে ভিতরের রাস্তা দিয়ে আবদুল্লাহপুর হয়ে মাধবদীর বালাপুর নবীন শাহার জমিদার বাড়িতে যেতে পারেন। তবে অটোর ড্রাইভারকে বলে মাধবদী শহরে খেয়ে তারপর বালাপুর জমিদার বাড়িতে যাবেন। জমিদার বাড়ি দেখা শেষ হলে এক থেকে দেড় কিলো সামনেই মেঘনা বাজার। এই বাজারের ভিতর দিয়েই চলে গেছে রাস্তা। বাজার থেকে পাঁচ মিনিট হাটলেই পেয়ে যাবেন মেঘনা নদী। চাইলে ওখান থেকে নৌকা নিয়ে ঘুরতে পারবেন মেঘনা নদীতে। তারপর মেঘনা বাজার থেকে সিএনজিতে চলে আসতে পারেন মাধবদী। ওখান থেকে ১০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে মাধবদী বাসস্টেন্ড। তারপর মেঘালয় লাক্সারী বাসে চলে আসতে পারেন গুলিস্থান নয়তো মনোহরদী/রয়েল পরিবহনে সায়েদাবাদ চলে আসতে পারেন।

অথবা রাস্তার অপজিট থেকে অটো/লোকাল বাসে চলে আসতে পারেন পাঁচদোনা মোড়। ওখানে পিপিএল, বাদশা, উত্তরা পরিবহনসহ আরও কিছু কাউন্টার সার্ভিস পাবেন যা উত্তরা, বনানী হয়ে মহাখালী আসে।

আর যারা ট্রেনে যাবেন তারা কমলাপুর থেকে প্রতিদিন সকাল ৭:১০ টায় (বুধবার সারাদিন বন্ধ) এগারসিন্ধুরে এবং মহানগর গোধুলি (রবিবার সারাদিন বন্ধ) দিয়ে সকাল ৯:০০ টার ট্রেনে নরসিংদী আসতে পারবেন।আর সারদিন ঘুরাঘুরি করে আবার ট্রেনে ঢাকায় ফিরতে চাইলে বিকাল ৫ টায় এগারসিন্ধুরে (শুক্রবার বিকালে বন্ধ) অথবা ৫:৩০ মিনিটে মহানগর ট্রেনে ফিরতে পারবেন।

আর যদি কেউ নিজস্ব গাড়ি/বাইক নিয়ে আসতে চান তাহলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল ৩০০ ফিট দিয়ে কাঞ্চন ব্রিজ পার হয়ে এক কিলোমিটার আসলেই চাঁন টেক্সটাইল মোড়। মোড়ে হাতের বামের রাস্তা ধরে সরাসরি চলে আসবেন ছনপাড়া বাসস্টেন্ড (ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক)। ছনপাড়া হাইওয়েতে হাতের বামে চলে যাবেন সরাসরি মাধবদী। মাধবদী বাসস্টেন্ড থেকে কাউকে জিগ্যেস করে মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের রাস্তাটা জেনে নিবেন। ঐ রাস্তা ধরে আবদুল্লাপুর বাজার। কাউকে জিগ্যেস করলেই দেখিয়ে দিবে সুইচগেট যাওয়ার রাস্তাটা। সুইচগেট এর সাথেই চাঁন্দের পাড়া সরিষা ফুলের এরিয়া (এইটা লোকাল রাস্তা তবে সময় বাঁচবে)।

যাতায়াত ভাড়া: মহাখালী থেকে নরসিংদী পিপিএল বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৯৫ টাকা অথবা গুলিস্থান থেকে নরসিংদী মেঘালয় বাসের ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। শালিধা (নতুন বাসস্টেন্ড) থেকে অটোতে সাটিরপাড়া রজনীগন্ধা চত্বরের লোকাল ভাড়া ৫ টাকা আর রিক্সায় ২০-৩০ টাকা নিবে। রজনীগন্ধা চত্বর থেকে চাঁন্দের পাড়া অটোভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা।

Post Copied From:Farhad Miah>Travelers of Bangladesh (ToB)

PARO international airport

The breathtaking PARO international airport surrounded by peaks heightening around 5500 m. The airport itself stands on a height of 2000m+ from the sea level.

How to go -> Dhaka-Burimari-Phuentsholling-Paro(by road)
or
Dhaka-Paro (by air)

We went there by road by ourselves, not from any agency. first, we took the transit visa of INDIA as we have to go through their land. After getting visa, we headed for Changrabandha, crossed the border and headed for Jaigaon. Jaigaon is the Indian portion of Bhutan Borderland.
Then completing all the formalities, we hired a taxi for next 5 days for 12000rupee and headed towards Thimpu. we stayed there that night.
Next day completed our THIMPU sightseeing.(the food cost in Thimpu is way to HIGH)
And again the next day we headed for Punakha, visited the Punakha dzong and their suspension bridge. (things here is a bit less expensive then Thimpu). while on route to Punakha we stopped at the do Chula pass. we got our first snow there.
and the next day we went to Paro. it took about 1-1.5 hours to reach there. and the first thing we saw after getting a hotel, is this, airport viewpoint.

Truly is an amazing place. Our total cost was around 25k including the up down bus fare to Siliguri from Dhaka.(we also visited Darjeeling)

Post Copied From:Labib Hus’sain‎>Travelers of Bangladesh (ToB

৮২০০ টাকায় মেঘের রাজ্য মেঘালয়

মেঘালয় টুর ৫ রাত ৪দিন।ভিসা প্রসেসিং আর ট্রাভেল ট্যাক্স সহ সকল খরচ।

মেঘালয় যাওয়ার কথা ভাবছেন?
ভালো কোন গ্রুপ বা কোন প্যাকেজ পাচ্ছেন না?
একা গেলে খরচ বেশি তাই ইচ্ছা থাকা সত্যও যেতে পারছেন না?
তাহলে আপনার জন্যই আমার এই লেখা।আপনার ভ্রমনে বিন্দু পরিমানে উপকারে আসলেও আমার কষ্ট করে লেখা সার্থক।

আমি গত ১৫অক্টোবর রাতের গাড়িতে মেঘালয় যাই এবং ২০তারিখ ফিরে আসি।আমার সকল প্রকার খরচের বিবরন দেয়া হলো।

ভিসা প্রসেসিংঃ ৬০০টাকা।
ট্রাভেল ট্যাক্সঃ৫০০টাকা।

১ম রাতঃ
বাসা থেকে সায়দাবাদঃ৩০টাকা।
ঢাকা টু তামাবিল(জাফলং ও একই ভাড়া)বাস ভাড়াঃ ৪০০টাকা।
রাতের খাবার(হোটেল উজানভাটা) ১০০টাকা।
সকালের নাস্তা(বর্ডার সংলগ্ন চায়ের দোকান) ৩০টাকা।
বাংলাদেশ বর্ডার ১০০টাকা।

১ম দিন-২য় রাতঃ
এখান থেকে রুপির হিসাব শুরু।
ডাওকি বর্ডার থেকে শিলংঃ১২০রুপি(লোকাল ট্যাক্সি)।
শিলং থেকে পুলিশবাজারঃ১০রুপি(লোকাল ট্যাক্সি)।
হোটেলঃহোটেল হ্যারিট্যাগ। ওয়াইফাই,এসি,খাবার হোটেলের ব্যবস্থা আছে।৮০০*৩=২৪০০ রুপি(৩রাত ৪দিন)।আরও কম দামে হোটেল পাওয়া যায়।আমার এখানে থাকার কারন না হয় আরেক সময় বলবো।
দুপুরের খাবারঃ৭০রুপি(ভাত/সবজি/ডিম আর ডাল)।
রাতের খাবারঃ১১০রুপি (চিকেন,রাইস,ফ্রাই চিকেন আর কোল্ড ড্রিংক) ।

২য় দিন-৩য় রাতঃ
সকালের নাস্তা: ৩৫রুপি(ডাবল ডিমের রোল)
শিলং টুর প্যাকেজঃ ৩০০+৫৫=৩৫৫রুপি(ওয়ার্ডস লেক ১০রুপি,গোল্ফ ফিল্ড,বিয়াঞ্চি মেমোরিয়াল হল,স্টেট মিউজিয়াম:৫রুপি, জু:১০রুপি,চা বাগান:১০রুপি,এলিফ্যান্ট ফলস:২০রুপি)।
দুপুরের খাবার:১২০রুপি (ভাত,ডাল,মুরগী কোল্ড ড্রিংক।
বিকালের নাস্তা:২৫রুপি (লোকাল খাবার)
রাতের খাবার:১৪০রুপি(খিচুড়ি, মুরগি,ডাবল ডিম অমলেট,ডাবল ডিম রোল)।

৩দিন-৪থ` রাতঃ
সকালের নাস্তা:৭০রুপি(ডিম রোল,চিকেন আর কোল্ড ড্রিংক)
চেরাপুঞ্জি টুর প্যাকেজ : ৩৫০+৬০=৪১০রুপি(মাওকডক ভিও ভ্যালি পয়েন্ট,ইকো পার্ক ১০রুপি,মৌসুমি ক্যাভ ১০রুপি,মট ট্রপ রক,রামকৃষ্ণ মিশন ১০রুপি,নো কালি কাই ফলস ২০রুপি,সেভেন সিস্টার ফলস,থ্রি সিস্টার ফলস ১০রুপি)
দুপুরের খাবার:৮০রুপি(ভাত,ডাল,মুরগী কোল্ড ড্রিংক)।
রাতের খাবার:৯০রুপি(খিচুড়ি,চপ,চিকেন ললী,চা)।

৪থ’ দিন – ৫ম রাতঃ
সকালে হোটেল থেকে চেক আউট করি।
সকালের নাস্তাঃ ৪০রুপি(ডাবল ডিম রোল,চা)
ডাওকি(মাওলিনং) টুর প্যাকেজঃ ৫০০+৭০=৫৭০রুপি(ক্যানিয়ন ভ্যালি পয়েন্ট ১০রুপি,ব্যাল্যান্সিং রক ১০ রুপি,লিভিং রুট ব্রিজ ২০রুপি,স্কাই ভিউ পয়েন্ট বাংলাদেশ১০রুপি,উমংট ২০রুপি <ক্লিয়ার ক্রিস্টাল রিভার>, ডাউকি বর্ডার)
৪:৩০এ ডাওকি বর্ডার থেকে যাই।তারপর ডাওকি বর্ডার ক্রস করে বাংলাদেশ প্রবেশ করি।

তামাবিল থেকে বাসে সিলেটঃ ৫০টাকা।
সিলেট থেকে বাসে ঢাকাঃ৪৭০টাকা।
রাতের খাবারঃ৭০টাকা(চিকেন পিজা,কফি)
রাতের ২টা বাজে সায়দাবাদ পৌছাই।
রিক্সা ভাড়াঃ৩০টাকা।

#ভিসা_আর_ট্রাভেল_ট্যাক্স_১১০০টাকা
#ঢাকা_টু_তামাবিল_বর্ডার_প্রযন্ত_খরচ_৬৩০টাকা
#ভারতে_মোট_খরচ_৪৬৪৫*১.২৫=৫৮০৭টাকা।
#তামাবিল_ঢাকা_খরচ_৬২০_টাকা
#মোট_খরচ_৮১৮৭_টাকা

কারো কিছু জানার বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বা ইনবক্সে জানাতে পারেন।

বাংলা বানানে ভুল থাকলে দয়া করে মাফ করবেন।ধন্যবাদান্তে অপু। ☺😊😂

#পাবলিক_ডিমান্ডঃ
আপনাদের অনেকের প্রায় একই প্রশ্ন আমি প্যাকেজ গুলো কোন যায়গা থেকে নিয়েছি? –আপনাদের জনা কমেন্ট বক্সে ঠীকানা ও
ছবি দিলাম দেখে নিবেন।

#পাবলিক_ডিমান্ড২ঃ
আমি ৪০০টাকায় তামাবিল কিভাবে গিয়েছি?
–আহাম্মেদ পরিবহন।সায়দাবাদ স্টান্ডে গিয়ে যে কোন লোক কে বললেই দেখিয়ে দিবে।

#পাবলিক_ডিমান্ড৩ঃ
আমি কোথায় ডলার/রুপি/টাকা করেছি?
–শিলং পুলিশ বাজারে মানি চেঙ্গ এর অনেক দোকান আছে।আমি আপনাদের জনয একটির নাম,ঠীকানা আর ছবি কমেন্টস বক্সে দিলাম।দেখে নিবেন

post Copied From:

Najmul Hossain Opu>Travelers of Bangladesh (ToB)

 

সুন্দরবন ট্যুর এর ট্রাভেল এজেন্সিগুলো নিয়ে কিছু ধারনা

ট্রাভেল এজেন্সি নিয়ে আমার কিছু মিশ্র অভিজ্ঞতা হল এই ট্যুর এ।
আমি প্রথমে ঢাকায় একটা ট্রাভেল এজেন্সির সাথে কথা বলি প্রথমে। সেখানে প্যাকেজ এর দাম বলা হয় ৮৫০০ টাকা পার পারসন। আমরা ছিলাম ৩ জন। মা, বাবা আর আমি। আমাদের কে প্রথমে বলা হয় ডিসকোভার লঞ্চে ৪ জন এর রুম দেয়া হবে এটাচড বাথ সহ। এখানেই কথা শেষ, পেমেন্টও ক্লিয়ার করে দেয়া হয়। এখান থেকে আমাদেরকে খুলনার একজনের নাম আর ফোন নাম্বার দেয়া হয়। বলা হয় খুলনায় গেলে উনিই সব ম্যানেজ করে দিবে।

খুলনায় পৌঁছে আমরা ওই লোকের সাথে যোগাযোগ করি। উনি বলেন আমাদেরকে ডিসকোভার লঞ্চে না দিয়ে বনবিলাস লঞ্চে দেয়া হয়েছে ৩ জনের রুমে। কারন হিসেবে বলা হয় ডিসকোভারে ব্যাচেলর বেশি আর বনবিলাসে ফ্যামিলি। আর আমরা যেহেতু ফ্যামিলি, তাই আমাদেরকে বনবিলাসে দেয়া হয়। ভালো, আমরা আর কোন আপত্তি জানাই নি। আমরা তখন রুম সম্পর্কে জানতে চাইলে বলা হয় একটা কাপল বেড, মাঝে স্পেস তারপর একটা সিঙ্গেল বেড। তবে এটাচড বাথ নেই, কমন বাথ ব্যাবহার করতে হবে, এবার আমরা আপত্তি জানাই, তারা বলে যে ডিসকোভার লঞ্চে বেড ট্রেন এর কেবিন এর মত বাথ সিস্টেম এর। কিন্তু বনবিলাসে হোটেল এর মত। ট্রেন এর মত উপর নিচে না। তাই আমাদের একটু কনসিডার করতে হবে। আমরা এটাও কনসিডার করলাম ( আসলে আমার বাবা আর কোন ঝামেলায় যেতে চান নাই, তাই আমিও আর কিছু বলি নাই)।

লঞ্চে উঠার পর আরেক কাহিনী। গিয়ে দেখি ওই লঞ্চে আমাদেরকে যে ধরনের রুমের কথা এতক্ষন বলা হল এমন কোন রুম এর অস্তিত্বই নাই। রুমগুলো সেই ট্রেন এর কেবিন এর মত বাথ সিস্টেম এরই। তার উপর রুমটা প্রচণ্ড ন্যারো। এবার তো মেজাজ আরও খারাপ। এবার লঞ্চ এর ক্যাপ্টেন আর লঞ্চ মালিক এসে আমাদের ভুগিচুগি বুঝ দিতে লাগলেন, আমরা নাকি বুঝতে ভুল করেছি, আমরা যে লোকের সাথে কথা বলেছি তার নাকি শর্ট টাইম মেমরি লস হয়, সে নাকি ভুল বলেছে, এটাচড বাথ সহ রুম এর মূল্য নাকি ১২০০০ টাকা, তাদের অন্য সব রুম নাকি বিক্রি হয়ে গেছে, আমরা অন্য আরেকটা রুম চাইলে বলা হয় ৩ জনের আর কোন রুম নাই, সব ২ জনের, এরপর আমরা ২ জনের একটা রুম চাইলে বলা হয় আমরা নাকি লাখ টাকা দিলেও তারা রুম দিতে পারবে না, তারা নাকি এক কথার মানুষ, যাকে যে রুম এর কথা বলে তাই নাকি দেয়া হয়, তাই অন্য রুম দেয়া যাবে না। এরকম আরও অনেক কিছু। মেজাজ তো এই সময় যে কারোরই খারাপ হবার কথা। এর মধ্যে আবার লঞ্চ মালিক লঞ্চ থেকে চলে যায়, আমরা কিছু বললে লঞ্চের ক্যাপ্টেন বলে লঞ্চ মালিক জানে সব। এবভাবেই আমাদের সব কথা এড়িয়ে যাওয়া হয়।

এরপর আমাদের লঞ্চের গাইড যিনি উনি আসেন, উনিই একমাত্র ভদ্র অথরিটি ততক্ষন পর্যন্ত। উনি এসে আমাদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান। আর আশ্বস্ত করেন যে উনাদের সার্ভিসে আমরা অসন্তুষ্ট হব না। উনার আশ্বাসে ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও আমরা পরে ওই রুমেই উঠি।

এখানে আমার কিছু উপলব্ধি আপনাদের সাথে শেয়ার করি,
লঞ্চ মালিক আর ট্রাভেল এজেন্সি গুলা আসলে ট্যুর পরিচালনা করে না, এরা হল মধ্যস্ততাকারী। এরাই যত রকম ফন্দি ফিকির করা যায়, করে। এদের মুখের কথার কোন দাম নাই, ২ মিনিট এর মধ্যেই এরা বলা কথা ঘুরায় ফেলতে সক্ষম। তাই এদের সাথে আপনারা কথা বললে সব কিছু লিখিত নিয়ে আসবেন। হ্যাঁ, সব ট্রাভেল এজেন্সিই যে এরকম তা হয়তো নয়, তবে আপনার টাকা, আপনার ট্যুর তো, তাই সাবধান হওয়া ভালো, নাহলে পরে একমোডেশন নিয়ে আমাদের মত ঝামেলায় পরতে পারেন। এজন্য আমার মতে, আপনারা এইসব ট্রাভেল এজেন্সিগুলার কাছ থেকে একমোডেশন সংক্রান্ত সব তথ্য লিখিত নিয়ে আসবেন। এটাই সেফ।

এতটুকু পর্যন্তই আসলে ক্ষোভ। এরপরে আসলে ট্যুর গাইড, লঞ্চ এর সার্ভিস বয় দের ব্যাবহার আমাদের হতাশ করে নি। আমাদের গাইড যিনি ছিলেন তার কথাবার্তা অনেক মার্জিত ছিল, উনি অনেক হেল্পফুলও ছিলেন, কারো কোন কোশ্চেনে আমি উনাকে বিরক্ত হতে দেখি নি, বরং উনি খুব ই উৎসাহ নিয়ে আমাদের অনেক হেল্প করেছেন। উনাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। বত্ব, উনার নাম ছিল আলম সাহেব। এছাড়া আমাদের গার্ড যিনি ছিলেন উনিও অনেক রসিক মানুষ, আর খুবই মিশুক। আবুল কালাম নাম উনার। উনাকেও ধন্যবাদ। আর লঞ্চের সার্ভিস বয় রাও ভীষণ হেল্পফুল ছিল। তাই, উনাদের এরকম আন্তরিক ব্যাবহারে, পছন্দসই রুম না পাওয়ার পরেও বলতে পারি যে, ওভারঅল ট্যুর টা ভালোই হয়েছে।

খাওয়া দাওয়া সম্পর্কে একটু বলি,
খাওয়া দাওয়া নিয়ে কোনোরকম সমস্যাই হয় নাই। সকালে নাস্তা ৯ টা থেকে ৯.৩০ এর মধ্যে, এরপর ১১ টায় হালকা স্নাক্স, ১.৩০ থেকে ২ টা এর মধ্যে লাঞ্চ, এরপর সন্ধ্যায় নাস্তা ৫.৩০ থেকে ৬.০০ এর মধ্যে, এরপর ডিনার ৯.৩০ থেকে ১০.০০ এর মধ্যে। সেলফ সার্ভিস ছিল খাওয়া দাওয়া। বুফে ছিল না, তবে কেউ মেইন কোর্স এক্সট্রা চাইলে সাথে সাথেই দেয়া হয়েছে, তাই খাওয়াটা শেষ পর্যন্ত বুফের মতই হয়েছে।

আপনার সাথে যদি কোন শুকনা খাবার নাও থাকে তাও কোন অসুবিধা হবে না আপনার। তবুও জলপথ তো, আমার মতে নিজের সাথে কিছু খাবার রাখা ভাল।

এবার আসি কিছু সিরিয়াস সচেতনতামূলক কথাবার্তায়।
ভাই, সুন্দরবন টা আমাদেরই, তাই না ??
কেন প্লাস্টিকের বোতল, নুডুলস, চিপসের প্যাকেট, জুতা, ব্যাগ, নেট এর ব্যাগ ফেলে নোংরা করছেন জায়গাটা ??
আমাদের সাথেই ২ জন ফরেনার ছিল, একজন জার্মানির, অন্যজন কোরিয়ার। এরা যখন ফিরে গিয়ে বলবে বাংলাদেশ নোংরা, মানুষজন সুন্দরবন এর মত জায়গাকেও নোংরা বানিয়ে ফেলেছে, তখন সেটা কি আমাদের জন্য খুব গর্বের ব্যাপার হবে ??
যারা যেখানে সেখানে ড্রিংকস এর বোতল, চিপস এর প্যাকেট ফেলেন তারা একটু ভাববেন দয়া করে।

Post Copied From:Soumit Saha‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

আমার ট্রয় যাত্রা

অনেকের মত আমিও জানতাম ঐতিহাসিক ট্রয় নগরী
গ্রীসে অবস্হিত। তুরস্কে এসে গল্পে গল্পে জানতে
পারলাম সেই বিখ্যাত হেলেনের ট্রয় তুরস্কে। সাথে
সাথে নেটে সার্চ দিলাম। সত্যিই তাই। আবার সেটা
দার্দানেলিস প্রনালীর পাশে। এত কাছে এসে ট্রয় না
দেখে চলে যাব সেটাতো হতেই পারে না। যদিও ট্রয়
সম্পর্কে আমার ধারনা একটা শহর, একটি ঘোড়া ও হেলেন এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে এটুকু বুঝেছি হেলেন খুব সুন্দরী ছিল। এমনি এমনি তো আর ট্রয় ধ্বংস হয় নাই। আবারো সব জান্তা গুগুলকে বললাম ভাই আমারে একটু ট্রয় সম্পর্কে জানাও। বলা মাত্র ৪.৫ জিবি স্পীডে সে বলতে লাগলো গ্রীক পুরানের তিন দেবী আফ্রোদিতি, এথেনা, হেরা, হেলেন ও তার বৃদ্ধ স্বামী মেনেলাউস, ট্রয়ের রাজা প্রীয়ম ও তার দুই ছেলে প্রেমিক প্যারিস ও যোদ্ধা হেক্টর এবং সেই বীর যোদ্ধা একিলিস, যার নাম অনুসারে মানুষের পায়ের প্রধান রগের নাম টেন্ডো একিলিস ইত্যাদি ইত্যাদি। যতই পড়ছি ততই মজা পাচ্ছি। আর তার সাথে সমানুপাতিক হারে বাড়ছে দেখার আকাংখা। কিন্তু চাইলেইতো আর হবে না। একজন সংগী দরকার। তারচেয়েও বড় কথা তাকে আবার তার্কিশ ভাষা জানতে হবে। কারন এখানকার লোকের ইংরেজী জ্ঞান সেইরকম।
যাহোক অনেক চেস্টা-তদবির করে এক বাংলাদেশী
ছাত্রের খোঁজ পেলাম যে কি না ট্রয়ের কাছাকাছি
একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ফোন নং ম্যানেজ করে তার সাথে যোগাযোগ করে তারিখ ঠিক করলাম। তার সাথে কথা বলে আরেকটা বিষয় জানতে পারলাম এই জায়গাটা শুধু ট্রয় নগরীর জন্য বিখ্যাত নয়। বরং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জন্য পৃথিবী ব্যাপী এর পরিচিতি আছে। আর এখানকার সেই যুদ্ধে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে অনেক লোক এসেছিল যুদ্ধ করতে। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও ছিলেন সেই দলে। যাহোক সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নেটের মাধ্যমে বাসের টিকেট কেটে ও হোটেল রিজার্ভেশন দিয়ে ছুটলাম ট্রয় জয়ের উদ্দেশ্যে।
রাত ১২ টায় আমার গাড়ী ছাড়বে চানাক্কেলের
উদ্দেশ্যে আংকারা বাসস্ট্যান্ড থেকে। একে
বাসস্ট্যান্ড না বলে বিমানবন্দর বললেই বেশী মানান সই হতো। আমাদের ঢাকা বিমানবন্দরের থেকে কোনো
অংশে কম নয়। ও বলায় তো হয় নাই ট্রয় নগরীর অবস্থান তুরস্কের এশিয়ান অংশে দার্দানেলিস প্রনালীর পাশে চানাক্কেলে নাম শহরের কাছে। সীটে বসে মনিটর অন করতেই দেখি আমার নাম, কোথায় উঠবো আর কোথায় নামবো সবই স্ক্রিনে ভেসে উঠলো। স্ক্রিনে নিজের নাম দেখে ভালই লাগলো। আর তার সাথে নিশ্চন্ত হলাম সঠিক বাসেই উঠেছি। বাস ছাড়লো ৩ মিনিট দেরীতে ১২:০৩ টায়। হেডফোন কানে লাগিয়ে অঞ্জন দত্তের গান ছাড়লাম। কারন যেতে হবে প্রায় ৭০০ কিঃমিঃ। প্রায় ১০ ঘন্টার জার্নি। এখানকার বাস ও রাস্তা দুটোই ভাল। মনে হয় একে অপরের জন্য তৈরী। তবে সিটগুলো আমাদের দেশের মত আরামদায়ক নয়। এর থেকেও বড় বিপদে পড়লাম। আমার পাশের সিটে যিনি বসেছেন, তিনি প্রচুর পানীয় খেয়ে পুরাই আউট। পাঁচ মিনিট না যেতেই দেখি আমাকে বালিশ বানিয়ে ফেলছে। চিন্তায় পড়ে গেলাম
এতদুরের পথ। তবে বিধাতার সুদৃষ্টি থাকার কারনে হয়তো আমার পিছনে একটা সীট ফাকা ছিল। আর শেষ পর্যন্ত সেখানেই আশ্রয় নিলাম। আর ভয়ে ভয়ে আছি কখন কে চলে আসে। তবে পুরো পথটা ভালভাবেই পৌছালাম চানাক্কেলে বাসস্ট্যান্ডে এবং এখান থেকে ডলমুজ অর্থ্যাৎ মিনিবাসে করে হোটেলে পৌঁছালাম। হোটেলে ব্যাগ রেখেই ছুটলাম হেলেনের ট্রয়কে জয় করার লক্ষ্যে ২ জন বাংলাদেশী ছাত্র সৈকত ও সাদিককে সাথে নিয়ে। ওরা দুজনই এগ্রিকালাচারাল বায়োটেকনোলজিতে পড়ে। সেই সময়ের সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু ট্রয় এখন মূলত একটি পুরাকীর্তির নাম। ট্রয় সম্পর্কে মানুষ প্রথম জানতে পারে গ্রীক কবি হোমারের ইলিয়ড ও ওডিসি
থেকে। ১৮৭০ সালে জার্মান আর্কিওলজিস্ট Heirich
Schliemann কর্তৃক আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত সকলে মনে করতো ট্রয়ের গল্পকথা একটা মিথ। তারপর অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমানিত হয় এটাই সেই ঐতিহাসিক ট্রয় নগরী। ট্রয় নগরী বর্তমান তুরস্কের চানাক্কেলে প্রদেশের Hisarlik নামক জায়গায় দার্দানেলিস প্রনালী ও এজিয়ন সাগরের পাশে অবস্হিত। তার এই অবস্থানের কারনে অর্থাৎ ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যবর্তী হওয়ার কারনে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে অনেক উন্নত ছিল। তুরস্কে ট্রয়কে Truva বলে। এই সমৃদ্ধশালী নগরী শুধুমাত্র হেলেনের কারনে ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়, ব্যাপারটা এত সরল না। খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০ অর্থাৎ এখন থেকে ৫০০০ বছর আগে থেকে শুরু করে রোমান সম্রাজ্য পর্যন্ত অনেকবার এই নগরী তৈরী ও ধ্বংস হয়। এই তৈরী ও ধ্বংসের সময়কালকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়। প্রথম ৫ টির গঠনকাল প্রাথমিক তাম্র যুগে, ৬ষ্ঠ ও ৭ম যাথাক্রমে মধ্য ও শেষ তাম্র যুগে এবং ৮ম ও ৯ম যাথাক্রমে হেলেনেস্টিক ও রোমানদের সময়ে। একদিকে তৈরী হয়। অন্যদিকে কোনো কোনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে তা আবার ধ্বংস হয়। এর মধ্যে ৭ম ট্রয়টা হেলেনের ট্রয় যা ট্রোজান যুদ্ধের কারনে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়।। এতবার ধ্বংসের কারনে অনেকে বলে এটি একটি অভিসপ্ত জায়গা। এমনকি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এখানে ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয় ও ৫ লাখের অধিক সৈন্যের প্রানহানী ঘটে।
যাহোক সুযোগ পেয়ে অনেক জ্ঞানের কথা বলে ফেললাম। ট্রয় নগরী দর্শন করে অভিশপ্ত নগরীর মাটি ও পাথরের টুকরো নিয়ে গ্রীক বীর হেক্টরের সাজে কাঠের তৈরী ঘোড়ার সাথে ছবি তুলে দার্দানেলিস প্রনালীর সৌন্দর্য অবলোকন করতে করতে
চলে আসলাম চানাক্কেলে শহরে অবস্হিত ট্রোজান
ঘোড়ার স্ট্যাচুর কাছে। এই ঘোড়ার মুর্তিটি ২০০৪ সালে
ট্রয় সিনেমার শ্যুটিংয়ের সময় বানানো হয়েছিল। এখন
যা দার্দানেলিসের পাশে শোভা পাচ্ছে।
সবশেষে হেলেনের ট্রয়ের কাহিনীটা সংক্ষিপ্ত আকারে এরকম- স্পার্টার ( গ্রীস) রাজা বৃদ্ধ মেনেলাউসের স্ত্রী ছিল সে সময়ের সবচেয়ে সুন্দরী হেলেন। আর ট্রয় রাজ্যের রাজা প্রীয়মের দুই ছেলে হেক্টর ও প্যারিস। দুইভাই ব্যবসায়ীক কাজে স্পার্টা যায়। আর তখনই প্যারিস ও হেলেন উভয় উভয়ের প্রেমে পড়ে এবং ছোট ভাই প্যারিস, বড় ভাই হেক্টরকে না জানিয়েই হেলেনকে নিয়ে ট্রয়ে চলে আসে। তখন রাজা মেনেলাউস, তার ভাই আগামেনন ও মহাবীর একিলিস প্রায় ১০০০ জাহাজ নিয়ে ট্রয় আক্রমন করে। কিন্ত দুর্ভেদ্র দেওয়ালের কারনে ১০ বছর অবরোধ করেও ট্রয় নগরীর ভিতরে প্রবেশে ব্যর্থ হয় কাঠের তৈরী একটি ঘোড়ার মধ্যে বেশ কিছু সৈন্য রেখে পাশের একটি দ্বীপে আশ্রয় নেয়। গ্রীকরা যুদ্ধ জয়ে ব্যর্থ হয়ে উপহার স্বরুপ এই ঘোড়া রেখে গেছে ভেবে ট্রয়ের লোকেরা ঘোড়াটাকে ভিতরে নিয়ে যায় এবং রাতের অন্ধকারে ঘোড়ার পেট থেকে গ্রীক সৈন্যরা বাহির হয়ে পুরো ট্রয় নগরীকে ধ্বংসস্তুপে পরিনিত করে। এ যুদ্ধে গ্রীকবীর একিলিস, প্যারিস ও হেক্টর মৃত্যু বরন করে।

Post Copied From:Md Mizanur Rahman‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

রকেট এক্সপ্রেস : দর্শনা টু চুয়াডাংগা

রকেট এক্সপ্রেস নাম শুনলেই মনে হয় রকেটের গতিতে ট্রেন চলবে। বাস্তব তার উলটা। দর্শনার কেরু এন্ড কোং দেখে যখন আশে পাশে কি আছে খুজতেছি তখন এক হোটেলয়ালা মামা বয়ান করেন দর্শনা হল্ট নিয়ে। যে কোন জেলা উপজেলা শহরে গেলে আমার সে এলাকার রেল স্টেশন দেখতে খুব ভাল লাগে। এইটা বলতে গেলে পুরান অভ্যাস। কোন কিছু না ভেবেই চলে আসলাম দর্শনা হল্ট। খুলনা থেকে ঢাকাসহ উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ বঙ্গে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর প্রবেশমুখ এই দর্শনা হল্ট ষ্টেশন। জরাজীর্ণ এই স্টেশনে ঢুকে দেখলাম ব্যাপক মানুষের চাপ। স্বভাব বশত আগে চায়ের দোকান খুজে বের করলাম। গ্রাম্য এই রকম রেল স্টেশনে বসে এক কাপ কড়া লিকারের চা এক অন্য রকম আমেজ এনে দেয়। নিজেকে তখন দার্শনিক বা উপন্যাসের পাতা থেকে উঠে আসা কোন চরিত্র মনে হয়। আমার ভ্রমণ সংগী ইমরান ভাইয়ের আবার স্ট্যাম্প এর বাতিক। আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছিলো এই স্টেশন থেকে চুয়াডাঙ্গার যে ট্রেনই পাব উঠে যাব। কারন আলো থাকতে থাকতে ডাকঘরে ঢুকতে হবে। না হলে বিরাট বড় কবিরা গুনাহ হয়ে যাবে। ট্রেনের সময়সূচি চেক করতে গিয়ে দেখলাম খুলনা থেকে রকেট এক্সপ্রেস মেইল ট্রেন ছেড়েছে। টাইম টেবিল ঠিক থাকলে ১.৪৫ এর মধ্যে দর্শনা হল্ট পৌছে যাবে। এর শেষ গন্তব্য পার্বতীপুর তবে মাঝে অনেক ঘাটের পানি খেয়ে যাবে। আমাদের চুয়াডাঙ্গা নামতে পারলেই হল। টিকেট মাস্টারের কাছ থেকে ১৫ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে নিলাম। এখন অপেক্ষার পালা রকেট এক্সপ্রেস কখন আসবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে আমাকে কখনও হতাশ করে না। যথারীতি ১০ মিনিট লেট করে ট্রেন আসলো। ট্রেন থামার সাথে সাথেই ক্ষুর্ধাত শিয়াল যেমন খাবারের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, যাত্রীরাও সে ভাবে ট্রেনের উপর ঝাপিয়ে পড়লো। ব্যাপক সংগ্রামের পর ট্রেনের ভিতর ঢুকে যখন সিট পেলাম তখন চোখে মুখে এক বিশ্বজয়ী হাসি। ট্রেনে উঠে নানা রকম লোকের সন্ধান পেলাম। সবই গ্রামের আলা ভোলা মানুষ। কেউ চালের বস্তা কেউবা মুরগী কেউবা বাজার করে ট্রেনে উঠেছে। বলতে গেলে ট্রেনটাই আমার কাছে চলন্ত বাজার মনে হল। কিছুক্ষন পরপর ফেরিয়ালা নানা রকমের পসরা সাজিয়ে দোকান নিয়ে এই বগি থেকে ওই বগি ছুটছে। ট্রেন চলা শুরু করলো কিন্তু আমার মনটা খারাপ। জানলার সাইডে সিট পেলাম না। ট্রেন চলছে হেলেদুলে। সারাদিন ক্লান্তির পর মনে হচ্ছে আমাকে যেন কেউ মায়ের মমতায় ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে। আহ কি ঝিমুনির ফিলিংস। জানলা দিয়ে বাহিরে তাকলাম। মনে হল পুরা চুয়াডাঙ্গাই সবুজের মত সুন্দর। সবুজের প্রকৃতির আলো ছায়ার খেলা দেখতে হলে আসতে হবে চুয়াডাঙ্গা। সকালে করিমন নামে অদ্ভুতুড়ে যানের কল্যানে কার্পাসডাংগা টু দর্শনা আসতে রোড সাইড ভিউ দেখে আমার মন ভরে গেছে। মনে হয় কোন শিল্পী তুলির সুনিপুন আচড়ে ছবি একে রেখেছে। আল্লাহ’র কি কুদরত। কল্পনার জগৎ থেকে ফিরে আসলাম বাস্তবে আমাদের ট্রেন ছুটে চলছে গন্তব্যের উদ্দ্যেশে। তখনও আমি জানি না আমি ৫০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ট্রেনে জার্নি করছি। এক চাচা মিয়ার মুখে যখন শুনলান উনি এই ট্রেনে পাকিস্তান আমলে চড়ছেন তখন একটু খটকা লাগলো। ততক্ষনে এসে পড়েছি আমাদের কাংক্ষিত গন্তব্যে। চুয়াডাঙ্গা নেমে রকেট এক্সপ্রেসের সব কথা গেলাম ভুলে। ঢাকা এসে গুগল মামার কল্যানে জানতে পারলাম এইটা বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়ান অফ দ্যা ওল্ডেস্ট ট্রেন। যার প্রোডাকশন ইয়ার ১৯৬৫। মাঝে মাঝে শর্ট ডেস্টিনেশন গুলা মনের ভিতর গেথে যায়। দর্শনা টু চুয়াডাঙ্গা আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে রকেট এক্সপ্রেসের সাথে। সময় সুযোগ হলে রকেটে চড়ে হয়তো কোন একদিন খুলনা টু পার্বতিপুর চলে যাব। ততদিন মনের ভিতর গেথে থাকুক রকেট এক্সপ্রেস।

Post Copied From:Ashik Sarwar>Travelers of Bangladesh (ToB)