সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত উপন্যাস সোনার কেল্লা পড়ার পর থেকেই ইচ্ছা ছিল যে রাজস্থানের মরুশহর জয়সলমীর দেখব। নিজেকে কল্পনা করতাম ফেলুদার জায়গায়। এর আগে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও বিভিন্ন কারনে রাজস্থানের এই বিখ্যাত মরুশহরে যেতে পারিনি। তো এবার ঠিক করে ফেললাম যে ঈদের বন্ধে মরুভূমি দেখতে জয়সলমীর যাব। ঢাকা থেকে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে এই মরুশহরে কিভাবে পৌঁছলাম সে এক বিশাল কাহিনী, পরে একসময় এটি নিয়ে লিখব। এইটুকু শুধু বলব যে রাজস্থানের এই মায়াবী মরুশহরের সৌন্দর্য যে কাউকে বিমোহিত করবে। একদিকে যেমন ধু ধু মরুভূমি, অন্যদিকে রয়েছে বিখ্যাত সোনার কেল্লা, সেলিম সিং এর হাভেলি, নাথমলজী হাভেলি, গাদিসার লেক সহ আরও কিছু চমৎকার স্থান। জয়সলমীর এ থাকার জন্য বেশ কিছু চমৎকার হাভেলি হোটেল রয়েছে, এই হোটেলগুলো প্রায় সবই দূর্গের আদলে তৈরি করা। কিছু হোটেল আবার দূর্গের ভিতরেই তৈরি করা হয়েছে, ফলে পদে পদে অনুভব করা যায় ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে। আমি ছিলাম হোটেল রুপমহলে। ট্রিপ অ্যাডভাইসার থেকে এই হোটেল সম্পর্কে জেনেছিলাম। জয়সলমীর-এ প্রতিটি হোটেলের রয়েছে নিজস্ব গাড়ি, মরুভূমিতে কন্ডাক্টেড ট্যুর এর ব্যবস্থা হোটেলগুলোই করে দেয়। এছাড়া কেউ মরুভূমিতে ক্যাম্প এ থাকতে চাইলে তার বন্দোবস্তও হোটেলগুলোই করে দেয়। সব মিলিয়ে বলা যায় মরুভূমিতে চমৎকার কয়েকটি দিন কাটাতে এখানে যাওয়া যেতেই পারে।
যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে কলকাতা বাসে বা বিমানে যাবেন। কলকাতা থেকে সরাসরি জয়সলমীর যাচ্ছে হাওড়া-জয়সলমীর এক্সপ্রেস। তবে এই ট্রেনটি প্রতিদিন চলেনা, তাই হাওড়া-যোধপুর এক্সপ্রেস এ যোধপুর যেয়ে সেখান থেকে বাসে বা ট্রেনে জয়সলমীর যাওয়া যায়। যোধপুর থেকে জয়সলমীর প্রায় ২৮৫ কিমি ও সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টা। এছাড়া কলকাতা থেকে ট্রেনে বা বিমানে দিল্লি যেয়ে, দিল্লি-জয়সলমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধরে জয়সলমীর যাওয়া যাবে
Post Copied From:Mahboob Mirza Ananta>Travelers of Bangladesh (ToB)