মেঘের দেশে ২ দিন

আমরা ২৪ জন,গন্তব্য সাজেক।
এই শুক্রবার রাত ১১ টার গাড়িতে রওনা হলাম,পৌছালাম সকাল ৭ টায়।মালিক সমিতি থেকে গাড়ি নিলাম,শুধু সাজেক যাওয়া আসা করলে আর সাজেকে ১ দিন থাকলে ভাড়া ৭১০০ আর সাথে থাকা খাওয়ার জন্যে হাজার খানেক টাকা গুনতে হয়।সাজেকের যাওয়ার রাস্তার বর্ণনা দেওয়ার ভাষা খুজে পাওয়া দুষ্কর, এক কথায় বলতে গেলে ভয়ংকর সুন্দর।আমাদের কটেজ ঠিক করা ছিল,মেঘ মাচাং।সকালের মেঘ কিং বা সবুজ পাহাড় সাথে রাতের তারা দেখার আর্দশ স্থান মেঘ মাচাং এর বারান্দা।দুপুরে আর্মিংদের রেস্টুরেন্ট এ খাবার পর রুইলুই পাড়া ঘুড়লাম।বিকেলে সুর্যাস্ত দেখতে গেলাম কংলাক পাড়া।
সাজেকের শেষ প্রান্তে কংলাক পাহাড়। এর চূড়াতেই কংলাক
পাড়ার অবস্থান। সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প থেকে এক কিলোমিটার দূরে এ গ্রামের অবস্থান।
এ গ্রামেও
লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বসবাস। কংলাক পাড়া থেকে
ভারতের লুসাই পাহাড় খালি চোখে দেখা যায়।
এ গ্রামের নিচে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আরও
কয়েকটি গ্রাম আছে। তবে এ গ্রামগুলো খুবই দুর্গম।
সন্ধ্যায় আমরা সবাই এক সাথে বসলাম হ্যালি প্যাডের পাশের পাহাড়ে।আকাশে চাঁদ না থাকলেও তারাদের মেলা বসেছিল এই দিন।রাতে আর্মিদের রেস্টুরেন্টে বার বি কিউ করলাম,২৫০ টাকা মাথাপিছু।
পরের দিন ভোর ৫ টা,সাজেকের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য যেন আমাদের জন্যে অপেক্ষা করছিল।পূর্ব কোণে হাল্কা লাল আর চারিদিকে মেঘের মেলা।ভারতের মিজোরাম আর আমাদের পাহাড়ের মধ্যে যেন মেঘের সমুদ্র।এই সৌন্দর্য় হজম করতে না করতেই পাহাড়ের এক কোণায় সূর্য মামার আগমন। সূর্যের আলো পেয়ে আমাদের চারিদিক যেন শুভ্রতায় ভরে গেল।
সকালে নাস্তা করলাম চিম্বাল রেস্টুরেন্টে, তাদের খিচুড়ি ছিল অসাধারণ,ডিম দিয়ে খিচুরি ১০০ টাকা।
এরপর গন্তব্য খাগড়াছড়ি। যাবার পথে গাড়ি খারাপ হওয়ায় দুপুরে ব্যাম্বো সুট আর রাতে সিস্টেম রেস্টুরেন্টে খাওয়ার কথা থাকলেও শুধু
ব্যাম্বো সুটে রাতে খেলাম।আর দুপুরবেলা গেলাম আলুটিলা,রিসাং ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রিজ।আলুটিলার অন্ধকার আর রিসাং এর উচু থেকে ড্রাইভিং এর আসল মজা না নিলে খাগড়াছড়ি ভ্রমণ অসম্পূর্ণই থেকে যায়……….

Post Copied From:

Nasrullah Kanon‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

Leave a Reply

Your email address will not be published.