হ্যাভলক দ্বীপের রাধানগর বিচ ভারত

হ্যাভলক দ্বীপের রাধানগর বিচ
ঢাকা , কলকাতা , দিল্লি , চেন্নাই ইত্যাদি অনেক জায়গা থেকে পৌঁছতে পারেন ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে। কলকাতা ও চেন্নাই থেকে জাহাজেও যাওয়া যায়। যাইহোক – ভোরের ধাতব পুস্পক রথে চেপে পোর্টব্লেয়ারে নাবার সময় ঘড়িতে প্রায় ৭.৩০। পাখির চোখ দিয়ে দেখেছিলাম একগাদা সবুজ টুকরো নীল সমুদ্রের বুকে। বৃষ্টি ধোয়া সবুজ দ্বীপটায় পা দিয়ে নিজেকে বীর সাভারকার না মনে হলেও , ভালোবেসে ফেললাম দ্বীপটাকে। জানতাম না গাছের পাতার রং এতটা সবুজ হয়। এবারে আমার মাছের চোখ ছিল হ্যাভলক দ্বীপের রাধানগর বিচ। উইলিয়াম হ্যাভলক এর ছেলে হেনরী হ্যাভলকের নামে এ দ্বীপ টার নাম হয়েছিল। মাথার উপর মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখে মস্তকের পশ্চাৎ দেশে বিরল কুন্তলরাশিতে হাত বুলিয়ে ভাবার চেষ্টা করলাম , বায়ু মন্ডলের চাপে বিপুল উর্মিমালার মধ্যে কি গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব ? চাপ হয়েগেছে বস , সহজ ভাষায় – এই ভেবে মাথা চুলকোচ্ছিলাম যে ওয়েদার খারাপ থাকলে ৪০ কিমি সমুদ্র পাড়ি দি কি করে? পরের দিন সূর্যদেব সহাস্যে সমস্যাটা দূর করে দিলেন। আমাদের দ্রুতগামী জাহাজটার নাম ছিল ম্যাক্স। কয়েক ঘন্টা নীল সমুদ্রে দৌড়ে সে আমাকে পৌঁছে দিলো হ্যাভলক দ্বীপে। অবাঙালি ট্যুরিস্ট বেশি ছিল এই সময়। দেখলাম বাঙালি বা অবাঙালি , ব্যাপারটা একই , জল থেকে ডাঙায় নেবেই উদ্ভ্রান্তের মতো গাড়িওয়ালাদের সঙ্গে দরাদরি। একটা মজার ব্যাপার হলো এ দ্বীপে বেশিরভাগ মানুষ বাংলায় কথা বলেন।
একটি গাড়ি মাত্র আধ ঘন্টায় আমাকে ঘন সবুজ গাছগাছালির মধ্যে দিয়ে পৌঁছেদিল। রাধানগর বিচে দাঁড়িয়ে বুঝলাম কেন একে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিচ বলা যায়। নীল আকাশ দিয়ে মোড়া পরিষ্কার সাদা বালির বিচ, সবুজ পাহাড় দিয়ে ঘেরা। দিঘার সমুদ্রের মতো ঘোলাটে জল নয় , বরং ঘন নীল জল পায়ে সুড়সুড়ি দেয় এখানে। বিচটা সবুজ জঙ্গলে ঘেরা , এতগুলো প্রকৃতির রং এখানে মিশে অদ্ভুত সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে। এখানে কয়েকটি প্লাস্টিকের ঈগলুও (সরকারি ) আছে থাকার জন্য। এ ছাড়া এ দ্বীপে এখন গাদা গাদা হোটেল হয়েছে। হ্যাভলক থেকে ফেরার সময় ঢেউয়ের বিপরীতে চলতে হয় তাই সময় একটু বেশি লাগে। ফেরার জাহাজে বসে দুলুনি উপভোগ করতে করতে ভাবলাম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া প্রয়োজন। জাহাজের পেছন দিকে অনেকগুলি শৌচাগার। গিয়ে দেখি , একাধিক মনুষ্য প্রজাতির প্রাণী ক্রমাগত উদগিরণ করে চলেছেন। আমার আর ডাকে সারা দেওয়া হলো না , জাহাজের কর্মীরা বললেন , ফেরার সময় ঢেউয়ের বিপরীতে চলার জন্যই এই বিপত্তি।

বোটানিক্যাল গার্ডেন

#বাকৃবির_নিসর্গ_বোটানিক্যাল_গার্ডেন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অপার সৌন্দর্য্যকন্যা বোটানিক্যাল গার্ডেনটিকে একনজর দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ ছুটে আসে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ সম্পর্কে অতি সহজে ধারণা পাওয়া যায় এ বাগানে।
যা বিমোহিত করে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের। বোটানিক্যাল গার্ডেন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা বোটানিক গার্ডেন্স কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনাল (বিজিসিআই) কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রথম বোটানিক্যাল গার্ডেন এটি।
বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় গাছেদের মানুষের কাছে তুলে ধরতে ১৯৬৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ এবং তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওসমান গণির হাত ধরে ২৫ একর (প্রায় ৭৫বিঘা) জমি নিয়ে গার্ডেনটি যাত্রা শুরু করে। গার্ডেনটি শুধু যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য এনে দিয়েছে তাই নয়, এর মাধ্যমে পুরো ময়মনসিংহ শহরে পেয়েছে নতুন মাত্রা। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে গড়ে ওঠা এ গার্ডেনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনোদনের পাশাপাশি ভ্রমনপিপাসু ও স্থানীয় বিনোদনপ্রেমীদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ, চিরহরিৎ বনাঞ্চল, ঝাউ-থুজা, ঊষর মরুর বুকে প্রাণ জাগানিয়া রক গার্ডেন, শাপলা-পদ্মফুলের ঝিল, কৃত্রিম দ্বীপ, নারিকেল কর্ণার, বিলুপ্তপ্রায় বাঁশঝাড়সহ বিচিত্র উদ্ভিদরাজির সমাহার এ বোটানিক্যাল গার্ডেন।
#যেভাবে_যাবেন :
ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ১৫-২০ মিনিট পরপর ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ে। এনা, শ্যামলী বাংলা, আলম এশিয়া, সৌখিন, সোনার বাংলা প্রভৃতি বাসে চড়ে আসতে পারেন। সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। এনা গাড়িতে আসলে ভাড়া নেবে ২২০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য ইত্যাদি গাড়িতে ভাড়া প্রায় ১২০-১৫০ টাকা। এছাড়া আপনি ট্রেনে চড়েও আসতে পারেন। বাসে আসলে ময়মনসিংহ এসে মাসকান্দা বা ব্রিজ মোড় নামিয়ে দিবে। মাসকান্দা হতে ক্যাম্পাসে আসতে অটোতে সবোর্চ্চ ভাড়া ২০ টাকা এবং ব্রিজ মোড় থেকে অটোতে ১০ টাকা লাগবে।

ভুটান – সবুজ আর পাহাড়ী সৌন্দর্য্যের মায়াজাল (ভ্রমণ গল্প ও গাইডলাইন)

ভুটান – সবুজ আর পাহাড়ী সৌন্দর্য্যের মায়াজাল (ভ্রমণ গল্প ও গাইডলাইন)

ভুটান ,মনে হয় সবুজ পাহাড়ী সৌন্দর্য্যে একটা দেশ নিজেকে সাজিয়েছে ,পাহাড়ের প্রতিটি ভাজে ভাজে সবুজ সৌন্দর্য্য তার মাঝে ভুটানিদের আলাদা ধাঁচের বাড়িগুলো যেন সৌন্দর্য্যটাকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে 🙂

স্বপ্নযাত্রা গ্রুপ থেকে আমাদের টিম নিয়ে ঘুরে এসেছি ভুটানে সেই গল্পটাই এখানে বলবো 🙂

পাহাড়ের মাঝে অবস্হিত থিম্পু সিটি

প্রতিটি দেশ আসলে তার গঠন দিক থেকে ভিন্ন যখন আপনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করবেন একটা ভিন্নতা দেখবেন আবার যখন ভারত থেকে ভুটানে প্রবেশ দেখবেন দেখবেন সম্পূর্ণ নতুন ভিন্নতা আমি যখন ভারত থেকে ভুটানে প্রবেশ করি তখন অবাক হয়ে যাই শুধুমাত্র একটা গেট সব বদলে দিলো । পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নিয়ম কানুন সম্পন্ন ভিন্ন এক জগৎ যেন ভুটান । এক কথায় বাড়ির কাছেই যেন ইউরোপ 🙂

ভুটানে মুলত তিনটা শহর ট্যুরিস্টদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজধানী থিম্পু ,পুনাখা ও পারু । তিনটি শহর কাছাকাছি দুরত্বেই অবস্হিত 🙂 অনেকে থিম্পু ঘুরে এসেই বলে ভুটান দেখা শেষ অথচ মোটামুটি দেখতে হলেও আমি বলবো এই তিনটা শহর আপনার দেখা উচিত 🙂

ভুটানে আসলে কি দেখবেন ? এই প্রশ্নটা বেশ প্রাসঙ্গিক ,সত্যি বলতে পুরো ভুটানটাই সুন্দর সাজানো গোছানো ,নির্দিষ্ট করে কিছু দেখবেন এমন বলার চেয়ে পুরো ভুটানই দেখবেন এমন বলাই শ্রেয় 🙂

রাত সাড়ে আটটার বাসে বুড়িমারি বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলাম আমরা ,সকালে নেমে বুড়ির হোটেলে নাস্তা সেরে ইমিগ্রেশন শেষ করে ভারত প্রবেশ করে আমাদের সাথে থাকা ডলার ও টাকাগুলোকে রুপিতে কনভার্ট করে নিলাম , ভুটানে ভারতীয় রুপি চলে সেজন্য রুপি করে নেওয়াই উত্তম । রুপি করে আমাদের জন্য আগে থেকেই ঠিক করা টাটা সুমোতে উঠে পড়লাম গন্তব্যটা এবার ভুটানি বর্ডার জয়গাও /ফুন্টসোলিং এ ,আড়াই ঘন্টার মত সময় লাগলো পৌছে গেলাম ,ভারতীয় অংশ থেকে এক্সিট সিল নিয়ে এবার ভুটান ভিসা অফিস থেকে ভুটানের ভিসা দিয়ে দিলো আমাদের 🙂 একদম বিকেল হয়ে গিয়েছে যাক এবার সবাই নিশ্চিতভাবে সব শেষ করে ভুটান প্রবেশই করে ফেললাম সবার মাঝে একটা স্বস্তির ভাব 🙂 যাই হোক খাবার খেয়ে নিলাম পেটপুরে সবাই 🙂

আগে থেকে বুক করা ট্যুরিস্ট বাস ভুটান বর্ডারেই দাঁড়িয়ে ছিলো ,খেয়ে দেয়ে উঠে পড়লাম এবারের জার্নিটা প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টার, গন্তব্যটা ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ,থিম্পু ফুন্টসোলিং থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দুরে । যাত্রা শুরু হয়ে গেলো আর সবার মাঝেই নতুন কিছু দেখার আগ্রহী চোখ দেখতে পেলাম নতুন দেশ নতুন কিছুই সব । ফুন্টসোলিং মুলত নীচু শহর আর থিম্পু উচু শহর সেজন্য যাত্রা শুরু করে আস্তে আস্তে পাহাড়ী আকা বাঁকা রাস্তাতে উঠতে থাকবেন ,যেহেতু থিম্পু উপরের দিকে অবস্হিত সেহেতু ঠান্ডা হাওয়ার আভাস রাস্তাতেই পাবেন 🙂 মাঝপথে বেশ কয়েকবার বিরতি নিয়ে চা কফি খেয়ে সবাই তরতাজা হয়ে নিলাম ,আর পাহাড়ী রাস্তায় সবার গলাতেই ক্লাসিক গানের ঝড় উঠলো বিশেষ করে প্রিয়া পু ,ওয়াবয়দা আর কিশোরের গানে কখন যে থিম্পু এসে পৌছে গেছি সেটা টেরই পেলাম না ।

থিম্পু প্রবেশ করেই বুঝলাম শহরটা খুব সাজানো গোছানো ,রাতের নিয়ন আলোতে মনে হলো মায়াবী কোন শহরে প্রবেশ করেছি , সবগুলো বিল্ডিং এর প্যাটার্ন এক ধরনের আর চারপাশ পাহাড়ী ঘেরা সাজানো গোছানো ।

থিম্পু বুদ্ধা পয়েন্টে আমাদের স্বপ্নযাত্রা টিম

থিম্পু প্রবেশ করতে করতে আমাদের রাত এগারোটা বেজে গেলো ,শহরে ঢুকেই আগে থেকে বুক করা হোটেলে উঠে পড়লাম ,এক্ষেত্রে একটা কথা বলে দেওয়া ভালো যাদের হোটেল আগে থেকে বুক করা নেই এরা বিপদে পড়তে পারেন সেক্ষেত্রে ওইদিন ফুন্টসোলিং থেকে পরদিন থিম্পুর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে পারেন অথবা গাড়ীর ড্রাইভারের সাথে যোগাযোগ করে হোটেল বুকিং করার চেষ্টা করতে পারেন বা আমাকে নক দিলেও একটা হোটেল রফাদফা করে দিতে পারবো ইনশাল্লাহ 🙂

ক্লান্ত ছিলাম বলে ঘুমটা বেশ হলো রাতে সকাল সাতটায় ঘুম ভেঙ্গে গেলো বাইরে তাকিয়ে দেখলাম চমৎকার সুন্দর সকাল ,হোটেলেই নাস্তা সেরে নয়টার মধ্যে সবাইকে নিয়ে ট্যুরিস্ট বাসে উঠে পড়লাম আজকের দিনটা থিম্পুর জন্য ,

থিম্পু পার্লামেন্ট এবং সিটির আরও একটা অংশ ।

থিম্পু ভুটানের রাজধানী ,গোছানো শহর এখানে সবাই নিয়ম কানুন মেনে চলে দেখতেই মন ভরে যায় , সকালে আমাদের ট্যুরিস্ট বাস এসে হাজির ,ট্যুরিস্ট বাসগুলো খুবই চমৎকার আরামদায়ক যাই হোক নাস্তা সেরে গাড়ীতে উঠে গেলাম প্রথমে চললাম বুদ্ধ দরদেনমা স্ট্যাচু বা বুদ্ধ পয়েন্টে ,বিশাল আকৃতির বুদ্ধের স্ট্যাচু রয়েছে সাথে চারপাশের পাহাড়ী পরিবেশ এই জায়গাটিকে থিম্পুর ওয়ান অফ দ্য বেস্ট টুরিস্ট স্পটে পরিণত করেছে ।

থিম্পু বুদ্ধা পয়েন্ট
এটা দেখে উপর থেকে ভিউ পয়েন্টে থেকে থিম্পু শহরটাকে দেখে নিলাম ,থিম্পু শহরের চারপাশেই উঁচু উঁচু পাহাড় যা থিম্পু শহরটাকে ভিন্ন একটা মাত্রা দিয়েছে যাই হোক গাড়ী আবারও ছুটে চললো কিংস মেমোরিয়াল চর্টেন, বুদ্ধ , সিমতোখা জং, তাকিন রিজার্ভ বা চিড়িয়াখানা ,ভুটানের পার্লামেন্ট ভবন রাজপ্রাসাদ সব দেখে বিকালে আবারও হোটেলে ফেরত এসে পড়লাম । সন্ধ্যায় সবাই মিলে থিম্পু শহরটা হেটে হেটে দেখলাম এখানকার মার্কেটগুলোতে সবকিছুর দাম একটু বেশিই মনে হলো । মার্কেটে ফ্রেশ আপেল পাবেন আমরা দুই কেজি কিনে সবাই মিলে আপেল খেলাম । যেকোন শহরেই ঘুরতে যাননা কেন শহরটাকে ভালো করে বুঝতে আপনার হেটে হেটে শহরটা একবার ভ্রমণ করা উচিত এতে ওই শহরের অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন বা ধারণা পাবেন যা হয়তো গাড়ীতে ঘুরে পাবেন না 🙂

পরদিন পুনাখা যাবো ,পুনাখা যাবার জন্য থিম্পু অফিস থেকেই একটা পারমিট নিতে হয় । আমার ওখানকার লোকাল গাইড আগে থেকেই পারমিট নিয়ে রেখেছে সেজন্য সকালে উঠেই পুনাখার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম ,পুনাখা প্রাকৃতিক ভাবে অনেক সুন্দর শহর । যাবার পথেই পড়বে দোচালাপাস , এটি ভুমি থেকে ১০১৭১ ফুট উঁচু ,চারপাশে মেঘ ঢেকে থাকে অধিকাংশ সময় আর শীতকালে বরফ পাবেন এখানে 🙂 এখানেই আমরা নাস্তা সেরে নিলাম চমৎকার একটা রেষ্টুরেন্ট রয়েছে ,আপনারা সকালের নাস্তাটা এখানেই সারতে পারেন 🙂

দোচালা পাস শেষ করে রওয়ানা হলাম পুনাখা জং দেখতে ,পুনাখা জং হলো পুনাখার সরকারী প্রধান অফিস ,এটি বহু আগে নির্মিত একটি দুর্গ ,যা বর্তমানে অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ,পুনাখা জং এর পাশ দিয়েই বয়ে গেছে পুচো রিভার 🙂 পুনাখা জং এর ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে অনেক কিছুই জানতে পারবেন একজন গাইড আপনাকে পুরো জংটি ঘুরিয়ে দেখাবে 🙂

পুনাখা জং

পুনাখা জং দেখার পর কিন্তু সবাই একটু এক্সাইটেড হয়ে উঠলো কারণ আমরা এখন রাফটিং করতে যাবো এই্ পুচো নদীতেই 🙂 চলে গেলাম পুচো রিভারের রাফটিং পয়েন্টে ,রাফটিং বোটে সবাই উঠে পড়লাম ,সত্যি মুগ্ধ হওয়ার মতো একটা নদী আর নদীর চারপাশ ,রাফটিং বোটের স্রোতের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ,সবার ভয়ে আনন্দের চিৎকার পুরো সময়টা ছিলো এডভেঞ্চার ভরপুর । যারা ভুটান আসবেন রাফটিং অবশ্যই করবেন 🙂

পুচো নদীতে রাফটিং এ স্বপ্নযাত্রার মেম্বাররা

এই পুচো নদীর উপর দিয়েই রয়েছে আরও একটা জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট সাসপেনশন ব্রিজ ,এটি ১৬০ মিটার লম্বা ঝুলন্ত একটি ব্রিজ ,চারপাশের প্রকৃতি আর এই ব্রিজের নির্মাণশৈলী এককথায় আপনাকে মুগ্ধ করবেই 🙂

যাই হোক সারাদিন শুধু মুগ্ধতার উপরেই ছিলাম …শেষ বিকালের আলো যখন পুনাখার পাহাড়গুলোকে ছুয়েগেলো মুগ্ধতা আরও বেড়ে গেলো । সন্ধ্যায় হোটেলে উঠে পড়লাম । হোটেলের খোলা ছাদ থেকে মুগ্ধতা আরও বেড়ে গেলো …রাত পর্যন্ত আড্ডা আর গান যেন সময়গুলোকে আরও রঙ্গিন আর স্মৃতিময় করে দিলো 🙂

সাসপেনশন ব্রীজ

সকালে উঠে আজ আমাদের গন্তব্য পারো ,পুনাখা থেকে পারু যেতে প্রায় আড়াই তিন ঘন্টার মতো সময় লাগে ,পারুতে প্রথম যে জিনিসটা দেখার জন্য গাড়ীর কাঁচটা একটু নামিয়ে দিয়ে উঁকি খুঁকি দিবেন সেটা হলো পারু চো রিভার ,পারু শহরের মাঝ দিয়েই এই নদীটি গিয়েছে ,পারুতে প্রবেশের পর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম এখানকার পাহাড়গুলোর ধাঁচটা একটু ভিন্ন ,ছোট ছোট গাছ আর ঘাসে ভরপুর খাড়া উচু উচু পাহাড়ের পাশ দিয়েই পাহাড়ি রাস্তা আর রাস্তার পাশ দিয়েই পারু চো নদী বয়ে গেছে ,স্বচ্ছ নীলাভ পানি আর পাহাড়ী সৌন্দর্য্যের টানে গাড়ীটা একটু দাঁড় করিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে দেয়া যায় 🙂

পারু প্রবেশের রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পারু রিভার
পারুতে দুপুরের খাবার খেয়েই চলে গেলাম চেলালা পাস ,চেলালা পাস ১৩০৮৪ ফুট উচুতে অবস্হিত ,উপরে উঠতে উঠতে ঠান্ডার আভাস পাওয়া যাচ্ছিলো ,চেলালা পাস যখন গাড়ী পৌছালো ,সবাই বের হয়েই আবার এক দৌড়ে গাড়ীতে চলে আসলো ,কি ঘটনা ? কি ঘটনা ? আসলে গাড়ীতে থাকায় বুঝিনি বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা । সবাই শীতের কাপড় নিয়ে আবার বের হলো । এই চেলালা পাসে জানুয়ারী ফ্রেবুয়ারীতে স্নোফল পাওয়া যায় ,বের হয়েই বুঝলাম এখানে স্নোফল না হলে আর কোথায় হবে বাতাস আর ঠান্ডা মেঘ আমাদের একদম কাবু করে দিচ্ছিলো কিন্তু সবার উৎসাহ খুব দেখার মতো ছিলো ,সবাই চেলালা পাসের একদম উপরে উঠার জন্য দৌড়াচ্ছিলো যাতে ঠান্ডা কম লাগে 🙂 ঠান্ডায় কাবু হলেও সবাই্ খুব উপভোগ করছিলো তা বুঝাই যাচ্ছিলো 🙂 এখানে একটা মাত্র ছোট্র দোকান আছে যেখানে চা পাওয়া যায় ঠান্ডা বাতাসে আটসাট হয়ে গরম চা খাওয়াটা মন্দ ছিলোনা 🙂

চেলালা পাস শেষ করে হোটেলে চলে আসলাম ,এসে তো সবার চোখ এক জায়গায় স্হির সেটা হলো আমাদের রিসোর্টের ভিতরেই আপেল বাগান এবং টসটসে পাঁকা আপেল ভর্তি গাছ । আর পায় কে সবাই আপেল নিয়ে খাওয়া শুরু করলো …আপেল ফটোসেশন আপেল খাওয়া সেশন সব যেন একসাথে চলছিলো 🙂

রাতে পারু শহরে ঘুরোঘুরি হলো এসে আবার ঘুম কারণ কাল ট্রেকিং করে আমরা টাইগার নেস্ট উঠবো 🙂

নাস্তা সেরেই টাইগার নেস্টের দিকে ট্যুরিস্ট বাস করেই রওয়ানা হলাম ,একটা পয়েন্ট নিয়ে নামিয়ে দিলো এখান থেকে ট্রেক করেই উঠতে হবে টাইগার নেস্টে । টাইগার নেস্টের উচ্চতা ১০২৪০ ফুট ,কিন্তু পুরোটা ট্রেকিং করতে হয়না গাড়ী অনেক উপর পর্যন্ত যেতে পারে সেখান থেকে দুই আড়াই ঘন্টা হাটতে হয় তবে চাইলে ঘোড়াতে করেও অনেকটা পথ উঠতে পারবেন । ভুটানের সিগনেচার ট্যুরিস্ট স্পট হলো এই টাইগার নেস্ট ,যারাই ঘুরতে আসে তাদের বড় একটা অংশ টাইগার নেস্টে উঠে ,এর উপরেই রয়েছে পারু তাকসাইং মনেস্ট্রি ।

টাইগার নেস্ট এর মনেস্টির সামনে আমরা 🙂 আপনি এই পর্যন্ত যেতে চাইলে কোন টিকেট লাগবেনা ।

সবার কিছুটা কষ্ট হলেও যখনই উপরে উঠতে পেরেছে সবার মাঝেই বিজয়ী ভাব চলে এসেছে ,তাকসাইং মনেস্ট্রিতে প্রবেশ করতে চাইলে ৫০০ রুপি দিতে হবে আর ছাত্রদের জন্য ২৫০ রুপি । মনেস্ট্রিতে প্রবেশ না করলে টিকেট কাটার কোন প্রয়োজন নেই 🙂

টাইগার নেস্ট শেষ করে নীচে চলে আসলাম এখানে বেশ কিছু দোকান পাট রয়েছে ভুটানে যদিও সব কিছুর দাম বেশি এখানে মনে হলো অন্য জায়গার অর্ধেক ,যদিও কিছু কেনাকাটার প্লান ছিলোনা কিন্তু এখানকার দাম কম দেখে বাসার সবার জন্যই কিছু না কিছু কিনে নিলাম ,আমি যে এত ঘুরতে বের হই এটা ঘুষ হিসেবে নেই আরকি ;p যেন কিছু না বলতে পারে :p

বিকালের মধ্যে হোটেলে ফিরে এসে সবার ফ্রি টাইম সবাই নিজেদের শপিং এর জন্য বের হয়ে গেলো ফিরে আসলো ব্যাগ ভর্তি শপিং নিয়ে কারণ আগামীকাল আমরা বাংলাদেশে চলে আসবো 🙂

পরদিন খুব ভোরে উঠেই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম কারণ পারো থেকে ছয় ঘন্টা লেগে যায় বর্ডারে পৌছাতে মানে ফ্রুটসুলিং ,এখানে পৌছে আবার বাংলাদেশ বর্ডারে আসতে আড়াই ঘন্টা । মোটামুটি বিকাল সাড়ে তিনটার মধ্যেই বুড়িমারী পৌছে গেলাম ।

এসে যা শুনলাম মোটামুটি বিশাল চিন্তার বিষয় ,যমুনা সেতুর মেরামতের জন্য রাস্তায় ২৫ ঘন্টার জ্যাম কোন বাসই ঢাকা থেকে ফিরতে পারছেনা যা রওয়ানা হয়েছে সেগুলোও ঢাকা পৌছাতে পারেনি পুরো বুড়িমারি বাস কাউন্টার ফাঁকা কোন গাড়ী নেই ,যাত্রীরা এসে সবাই কাউন্টারে বসে আছে । আমাদের আগে থেকে বুক করা গাড়ী এখনো ঢাকা থেকেই রওয়ানা হতে পারেনি জ্যামের জন্য 🙁 কি করার কি করার ,পরে সবার সাথে কথা বলে বড় হাইস গাড়ী রিজার্ভ করে আসলাম রংপুর শহরে । এটা যেহেতু বড় শহর চিন্তাই ছিলো যে একটা না একটা ব্যবস্হা হবেই । অনেক দৌড়ঝাঁপ করে আল্লাহর রহমতে বাসের টিকেট ও পেয়ে গেলাম 🙂 যাক একটা ব্যবস্হাতো হলো ,আমাদের ড্রাইভারও ছিলো চালু খুব ,সে কোথায় কোথায় গ্রাম গন্জের রাস্তা দিয়ে আমাদের সকাল আটটায় ঢাকা নিয়েআসলো অথচ অন্যান্য গাড়ী ১৫/২০ ঘন্টায়ও ঢাকা পৌছাতে পারছিলোনা 🙂 সবাই সুন্দরভাবে অসম্ভব সুন্দর কিছু স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরে আসতে পেরেছি 🙂

সবাইকে সুন্দরভাবে ঢাকা পৌছাতে পেরে নিজের ভিতরেও একটা স্বস্তি কাজ করলো 🙂

পুরো ট্রিপের ছবিগুলো দেখতে পারেন এই লিংক থেকে

কি ভুটানে যেতে খুব ইচ্ছা করছে তাইনা ? বাকী গাইডলাইনগুলোও দিয়ে দিচ্ছি তাহলে

ভিসা কিভাবে করবো : ?

ভুটানে যাবার জন্য আগে থেকে ভিসার প্রয়োজন হয়না বর্ডারেই পাসপোর্টে ইন্সট্যান্স ভিসা দিয়ে দেয়
ভুটানে আপনি বাংলাদেশ থেকে দুইভাবে যেতে পারেন বিমানে এবং ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসা নিয়ে । ভুটানের একটিই মাত্র আন্তজার্তিক বিমানবন্দর যা পারো সিটিতে অবস্হিত । ঢাকা থেকে ভুটান রিটার্ন টিকেট ২০-২২ হাজার টাকার মধ্যে পাবেন । বিমানে গেলে আর ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসার প্র্রয়োজন নেই 🙂 পারু বিমানবন্দরেই ভিসা দিয়ে দিবে ।

আর বাই রোডে গেলে ভারতের ট্রানজিট ভিসা নিতে হবে ট্রানজিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এই পোস্টে পাবেন 🙂 ট্রানজিট ভিসা ছাড়া ট্যুরিস্ট ভিসায় ভুটান যাওয়া যায়না 🙂

বাই রোডে যারা যাবেন তারা বাংলাদেশের বুড়িমারি হয়ে ভারতে প্রবেশ করবেন তারপর বর্ডার থেকে ৬৫ কিমি দুরে জয়গাও হয়ে ভুটানের ফুন্টসোলিং দিয়ে প্রবেশ করবেন ,গেটের কাছেই ইমিগ্রেশন অফিসে সাথে সাথে পাসপোর্টে সিল মেরে ভুটানের ভিসা দিয়ে দিবে ,পাসপোর্টের ফটোকপি এবং এক কপি ছবি নিয়ে যাবেন ।

ভুটানের হোটেল ও খাওয়া দাওয়া :

ভুটানে আগে থেকে হোটেল বুকিং দিতে হয় ট্রানজিট ভিসা এবং ভুটানের ভিসা পেতেও হোটেল বুকিং এর পেপারস প্রয়োজন হয় । অনলাইনে বুকিং ডট কম সহ আরও অনেক সাইট আ্ছে যার মাধ্যমে বুকিং দিতে পারবেন এছাড়া আমাকেও নক দিতে পারেন বুকিং দিয়ে দিতে পারবো । হোটেলের ধরণ অনুযায়ী কাপল রুমগুলো ১ হাজার থেকে তিন /চার হাজার রুপির রুম পাবেন । এবার আসি খাবারের ব্যাপারে ভুটানের খাবার খুব একটা সুবিধার না এবং এক্সপেন্সিভ অনেক একবেলা খেতে দুই আড়াইশো রুপি নরমালী চলে যায় । সব হোটেলেই আগে থেকে অর্ডার দিতে হয় তারপর খাবার প্রস্তত করে দেয় ।

ঘুরোঘুরি কিভাবে করবো :

আমার প্লানটা ফলো করলেই মোটামুটি ভালোভাবে ভুটান দেখা হয়ে যাবে 🙂 ফ্রুটসুলিং থেকেই গাড়ী পাবেন তবে লোকাল গাড়ী খুব একটা পাওয়া যায়না । যদি তিন চারজনের দল হয় তবে মারুতি গাড়ীগুলো রিজার্ভ নিতে পারেন প্রতিদিন ২৩০০-২৮০০ রুপির মতো চার্জ করবে আপনাকে । আর সাত আটজনের জন্য টাটা সুমো গাড়ী প্রতিদিন ৩৫০০ -৩৮০০ রুপির মতো চার্জ করবে । একদম গাড়ী রিজার্ভ করে ঘুরলে ঘুরে মজা পাবেন এবং ঝামেলাও একদম কমে যাবে 🙂 আমরা ১৫জনের টিম ছিলাম আমরা ঘুরেছি ২২ সিটের ট্যুরিস্ট বাস দিয়ে একদম পুরো ভুটান আমাদের সাথে ই গাড়ী ছিলো বর্ডার থেকে নিয়েছি পুরো ভুটান ঘুরে আবার বর্ডারেই নামিয়ে দিয়েছে 🙂

আর কি কিছু জানার আছে ?

ভুটানে সব জায়গায়ই ভারতীয় রুপি চলে সো বর্ডার থেকে সব টাকা বা ডলার ভারতীয় রুপি করে নিবেন 🙂

ভুটানে অনেক টুরিস্ট স্পটে টিকেট লাগে যেমন পুনাখা জং এ তিনশো রুপি করে লাগে । এমন আরও কিছু স্পট রয়েছে ।
ভুটান ধুমপান মুক্ত দেশ ,কখনো ভুলেও বাইরে ধুমপান করবে না ধরা খেলে জরিমানা করবে ক্ষেত্রবিশেষ ভিসাও ক্যানসেল করে দেয় । খুব প্রয়োজন হলে হোটেল রুমে ধুমপান করবেন ।
সবাই দুই কপি করে পাসপোর্টের ফটোকপি ও দুই কপি ছবি সাথে রাখবেন অনেক সময় প্রয়োজন হয়
ভুটানে মোবাইল সিম এভেইলেভেল পাবেন দুই আড়াইশো রুপি নিবে দশ পনের মিনিটের মধ্যেই এ্যাকটিভ হয়ে যাবে জাস্ট পাসপোর্টের ফটোকপি দিলেই সবজায়গায় সিম পাওয়া যায় ,মোটামুটি সব জায়গায় থ্রিজিও পাবেন । ভুটানে প্রবেশ করেই ফ্রুটসুলিং এ সিম কিনতে পারবেন 🙂
শপিং এর জন্য ভুটান ভালো জায়গা নয় সবকিছুর দাম বেশি তবে টাইগার নেস্ট পয়েন্টে কম দামে অনেক কিছু পাবেন শপিং করলে ওখান থেকে করতে পারেন ।

ঘুরে আসুন ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার.

ঘুরে আসুন ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার

নওগাঁর অন্যতম বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে তৈরি করেছিলেন এটি, যা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার নামেও পরিচিত।

বর্তমানে এটি রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বাদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। ইংরেজ প্রত্নতত্ত্ববিদ ও মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম ১৮৭৯ খিস্ট্রাব্দে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার আবিষ্কার করেন। তখন পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী পুন্ড্রনগর (বর্তমানে বগুড়ার মহাস্থানগড়)এবং অপর শহর কোটিবর্ষ (বর্তমান ভারতের বানগড়)-এর মাঝামাঝিতে অবস্থিত ছিল এই বিশালকায় স্থাপনা। ১৯৮৫ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয় ইউনেস্কো।

বৌদ্ধ বিহারটি চার কোনা। এর চারদিক চওড়া সীমানা দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। সীমানা দেয়াল বরাবর অভ্যন্তর ভাগে সারিবদ্ধ ছিল ছোট ছোট কক্ষ । উত্তর দিকের বাহুতে ৪৫টি এবং অন্য তিন দিকের বাহুতে রয়েছে ৪৪টি করে কক্ষ। এই কক্ষগুলোতে তিনটি মেঝে আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রতিটি মেঝে বিছানো ইটের ওপর পুরু সুরকি দিয়ে অত্যন্ত মজবুতভাবে তৈরি করা হয়েছিলো। সর্বশেষ যুগে ৯২টি কক্ষে মেঝের ওপর বিভিন্ন আকারের বেদী নির্মাণ করা হয়। এ থেকে অনুমান করা যায় যে, প্রথম যুগে সবগুলো কক্ষই ভিক্ষুদের আবাসকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীকালে অনেক কক্ষই প্রার্থনাকক্ষে রুপান্তরিত করা হয়েছিলো।

উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম বাহুতে সিঁড়ির ব্যবস্থা ছিলো। এদের মাঝে কেবল পশ্চিম বাহুর সিঁড়ির চিহ্ন আছে। উত্তর বাহুর প্রবেশ পথের সামনে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত একটি পুকুর ছিল। ১৯৮৪-৮৫ সালের খননে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রথম নির্মাণ যুগের পরবর্তী আমলে এ পুকুর খনন করা হয় এবং এসময় এ অংশের সিঁড়িটি ধ্বংস করে দেয়া হয়। পরবর্তীকালে পুকুরটি ভরাট করে দেয়া হয়। এর এক পাশে রয়েছে জাদুঘর, যেখানে রয়েছে বিভিন্ন ধাতু নির্মিত মূর্তি এবং আসবাবপত্র। এখানে রয়েছে হেলিকপ্টার নামার জন্য বিশেষ হেলিপ্যাড।

কীভাবে যাবেন: দেশের যে কোনো স্থান থেকেই সড়কপথে পাহাড়পুর যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে দূরত্ব ২৮০ কিলোমিটার। ঢাকার কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে বাসযোগে ও রেলপথে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে নওগাঁর পাশের জেলা জয়পুরহাট থেকে পাহাড়পুর যাওয়া যায়। কারণ, জয়পুরহাট থেকে সময় লাগে ৩০ মিনিট।

ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ট্যুর

ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ট্যুরে সম্পর্কে কিছু তথ্য দরকার:

প্রশ্নঃ

  • ১) ঢাকা থেকে কি পঞ্চগড় পর্যন্ত কোনো ট্রেন যায়? গেলে কখন যায় এবং টিকিট মূল্য কত?
  • ২) কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত সাধারণত সকালে কোন সময়টাতে দেখা যায়?
  • ৩) তেঁতুলিয়ার আশেপাশে দেখার মত আর কোন কোন জায়গা আছে যা একদিনে ঘুরে দেখা যাবে ?

উত্তরঃ

  • ১। পঞ্চগড় পর্যন্ত ট্রেন যায় না। বাস যায় তেতুলিয়া পর্যন্ত। হানিফ বাস তেতুলিয়া পর্যন্ত যায় ভাড়া ৬০০ টাকা। অন্যান্য বাসে শ্যামলী নাবিলে পঞ্চগড় গিয়ে সেখান থেকে লোকাল বাসে তেতুলিয়া যেতে পারেন। ঢাকা থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত দ্রুতযান ট্রেন যায়। আর দিনাজপুর থেকে কমিউটার ট্রেন পঞ্চগড় যায়। তবে, বাসের জার্নি সবচেয়ে ভালো।কারণ বাস আপনাকে তেতুলিয়া পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
  • ২। ভোড়ে সূর্যদয় থেকে আমি দুপুর পর্যন্ত ছিলাম পুরোটা সময়ই দেখেছি। মোদ্দা কথা হচ্ছে পঞ্চগড় বা তেতুলিয়া থেকে উত্তরের দিগন্ত রেখা বরাবর সব সময়ই হিমালয়ান রেঞ্জের পাহাড় গুলোকে চীনের গ্রেট ওয়ালের মতো দেখতে পাবেন। তবে, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে শরৎকালে আকাশ পরিষ্কার থাকা শর্তে কাঞ্চনজংগা সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়।
  • ৩। আর তেতুলিয়ার আশাপাশে বর্ডার দেখতে পাবেন সাথে পাবেন ইন্ডিয়ার চা বাগান। আর তেতুলিয়ার ভিতরে পাবেন রৌশনপুর চা বাগান, তেতুলিয়া ডাকবাংলো, মহানন্দা নদী, গবরা নদী, বেরং নদী। আর তেতুলিয়া গিয়ে ওখানকার মানুষজনকে নিয়ে বেশী উৎসাহ দেখাবেন না। যাবেন ঘুরবেন চলে আসবেন, কেউ কিছু বলবে না। আর এলাকা নোংরা করে আসবেন না।

ইউরোপ ভ্রমণ (স্পেন – ফ্রান্স – নেদারল্যান্ডস – জার্মানী – সুইটজারল্যান্ড – অস্ট্রিয়া – হাঙ্গেরি – চেক প্রজাতন্ত্র)

ইউরোপ ভ্রমণ (স্পেন – ফ্রান্স – নেদারল্যান্ডস – জার্মানী – সুইটজারল্যান্ড – অস্ট্রিয়া – হাঙ্গেরি – চেক প্রজাতন্ত্র)

ইউরোপ হচ্ছে ট্রাভেলার্সদের জন্য স্বর্গ রাজ্য, যারাই ট্রাভেল করতে পছন্দ করেন সবার স্বপ্ন থাকে জীবনে একবার হলেও ইউরোপে ভ্রমণ করার। এক দেশ থেকে আরেক দেশের ভাষা, ঐতিহ্য , সংস্কৃতি আলাদা। রোমান্টিক প্লেস থেকে শুরু করে এডভেঞ্চার সব এ রয়েছে ইউরোপে।

আমাদের মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সন্তানদের কাছে এই স্বপ্ন অধরাই রয়ে যায়। সবার প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়ায় খরচ, খরচের বিষয়টা মেটানো গেলেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভিসা।

TOB তে আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি যেন ইউরোপ ভ্রমণ সম্পর্কে আমাদের ভুল ধারণাগুলো শুধরানো যায়, সবাই যেন সাধ আর সাধের সমন্বয় করতে পারেন।

ভিসা (VISA): (আমার বেক্তিগত মতামত)

ভ্রমণের জন্য Schengen ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। এই একটি ভিসা দিয়ে ২৬ দেশে ভ্রমণ করা যায়. (সেনজেন দেশের লিস্ট http://www.schengenvisainfo.com/schengen-visa-countries-li…/)

Schengen ভিসা আবেদনে আমরা প্রথমে যে ভুলটা করি তা হচ্ছে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট। ভিসা আবেদনের সপ্তাহ খানেক আগে সবাই মোটা অংকের টাকা রাখে যা চরম ভুল। এম্বেসীতে যারা কাজ করেন তারা অনেক স্মার্ট, উনারা বিষয়টা নেতিবাচক ভাবে নেয়।

একাউন্ট এর ব্যালান্স শেষ ৩ মাসে যেন ধারাবাহিক হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। শেষের ২ সপ্তাহ বড় কোন এমাউন্ট যোগ করা যাবে না। মিনিমাম ব্যালান্স বলে কিছু নেই। আপনার ট্রাভেল প্লানের সাথে ব্যালান্সের সামঞ্জস্য থাকতে হবে। কোনো ধরণের কন্ফার্ম টিকেট প্রয়োজন হয়না। আমার প্রথম Schengen ভিসার সময় ব্যাঙ্ক ব্যালান্স ছিলো ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা !!

যে কয়দিনের জন্য আবেদন করবেন তার সাথে ১৫ দিন যোগ করে ট্রাভেল ইন্সুরেন্স করতে হবে।

আপনি ইউরোপে যাওয়ার জন্য এম্বেসীতে হাজারটা কারণ বলবেন কিন্তু উনারা ভিসা দেয়ার জন্য শুধু একটা কারণ চায়, তা হচ্ছে আপনি আবার ফিরে আসবেন কিনা।

আপনি যখন ভিসা ইন্টারভিউ এর জন্য দাঁড়াবেন তখন এম্বেসী এর অফিসার ধরে নিবে আপনি ইউরোপ গেলে আর আসবেন না। পরবর্তী ৫ মিনিটে আপনাকে প্রমান করতে হবে আপনি ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে আসবেন।

কোন এম্বেসী তে আবেদন করবেন: আপনার ট্রাভেল প্ল্যান অনুযায়ী যে দেশে সবচেয়ে বেশী দিন থাকবেন সে দেশের এম্বেসী তে আবেদন করতে হবে। তবে ইতালী, ফ্রান্স এর এম্বেসী তে আবেদন না করাই। আমি এই পর্যন্ত ৩ বার ভিসা নিয়েছি ২ বার সুইডিশ আর একবার সুইস এম্বেসী থেকে। আপনি যদি ইন্টারভিউ তে ভালো হোন, মানুষ কে কনভিন্স করতে পারেন তাহলে সুইস এম্বেসী তে আবেদন করতে পারেন। আর ইন্টারভিউ কে ভয় পেলে স্প্যানিশ, সুইডিশ এম্বেসী তে (ইন্টারভিউ হয়না)

খরচ:

ইতালিতে রিটার্ন টিকেট তুলনামূলক কম, অনেক এয়ারলাইন্স প্রমো টিকেট ছাড়ে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। এয়ারলাইন্স গুলোর অফারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ইউরোপে হোস্টেল গুলো অনেক ভালো, নিরাপদ। যাদের সারাদিন ঘুরার পর রাতে শুধু ঘুমানো দরকার তাদের জন্য হোস্টেল। হোস্টেল ইউরোপের ট্যুরিজম এর এক ঐতিহ্য। মেয়েদের জন্য আলাদা ডর্ম রুম রয়েছে।

হোস্টেল এ ডর্ম রুম গুলোতে ১০ থেকে ৩০ ইউরো খরচ পরে। ৫০ ইউরোতে সিঙ্গেল রুম পাওয়া যায় (দেশ ভেদে দাম ভিন্ন হতে পারে)

যাতায়াত ব্যবস্থা অসাধারণ, অল্প টাকায় এক সপ্তাহের মেট্রো টিকেট কিনে নিতে পারেন। এক দেশ থেকে আরেক দেশে ট্রেনে যাতায়াত করা যায় (অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়) যাওয়ার আগে টিকেট কেটে নিলে অনেক কমে পাওয়া যায়। Ryan এয়ার নাম এয়ারলাইন্স আছে যাতে অসম্ভব কম দামে ট্রাভেল করা যায় এক দেশ থেকে আরেক দেশে ১৯ ইউরো !!!

খাবার: ফাস্টফুড চেইন গুলোতে খাবার সস্তা। মাছ ভাত খাওয়ার কোন সুযোগ নেই। লোকাল, স্ট্রিট ফুড ট্রাই করতে পারেন। ভাত ছাড়া একটু কষ্ট ই হয়ে যায়।

… চলবে।

কমেন্ট এ আপনার প্রশ্ন করতে পারেন।

সমুদ্র পথে বিদেশ ভ্রমণ (সিঙ্গাপুর – মালায়শিয়া – থাইল্যান্ড).

সমুদ্র পথে বিদেশ ভ্রমণ (সিঙ্গাপুর – মালায়শিয়া – থাইল্যান্ড)

১১ টি ডেকের প্রায় ৯০০ ফিট জাহাজ Royal Caribbean – Legend of the sea. ২০০০ লোকের ধারণ ক্ষমতা, কি নেই জাহাজটাতে, বড় থিয়েটার, সুইমিং পুল, দৌড়ানোর জন্য ট্র্যাক, মিনি গল্ফ, সিনেমা হল, ক্যাসিনো, ক্লাব,শপিং সেন্টার, ফটো ষ্টুডিও , বাচ্চাদের খেলার জায়গা । তার সাথে তো রয়েছে ৩ বেলা বুফে খাবার। আর ভারত মহাসাগরের অভূতপূর্ব সৌন্দর্য তো আছেই।

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় ছিল এই সব সুবিধা সহ চার দিন – তিন রাতের খরচ ছিল মাত্র ৩০,০০০ টাকা।

আমরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর যাই, তারপর Harbourfront থেকে সকালে উঠে পড়ি বিশালাকারের জাহাজে। সকলের পাসপোর্ট জমা নিয়ে অদের একটা কার্ড দিয়ে দেয়, যা দিয়ে দরজা খোলা থেকে শুরু করে যে কোনো জিনিস কেনা যায়। শুরু হয় এক নতুন ভ্রমণ অভিজ্ঞতার।

জাহাজে বোরিং লাগার কোনো বিষয় নেই, সব সময়ই একটা না একটা প্রোগ্রাম চলতে থাকে।

একদিন ভারত মহাসাগরের মাঝে চলার পর নোঙ্গর ফেলে মালয়েশিয়ার Port Klang এ। একটা বিষয় এখনো আমার কাছে রহস্য রয়ে গেছে তা হলো আমাদের মালয়েশিয়ার কোনো ভিসা ছিলোনা, আমাদের পাসপোর্ট এ মালয়েশিয়ার entry / exit সীল ও নেই, কিন্তু আমরা জাহাজ থেকে নেমে Port Klang থেকে কুয়ালালামপুর ঘুরে আসি। কুয়ালালামপুর থেকে জাহাজে ফিরি বিকেল ৪ টায়। তারপর জাহাজ চলতে থাকে থাইল্যান্ড এর Phuket এর উদ্দেশ্যে।

এর পরদিন সকালে জাহাজ পৌঁছে যায় Phuket এ, সারাদিন ফুকেটে থাকার পর সন্ধ্যায় আবার রওনা হয় সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে।

খরচ / পারসন :
ঢাকা – সিঙ্গাপুর : ২২,০০০ ~ ২৬,০০০ টাকা
Cruise: ৩০,০০০ ~ ৩৫,০০০ টাকা

সিঙ্গাপুর অনেক এক্সপেন্সিভ, সিঙ্গাপুরে থাকলে খরচ বেড়ে যাবে। যারা সমুদ্র পছন্দ করেন তারা চেষ্টা করবেন একবার হলেও এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নেয়ার।

Newly married কাপল দের জন্য must. কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

Happy Travelling. 🙂

********** আপডেট ১**********

অনেকের আগ্রহ দেখে ভালো লাগছে – ক্রুজ শিপ ভ্রমণ সম্পর্কে সবাই ধরে নেয় লাখ লাখ টাকার বিষয় আসলে তা নয়। আমি বুকিং – খরচের আরো ডিটেলস পরে জানাবো।

আশা করি সবার সাধ আর সাধ্য এক হবে।

********** আপডেট ২**********

অনেকে ডিটেইলস জানতে চেয়েছেন – যতটুকু সম্ভব এই আপডেট এ জানাচ্ছি।

* আমি cheapest way টা দেখানোর চেষ্টা করেছি।
* Visa Application – Air Ticket – Hotel booking নিজে করতে হবে
* ফেব্রুয়ারীর ১৩ – ১৭ তারিখের ক্রুজ জার্নির জন্য খরচের estimate করা
* দুই জনের হিসেবে করা হয়েছে
* ডলার ভ্যালু ৮১ টাকা ধরা হয়েছে

ভিসা:

সিঙ্গাপুর – Double Entry – 2600 টাকা (Ref: http://www.saimongroup.com/singaporevisa/Visa_Fee ) ট্রাভেল এজেন্সী ৪০০০ থেকে ৬৫০০ টাকা নেবে। ক্রুজ এর invitation থাকলে ভিসা পাওয়া সহজ।

থাইল্যান্ড – Single Entry – ৫৪০ টাকা (http://www.vfsglobal.com/Thail…/Bangladesh/Tourist_Visa.html )ট্রাভেল এজেন্সী ১০০০ – ১৫০০ টাকা

মালয়েশিয়া – ভিসা প্রয়োজন নেই, হয়তো cruise কোম্পানির সাথে মালয়েশিয়ার গভঃ স্পেশাল arrangement আছে। মালয়েশিয়ায় ঢুকার সময় কোনো ইমিগ্রেশন পার হতে হয়না।

এয়ার টিকেট :

Feb ১২ – Feb ১৭

Tiger Airlines: (Dhaka – Singapore) – ২৩,৮১৫ টাকা (রিটার্ন এয়ার টিকেট সহ)

ক্রুজ শীপ:

Royal Caribbean – Mariner of the Sea
Room type: Interior state room

খরচ: ৬৮,৭০০ (২ জনের)

বুকিং http://www.royalcaribbean.com/

Included:

– ৪ দিন / ৩ রাত থাকা
– ৩ বেলা বুফে খাবার (Chinese, Indian cuisines)
– বিকেলে পিজ্জা – আনলিমিটেড (২ পিস নেয়ার পর লজ্জা লাগতো 😛 )
– ক্যাপ্টেন’স ককটেল পার্টি
– Most of the entertainment and services.

– সফ্ট ড্রিঙ্কস ইনক্লুডেড না – তবে $১২ দিয়ে ৪ দিনের জন্য আনলিমিটেড ড্রিঙ্কস প্যাকেজ নেয়া যায়।

Excluded:

– ইন্টারনেট / টেলিফোন সার্ভিস (সিম রোমিং করা থাকলে প্রায় এ অসুবিধা হয় না )
– ক্যাসিনো
– ড্রিঙ্কস
– লন্ড্রি সার্ভিস
– Gratuity
– Shore excursions
– শপিং

Dress code:

– শুধু ক্যাপ্টেন্স ককটেল পার্টি (valantines night a) ড্রেস কোড রয়েছে। ছেলেদের – Tuxedo (অথবা যেকোনো ধরণের স্যুট), মেয়েদের – black এন্ড shine ড্রেস।

ক্যাপ্টেন্স ককটেল পার্টি ডিনার এ ড্রেস কোড মেইনটেইন না করলে একটু বিব্রতকর পরিস্হিতিতে পরতে পারেন।)

সেবার মান – ৫ star মানের

নিচে ২ ধরণের জার্নি উল্লেখ করলাম (যার জন্য যেটা প্রযোজ্য)

জার্নি ১ – (cheapest)

১. ঢাকা – সিঙ্গাপুর by air ( ১২ ফেব্রুয়ারী রাত ৯:৩০)
২. সিঙ্গাপুর এ প্লেন ল্যান্ড করবে রাত ৩:০০ টায়, ইমিগ্রেশন পার হতে রাত ৪:০০ টা
৩. রাত ৪ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত রেস্ট এয়ারপোর্ট এ। (ডিউটি ফ্রি শপ আর লাউঞ্জে সময় কেটে যাবে )
৪. সকাল ৮ টায় Uber / ট্যাক্সি নিয়ে HarborFront
৫. সকাল ১০ টায় জাহাজে চেকইন
৬. Enjoy the trip
৭. ১৭ তারিখ সকাল ১১ টায় জাহাজ HarborFront নোঙ্গর ফেলবে।
৮. বিকেল ৫:৩০ রিটার্ন ফ্লাইট to ঢাকা

ভিসা (নিজ) + এয়ার টিকেট + ক্রুজ টিকেট = ৬১,৩০০ টাকা
Shore excursions + অন্যান + আমার জন্য চকলেট 😛 = ১০,০০০ টাকা

মোট – ৭১,৩০০ / পারসন

জার্নি ২ – (comfortable)

১. ঢাকা – সিঙ্গাপুর by air ( ১১ ফেব্রুয়ারী রাত ৯:৩০)
২. সিঙ্গাপুর এ একদিন থাকা
৪. ১৩ তারিখ সকাল ৮ টায় Uber / ট্যাক্সি নিয়ে HarborFront
৫. সকাল ১০ টায় জাহাজে চেকইন
৬. Enjoy the trip till 17th
৭. ১৭ তারিখ সকাল ১১ টায় জাহাজ HarborFront নোঙ্গর ফেলবে।
৮. সিঙ্গাপুর এ দুই রাত থাকা
৯. ১৯ তারিখ বিকেল ৫:৩০ রিটার্ন ফ্লাইট to ঢাকা

ভিসা (এজেন্সী) + এয়ার টিকেট + ক্রুজ টিকেট = ৬৫,০০০ টাকা
সিঙ্গাপুর থাকা + shore excursions + অন্যান + আমার জন্য চকলেট 😛 = ৩৫,০০০ টাকা

মোট: ১ লক্ষ টাকা / পারসন

বিউটি বোর্ডিং

বিউটি বোর্ডিং…
১ নং শিরিশ দাস লেন, বাংলাবাজার….

অনেক স্মৃতিবিজরিত একটা জায়গা। মূলত এখন খাওয়ার উদ্দেশ্যেই যায় সবাই, দেশি খাবারের ঘরোয়া রান্না’র স্বাদ … তবে ঘুরে দেখার মতো পুরান ঢাকায় এমন সবুজ, শান্ত, নিরিবিলি পাখিডাকা পরিবেশ এখন চিন্তা করা যায় না।

তবে এই বিষয়ে কিছু ইতিহাস জেনে রাখা ভালো …
——-
পেছনের কথাঃ

বিউটি বোর্ডিং ছিল নিঃসন্তান জমিদার সুধীর চন্দ্র দাসের সম্পত্তি।
১১ কাঠা জমির উপর নির্মিত এখন এই জমিদার বাড়ির বয়স প্রায় ১৫০ বছর।
বাংলাদেশের বইয়ের বৃহত্তম মার্কেট বাংলাবাজার সম্পর্কে যার প্রাচীন নাম ছিল বেঙ্গলা নগর এবং এটি মুঘল আমল এর আগে থেকে পর্যটকদের কাছে পরিচিত ছিল। ১৯ শতকে বাংলাদেশে প্রকাশনা ব্যাবসার সূচনা হয় এই বাংলাবাজার থেকে। আর বাংলাবাজারের শ্রীশদাস লেন এর ১ নম্বর বাড়িটিই হলো বিউটি বর্ডিং।

১৯৪৭ সালের আগে বিউটি বোর্ডিংছিল সোনার বাংলা পত্রিকার অফিস এবং মুদ্রন কারখানা। কবি শামসুর রহমান এর প্রথম কবিতা মুদ্রিত হয় এই পত্রিকায়।
পত্রিকা অফিসটি কলকাতা স্থানান্তর হলে পরবর্তিতে এই জমিদার বাড়িটি কিনে নেন প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা ও নলিনী মোহন সাহা । নলিনী মোহন সাহা বাড়িটির কক্ষগুলো একটি দুটি করে ভাড়া দিতে থাকেন এবং নিচতলায় একটি রেস্তোরা স্থাপন করেন।পরবর্তিতে ব্যাবসা ভালো দেখে তিনি তার মেয়ে বিউটির নাম অনুযায়ী বিউটি বোর্ডিং এর ব্যাবসা শুরু করেন।

সাহিত্যের আতুড় ঘর এই বিউটি বোর্ডিং থেকেই স্বদেশ পত্রিকার সুত্রপাত। ততকালিন হাই প্রোফাইল প্রতিভাগুলো সব এখানেই আড্ডা দিত।

আড্ডার ফলশ্রুতিতেই অনেকে তাদের জীবনের সেরা লেখাটি লিখেছেন বোর্ডিং চত্বরটিতে বসে। আবদুল জব্বার খান পরিকল্পনা করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ নির্মাণের। শোনা যায় চিত্রনাট্যের বেশকিছু অংশ লিখেছেনও এখানে বসেই।
এ বোর্ডিংয়ে আড্ডা দেয়ার জন্য আরো আসতেন ফজলে লোহানী, শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তী, চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, মহাদেব সাহা, নির্মলেন্দু গুণ, সমর দাশ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আল মাহমুদ, সত্য সাহা, গোলাম মুস্তফা, খান আতা, জহির রায়হান, বেলাল চৌধুরী, আনিসুজ্জামান, সন্তোষ গুপ্ত, ফজল শাহাবুদ্দিন, কবি ইমরুল চৌধুরী, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, শফিক রেহমান, আসাদ চৌধুরী, ফয়েজ আহমদ প্রমুখ।
সমর দাস অনেক বিখ্যাত গানের কথায় সুর বসিয়েছেন এখানে আড্ডা দেয়ার ফাঁকেই। জাদুশিল্পী জুয়েল আইচও বেশ কয়েক রাত কাটিয়েছেন বিউটি বোর্ডিংয়ে। শোনা যায়, দেশ ভাগের আগে এ ঐতিহাসিক ভবনে পা রেখেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস ও পল্লীকবি জসীমউদ্দীন।

কবি শামসুর রাহমান থাকতেন আশেক লেনে, এবং কবি শামসুল হক থাকতেন লক্ষ্মীবাজারে। আর বিউটী বোর্ডিং’র সাথেই অন্য আর একটা পুরনো দালানের দোতলায় থাকতেন কবি শহীদ কাদরী।এখানে আড্ডা দিতে আসতেন সকলে , একজনের চা আরেকজন ভাগ করে খেতেন ।
ভালোই চলছিল সবকিছু……

কিন্তু ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক সেনারা এটি দখলে নেয় এবং প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা, শামস ইরাণী (চলচ্চিত্র শিল্পী), সন্তোষ কুমার দাস (ব্যবসায়ী), প্রেমলাল সাহা (ব্যবসায়ী), ক্ষিতীশ চন্দ্র দে (বোর্ডিং কর্মীর ভাই), নূর মোহাম্মদ মোল্লা (প্রতিবেশী), যোশেফ কোরায়া (অভিনেতা), শীতল কুমার দাস (ম্যানেজার), অখিল চক্রবর্তী (পাচক), সাধন চন্দ্র রায় (কর্মী), সুখরঞ্জন দে (কর্মী), কেশব দত্ত আগারওয়াল (ব্যবসায়ী), নির্মল রায় ও খোকা বাবু (সমাজসেবক), হারাধন বর্মণ (চিত্রশিল্পী), হেমন্ত কুমার সাহা (প্রকাশক), অহীন্দ্র চৌধুরী শংকর (ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব)— এ ১৭ জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ।

স্বাধীনতা পরবর্তি ১৯৭২ সাল পর্যন্ত এটি বন্ধ ছিল। জানা যায় প্রহ্লাদ সাহার সহধর্মিণী প্রতিভা সাহা তার দুই ছেলে তারক সাহা ও সমর সাহাকে নিয়ে পুনরায় চালু করেন বিউটি বোর্ডিং।

এরপর বহু কবি লেখক এখানে বহুবার আড্ডা জমানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আগের মতন সেই সাহিত্যচর্চা , বিতর্ক , আর চায়ের কাপের ঝড় আর ওঠেনি। সৈয়দ শামসুল হক এখান থেকেই সৃষ্টি করেছেন এক মহিলার ছবি, জনক ও কালো কফিন, আরণ্যক, সীমানা ছাড়িয়ের মতো সাহিত্যকর্মগুলো।
বিউটি বোর্ডিং এর ঐতিহ্যকে অম্লান করতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ভ্রমন আড্ডা এখানে বসে করতে পারি । করতে পারি ইতিহাসের চর্চা।
——
বর্তমানে খাবার এবং থাকার ব্যবস্থাঃ
দোতালা বোর্ডিং এর নিচ তলায় খাবার ব্যবস্থা। দুপুরে বেশ ভিড় থাকে তাই ১:৩০টার আগে যাওয়াই ভালো। মেন্যু ভাত,ভর্তা,সবজি ভাজি,ডাল- দাম ১৫ থেকে ২৫ টাকা, সরশে ইলিশ, ইলিশের ডিম ভাজি, মুরগি-৯০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে। আইটেম সবদিন এক থাকেনা।
খাওয়ার পরও যতক্ষণ ইচ্ছা লনে বা বারান্দায় চেয়ার নিয়ে বসে গল্প করা যায়। ফটোগ্রাফির জন্য পারফেক্ট একটা প্লেস। আর কয়েক ঘন্টার জন্য সত্তর আশির দশকে চলে যাওয়া।

ইতিহাস, ছবি এবং তথ্য উপাত্ত সংগৃহীত—

মেঘের রাজ্য মেঘালয় ভারত

টাকায় মেঘের রাজ্য মেঘালয়।

  • মেঘালয় টুর ৫ রাত ৪দিন।ভিসা প্রসেসিং আর ট্রাভেল ট্যাক্স সহ সকল খরচ।
  • মেঘালয় যাওয়ার কথা ভাবছেন?
  • ভালো কোন গ্রুপ বা কোন প্যাকেজ পাচ্ছেন না?
  • একা গেলে খরচ বেশি তাই ইচ্ছা থাকা সত্যও যেতে পারছেন না?
    তাহলে আপনার জন্যই আমার এই লেখা।আপনার ভ্রমনে বিন্দু পরিমানে উপকারে আসলেও আমার কষ্ট করে লেখা সার্থক। আমি গত ১৫অক্টোবর রাতের গাড়িতে মেঘালয় যাই এবং ২০তারিখ ফিরে আসি।আমার সকল প্রকার খরচের বিবরন দেয়া হলো।
  • ভিসা প্রসেসিংঃ ৬০০টাকা।
  • ট্রাভেল ট্যাক্সঃ৫০০টাকা।

১ম রাতঃ
বাসা থেকে সায়দাবাদঃ৩০টাকা।
ঢাকা টু তামাবিল(জাফলং ও একই ভাড়া)বাস ভাড়াঃ ৪০০টাকা।
রাতের খাবার(হোটেল উজানভাটা) ১০০টাকা।
সকালের নাস্তা(বর্ডার সংলগ্ন চায়ের দোকান) ৩০টাকা।
বাংলাদেশ বর্ডার ১০০টাকা।

১ম দিন-২য় রাতঃ
এখান থেকে রুপির হিসাব শুরু।
ডাওকি বর্ডার থেকে শিলংঃ১২০রুপি(লোকাল ট্যাক্সি)।
শিলং থেকে পুলিশবাজারঃ১০রুপি(লোকাল ট্যাক্সি)।
হোটেলঃহোটেল হ্যারিট্যাগ। ওয়াইফাই,এসি,খাবার হোটেলের ব্যবস্থা আছে।৮০০*৩=২৪০০ রুপি(৩রাত ৪দিন)।আরও কম দামে হোটেল পাওয়া যায়।আমার এখানে থাকার কারন না হয় আরেক সময় বলবো।
দুপুরের খাবারঃ৭০রুপি(ভাত/সবজি/ডিম আর ডাল)।
রাতের খাবারঃ১১০রুপি (চিকেন,রাইস,ফ্রাই চিকেন আর কোল্ড ড্রিংক) ।

২য় দিন-৩য় রাতঃ
সকালের নাস্তা: ৩৫রুপি(ডাবল ডিমের রোল)
শিলং টুর প্যাকেজঃ ৩০০+৫৫=৩৫৫রুপি(ওয়ার্ডস লেক ১০রুপি,গোল্ফ ফিল্ড,বিয়াঞ্চি মেমোরিয়াল হল,স্টেট মিউজিয়াম:৫রুপি, জু:১০রুপি,চা বাগান:১০রুপি,এলিফ্যান্ট ফলস:২০রুপি)।
দুপুরের খাবার:১২০রুপি (ভাত,ডাল,মুরগী কোল্ড ড্রিংক।
বিকালের নাস্তা:২৫রুপি (লোকাল খাবার)
রাতের খাবার:১৪০রুপি(খিচুড়ি, মুরগি,ডাবল ডিম অমলেট,ডাবল ডিম রোল)।

৩দিন-৪থ` রাতঃ
সকালের নাস্তা:৭০রুপি(ডিম রোল,চিকেন আর কোল্ড ড্রিংক)
চেরাপুঞ্জি টুর প্যাকেজ : ৩৫০+৬০=৪১০রুপি(মাওকডক ভিও ভ্যালি পয়েন্ট,ইকো পার্ক ১০রুপি,মৌসুমি ক্যাভ ১০রুপি,মট ট্রপ রক,রামকৃষ্ণ মিশন ১০রুপি,নো কালি কাই ফলস ২০রুপি,সেভেন সিস্টার ফলস,থ্রি সিস্টার ফলস ১০রুপি)
দুপুরের খাবার:৮০রুপি(ভাত,ডাল,মুরগী কোল্ড ড্রিংক)।
রাতের খাবার:৯০রুপি(খিচুড়ি,চপ,চিকেন ললী,চা)।

৪থ’ দিন – ৫ম রাতঃ
সকালে হোটেল থেকে চেক আউট করি।
সকালের নাস্তাঃ ৪০রুপি(ডাবল ডিম রোল,চা)
ডাওকি(মাওলিনং) টুর প্যাকেজঃ ৫০০+৭০=৫৭০রুপি(ক্যানিয়ন ভ্যালি পয়েন্ট ১০রুপি,ব্যাল্যান্সিং রক ১০ রুপি,লিভিং রুট ব্রিজ ২০রুপি,স্কাই ভিউ পয়েন্ট বাংলাদেশ১০রুপি,উমংট ২০রুপি <ক্লিয়ার ক্রিস্টাল রিভার>, ডাউকি বর্ডার)
৪:৩০এ ডাওকি বর্ডার থেকে যাই।তারপর ডাওকি বর্ডার ক্রস করে বাংলাদেশ প্রবেশ করি।

তামাবিল থেকে বাসে সিলেটঃ ৫০টাকা।
সিলেট থেকে বাসে ঢাকাঃ৪৭০টাকা।
রাতের খাবারঃ৭০টাকা(চিকেন পিজা,কফি)
রাতের ২টা বাজে সায়দাবাদ পৌছাই।
রিক্সা ভাড়াঃ৩০টাকা।

#ভিসা_আর_ট্রাভেল_ট্যাক্স_১১০০টাকা।
#ঢাকা_টু_তামাবিল_বর্ডার_প্রযন্ত_খরচ_৬৩০টাকা।
#ভারতে_মোট_খরচ_৪৬৪৫*১.২৫=৫৮০৭টাকা।
#তামাবিল_ঢাকা_খরচ_৬২০_টাকা।
#মোট_খরচ_৮১৮৭_টাকা।

কারো কিছু জানার বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বা ইনবক্সে জানাতে পারেন।

বাংলা বানানে ভুল থাকলে দয়া করে মাফ করবেন।ধন্যবাদান্তে অপু। ☺😊😂

#পাবলিক_ডিমান্ডঃ
আপনাদের অনেকের প্রায় একই প্রশ্ন আমি প্যাকেজ গুলো কোন যায়গা থেকে নিয়েছি? –আপনাদের জনা কমেন্ট বক্সে ঠীকানা ও
ছবি দিলাম দেখে নিবেন।

#পাবলিক_ডিমান্ড২ঃ
আমি ৪০০টাকায় তামাবিল কিভাবে গিয়েছি?
–আহাম্মেদ পরিবহন।সায়দাবাদ স্টান্ডে গিয়ে যে কোন লোক কে বললেই দেখিয়ে দিবে।

#পাবলিক_ডীমান্ড৩ঃ
আমি কোথায় ডলার/রুপি/টাকা করেছি?
–শিলং পুলিশ বাজারে মানি চেঙ্গ এর ওনেক দোকান আছে।আমি আপনাদের জনয একটির নাম,ঠীকানা আর ছবি কমেন্টস বক্সে দিলাম।দেখে নিবেন।