মাওয়া ফেরি ঘাট

যারা পদ্মার তাজা ইলিশ খেতে মাওয়া ফেরি ঘাটে ঢু মারার প্ল্যান করছেন তাদের বলছি।

মাওয়া ফেরি ঘাটেই ত বসার সুন্দর জায়গা আছে, আর বড় বড় ঢেউ ত আছেই, সাথে নানান কিসিমের মানুষের আনাগোনা।

রেসটুরেন্ট গুলোতে বিশাল বিশাল সব পাঙ্গাশ মাছের পেটি পাবেন ।।নদীর বাতাস খেতে খেতে পাঙ্গাশ আর ইলিশ খাওয়ার এক অপার্থিব আনন্দ আছে।

মাওয়া ঘাটে যাওয়ার পারফেক্ট সময় হচ্ছে রাত নয়টায় রউনা দেয়া ঢাকা থেকে ১২টার ভিতরে পৌছে যাবেন এবং ঘাটে বসে বসে বাতাস – ফেরীর হর্ন আর মানুষের কোলাহল মিলে রাতের অন্ধকারে যেই অনুভুতি পাবেন তা দিনের বেলার পাবেন না।। আর ক্ষুধা লাগলে ত আছেই অনেক রেসটুরেন্ট – চট করে ইলিশ আর পাঙ্গাশ খেয়ে আবার ঘাটে বসে বসে আড্ডা।।

যদি জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ কিনে খেতে চান তবে আপনাকে অন্তত এক দিনের জন্য সকালের কাঁচা ঘুম ত্যাগ করে মাওয়া পৌঁছাতে হবে সকাল ৯ তার মধ্যে।আর শুধু ইলিশ খেয়ে চলে আসা নেহায়েত বোকামি হবে যদি নদীর পাড়ে বসে পদ্মার বিশাল জলের একটু উন্মাদনা না দেখেন।
তার জন্য বেস্ট প্ল্যান হবে, মাওয়া ঘাট থেকে জন প্রতি ২৫/= টাকা করে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সায় লোহজং যেতে পারেন। সম্পূর্ণ অটো রিক্সায় রিজার্ভ নিলে ১৫০/= টাকা নিবে।

সেখান থেকে নৌকায় যাবেন পদ্মা রিসোর্ট। রিসোর্ট ও দেখা হবে নৌকা ভ্রমণ ও হয়ে যাবে। ইচ্ছা করলে সারা দিন অথবা রাত দিন থাকার ব্যবস্থা আছে রিসোর্ট এ। না থাকতে চাইলেও অসুবিধা নেই শুধু এক্সট্রা ৫০ টাকা দিলেই ঘুরে দেখা যাবে সম্পূর্ণ রিসোর্ট।

যেভাবে যাবেন : মিরপুর ১০, ফার্মগেট , শাহবাগ থেকে যেতে পারেন স্বাধীন পরিবহন এ। অথবা গুলিস্থান থেকে ইলিশ/প্রচেষ্টা বা অন্য অনেক বাস পাবেন মাওয়া যাওয়ার জন্য (বি,আর,টি,সি এর এসি বাস ও আছে ) ।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী, পদ্মা নদী। ৩৬৬ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এই পদ্মার পাড়ে দাঁড়ালে যেন মনে হয় সাগর, কোনো কিনারা দেখা যায় না; কিন্তু নদীর মাঝে নানা জায়গায় জেগে উঠেছে বহু চর। নদীভ্রমণের জন্য পদ্মা একটি উত্তম পছন্দ। তাই ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে কম সময়ে ভ্রমণের জন্য ঘুরে আসুন পদ্মার পাড় থেকে।

কীভাবে যাবেনঃ

ঢাকার যেকোন স্থান থেকে যাত্রাবাড়ী পোঁছে ফুটওভার ব্রীজের দক্ষিণ দিকের পোস্তাগোলাগামী রাস্তা দিয়ে একটু সামনে গেলেই পাওয়া যাবে মাওয়া বাসষ্ট্যান্ড। এখান থেকে প্রতি ৫ থেকে ১০ মিনিট অন্তর অন্তর বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির বাস ছেড়ে যায় মাওয়ার উদ্দেশ্যে। আনন্দ, ইঁলিশ, গুন-গুন ইত্যাদি পরিবহনে মাওয়া যেতে বাস ভাড়া লাগবে কম-বেশী ৫০ টাকা । ৫০ টাকার বিনিময়ে প্রায় ৩৫ কি.মি. পারি দিয়ে মাওয়া ফেরী ঘাটে পৌছতে সময় লাগবে ঘন্টাখানেক। নিশ্চিন্তে চড়ে বসুন যে কোন একটা বাসে। ইচ্ছে করলে সকাল কিংবা দুপুরে রওনা হয়ে বিকেলটা মাওয়ার পদ্মা পাড়ে কাটিয়ে সন্ধ্যার পরপরই ফিরে আসা যায় ঢাকাতে। যাত্রাবাড়ি ছাড়া গুলিস্থান থেকেও মাওয়ার সরাসরি বাস পাওয়া যায়। এখান থেকে ভাড়া একই পরিমান লাগলেও সময় একটু বেশী লাগে।

দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যার আগে পর্যন্ত নদীতে থাকবে সূর্যের রূপালী ঝিলিক। মৃদু বাতাসে নদীর জলে ছোট ছোট রূপালী ঢেউ ঝলকে দেয় চোখ। পদ্মায় ভেসে ঘোরার মতো মাঝি ও নৌকা দুর্লভ। এপার হতে ওপারে যাওয়ার জন্য আছে লঞ্চ আর স্পীড-বোট। ফেরীতেও পারাপার হতে পারেন। স্পীড বোটে এপার হতে ওপারে যেতে ২০-২৫ মিনিটের মতো লাগে; ভাড়া ১৫০ টাকা। যারা একটু ভীতু এবং সাঁতার জানেন না, তাদের স্পীড-বোটে না চরাই ভালো; দ্রুতগতির এই স্পীড-বোট পদ্মার বুকে অনেক সময় লাফিয়ে লাফিয়ে চলে যা রোমাঞ্চকর এবং মজাদার বটে, কিন্তু ভয় পেলে তাতে না চড়াই ভালো। লঞ্চ পারাপারে সময় একটু বেশী লাগে, আশেপাশের প্রকৃতিও দেখা যায় বেশী। ভাড়া ৩০ টাকা (লোকাল) এবং ৪০ টাকা (ডাইরেক্ট)।

পদ্মা ভ্রমণের আরো একটা আকর্ষণ হচ্ছে পদ্মার ইলিশ। যদিও হোটেলে পরিবেশ ততটা পরিষ্কার নয়, তবুও এর স্বাদ অন্য সব জায়গা থেকে অন্যতম।

কোথায় খাবেন:

মাওয়া ফেরিঘাটে বাস থেকে নামতেই রাস্তার পাশে দেখা যাবে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট যেগুলো ভাতের হোটেল নামেই বেশি পরিচিত। এই সব রেস্টুরেন্ট দেখতে যেমনই মনে হোকনা কেন, এখানকার গরম ভাত আর গরম গরম ভাঁজা পদ্মার টাটকা ইঁলিশের স্বাদই আলাদা। পরিবেশটি যেমন আলাদা তেমনি এই ভোজনের আনন্দ আর স্বাদও আবশ্যই আলাদা।

কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে নামলেই চোখে পড়বে এরকম পাথরের স্তুপ। পাথর গুলো সব এবড়োথেবড়ো। পা ফেলতে হবে খুব সাবধানে। ভুল বশত যদি কোনো পাথরে পা ফেলতে গিয়ে সেটা নড়ে যায় তাহলে পাথরের নিচে চাপা পড়ার ভয়ও উড়িয়ে দেয়া যায় না। পদ্মার কোলের এই বিশাল পাথরের স্তুপের উপরে বসে সামনে দিগন্ত বিস্তৃত পদ্মা দেখে মন জুড়িয়ে যাবে নিশ্চিত।

পাথর গুলো দিয়ে ‘সাতচক্র’ (বাণিজ্যিক কারনে আসল নাম বলা যাচ্ছে না।) নামের সিমেন্ট তৈরি করা হয়।

যেভাবে যাবেন: গুলিস্তান থেকে ইলিশ/প্রচেষ্টা বাসে করে মাওয়া। এরপর ফেরি/লঞ্চ/স্পিডবোটে করে কাওড়াকান্দি।

 

নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর জায়গাটাও এখন একটা টুরিস্ট স্পট হিসেবে গণ্য হতে পারে।

পদ্মা নদীর সৌন্দর্য, দুপাশের সুন্দর গ্রাম আর সেতুর কাজ দেখতে বেরিয়ে আসতে পারেন মাওয়া থেকে।

কিভাবে যাবেনঃ ঢাকার মিরপুর, উত্তরা এবং গুলিস্তান থেকে সরাসরি বাসে মাওয়া ঘাট। তারপর লঞ্চ বা স্পীডবোট।

আন্ধারমানিক বেড়িবাধ পদ্মার পাড়

strong>কিভাবে যাবেন:
ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে ঝিটকাগামী ভিলেজ লাইন বাসে ঝিটকা হরিরামপুর মোড়ে নামবেন। ভাড়া নেবে ৯০-১০০ টাকা। ঝিটকা নেমে বাজারের পাশে ঝিটকা মাঠের সামনে ব্রিজের উপর থেকে অটো বা সিএনজিতে আন্ধারমানিক বেড়িবাধ বললেই নিয়ে যাবে। জনপ্রতি ভাড়া ৫০টাকা করে পড়বে। এছাড়া গাবতলি থেকে শুকতারা পরিবহনে সিংগাইর-হরিরামপুর হয়েও যাওয়া যায়, তবে আমার পার্সোনাল সাজেশন ঝিটকা হয়ে যাওয়াটাই বেটার। এতে সর্বোচ্চ ৩ ঘন্টা সময় লাগবে।
কি দেখবেন:
অবশ্যই পদ্মা দেখবেন। পদ্মার ভয়ংকর সুন্দর সর্বগ্রাসী রূপ আপনি এখানে ভালোভাবেই দেখতে পারবেন। কয়েকটা লম্বা নারিকেল গাছ আছে, উপকূলীয় অঞ্চলে যেগুলো সাধারণত হয়ে থাকে। প্রথম দর্শনে তাই সমুদ্র সৈকত বলে ভুল হতেই পারে! বেড়িবাধের পাশে কয়েকটি ফেরির পন্টুন রাখা আছে। সেখানে উঠে খোলা হাওয়ায় পদ্মার সৌন্দর্য আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন। চাইলে নৌকায় ঘুরতেও পারবেন। পদ্মা পাড়ি দিয়ে ওপাশের চরের গ্রামে যাওয়া যায়। বাঁধের উপর এক চাচা চটপটি বিক্রি করেন, সেটাও টেস্ট করে দেখতে পারেন। আমরা ৫ জনে ১২ প্লেট শেষ করেছিলাম! এছাড়া কিছু খেতে হলে পাশেই আন্ধারমানিক বাজারে পাবেন।

ভৈরব ব্রীজ

যে সেতু দিয়ে মেঘের বাড়ি যাওয়া যায়।।

নরসিংদী শহরের কাছাকাছি ড্রিম হলিডে পার্ক আছে এবং স্থানীয় কিছু উদ্যান আর পিকনিক স্পট রয়েছে…
ভৈরবে মেঘনা নদীর ঘাট পাবেন, ভৈবর ব্রীজ আছে তাছাড়া রেল লাইন ও দর্শনীয়।।

বিকাল কাটানোর জন্য চমৎকার একটা যায়গা।একদিনে যাওয়া-আসা সম্ভব।

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে ভৈরব/ব্রাহ্মনবাড়িয়া/সিলেটগামী যেকোন বাসে ভৈরব নেমে রিক্সায় ব্রীজ পাড়। নদীর পাড়ে সময় কাটানো ছাড়াও নৌকা ভাড়া নিয়ে নদীতে ঘুরতে পারবেন। ঢাকা থেকে বাস ভাড়া সাধারনত ভৈরব পর্যন্ত ১৫০ টাকা আর সেখান থেকে ব্রীজ পাড় পর্যন্ত রিক্সা ভাড়া ২০-৩০ টাকা।

সোনাকান্দা দুর্গ

এটি একটি মোঘল জলদুর্গ। দুর্গটি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার শীতলক্ষা নদীর পূর্বতীরে অবস্থিত। মোঘল আমলে কিছু জলদুর্গ নির্মাণ করা হয়েছিল ঢাকার পানিপথকে সুরক্ষিত করার জন্য। সোনাকান্দা দুর্গ তাদের মধ্যে একটি। এটি ১৭ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত।

কিভাবে যাবেনঃ
বাস থেকে নারায়ণগঞ্জ টার্মিনালে নেমে নৌকায় শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে রিকশাচালককে বললেই নিয়ে যাবে সোনাকান্দা দুর্গে। রিকশা ভাড়া ৩০-৪০ টাকা। এ পথে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করে বিআরটিসি বন্ধন, উৎসব, সেতু, আনন্দ ইত্যাদি পরিবহনের বাস। ঢাকার বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট ও গুলিস্তান হকি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে ছাড়ে বাসগুলো। ভাড়া ২৫-৩৫ টাকা।

পানাম নগর

যাতায়াত‬: গুলিস্তান স্ট্যাডিয়ামের পাশ থেকে দোয়েল/স্বদেশ/বোরাক গাড়িতে করে মোগড়াপাড়া। ভাড়া ৪৫/৫০ টাকা। মোগড়াপাড়া হতে রিক্সায় পানাম নগর। ভাড়া ২০/২৫ টাকা। এখানে আরও ঘুরতে পারেন লোক ও কারুশিল্প যাদুঘর,গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ এর মাজার, গোয়ালদী শাহী মসজিদ ইত্যাদি।

বুধবার ও বৃহঃস্পতিবার বন্ধ থাকে

ইন্দোনেশিয়া ট্যুর

মাত্র ইন্দোনেশিয়া ঘুরে আসলাম। বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য ভিসা ফ্রি, দেনপাসার এয়ারপোর্টে নেমে ডান দিক থেকে বাম দিক ভালমত তাকানোর আগেই সিল পরে যায়। সর্বোচ্চ এক মিনিট সময় লাগে। কোন ভিসা ফি লাগে না, কোন ডকুমেন্টও লাগে না।

এয়ারপোর্টে ডলার যত কম ভাঙ্গানো যায়, তত ভাল। এয়ারপোর্টে মিনিমাম ২০০ রুপিয়া কম হয় রেট। তবে ২০০ রুপিয়া মানে বাংলাদেশি ১ টাকা ২৪ পয়সা। আজকে ডলার রেট ছিল, ১ ডলার = ১৩০৫০ রুপিয়াহ। একসাথে বেশি ডলার ভাঙ্গালেও সমস্যা, এতো টাকা রাখার জন্য ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হতে পারে।

এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নেয়ার সময় আপনি ঠকবেনই। ব্লু বার্ড ট্যাক্সি বালির সবচেয়ে বিখ্যাত। ওরাও এয়ারপোর্ট থেকে সানুর যাওয়ার জন্য প্রায় ১,০০,০০০ রুপিয়াহ মানে ৬২৫ টাকা বেশি নিয়েছে। তবে ব্লু বার্ড উত্তম।

সি-ওয়াক করলে সানুরে করা ভাল। আর বাকি ওয়াটার স্পোর্টস সব নুসা-দুয়াতে। অনেক কম খরচে ভাল্ভাবে শেষ করে আসতে পারবেন। যাদের বুকিং দেবেন, তারাই গাড়ি পাঠাবে। যে কোন একজনের রেট বিশ্বাস না করে, রেট যাচাই করা ভাল।

মাউন্ট বাতুর ট্রেকিং অনেক অনেক অনেক কস্টকর। আমাদের ট্যুরের একটা দিন শেষ করে দিছে এই ট্রেকিং। ওইদিন আর কিছু করতে পারি নাই। খালি ঘুমাইছি। কাজেই বেশিদিনের ট্রেকিং না হলে মাউন্ট বাতুর ট্রেকিং এভোয়েড করা উত্তম।

স্নরকের্লিং করেছি, সাতার জানি না। তবে ডাইভ দেওয়াটাই বেস্ট ছিল, সময়ের অভাবে দিতে পারি নাই। সাতার না জানলেও কোন সমস্যা নাই।

জিম্বারান বীচে সি-ফুড অনেক কস্টলি। সেই তুলনাই আমার কাছে সানুর বিচের সি-ফুড ভাল লেগেছে। অনেক শান্ত পরিবেশে, জিম্বারান বিচের ফিল। অনেক বেশি কমফোর্টেবল।

অনেক স্কুটি চলে, স্কুটি চালাতে পারলে, একটা স্কুটি ভাড়া করে নিলে আর গুগল ম্যাপ থাকলে খরচ অর্ধেক কমে যাবে। দূরে কোথাও গেলে গাড়ি কন্ট্রাক্টে নিয়ে যাওয়া ভাল। কাছে গেলে মিটারে।

সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়। রাতের বেলা সাইক্লিং করে সানুরে বেশ মজা আছে। আমরা অবশ্য মানুষের মজা দেখছি। নিজেরা ভাড়া করি নাই। ভাড়া বাংলাদেশের মতই। দিনে ৩০,০০০ রুপিয়াহ মানে ২৪০ টাকার মত।

আমরা সানুরে ছিলাম, অনেক কম কস্টলি, নির্ঝঞ্ঝাট।

সবশেষে, ৩-৪ দিনের জন্য বালি ট্যুর দিয়ে লাভ নাই। কমপক্ষে ৭ দিনের ট্যুর দেন। মনে রাখার মত কিছু স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারবেন।

হোটেলের ভাড়া ও ফোন নম্বর

একসাথে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, বান্দরবান এবং সিলেটের হোটেলের ভাড়া ও ফোন নম্বরের তালিকাঃ

ছুটি পেলে আমাদের দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি যে তিনটি জেলায় ঘুরতে যায় তার প্রত্যেক জায়গার বেশ কিছু হোটেলের ভাড়া এবং ফোন নম্বর দেয়া হল, যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তারা নিজের সংগ্রহে রাখতে পারেন, পরে কাজে দিবে ।

বান্দরবানঃ

    • ১.হোটেল হিল ভিউ: শহরের কাছেই এ হোটেলের ভাড়া রুমপ্রতি ১০০০-৪০০০ টাকা। ফোন: ০৩৬১-৬৩০৪৫।
    • ২.পর্যটন মোটেল: ভাড়া রুম প্রতি ৮৫০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। ফোন: ০৩৬১-৬২৭৪১ এবং ০৩৬১-৬২৭৪২।
    • ৩.হলি ডে ইন: ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত। ফোন: ০৩৬১-৬২৮৯৬
    • ৪.ভেনাস রিসোর্ট: ফোন- ০৩৬১-৬৩৪০০, ০১৫৫২৮০৮০৬০।
    • ৫.হোটেল প্লাজা: ফোন: ০৩৬১-৬৩২৫২।
    • ৬.হিলসাইড রিসোর্ট: ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৪০০০ টাকার মধ্যেই। ফোন: ০১৫৫৬৫৩৯০২২, ০১৭৩০০৪৫০৮৩।
    • ৭.সাকুরা হিল রিসোর্ট: ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত।
    • ৮.হোটেল ফোর স্টার: এটি বান্দরবান বাজারে অবস্থিত। রুম প্রতি ভাড়া ৩০০-১২০০ টাকা। ফোন:-০৩৬১-৬৩৫৬৬, ০১৮১৩২৭৮৭৩১,০১৫৫৩৪২১০৮৯।
    • ৯.হোটেল থ্রী স্টার : এটি বান্দরবান বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত। এটি ৮/১০ জন থাকার মতো ৪ বেডের এমন একটি ফ্ল্যাট। প্রতি নন এসি ফ্ল্যাট-২৫০০ টাকা, এসি-৩০০০ টাকা। ফোন:- ০১৫৫৩৪২১০৮৯।

সিলেট শহরে থাকার আবাসিক হোটেল:

        • ১. হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল (বন্দর, শিশুপার্কের কাছে): ০১৭৩১৫৩৩৭৩৩, +৮৮০৮২১২৮৩৩৪০৪
        • ২. হোটেল নির্ভানা ইন (রামের দিঘির পাড়, মির্জা জাঙ্গাল, সিলেট): +৮৮০৮২১২৮৩০৫৭৬, ০১৭৩০০৮৩৭৯০, ০১৯১১৭২০২১৩, ০১৭১১৩৩৬৭৬১
        • ৩. হোটেল স্টার প্যাসিফিক (ইস্ট দরগাহ গেইট): ০১৭১৩৬৭৪০০৯, ০১৯৩৭৭৭৬৬৩৩, ০৮২১-২৮৩৩০৯১
        • ৪. হোটেল অনুরাগ (ধোপা দীঘি নর্থ): ৭১৫৭১৭, ৭১৪৪৮৯, ০১৭১২০৯৩০৩৯
        • ৫. হোটেল সুপ্রীম, জাফলং রোড, মিরাবাজার, সিলেট-৩১০০, মোবাইল: ০১৭১১১৯৭০১২, ফোন: ৮৮-০৮২১-৭২০৭৫১, ৮১৩১৬৯, ৮১৩১৭২, ৮১৩১৭৩, ৮১৩১৬৮
        • ৬. হোটেল সানফ্লাওয়ার (বন্দর, শিশুপার্কের কাছে): ফোন:৮৮-০৮২১-৭১৩৯১৪
        • ৭. হোটেল এশিয়া (বন্দরবাজার): ০১৯২২৫৯৫৮৪১, ০১৯২২৫৯৫৮৪০
        • ৮. সুরমা ভ্যালি গেস্ট হাউস (জেলা প্রশাসক/পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশে): ০১৭১৬০৯৫৮৩৬
        • ৯. হোটেল সিলেট ইন (মিরবক্সটুলা): ফোন: ৮৮-০৮২১-৮১১৯৪৫
        • ১০. হোটেল আল-আরব: হযরত শাহজালাল (র: ) মাজার শরীফ পূর্ব দরগাহ্ হেইট, সিলেট, ফোন: ০৮২১-৭২৪০৫৯, ০১৭২১৮১২৬৬২
        • ১১. হোটেল উর্মি: হযরত শাহজালাল (র: ) মাজার শরীফ পূর্ব দরগাহ্ হেইট, সিলেট, ফোন: ০৮২১-৭১৪৫৬৩, ০১৭৩৩১৫৩৮০৫

কক্সবাজারঃ

        • ১.পাঁচ তারকা বলে দাবিদার হোটেল সি-গালে সর্বনিম্ন ৩ হাজার ৭৫৭ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৮৭০ টাকা প্রতিরাতের জন্য কক্ষপ্রতি ভাড়া নেয়া হয়। এরা রেগুলার হিল সাইড ৩ হাজার ৭৫৭ টাকা, রেগুলার সি-সাইড ৪ হাজার ০৩৫ টাকা, ডিলাক্স হিল সাইড ৯ হাজার ৫৯২ টাকা, ডিলাক্স ৯ হাজার ৮৭০ টাকা এবং স্যুইট রুম ৯ হাজার ৭৪১ টাকা ভাড়া নেয়। এদের অফ সিজনে ডিসকাউন্ট থাকে। হোটেল সি-গালের টেলিফোন নাম্বার হলো ০৩৪১-৬২৪৮০ থেকে ৬২৪৯১ পর্যন্ত।
        • ২.তিন তারকা মানের হোটেল সি-প্যালেসে দু’টি ভিন্ন ক্যাটাগরির আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা আভিজাত্য বজায় রাখতে চান তাদের জন্য ক্রাউন প্লাজায় ৩ হাজার টাকায় রিগুলার রুম, ৪ হাজার টাকায় ডিলাক্স রুম, ৪ হাজার ৫০০ টাকায় সুপার ডিলাক্স ও ৫ হাজার টাকায় স্যুইটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাছাড়াও ইকোনমি রুম হিসেবে ওয়েস্টার্ন প্লাজায় নন-এসি ১ হাজার ৬০০ টাকা ও এসি রুম ২ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এদেরও অফ সিজনে ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। টেলিফোন কিংবা সরাসরি এদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রুম বুকিং দেয়া যায়। হোটেল সি-প্যালেসের টেলিফোন নাম্বার হলো : ০৩৪১-৬৩৬৯২, ০৩৪১-৬৩৭৯২, ০৩৪১-৬৩৭৯৪।
        • ৩.হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালে সর্বনিম্ন ৯৬০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭০০ টাকা রুম ভাড়া রয়েছে। এগুলোর মধ্যে নন-এসি ডিলাক্স ৯৬০ টাকা, নন-এসি ডিলাক্স ১ হাজার ২০০ টাকা, নন-এসি ডিলাক্স ১ হাজার ০২০ টাকা, নন-এসি ডিলাক্স ১ হাজার ৩৮০ টাকা, এসি ডিলাক্স ১ হাজার ৩৮০ টাকা ও ১ হাজার ৭৪০ টাকা এবং স্যুইট ৩ হাজার ৭০০ টাকা। হোটেল মিডিয়ার টেলিফোন নাম্বার হলো ০৩৪১-৬২৮৮১ থেকে ৬২৮৮৫ পর্যন্ত। মোবাইল ০১৮১৯৫১৯৭১৯ ও ০১৭১১৩৪১১৬৪।
        • ৪.কক্সবাজার শহরে মাঝারি মানের যে হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ঐতিহ্যবাহী
          • হোটেল সায়মান (০৩৪১-৬৩৯০০),
          • হোটেল প্যানোয়া (০৩৪১-৬৩২৮২),
          • হোটেল সি-ক্রাউন (০৩৪১-৬৪৪৭৪, ০৩৪১-৬৪৭৯৫),
          • হোটেল কল্লোল (০৩৪১-৬৪৭৪৮),
          • হোটেল মিশুক (টেলিফোন ০৩৪১-৬৪৩২০, ০৩৪১-৬২৮০৮),
          • হোটেল অভিসার (০৩৪১-৬৩০৬১),
          • হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজ (০১৭ ১১ ১৯৩১৯৬),
          • সুগন্ধা গেস্ট হাউস, ডায়মন্ড গেস্ট হাউস (০৩৪১-৬৩৬৪২),
          • সি-পার্ক গেস্ট হাউস (০৩৪১-৫১০৭৮), ০৩৪১-৫১০৪৫),
          • ইউনি রিসোর্ট (০৩৪১-৬৩১৮১, ০৩৪১-৬৩১৯১),
          • উর্মি গেস্ট হাউস, নিলয় বে রিসোর্ট (০৩৪১-৬৩৬৭৭, ০৩৪১-৬৪২৭৮),
          • সি-হ্যাভেন গেস্ট হাউস (০৩৪১-৬৩৭৮৭),
          • জিয়া গেস্ট ইন, সাইমম গেস্ট হাউস, হানিমুন গেস্ট হাউস, সি-আলিফ গেস্ট হাউস, হোটেল সি-হিল, তাহের ভবন অন্যতম।

এই হোটেল গেস্ট হাউসগুলোয় নির্ধারিত একটি ভাড়ার তালিকা থাকলেও পিক-সিজনে ওই তালিকার সঙ্গে ভাড়ার কোনো মিল থাকে না। যারা নির্ধারিত ভাড়ার কথা চিন্তা করে কক্সবাজারে আসবেন তারা যদি পিক-সিজনে আসেন তাহলে ‘বাজেট ফেল’ করা আশঙ্কা থেকে যাবে।
মাঝারি মানের এ হোটেলগুলোতে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকাও ভাড়া আদায় করা হয়। তাই আসার আগেই রুম ভাড়া জেনে ও অগ্রিম বুকিং দিয়ে এলে সবার জন্যই ভালো হয়।

সেন্টমার্টিনঃ

        • ১.ব্লু মেরিন রিসোর্ট (ঢাকা অফিস-৯৫৫৬২৫১, ০১৭১৩৩৯৯০০০, সেন্টমার্টন-০১৭১৩৩৯৯২৫০),
        • ২.প্রিন্স হেভেন (০১৮৩৩৩৬০৩৩৩),
        • ৩.সীমানা পেরিয়ে (০১৯১১১২১২৯২, ০১৮১৯০১৮০২৭),
        • ৪.প্রাসাদ প্যারাডাইস (৮৮১৭৪০০, ৯৮৯১৯২২, ০১৫৫৬৩৪৭৭১১),
        • ৫.কোরাল ব্লু রিসোর্ট (০১৭১৩১৯০০১৩, ০১৭১৩১৯০০০৭),
        • ৬.লাবিবা বিলাস (০১৭৪৪১৩৬১৪৫, ০১৭১৪৬৩৪৭৬২),
        • ৭.পর্যটন হোটেল অবকাশ (০১৮৬৬৯৮৯৮৫৫,০১৮৬৬৯৮৯৮৫৬,০১৮৬৬৯৮৯৮৬০) ইত্যাদি। ভাড়া পড়বে রুম ভেদে ১৫০০-৫০০০ টাকা।

এছাড়াও সেখানে বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে যার ভাড়া পড়বে ৮০০-১০০০ টাকা।

টিপসঃঈদের ছুটিতে বাঁ অন্য কোন সরকারী বন্ধের দিন এই তিন জেলায় ঘুরতে গেলে আগে থেকে হোটেল বুকিং দিয়ে গেলে ভাল, তাইলে পরে আর ঝামেলায় পড়তে হয়না । আর হ্যাঁ, অফ সিজনে বা বন্ধের দিন বাদে অন্যদিন গেলে হোটেল আগে থেকে বুকিং না দিলেই আপনি লাভবান হবেন ।

ভ্রমণে গিয়ে যে কোন ধরণের বিপদে পড়লে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিন, এদের ২৪ ঘন্টা হটলাইন নম্বর- ০১৭৬৯৬৯০৭৪০

সিলেট এবং পর্যটন স্পট

‪সিলেট শহর থেকে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে সহজে এবং কম খরচে যাওয়ায় উপায়ঃ‬

‪#‎সিলেট থেকে জাফলংঃ‬-

★ সিলেট শহর থেকে জাফলং এর দূরত্ব প্রায় ৬০ কি.মি, যেতে সময় লাগবে প্রায় ২ ঘন্টা। পুরো সিলেটের মধ্যে শুধুমাত্র জাফলং যাওয়ায় রাস্তাটাই ভালো। অন্যসব রাস্তা ভয়াবহ রকমের খারাপ। অবশ্য জাফলং রোড তামাবিল পর্যন্ত ভাল, এরপর বলতে গেলে রাস্তাই নাই।‬

‪#‎যেভাবে যাবেনঃ‬

★ সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড/শিশুপার্ক/সোবহানীঘাট-এই তিনটি জায়গা থেকে জাফলং যাওয়ায় বাস ছাড়ে। ভাড়া ৬০ টাকা।‬

১। দরগাহ গেইট থেকে সোবহানীঘাট রিক্সা ভাড়া ২০ টাকা।‬

২। আম্বরখানা থেকে শিশুপার্ক অটো ভাড়া ৩০-৩৫ টাকা।‬

৩। আম্বরখানা থেকে কদমতলী বাসস্ট্যান্ড রিক্সা ভাড়া ৪০ টাকা।‬

‪#‎জাফলং এ কি কি দেখবেনঃ‬

♦জাফলং জিরো পয়েন্ট‬

♦সেংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা‬

♦ ইউকেরাম ঝর্ণা‬

♦খাসিয়াপুঞ্জি‬

‪#‎সিলেট থেকে বিছনাকান্দিঃ‬-

★ সিলেট শহর থেকে বিছনাকান্দির দূরত্ব প্রায় ৬০ কি.মি। যেতে সময় লাগবে প্রায় ২.৩০ ঘন্টা। রাস্তা খুবই খারাপ।‬

#যেভাবে যাবেনঃ

সিলেট শহর থেকে প্রথমেই আপনাকে যেতে হবে হাদারপাড় বাজার। হাদারপাড় কয়েকভাবে যাওয়া যায়।‬

১। রিজার্ভ CNGঃ আম্বরখানা থেকে CNG রিজার্ভ নিয়ে হাদারপাড় যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে CNG ভাড়া নিবে ৬০০-৭০০ টাকা। এক সিএনজিতে ৫ জন যেতে পারবেন।‬

২। লোকাল CNGঃ আম্বরখানা থেকে লোকালভাবেও হাদারপাড় যেতে পারেন। ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা। আগে ভাড়া ছিল ৭০-৮০ টাকা। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়াতে এখন ভাড়া বেশি।‬

৩। চূড়ান্ত লোকালঃ‬

প্রথমে সোবহানীঘাট যেতে হবে। সেখান থেকে জাফলং এর বাসে সারিঘাট যেতে হবে (৪৩ কি.মি)। সারিঘাটের ভাড়া ৪৫ টাকা, লেগুনা ভাড়া ৩০ টাকা। যেতে সময় লাগবে ১.৩০ ঘন্টা। এরপর সারিঘাট থেকে যেতে হবে গোয়াইনঘাট (১৬ কি.মি)। CNG ভাড়া ৫০ টাকা, লেগুনা ভাড়া ২৫ টাকা। সময় লাগবে ৪৫ মিনিট। তারপর গোয়াইনঘাট থেকে যেতে হবে হাদারপাড় (১৭ কি.মি)। CNG ভাড়া ৪০ টাকা, সময় লাগবে ১ ঘন্টা।‬

৪। কম লোকালঃ‬

প্রথমে আম্বরখানা/শিশুপার্ক থেকে লোকাল সিএনজিতে করে গোয়াইনঘাট যেতে হবে। ভাড়া ৮০-১০০ টাকা। এরপর গোয়াইনঘাট থেকে লোকাল সিএনজিতে হাদারপাড়। ভাড়া ৪০ টাকা।‬

‪#‎কি কি দেখবেনঃ‬

♦বিছনাকান্দি‬

♦পাংথুমাই ঝর্ণা‬

♦লক্ষণছড়া‬

♦কুলুমছড়া‬

‪#‎হাদারপাড় থেকে বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, লক্ষণছড়া, কুলুমছড়া‬

১। হাদারপাড় থেকে রিজার্ভ নৌকা নিয়ে বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, লক্ষণছড়া একসাথে ঘুরে আসতে পারেন। নৌকা ভাড়া নিবে ১৫০০-২০০০ টাকা। এক নৌকায় ১০-১২ জন যাওয়া যাবে।‬

২। হাদারপাড় থেকে শুধু পাংথুমাই ও লক্ষণছড়া যেতে চাইলে নৌকা ভাড়া নিবে ১০০০-১২০০ টাকা।‬

৩। হাদারপাড় থেকে শুধু বিছনাকান্দি যেতে চাইলে নৌকা ভাড়া নিবে ৮০০-১০০০ টাকা।‬

‪#‎হাটা পথে বিছনাকান্দিঃ‬

হাদারপাড় বাজার থেকে ৮-১০ মিনিট হেটে গেলে একটি খেয়া পড়বে। খেয়া পাড় হয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে আরো ৫০ মিনিট হাটলেই বিছনাকান্দি।‬

‪#‎সিলেট থেকে রাতারগুলঃ‬

★ সিলেট শহর থেকে রাতারগুলের দূরত্ব প্রায় ১৯ কি.মি। যেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা।‬

‪#‎কিভাবে যাবেনঃ‬

সিলেট শহর থেকে রাতারগুলে যাওয়ার ৩টি পথ রয়েছে।‬

১) মটরঘাট দিয়ে‬

২) রামনগর চৌমুহনী বাজার দিয়ে‬

৩) চৌরঙ্গী বাজার দিয়ে‬

♦মটরঘাট দিয়ে যাওয়ার উপায়ঃ

১। রিজার্ভঃ আম্বরখানা থেকে মটরঘাট রিজার্ভ CNG ভাড়া ৩০০-৪০০ টাকা।‬

২। লোকালঃ প্রথমে আম্বরখানা থেকে লোকাল সিএনজিতে করে সাহেব বাজার যেতে হবে। ভাড়া ৩০ টাকা, সময় লাগবে ৪৫ মিনিট। এরপর সাহেব বাজার থেকে আবার লোকাল সিএনজিতে করে মটরঘাট যেতে হবে। ভাড়া ২০ টাকা, সময় লাগবে ১৫ মিনিট। মটরঘাট থেকে নৌকা নিয়ে রাতারগুল। নৌকা ভাড়া ৮০০-১২০০ টাকা। এক নৌকায় সর্বোচ্চ ৫ জন যাওয়া যাবে, সেটাও খুব রিস্ক।‬

♦ রামনগর বাজার দিয়ে যাওয়ার উপায়ঃ আম্বরখানা > সাহেব বাজার > রামনগর বাজার > প্রায় ২ কি.মি হেটে রাতারগুল গ্রামের ঘাট > নৌকা নিয়ে রাতারগুল (নৌকা ভাড়া ৫০০ টাকা)।‬

অথবা, আম্বরখানা > হরিপুর > ফতেহপুর > রামমনগর বাজার > রাতারগুল।‬

‪#‎বিঃদ্রঃ‬ পরামর্শ হচ্ছে আপনারা মটরঘাট দিয়ে রাতারগুল যাওয়া পরিত্যাগ  করবেন। মটরঘাটে নৌকার মাঝিরা এখন সিন্ডিকেটের খপ্পরে। শুনলাম ১০ লক্ষ টাকায় এই ঘাটটি ইজারা নেয়া হয়েছে। তাই নৌকার মাঝিরা রাতারগুল যাওয়ার জন্য আকাশচুম্বী ভাড়া চেয়ে বসে।খোজ নিয়ে জানলাম রামনগর চৌমুহনী ঘাট দিয়ে গেলে নৌকা ভাড়া অনেক কমে পাওয়া যায়।‬

‪#‎সিলেট থেকে লোভাছড়াঃ‬

★লোভাছড়া যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে কানাইঘাট উপজেলায়। সিলেট শহর থেকে কানাইঘাটের দূরত্ব প্রায় ৬০ কি.মি। যেতে সময় লাগবে ২.৩০ ঘন্টা। সিলেট থেকে দরবস্ত বাজার পর্যন্ত ৪০ কি.মি রাস্তা খুব ভাল। দরবস্ত বাজার থেকে কানাইঘাট পর্যন্ত বাকি ২০ কি.মি রাস্তা খুব খারাপ।‬

#কিভাবে যাবেনঃ

★সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে কানাইঘাট যাওয়া যায়। ভাড়া ৬০ টাকা।‬

অথবা,‬

সিলেট শহর থেকে লেগুনাতে করে দরবস্ত বাজার। ভাড়া ৩০ টাকা। দরবস্ত বাজার থেকে কানাইঘাট বাস ভাড়া ২০ টাকা, লেগুনা ভাড়া ৩০ টাকা এবং সিএনজি ভাড়া ৫০ টাকা।‬

‪#‎কানাইঘাট থেকে লোভাছড়াঃ‬

১। রিজার্ভঃ কানাইঘাট থেকে লোভাছড়া ঘুরে আসতে নৌকা ভাড়া নিবে ১০০০-১২০০ টাকা। এক নৌকায় ১০-১২ জন যাওয়া যাবে।‬

২। লোকালঃ লোকাল নৌকায় গেলে জনপ্রতি ভাড়া নিবে ৩০ টাকা।‬

#কি কি দেখবেনঃ

♦লোভাছড়া চা বাগান‬

♦ঝুলন্ত ব্রীজ‬

♦লোভা নদীতে পাথর উত্তোলন‬

‪#‎সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জঃ‬

★ সিলেট শহর থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ভারতের চেরাপুঞ্জি সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বৃহত্তম পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জ। সিলেটের সবচেয়ে বাজে রাস্তা হচ্ছে এই ভোলাগঞ্জের রাস্তা।‬

#কিভাবে যাবেনঃ

আম্বরখানার মজুমদাড়ি থেকে সিএনজিতে করে ভোলাগঞ্জ যাওয়া যায়। ভাড়া ২০০ টাকা। যেতে সময় লাগবে ২.৩০ ঘন্টা। আর রাস্তায় জ্যাম থাকলে সময় লাগবে আনলিমিটেড।‬

#কি কি দেখবেনঃ

♦দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারি

প্রাকৃতিক নৈসর্গের আরেক রূপ ‘লোভাছড়া’

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় সীমান্তের বড় বড় পাহাড় ছুঁয়ে নেমেছে ঝর্ণা। চারদিকে সবুজ বেষ্টিত চা বাগান, সারি সারি গাছ, পাহাড় আর বালু সমৃদ্ধ স্বচ্ছ পানির বহমান নদী। অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে প্রাকৃতিক নৈসর্গের আরেক রূপ। নাম ‘লোভাছড়া’।

যেভাবে যাওয়া যাবে লোভাছড়ায় :
সিলেট শহর থেকে তিনটি সড়কে কানাইঘাট সদরে পৌঁছার সুযোগ আছে। বাস অথবা সিএনজি-অটোরিক্সায় সরাসরি দরবস্ত-চতুল হয়ে কানাইঘাট সদরে যাওয়া যায়। অন্যদিকে, গোলাপগঞ্জ-চারখাই-শাহবাগ হয়ে জকিগঞ্জ সড়ক দিয়ে কানাইঘাট পৌঁছা যাবে। এছাড়া গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক দিয়ে সিলেট-গাছবাড়ী সড়ক দিয়ে কানাইঘাট সদরে পৌছার সুযোগ রয়েছে।
সিলেট শহর থেকে কানাইঘাট সদরে বাসভাড়া সর্বোচ্চ ৬০টাকা এবং সিএনজি-অটোরিকশা ভাড়া সর্বোচ্চ ১শ’ টাকা। রিজার্ভ সিএনজি ৫শ’ ৭শ’ টাকা হবে। তিন পথেই সিএনজিযোগে যাওয়া যাবে কানাইঘাটে। চলতি বছর কানাইঘাটে সুরমা নদীর উপর ব্রীজ চালু হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ হয়েছে।
কানাইঘাটে পৌঁছার পর বাজার হতে নৌকাযোগে যেতে হবে লোভাছড়ায়। জনপ্রতি ৩০ থেকে ৪০টাকা নৌকা ভাড়া লাগবে। এছাড়া রিজার্ভ নৌকা নিলে সাতশো থেকে এক হাজার’ টাকার বেশি হবে না। আর লোভাছড়া ঘুরতে সময় লাগবে প্রায় ৩ থেকে ৪ঘন্টা। সবুজে আচ্ছাদিত, অপরূপ বন, স্বচ্ছ পানির ঝর্ণা আর নদী, পাথর সমৃদ্ধ লোভাছড়া; যা আপনাকে বিমোহিত করবে।
সতর্কতাঃ

***কানাইঘাট বাজার ছাড়া খাবারের ভালো ব্যবস্থা নেই। তাই সঙ্গে পর্যাপ্ত খাবার ও পানি রাখা ভালো।
*** জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত লোভাছড়া ভ্রমনের উপযুক্ত সময়।
***সাঁতার না জানলে নদীতে নামবেন না। নদী তীরে কোথাও ডুবোচর আছে কিনা, স্থানীয় মানুষজনকে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
***কানাইঘাট উপজেলা সদর থেকে লোভাছড়ার দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে সড়ক ও নদী পথে লোভাছড়ায় যাওয়া যায়। লোভাচড়ায় যাতায়াতের রাস্তটির অর্ধেকের চেয়ে বেশি কাঁচা হওয়ায় খুবই কষ্ট করে সেখানে পৌছাতে হয়। তাই নদী পথে লোভাছড়ায় যাওয়াই সহজ রাস্তা