বাংলাদেশের শেষ প্রান্তে ৯ কি.মি জুড়ে বিসৃস্ত এক দ্বীপ! যেদিকেই চোখ যাবে শুধু নীল আর নীল! আজকের পোষ্ট মূলত সেন্ট মার্টিনের বিপদজনক দিকটা দেখানোর জন্য করা! আগের পোষ্টে অনেকেই জিজ্ঞসে করেছিল কোন দিকটা বিপদজনক! ছবি না থাকার কারণ দেখাতে পারি নাই! ভিডিওটা অনেক কষ্টে খুজে পেলাম,মনে করছিলাম ডিলেট হয়ে গেছে! ভিডিওটা হল সেন্টমার্টিন শীপঘাটের সামনে,যেখানে গিয়ে শীপ ভিড়ে! দেখতেই পাচ্ছেন যতদূর চোখ যাই শুধু নীল আর নীল😊! নীলের ভেতরও প্রকৃতি তার কিছু ভয়ংকর রুপ নিয়ে লুকিয়ে আছে সেটাকে দারুচিনি বীচ বলা হয়! সেটাই হল সেন্ট মার্টিনের সব থেকে ভয়ংকর জায়গা! সেখানে অবশ্য লাল পতাকা লাগানো আছে,কিন্তু আমাদের অনকেই সেই কথাটা মাথায় রাখি না! যাই হউক সবাই এই দিকটা এড়িয়ে চলবেন!গত বছর ঢাকার কোন একটা ভার্সিটি ট্যুরে গিয়ে ওখানে ২-৩ নাকি মারা গেছে! আর দুইটা ভয়ংকর জায়গার নাম বলি! যারা সেন্টমার্টিন থেকে সাইকেলে করে ছেড়াদ্বীপ যাবেন তারা অবশ্যই স্থানীয় লোকজন থেকে জোয়ারের সময়টা জেনে নিবেন! কারণ যে রাস্তা দিয়ে যাবেন,আসার সময় জোয়ার হলে সে রাস্তা ডুবে যাবে! সে রাস্তা গুলাতে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত আছে,যেগুলা জোয়ার হলে দেখতে পাবেন না,তখনই ঘটে যাবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা! আরেকটা বিষয় সব সময় মাথায় রাখতে হবে,সেটা হল ছেড়াদ্বীপপের প্রবাল গুলার কথা! প্রবালগুলা এতটাই পিচ্ছিল আর দাড়ালো যে যারা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তারাই বুঝতে পারবেন! তাই সবসময় ভাল মানের জুতা ব্যবহার করবেন,আর আর একটু সাবধানে থাকবেন!😊 কিছু সময়ের আনন্দ নিতে গিয়ে আমাদের মূল্যবান জীবনটাই যেন হারিয়ে না যায়!
আর যাদের স্কুবা সম্পর্কে কনফিউশনে আছেন,তাদের জন্য বলি সেন্ট মার্টিনে স্কুবা করা যায়! ঘাট থেকে একটু দূরেই ওদের অফিস আছে! যারা সাতার জানেন না তাদের স্কুবা না করাটা ভাল’!
সেন্ট মার্টিনে কয়েকটা জিনিসের খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে!
১/ আইডি কার্ড: টেকনাফ যাওয়ার পথে আপনাকে কয়েকবার বিজিবি,সেনাবাহিনী,পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হবে যদি মেরিম ড্রাইভ দিয়ে যান! তাই সাথে করে আইডি কার্ড রাখাটা ভাল!
২/সান্সক্রিম ও চসমা: সেন্ট মার্টিনে প্রচুর পরিমাণে রোদ,যখন বীচে যাবেন তখন সানগ্লাস এন্ড সান্সক্রিম ব্যবহার করাটা উত্তম!😊
অনেক জ্ঞান দিয়ে ফেললাম,ভূলক্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিত্র দেখবেন!
হ্যাপি ট্রাভেলিং! ভ্রমণে ভ্রমণে সুন্দর হয়ে উঠুক আপনার আমার সবার জীবন!😊
Post Copied From: