সুনামগঞ্জের মাথা নষ্ট কিছু যায়গা

 অনেকেই টাংগুয়ার হাওড়ে যায় কিন্তু জানেনা এর পাশেই কি মিস করছে! সবার প্রতি অনুরোধ সুনামগঞ্জ গেলে যাদুকাটা নদী, বারিক্কা টিলা, শাহ আরেফিনের মাজারের পেছনের ঝরনা, লাকমাছড়া, টেকেরঘাট চুনাপাথরের পরিত্যাক্ত খনির নীল পানির লাইমস্টোন হ্রদটা (আমরা নাম দিয়েছি নীলাদ্রী) দেখে আইসেন। অনেকেই এই যায়গা গুলো সম্পর্কে জানেনা, কিন্তু সত্যিই মন প্রশান্ত করে দেয়ার মত যায়গা। আর লাকমাছড়া ঝরনাটা বর্ষায় একেবারে সেম টু বিছানাকান্দি। ঝর্ণার শ্রোতে গোছল করতে পারবেন সাতার না জানা মানুষেরাও। বারেক টিলা থেকে টেকেরঘাটের রাস্তাটি চলে গেছে একেবারে মেঘালয়ের কোল ঘেষে, এক পাশে পহাড়ের মাথায় মেঘ আর পাথুরে রাস্তা, আর টেকের ঘাটে পৌছলে আরেক পাশে পাবেন বিস্তির্ন হাওড়। যায়গাটা সপ্নের মত লাগে।
 ঐখানকার ইত্তেফাক প্রতিনিধি সিদ্দিক ভাই এ ব্যাপারে খুবই হেল্পফুল। উনি ভ্রমনের ব্যাপারে আপনাদের হেল্প করবেন। একেতো উনি ওখানকার একজন প্রভাবশালী লোক, আর এই যায়গাগুলোকে পরিচিত করতে উনি দিন রাত পরিশ্রমও করে যাচ্ছেন। তাই নিরাপত্তা ও পথ নির্দেষনা দুটোর ওনার থেকে পাওয়া যাবে।
 আর মিঠু ভাই নামের একজন বাইক চালক আছেন উনি ঐ এলাকার প্রথম বাইক চালক। ওনার হাত ধরেই ঐ এলাকায় পর্যটকরা যাতায়াত শুরু করেছেন। উনি খুব ভাল গাইডও, কিন্তু গাইডনেসের জন্য পয়সা দিতে হয়না (আর ওখানে ঘুরতে গাইডের প্রয়োজনও নেই)। ওনাকে মটরসাইকেলের প্রচলিত ভাড়া দিলেই হবে। উনি টাংগুয়ার হাওরের জন্য কম দামে নৌকাও ঠিক করে দিতে পারবেন। বাড়তি কোন ঝামেলাই করতে হবেনা। সুনামগঞ্জ থেকে সব দেখে আবার সুনামগঞ্জ ফিরতে সারাদিনেরে জন্য ওনার বাইক নিয়ে নিলে দুইজনে ১০০০ টাকা দিলেই হবে। আর যদি মাঝে ছেড়ে দেন আবার আসার সময় ফোন দিয়ে নিয়ে আসেন তো ৮০০ই যথেস্ট। তবে সারাদিনের জন্য নিয়ে নেয়াই ভাল।

আপনি যদি সুনামগঞ্জ যেতে চান তাহলে আপনার একদিনের টুর প্লান হতে পারে এমন (বা শুরু করতে পারেন উল্টো দিক থেকেও):

#‎সুনামগঞ্জ থেকে বাইকে সাহ আরেফিনের মাজারে গিয়ে ঝরনা দেখা।
#‎সেখান খেকে লাউড়ের গড় বাজার (জাদুকাটার নৌকা ঘাট)।
#‎এরপর খেয়ায় নদী পাড় হয়ে বারেক টিলায় ঘোরাঘুরি। (খেয়া বারেক টিলার গায়েই ভিরবে)
#পরে টেকেরহাট চুনাপথর খনির নীল লেক (আমরা নাম দিয়েছি নিলাদ্রি), এই রাস্তাটি চলে গেছে একেবারে মেঘালয়ের কোল ঘেষে, এক পাশে পহাড়ের মাথায় মেঘ আর পাথুরে রাস্তা, সপ্নের মত লাগে- লেকে গোছল করে সেখান থেকে ভিজা ভবস্থাতেই বাইকে চড়ে লাকমাছড়া ঝরনা।#‎ঝরনার ঢলে গোছল করে কাপড় চেঞ্জ করে টেকেরঘাট বাজারের হোটেলে খাওয়া, পরে সেখান থেকে সন্ধায় ঐ বাইকেই তাহিরপুরের টাংগুয়ায় গিয়ে রাতে নৌকায় রাত্রি যাপন অথবা সুনামগঞ্জ ফেরত।

টেকেরঘাটে হোটেল আছে, ২০০ করে পারহেড, বাইক চালকই ঠিক করে দিতে পারবে। আর যদি কেউ চান মাজারে ভালো পরিবেশে ৪-৬ জন ফ্রি থাকার ব্যাবস্থা করে দেয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.