মহানন্দা নদীর তীর ঘেঁষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অবস্থান। সুলতানি আমলে ১৪৫০ থেকে ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়। সে সময় গৌড় নগরীতে গড়ে ওঠে নানা রকম স্থাপনা। ১৫৭৫ সালে এক ভয়াবহ মহামারীর ফলে নগরীটি পরিত্যক্ত হয় এবং ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় এর নিদর্শনগুলো। প্রাচীন গৌড় নগরীর ধ্বংসাবশেষ ও টিকে থাকা গৌড়ের নানা ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে এ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। নকশীকাঁথা, রেশম, কাঁসা, আম ও পিতলের জন্য বিখ্যাত এ জেলা।তার মধ্যে শাহ নিয়ামত উল্লাহর মসজিদ অন্যতম।
শাহ নিয়ামতউল্লাহ (র.) মসজিদ ও সমাধি : তাহখানার মূল প্রাসাদ থেকে সামান্য দূরে উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে শাহ নিয়ামতউল্লাহ মসজিদ। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদ। মসজিদের পূর্বে রয়েছে প্রশস্ত একটি খোলা আঙিনা। আঙিনার চারপাশে রয়েছে দেয়াল। দেয়ালের মাঝামাঝি জায়গায় রয়েছে একটি তোরণসহ প্রবেশপথ। ৬৩ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থের এ মসজিদ। এ মসজিদের উত্তরে রয়েছে শাহ নিয়ামতউল্লাহর সমাধি। বর্গাকার নকশায় নির্মিত এবং অভ্যন্তরীণ সমাধি কক্ষের চারপাশে বারান্দা আছে। পূর্ব ও পশ্চিম এবং দক্ষিণে ৩টি করে খিলানযুক্ত মোট ১২টি খিলান পথ রয়েছে। ১২টি খিলান পথ থাকায় এটিকে ‘বারোদুয়ারী’ বলা হয়।
কিভাবে যাবেন : রাজধানী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দূরত্ব ৩১৭ কিলোমিটার। রাজধানী থেকে সরাসরি সড়কপথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাস ছেড়ে যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এ পথের বাস সার্ভিস হল- মডার্ন এন্টারপ্রাইজ, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, লতা পরিবহন, দূরদূরান্ত পরিবহন, এনপি পরিবহন ইত্যাদি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করে এ পথের বাসগুলো। ভাড়া ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। এছাড়া ট্রেনেও রাজশাহী নেমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেতে পারেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে যাওয়ার জন্য লোকাল ও বিরতিহীন বাস সার্ভিস আছে। ভাড়া ৫০ টাকা।
কোথায় থাকবেন : চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি সাধারণ মানের হোটেল আছে। শহরের শান্তি মোড়ে হোটেল আল-নাহিদ, আরামবাগে হোটেল স্বপ্নপুরী, লাখেরাজপাড়ায় হোটেল রাজ, একই এলাকায় হোটেল রংধনু। এ ছাড়াও আরও বেশকিছু হোটেল আছে এ শহরে। এসব হোটেলে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকায় অবস্থান করা যাবে।
Post Copied From:MD Abs Siam Khan>Travelers of Bangladesh (ToB)