বর্ণনাঃ
ঘননীল আকাশ। সামনে সারি সারি পাহাড়। পাহাড়ের চূড়ায় মেঘের কুন্ডলী। নৈকট্যে গেলে ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ। মেঘের বুক চিরে নেমে আসা ঝর্ণা। নিচে নেমে জল ও পাথরের সম্পর্কে শাঁ শাঁ শব্দ। সেই জলই আবার মিশে যাচ্ছে পিয়াইনের সাথে। পাথরে পাথরে বন্ধুত্ব। পাথরে ও নদীতে মিতালি। পাথরে মানুষে জীবনযাপনের যুদ্ধ। চারিদিকে বিস্তৃত সবুজ। পাহাড়ে পাহাড়ে সবুজের জলকেলি। বিস্তির্ণ মাঠে সবুজের চাদর। এগুলো দৃশ্যকল্প নয়, সিলেটের বিছনাকান্দি জুড়ে এমন দৃশ্য যেন সত্যিই কেউ ফ্রেম বন্দি করে লটকে দিয়েছে আকাশের সাথে। দূর থেকে মনে হবে এই মেঘ, এই মানুষ, এই পাহাড়-নদী কিংবা পাথরের স্থিরচিত্রই এগুলো।দুই পাশে আকাশচুম্বী পাহাড়, তার মাঝে বয়ে চলা ঝরনার স্রোত। পানি একেবারে পরিষ্কার, স্বচ্ছ, এবং টলমলে। আর ছোট-বড় নানান আকৃতি আর রঙের পাথর তো আছেই। পানি এত স্বচ্ছ যে পানির তলার পাথর কিংবা নিজের ডুবে থাকা পা পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায়।
কিভাবে যাবেন:
১) ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন বা বিমানে করে সিলেটে যাওয়া যায়।
২) সিলেট শিশু পার্কের বা আম্বরখানার সামনে থেকে পাওয়া যায় গোয়াইনঘাটগামী লেগুনা অথবা সিএনজি অটো রিক্সা। ভাড়া ৮০-১০০টাকা। গোয়াইনঘাট থেকে হাদারপার বাজার যেতে হবে সিএনজি অটো রিক্সায়। ভাড়া ৩০-৪০ টাকা। হাদারপার থেকে নৌকা নিয়ে যেতে হবে বিছনাকান্দিতে। ভাড়া যাওয়া আসা ৮০০-১০০০+ টাকা। সিলেট শহর থেকে সিএনজি নিয়ে জেতেপারেন রিজার্ভ ১২০০-১৫০০ টাকা।
কখন যাবেন:
সারা বছর যাওয়া যায় তবে বর্ষা কালে গেলে আসল রুপ দেখা যায়।বর্ষাকাল বলেই নৌকায় যাতায়াত করা যায়, শুকনা মৌসুমে এক ঘন্টার মত হাটতে হয় । জায়গাটায় পৌছার পর কিছুক্ষণ বিমুগ্ধ নয়নে শুধু চেয়ে ছিলাম। সত্যিকার অর্থেই ছবির চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর।
কোথায় থাকবেনঃ
সিলেট শহরে থাকা খাওয়ার জন্য অনেক হোটেল আছে। মান ও অন্যান্য সুবিধা ভেদে ভাড়া ৫০০-৬৫০০ টাকা পর্যন্ত।
কোথায় খাবেনঃ
খাবার জন্য শাহজালাল (রা.) দরগার আসে পাশে অনেক হোটেল আছে । তবে পাঁচ ভাই , পানশি ইত্যাদি খুব সুপরিচিত।এবং বিছনাকান্দির হাদাড়পার বাজারে পাকশি রেস্টুরেন্ট এ ও খেতে পারেন।
আশেপাশের দর্শনিয় স্থানঃ
লালাখালা, পান্থুমাই, লক্ষনছরা, ইত্যাদি আছে, সময় থাকলে যেতে পারেন রাতারগুল।
টিপসঃ
১) গ্রুপ করে গেলে ভাল ।
২) খাবারের জন্য আগে দাম জিজ্ঞেস করে নেয়া উচিত ।
৩) রিক্সা চালকদের ড্রাইভার বলে ডাকবেন, মামা বা অন্য কিছু না বলাই ভাল।
৪) বর্ষাকালে গেলে রেইন কোট , ছাতা নিয়ে যাবেন।
৫) ভারতীয় সিমানার কাছাকাছি তাই সীমানার ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন ।
৬) আমাদের প্রকৃতি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের তাই বিছনাকান্দিতে কোন চিপ্স,চানাচুর বা পানির বোতল ফেলে আসবেন না।