টাঙ্গোয়ার হাওর, ‘জলস্বর্গ’

যা যা দেখলামঃ
>কমন স্পট< . – টাঙ্গুয়ার হাওর এবং ওয়াচ টাওয়ার – টেকেরঘাট শহীদ সিরাজ লেক (নীলাদ্রী) রাজাই ঝর্ণা, বারিক্কা টিলা যাদুকাটা নদী শিমুল বাগান লাকমা ছড়া – হাসন রাজার বাড়ি, সুনামগঞ্জ . >আনকমন স্পট< – কলাবন ছড়া – জঙ্গলা ছড়া – বীরেন্দ্রনাথ ছড়া ও বাগান – বাইশা ছড়া . খরচপাতিঃ (৬ জন হিসেবে) >মেস থেকে কুমিল্লা রেল স্টেশনঃ ১৫০
> কুমিল্লা – সিলেটঃ ১২০০ (স্টেন্ডিং)
>সিলেট রেল স্টেশন থেকে কুমারগা বাস স্ট্যান্ডঃ ১২০
> নাস্তাঃ ৩০০ (ভাত, ৩/৪ পদের ভর্তা, ডাল)
> কুমারগাও থেকে সুনামগঞ্জ বাসে> ৫৪০
> সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর লেগুনা রিজার্ভ > ৫০০
> তাহিরপুর ‘টাঙ্গোয়ার হোটেলে’ লাঞ্চ> ৯০০
(মুরগীর রোস্ট ১০০, বোয়াল ১৫০, স্বাদঃ ১০/১০)
> পানি ১০ লিটার, কলা, বান, বিস্কুট > ৩০০
> ট্রলার বিকাল থেকে পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত, মাঝারী সাইজ > ২৫০০
> টেকেরঘাট রাতের খাবার > ১৪০ (পরটা, ডিম ভাজি, স্বাদঃ ০/১০)
> বাইক ভাড়া, কমন ৫টা স্পট > ৭৫০
> বাইক ভাড়া, আনকমন স্পট > ৮০০
> দুপুরের খাবার > ৮৪০ (বোয়াল মাছ, ভর্তা, স্বাদঃ ৪/১০)
> ওয়াচ টাওয়ারে ছোট নৌকা ভাড়া, ২টা > ২০০ (এগুলো সময় অনুযায়ী প্রতিজন ২০/১০ টাকা করে নেয়)
> তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জ সাথে হাসন রাজার বাড়ি রিজার্ভ সিএনজি > ৫০০
> সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট পাঁচভাই হোটেল পর্যন্ত মাইক্রো রিজার্ভ > ৯০০
(যদিও এসব সেইফ না, আর রাত ৮টার পর সিলেটের বাস নেই, ঢাকার বাস আছে, দাড়িয়ে যেতে হয়)
> পাঁচভাই ডিনার> ১১৫০ (গরু/কোয়েল + অনেক পদের ভর্তা + লাচ্চি)
> রাত ১২টার পর কুমিল্লার বাস পাইনি, তাই,
সিলেট টু ব্রাক্ষনবাড়িয়া বিশ্বরোড > ৫০০ (৬জনে :p
(সার্ভিস খারাপ না)
> ব্রাক্ষনবাড়িয়া থেকে কুমিল্লা > ৬০০
> সকালে হাল্কা নাস্তা > ১২০
> বাস স্ট্যান্ড থেকে মেসে > ৯০
.
সর্বমোটঃ ১৩১০০/৬
প্রতিজনঃ ২১৮৩ টাকা!!
.
[ঢাকা থেকে যদি আসেন কুমিল্লা-সিলেট,সিলেট কুমিল্লার ভাড়া ২০০*২= ৪০০ বাদ দিয়ে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা ভাড়া এড করলে যা আসে তা আসবে]
.
এবার আসি সংক্ষেপে মূল আলোচনায়,
৩/৪ ঘন্টার হঠাৎ প্ল্যান করে ২৬ তারিখ ৬জনে কুমিল্লা থেকে বেড়িয়ে পরি টাঙোয়ার হাওর দেখার উদ্দেশ্যে!
.
রাত ১টার ট্রেন ২ঘন্টা লেটে কুমিল্লায় পৌছায় ৩টারও পর!
স্টেন্ডিং টিকিট কেটে শুরু করি যাত্রা…
৩০ মিনিট পর শশীদল স্টেশনে ক্রসিং এর জন্য আরো দেঢ় ঘন্টা ট্রেন দাড়িয়ে!
ভোর হতে চললো, কুমিল্লায়ই ছাড়তে পারলাম না!
.
যাক, ট্রেন চলতে শুরু করলো, শ্রীমঙ্গল যাওয়ার পর সীট পাই আমরা সবাই।
সিলেট পৌছাই আমরা প্রায় সাড়ে ১০ টায়!
.
সীলেট স্টেশন নেমেই কুমারগা বাস স্টেশনে যাওয়ার জন্য সিএনজি খুজতে থাকি।
স্টেশন থেকে সিএনজি রিজার্ভ চায় একদাম ২৫০
.
২মিনিট হেটে স্টেশন থেকে বের হয়ে রাস্তা থেকে ১২০ টাকায় ঠিক করি কুমারগায়ের উদ্দেশ্যে।
.
মাঝখানে চাকা পামছার হওয়ার :p বিরতি নাস্তা পর্ব সেরে নেই।
কুমারগাও স্টেশন থেকে সুনামগঞ্জের বাসে উঠি। বাসগুলো চরম চিটার।
২জন ইন্জিন কভারে, ২জন মাঝখানে সীটে আর বাকি ২জনকে একদম পিছের মাঝখানে সিট দেয়।
.
আমাদের অনেক পরে আসা যাত্রীদের ভাল ভাল সীট দিচ্ছিলো!
.
যাইহোক, সুনামগঞ্জ পৌছে ৬জনে একটা লেগুনা ঠিক করে আরামচেয়ে পৌছে যাই তাহিরপুর।
তাহিরপুর পৌাছার পরপরই মাঝারি টানাটানি শুয়রের করে দিলো!
.
অনেক নাটকের পর নৌকা ঠিক করে ৫টার নাগাদ হাওর যাত্রা শুরু করি, তার আগে তাহিরপুর বাজারের বিখ্যাত হোটেল ‘টাঙোয়ার হোটেল’ এ লাঞ্চ সেড়ে নেই । টেকেরঘাট পৌছাতে পৌছাতে রাত হয়ে যায়।
রাতে সিরাজ লেক দেখে খাবার খেয়ে ট্রলারে আড্ডা দিয়ে ঘুমিয়ে পরি।
টেকেরঘাটে খাবারের মান খুবই খারাপ।
.
রাতেই বাইক ঠিক করে ফেলি তিনটা ।
ভোড় সাড়ে ৫টায় বাইক হাজির, ব্রাশ করে কলা রুটি খেয়ে বেড়িয়ে পরি….
(রাজাই ঝর্ণা, বারিক্কা টিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, লাকমা ছড়া) দেখতে দেখতে ৩ঘন্টার উপর চলে যায়।
.
তারপর আনকমন স্পটগুলোতে যাওয়া শুরু করি, ওগুলো দেখা শেষ করতে করতে আরো ৩ঘন্টা!
দুপুরের খাবার খেয়ে , সিরাজ লেকে গোসল করে বিকাল ৩টার দিকে ওয়াচ টাওয়ারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি।
.
ওয়াচ টাওয়ার দেখে তাহিরপুর ফিরতে ফিরতে মাগরিবের পর হয়ে যায়।
সিএনজি রিজার্ভ করি হাসন রাজার বাড়ি দেখিয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত।
.
সুনামগঞ্জ পৌছাই রাত ৯ টায়।
.
সুনামগঞ্জ থেকে প্রাইভেট কার রিজার্ভ করে সিলেটের পাঁচভাই হোটেলে যাই, ডিনার করে বাসে করে কুমিলা সকালে পৌছাই!
.
সকালে কুমিল্লা পৌছে দুপুরে একটা দাওয়াত খেয়ে রাতে চট্রগ্রাম ট্যূরে চলে যাই 😉
পতেঙ্গা, নেভাল, ভাটিয়ারি, বাঁশবাড়িয়া বিচে! :p
.
<<<<<<কিছু কথা>>>>>>>
১. টাঙ্গুয়ার হাওরের পানি খুব পরিস্কার, স্লোরকেলিং সেট মাস্ট কিনে নিবেন। পানির ভিতরে দেখে দেখে সাতার কাটবেন। দাম ৮০০-১০০০
২. একশান ক্যামেরা নিলে ভালো
৩. সরকারি বন্ধ না থাকলে মাঝারি সাইজের ট্রলার ৬-৮ জন ধারনক্ষমতা ভাড়া ২৫০০-৩০০০,
বড় সাইজে ৪০০০ থেকে শুরু…
আর সরকারি বন্ধে মাঝারি সাইজের নৌকা ৭-৯ হাজার টাকা!!!
৪. মাঝিদের থেকে সাবধান থাকবেন, মোবাইল মানিব্যাগ চুরি হয়! এবং রান্নার সরন্জামে গরমিল হয়!
৫. ট্রলারে রান্নার ঝামেলা না নিলেই আমার মনে হয় ভালো হয়
Post Copied From:সাখাওয়াত সবুজ>Travelers of Bangladesh (ToB)

Leave a Reply

Your email address will not be published.