জোঁক হতে দূরে থাকতে চান?

জোঁকেরকামড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ভাল উপায়ঃ

১।পানিতে তামাক ভিজিয়ে রেখে সেই পানিতে জামা কাপড়, মোজা ভিজিয়ে রেখে পরে শুকিয়ে নিয়ে পরলে জোঁক উঠবে না। তামাকে যে বিষাক্ত দ্রব্য আছে, সেটার জন্যই জোঁকের মতো প্রানী দূরে চলে যায়। অনেক দেশে বনে বাদাড়ে যারা ঘুরে বেড়ায় ও বাস করে, এটা তাদের পদ্ধতি।
২।ডেটল। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জাপানী যোদ্ধারা নাকি জংগলে জোঁকের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সারা শরীরে ডেটল মেখে নিতো।   ডেটলের তীব্র গন্ধে জোঁক কাছে ভীড়ে না। তবে বনেজংগলে বুনো প্রানী দেখতে গেলে ব্যবহার না করাই ভাল, কারন ডেটলের তীব্র গন্ধে বুনোপ্রানীরা দৌড়ে পালাবে।
৩। শরীরে লবন, সাবান, ভিনেগার, লেবুর রস, বা মদ লাগিয়ে নিলে।
৪।পোঁকা মাকড় দূরে রাখার স্প্রে (Insect repellent spary)। অবশ্যই সে স্প্রে তে DEET কেমিক্যালটা থাকতে হবে।  এই স্প্রে মাখলে সাধারনত মশা বা পোকামাকড় দূরেথাকে, তবে জোঁকের হাত থেকেও নাকি রক্ষা পাওয়া যায়। একবার মাখলে ৬-১০ ঘন্টা কাজকরে, কিন্তু নির্ভর করে DEET এর পরিমানের উপর। স্প্রেতে ৫০% DEET মিশ্রন থাকলে আনুমানিক ৮ঘন্টা কাজ করে।

জোঁক কামড়ে ধরলে  করনীয়ঃ
১।যে কোন আগুন দিয়ে ফেলে দেয়া যায় (কিন্তু সাবধান, নিজেকে আগুনে পোড়াবেন না)।নিরাপত্তা জনিত কারনে এটা মেডিকেল দিক দিয়ে পরামর্শ  দেয়া হয় না।
২।গুল, লবন, ভিনেগার, মদ, লেবুর রস, কোকাকোলা বা সমজাতীয় শক্তিশালী কার্বোনে্টেড ড্রিংক ঢেলে দিলে জোঁক পড়ে যাবে।
৩।জোক ছাড়িয়ে নেওয়ার পর অনেক সময়ই দেখা যায় রক্ত বন্ধ হয় না। তখন Guide কে রক্ত বন্ধ না হওয়ার বেপারে জানান। বেশির ভাগ Guide ই জানে কোন ধরনের লতাপাতা রস এই রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারবে। অথবা যেই জায়গা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে ওই জায়গায় ছোটো করে কাগজ ছিরে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
৪।জোঁক ছাড়ানোর পরে সাবান ও পরিস্কার পানি দিয়ে সেখানে পরিস্কার করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.