ছোট একটা tour এর plan

time duration দুপুর ১২ টা থেকে রাত ১০ টা। খরচ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা জনপ্রতি। ঢাকার গুলিস্তান থেকে মাওয়ার বাসে উঠবেন দুপুর ১২ টায়। ভাড়া জনপ্রতি ৭০ টাকা। জ্যাম না থাকলে ১.৩০ টার মধ্যে মাওয়া। ঘাটে গিয়ে যেকোনো হোটেল ইলিশ মাছ, মাছর ডিম, ভর্তা দিয়ে একপেট খেয়ে নিবেন। অমৃত মনে হবে। ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে খাওয়া হয়ে যাবে। এরপর লন্চ এর টিকিট কাটবেন মাঝির ঘাটের। ভাড়া জনপ্রতি ৩৫ টাকা। সময় লাগবে ১.১৫ থেকে ১.৩০ ঘন্টা। দুপুর এর দিকে একটু ভীর থাকে তারপরেও শিতের দুপুরের নরম রোদে লন্চের ডেকে বসে থাকতে খারাপ লাগবে না। পদ্দা সেতুর পাইলিং কাজ দেখতে পারবেন খুব কাছ থেকে। ৪ টার দিকে মাঝির ঘাট নামবেন। গরুর দুধের এক কাপ চা খেয়ে নিতে পারেন। নদীর পাড় ধরে হাটতে পারেন। পড়ন্ত বিকেলে একপাশে নদী আর একপাশে বিভিন্ন সবজির খেত। কখোনো শরিষা খেত। খারাপ লাগবে না মোটেও। কম দামে জাষ্ট খেত থেকে তোলা ফ্রেশ শাক সবজি কিনতে পাবেন। শিতকালে মাঝির ঘাট থেকে ঢাকার লাষ্ট লন্চ সন্ধ্যা ৭ টায়। সাধারনত এই সময় যাত্রী খুব কম থাকে। ডেকের উপর হাত পা ছড়িয়ে বসতে পারবেন। এই ১.৩০ ঘন্টার জার্নি মনে রাখার মত। শুনশান নিরবতা। চারিদিক অন্ধকার। মাথার উপর খোলা আকাশ। মাঝে মাঝে একটু আলো অন্য কোন লন্চের অথবা কোনো ড্রেজার মেশিনের। সব মিলিয়ে ভালোই লাগবে। ৮.৩০ এর দিকে মাওয়া পৌছে যাবেন। ঘাট থেকে ঢাকার অনেক বাস পাবেন।
ইচ্ছা করলে এই tour টাকে আরো expensive or cheap করতে পারেন। মাওয়া ঘাট থেকে মাঝির ঘাট স্পিড বোটে যেতে পারেন। ১৫০ টাকা জনপ্রতি। সময় লাগে ২০ মিনিট। দুপুরের খাবার টা লন্চেই সেরে নিতে পারেন। মেনু্ থাকে সাদা ভাত, ইলিশ ভাজা, মাছের তেল, শুকনা মরিচ ভাজা আর ডাল। পেটে খুধা থাকলে অমৃত মনে হবে। ১০০ টাকায় ভরপেট খেতে পারবেন।

সতকর্তা: মাওয়া থেকে মাঝির ঘাট আর কাওড়াকান্দির লন্চ ছাড়ে। একটু শিওর হয়ে মাঝির ঘাটের লন্চে উঠবেন। নদীর অবস্থা বুঝে স্পিড বোটে উঠবেন। সাধারনত বর্ষাকালে না উঠাই ভালো। ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলবেন না। Local people and culture কে সম্মান দিবেন।

Post Copied From:Jahid Hasan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

Leave a Reply

Your email address will not be published.