এটা এই গ্রুপে আমার প্রথম পোষ্ট। অনেক লম্বা পোষ্ট তাই দুঃখিত।
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার লতাচাপলি ইউনিয়নে এর অবস্থান।
মাত্র ১৮ কি.মি. দীর্ঘ এই বীচটা কতটা সুন্দর তা না দেখে বোঝা যায় না। রয়েছে নানা প্রাকৃতিক বিশ্ময়। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়।
এর সন্নিকটবর্তী আরও যেসব দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেগুলো হলঃ
১. কুয়াকাটার ‘কুয়া’ – কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কাছে রাখাইন পল্লী কেরানীপাড়ার শুরুতেই একটা বৌদ্ধ মন্দিরের কাছে রয়েছে একটি প্রাচীন কুপ।
২. সীমা বৌদ্ধ মন্দির – প্রাচীন কুয়াটির সামনেই রয়েছে প্রাচীন সীমা বৌদ্ধ মন্দির, যাতে রয়েছে প্রায় সাঁইত্রিশ মন ওজনের অষ্ট ধাতুর তৈরি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মূর্তি।
৩. কেরানিপাড়া – সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে থেকেই শুরু হয়েছে রাখাইন আদিবাসীদের পল্লী কেরানিপাড়া।
৪. রাখাইন মার্কেট – সীমা বৌদ্ধ মন্দির ও কুয়ার পাশেই এই মমার্কেটের অবস্থান। রাখাইনদের তৈরি নানান হস্ত শিল্প, তঁাতের তৈরি জামা- কাপড় , সহ বারমিস নানান আসবা পত্র পাবেন এখানে। পাতার বিড়ি নামক বিড়ি পাবেন এখানে চাইলে try করে দেখতে পারেন।
৫. মিশ্রী পাড়া- নানান উপজাতিদের বসবাস এই এলাকাতে। মহুয়া নামক সোম রস যা এখানেই তৈরি করা হয় । (বাচ্চারা এটা থেকে দূরে থাকবেন)
৬. মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির – কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পূর্বে রাখাইন আদিবাসীদের আবাস্থল মিশ্রিপাড়ায় রয়েছে একটি বৌদ্ধ মন্দির, যাতে রয়েছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি।
৬. লেবুর বন – বীচে পশ্চিম দিকে এর অবস্থান। খুব সুন্দর ছোট একটি বন। ঝিনুক বীচ নামের বীচটি এখানে। সূর্যাস্ত দেখতে হলে আপনাকে এখানে আসতে হবে। জোনাকি রাতে অসম্ভব সুন্দর লাগে তারা গুলো।
৭. গোমতির লেক – বীচের পূর্ব দিকের গোমতি নদীর মোহনায় অবস্থিত এটি। সূর্যোদয় দেখতে হলে এখানেই আসতে হবে।
৮. লাল কাঁকড়ার চর – এখানে গেলে মনে হবে আপনি কল্পনার জগতে এসেছেন। পুরো বীচ জুড়ে লাল কাঁকড়ার ছড়া ছড়ি। পা ফেলার জন্য জায়গা পাবেন না।
৯. ফাতরার বন – বীচের পশ্চিম দিকে নদীর মোহনার কোল ঘেষে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া ম্যানগ্রোভ বন যা সুন্দরবনের এক অংশ হিসেবে পরিচিত। এখানে বানর, বুনো মোরগ, নানান প্রজাতির সাপ , পাখি সহ অনেক বুনো প্রানী দেখতে পাবেন। চাইলেই একটু সময় নিয়ে সুন্দরবনের কটকা রেঞ্জ থেকে ঘুরে আসতে পারবেন।
যেভাবে যাবেন –
ঢাকা থেকে সড়ক ও নৌ দুই পথেই যেতে পারবেন।
সড়ক পথ – গাবতলি থেকে Ac/Non Ac বাস ছাড়ে কুtয়াকাটার উদ্দেশে। ভাড়া AC – ১০০০ টাকা ও Non Ac – ৬৫০ টাকা। সাকুরা ও সুরভী পরিবহনের সার্ভিস ভাল পাবেন।
নৌপথ – বাংলার টাইটানিক নামক লঞ্চে চলার স্বাদটা মিটিয়ে নিতে পারেন। সদর ঘাট থেকে বরিশাল গামী লঞ্চে উঠে পরুন। ভাড়া – ২০০ টাকা থেকে ৮০০০ টাকা। বরিশাল থেকে কুয়াকাটার সরাসরি বাস চলে।
অথবা — ঢাকা থেকে পটুয়াখালী গামী লঞ্চ।
হোটেল- ২০০ টাকা থেকে ২০০০০ টাকা।
Post Copied From:Atik Akon>Travelers of Bangladesh (ToB)