।
কাঞ্চনজঙ্ঘার দিনরাত্রী
হিমালয় কন্যা পঞ্চগড় <3
তেতুলিয়ার ফরেস্ট ডিপার্টমেণ্টের ইকো কটেজ কাপিয়ে সাড়ে চারটা থেকে এলার্ম বাজতে থাকে ৫ টা পর্যন্ত , তেতুলিয়ার ভোরের ঠান্ডায় ঘুম থেকে উঠা বেশ কস্টকর । সঙ্গীদের ডেকে তড়িঘড়ি করে রেডি হয়ে যন্ত্রপাতি,বাইক নিয়ে বের হয়ে পড়ি তেতুলিয়ার রাস্তায় হাড় কাপানো ঠান্ডায় । ৪০ মিনিট লাগে গন্তব্যে পৌছাতে । উদ্দেশ্য প্রথম আলোয় পাহাড় দেখা , ছবি তোলা ।
মিনিট বিশেক থাকে সোনালী আলো । সাদা পাহাড় ধীরে সোনালী হয়ে যায় , নিচে কার্শিয়ং শহরের ঝিকিমিকি লাইট জ্বলে , নিচে সবুজ সোনালী মাঠে কুয়াশার আস্তরন ,অসাধারন সুন্দর , দেখে ভড়কে যাই ছবি তুলবো নাকি বসে দেখবো , ফটোগ্রাফাররা ঠিকভাবে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেনা , ছবিই তোলা লাগে । খুব অল্প সময়ে সাবজেক্ট বের করা , কম্পোজিশন করা বেশ কঠিন ।
ছবি তোলা হলে মাঠে ঘাটে নাশতা করে আবার বেড়িয়ে পড়ি পাখি দেখতে , তারপর দুপুরে খেয়ে গাছের তলে ঘুম । আবার পাখি , সন্ধ্যায় আবার পাহাড় । এভাবেই গেল তেতুলিয়ার কয়েক দিন । তেতুলিয়া যাওয়ার পথে নতুন পাখি দেখলাম , ভাবিনাই এই পাখির দেখা পাবো পঞ্চগড়ে । ১৫ কেজি ওজনের পাখি প্যালিকেন । তাও দুইটা ।
বেশ কিছু নতুন যায়গায় দাঁড়িয়ে পাহাড় দেখলাম , দেখে মনে হচ্ছিল না বাংলাদেশে আছি । এক জায়গা থেকে ভুটানের তিনটা পাহাড় চুড়া দেখা যায় সে নিয়ে পরে পোস্ট দিবো । নিজ জেলা পঞ্চগড় যে এত সুন্দর আবার নতুন করে আবিস্কার করলাম ।
পথে ঘাটে দেখা হয় পাহাড় দেখতে আসা টুরিস্টদের , বেশ ভালো লাগে । দুইজন আবার আমাকেই আমার কথা জিজ্ঞেস করলো ।
ব্যাক টু ব্যাক তিনটা ট্রিপে সাথে ছিল ছোট ভাই তুর্য্য , তুষার আর লেমন ভাই । সবার সাথে সময় গুলো বেশ উপভোগ্য ছিল । মাঝে যোগ দিয়েছিলেন আমিন স্যার , শাকির স্যার , রাহী ভাই ।
ট্রিপ গুলো শুধু পাহাড় দেখার ছিলো না , বেশ কিছু কাজ নিয়ে গিয়েছিলাম । সফল বলা যায় । বিশেষ করে তুষার অনেক কস্ট স্বীকার করেছে প্রোজেক্ট নিয়ে । সময়গুলোকেও উপভোগ্য করে তুলেছে সে , পাখির প্রতি তার আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে । লেমন ভাইয়ের আতিথেয়তায় আমরা মোটেও মুগ্ধ নই । আবার আসবো জ্বালাতে 😀
ছবির মাঝে বড় করে ওয়াটারমার্ক দিলাম না , দিতে ভালো লাগেনা । আশা করি সবাই মেধাস্বত্ব আইনের প্রতি সম্মান দেখাবেন ।
Post Copied From:Firoz Al Sabah>Travelers of Bangladesh (ToB)