কিছু না ভেবে ঠিক করলাম চাঁদপুরে হবে মিশন। খুব সকালে উঠে বেরিয়ে পরলাম সদরঘাটের লালকুঠিরে। এখান থেকেই ছেড়ে যায় লঞ্চ আবার আসেও এখানেই। এসে দেখি বড় বড় লঞ্চ আমাকে হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকছে। দেরি না করে ঘাট প্রবেশের ৫ টাকা দিয়ে একটি টিকিট নিয়ে হই হই করে ঢুকে পরলাম। তারপর দেখলাম ৮টা বেজে ৩৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে বোগদাদীয়া-৭ লঞ্চটি। অনেক বড় আর বেশ লাক্সারিপূর্ন। যথাসময় লঞ্চ ছাড়ে। কিছু দূর যেতে নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন যে এসে পড়লাম টের ই পেলাম না। ১১টা বেজে ৩০ মিনিটে পৌছে গেলাম। তারপর লঞ্চ থেকে নেমে ঘাট থেকে বের হয়ে অটোতে আসলাম বড় স্টেশন তিন নদীর মোহনা দেখতে। যেখানে আছে পদ্মা, মেঘনা আর ডাকাতিয়া এই তিন নদীর মিলনস্থল। এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন হাজার মানুষের সমাগম হয়। মন ভরে দেখে বের হলাম চাঁদপুরের বিখ্যাত ওয়ান মিনিটের আইসক্রিম, দই আর মিষ্টি খেতে। খাওয়া শেষ করে আবার ঘাটে ফিরে এইখানের একটি হোটেলেঢুকে গরম গরম টাটকা ইলিশ মাছ ভাজা আর চাক বেগুন ভাজা দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। এখন ফেরার পালা। ৩ টা বেজে ৪০ মিনিটে লঞ্চ সোনারতরী। বিকেলে নদীর মনোরম রুপ দেখতে দেখতে ফিরে এলাম ঢাকা। আমি বলবো এক দিনে ঘুরে আসার জন্য পারফেক্ট। সকাল ৬ টা থেকে এক ঘণ্টা পর পর লঞ্চ ছেড়ে যায়। চাঁদপুর থেকেও সকাল ৭ টা থেকে এক ঘন্টা পর পর লঞ্চ ছেড়ে আসে। চাইলে পরিবার প্রিয়জন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। যে আসনে আপনি যেতে চান যেতে পারবেন টিকিট কেটে।
লঞ্চের ভাড়া-
সিংগেল কেবিন- ৫০০
ডাবল কেবিন- ৮০০
ফ্যামিলি কেবিন- ১৫০০
ভি আই পি কেবিন- ২০০০
ফাস্টক্লাস চেয়ার- ২৫০
চেয়ার- ১৫০
ডেক- ১০০
Post Copied From:Ekla Pothik>Travelers of Bangladesh (ToB)