ইন্ডিয়ান ই-টোকেন এবং ভিসা অভিজ্ঞতা

ইন্ডিয়ান ই-টোকেন এবং ভিসা অভিজ্ঞতা
=============================
গত ১৮ জুলাই দুপুর ১২:৪৭ এ প্রথম বারের চেষ্টায় টোকেন পেয়ে গেলাম। ২৫ জুলাই ১১:৩০ এ পাসপোর্ট জমা দেয়ার তারিখ পেলাম। যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক সহজ। আগে টোকেন পাওয়ার পরও ফর্ম এডিট করা যেত, এখন করা যায় না। তাই ফর্ম পূরণ এর সময় তথ্য ঠিক আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।
টোকেন করার লিংক দিয়ে দিচ্ছি (http://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/Registration) যদি কারো কাজে লাগে।

টোকেন পাওয়ার পর এবার প্রয়োজনীয় কাগজ গুছানো শুরু করলাম। যা যা লাগবে এবং যে ক্রমানুসারে সাজাতে হবেঃ

• ভিসা অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম এর প্রিন্ট আউট
• জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি
• বিদ্যুৎ অথবা গ্যাস বিলের ফটোকপি
• ট্রেড লাইসেন্স অথবা স্টুডেন্ট আইডি অথবা এনওসি এর ফটোকপি
• ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা এন্ডোরসমেন্ট এর ফটোকপি
• পাসপোর্ট এর ফটোকপি
• পুরাতন পাসপোর্ট(থাকলে) এর ফটোকপি

কোন কিছু পিনআপ করার দরকার নেই। ফটোকপি সাদা কালো বা রঙিন করতে পারেন আপনার ইচ্ছামত। ভিসা অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম এ আপনার এক কপি রঙিন (২x২ সাইজের) ছবি আঠা দিয়ে লাগাতে হবে এবং ২ জায়গায় আপনার সাইন করতে হবে(পাসপোর্টের মত)।
সব কিছুর অরিজিনাল সাথে রাখবেন। যদিও দেখে না, তাও রাখা ভালো।

এন্ডোরসমেন্ট কথা থেকে করব এ নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। ২৪ জুলাই ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টারে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম মানি এক্সচেঞ্জ এবং সরকারি ব্যাংক থেকে এন্ডোরসমেন্ট করা যাবে না। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া অথবা যে কোন প্রাইভেট ব্যাংক থেকে করতে হবে। স্টেট ব্যাংক এ ফোন দিয়ে শুনলাম, তাদের ডলার রেট ৮১.৪৯ কিন্তু তারা ক্যাশ ডলার দিবে না। ট্রাভেল কার্ড করতে হবে আরও ১৪০০ টাকা দিয়ে। সব ব্যাংকের সব শাখায় এন্ডোরসমেন্ট করে না এবং ঐ ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট না থাকলেও এন্ডোরসমেন্ট করবে না। তাই আগে ফোন দিয়ে শুনে নেবেন। আমার ২ টা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট ছিল তাই ফোন দেয়া শুরু করলাম। ব্র্যাক ব্যাংক ভিসা হওয়ার আগে এন্ডোরসমেন্ট করবে না, আর ঢাকা ব্যাংক এ ডলার রেট ৮৮.৮৯। তাই ব্যাংক স্টেটমেন্ট তুলে ফেললাম (গত ৬ মাসের)। আপনার অ্যাকাউন্ট এ ২০,০০০ টাকা থাকলেই হবে। স্টেটমেন্ট তুলতে ২০০ টাকা লাগবে।

এখন ভিসা সেন্টারে ভিসা ফি জমা দেয়া যায় না, তাই আগে ইউক্যাশ এর নির্দিষ্ট এজেন্টের কাছে টাকা জমা দিতে হবে। ভিসা সেন্টারে গেলে গার্ডই বলে দিবে কথায় জমা দিতে হবে। ওখানে ৬০০ টাকা জমা দিতে হবে। (মোবাইল এ এসএমএস আসবে, কনফার্ম হয়ে টাকা দিবেন।)।

ভিসা সেন্টারে ঢোকার সময় ফাইল ছাড়া আর কিছু নিতে দেয় না। বাইরে রেখে যেতে হয় (আমার ছাতা হারিয়ে গেছে, ভিজে ভিজে ফিরতে হয়েছে )।

ভিসা সেন্টারে ঢোকার পর আপনাকে একটা টোকেন দেবে। টোকেনের উপর লিখা আছে কোন ফ্লোরে যেতে হবে। তারপর একটু অপেক্ষা। যখন আপনাকে ডাকবে, কউন্টারে গিয়ে আপনার ফাইল জমা দেবেন এবং কাউন্টার থেকে একটা স্লিপ নিয়ে বের হয়ে যাবেন। ঐ স্লিপে লিখা থাকবে পাসপোর্ট ফেরত নেওয়ার তারিখ। কোন কিছু জানার প্রয়োজন হলে, গার্ডকে জিজ্ঞাস করবেন। ওরাই বলে দেবে কি করতে হবে, কথায় যেতে হবে।
Post Copied From: Ananna Srabonty

Leave a Reply

Your email address will not be published.