অমিয়াখুম বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর একটি জায়গা। এর সৌন্দর্য আপনার মন কেড়ে নিবে নিমিষেই। যেমন সুন্দর জায়গা তেমন কষ্টকর এখানে যাওয়ার ট্রেইলটা। পদ্দমঝিড়ি থেকে প্রায় ৬-৭ ঘন্টা হেটে আগে আপনাকে থুইসাপাড়া আসতে হবে। থুইসাপাড়াতে পাহাড়ীদের বাড়িতে থাকবেন এবং খাবেন। তারপরের দিন অমিয়াখুমে আসতে হলে দেবতা পাহাড় নামক একটি খাড়া পাহাড় বেয়ে নামতে হয়। যেকোন এডভেঞ্চারপ্রিয় ট্রাভেলারের জন্যে এই পথে নামাটা একটা থ্রিলিং ব্যাপার। তবে এই কষ্টগুলো নিমিষেই ধুয়েমুছে যাবে অমিয়াখুমের রূপ দেখার পরে। দেবতা পাহাড় থেকে নামার পর হাতের ডানের গেলে নাইক্ষ্যংমুখ পড়বে আর বামের দিকে গেলে অমিয়াখুম। নাইক্ষ্যংমুখে যেতে হলে বাঁশের তৈরি ভেলায় করে যেতে হয় সেটাও একটা দারুণ ব্যাপার।
যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে বাসে করে বান্দরবান, ভাড়া ৬২০ টাকা। বান্দরবান থেকে থানচি রিজার্ভ জীপে (জীপে গেলে খরচ পড়বে ৫২০০ টাকা, ১২ জন যাওয়া যায়।) অথবা লোকাল বাসে (ভাড়া ২০০ টাকা প্রতিজন) করে থানচি। তবে রিজার্ভ জীপেই যাবার জন্যে সাজেস্ট করব আমি। কারণ থানচিতে যত তাড়াতাড়ি পৌছাতে পারবেন তত ভালো। থানচি থেকে গাইড নিতে হবে। সেখান থেকে রিজার্ভ বোটে করে পদ্মমুখ ঝিড়ি। ভাড়া ১২০০-১৫০০ টাকা, এক বোটে ৫-৬ জন যাওয়া যায়। সেখান থেকে আল্লাহর নাম নিয়ে ট্র্যাকিং শুরু করে দিতে হবে। প্রায় ৫-৬ ঘন্টা হাটার পর এসে পৌছাবেন থুইসাপাড়া। সেখান রাতে স্টে করবেন। থাকা জনপ্রতি ১৫০। খাবার ১২০ টাকা। পরদিন সকালে উঠে গাইড নিয়ে চলে যাবেন অমিয়াখুম। যত সকালে যেতে পারবেন তত ভালো, দেবতা পাহাড়ের আগে ছোটখাট দুইটা পাহাড় উঠতে হবে কারণ রোদ উঠে গেলে ট্রেকিং করতে একটু কষ্ট হবে। থুইসাপাড়া থেকে অমিয়াখুম যেতে সময় লাগবে প্রায় ২.৫-৩ ঘন্টা। এরপর আপনার সময় থাকলে নাফাখুম হয়ে রেমাক্রি দিয়ে থানচি ফিরতে পারবেন।
*** অমিয়াখুমে যাবার অফিসিয়ালি কোন অনুমতি নাই।
*** একটা কথা মনে রাখবেন যেখানেই যান কেন ঐ জায়গাটা যেন আপনার দ্বারা নোংরা না হয়। কোন অপচনশিল দ্রব্য যেমন প্লাস্টিক ফেলে আসবেন না। এইসব জায়গাগুলো আমাদের, তাই এর রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের।
Post Copied From;Ataul Islam Masum>Travelers of Bangladesh (ToB)