কথায় আছে প্রচারে প্রসার

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান”

কথায় আছে প্রচারে প্রসার। ঢাকার এত কাছে হয়েও এত প্রচারের আলোয় আসে নেই সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট। ওয়াইল্ড লাইফ কে খুব কাছে থেকে দেখতে হলে আসতে হবে সাতছড়ি। কি নেই এখানে চা বাগান থেকে শুরু করে বিচিত্র সব বন্য প্রাণী, পাখি গাছগাছালী। একটি ডে ট্যুরের সব ইলেমেন্ট আছে এখানে। ঢাকা থেকে দিনে এসে রাতের ভিতর ফিরত যেতে পারবেন। পর্যটকদের জন্য এখানে আছে তিনটা হাটার ট্রেইল(৩০ মি, ১ ঘন্টা, ৩ ঘন্টা), ওয়াচ টাওয়ার, বাটারফ্লাই গার্ডেন। যে কোন রিজার্ভ ফরেস্টের মূল আর্কষন এর ওয়াচ টাওয়ার। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে পুরো বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারবেন।

তবে রিজার্ভ ফরেস্টে ঘুরার আগে কিছু ব্যাপার মাথায় রাখবেন এইটা আপনার শহর বা বাসার বেডরুম না। প্রকৃতিকে প্রকৃতির মত উপভোগ করুন নিরবে। আপনাদের অতিরিক্ত চিল্লাচিল্লির কারনে বনের পশুপাখিরা বিরক্ত হয়। মনে রাখবেন এইটা পশুপাখীদের ঘর বাড়ী, আর আপনি তাদের মেহমান। তাই বনে নিরবতা বজায় রাখুন। বন্য প্রাণীর ক্ষতি হতে পারে এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকুন। সর্বপরি শহর থেকে নেওয়া ময়লা শহরে গিয়ে ফেলুন। বন পরিষ্কার রাখুন।

কি ভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সিলেটগামী যে কোন বাসে মাধবপুর। মাধবপুর থেকে লেগুনা বা রিজার্ভ অটো করে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান।

Post Copied From:Ashik Sarwar‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঘুরে আসুন→সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক উদ্যান। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ/সংশোধন আইনের বলে ২৪৩ হেক্টর[১] এলাকা নিয়ে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে “সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান” প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই উদ্যানে সাতটি পাহাড়ি ছড়া আছে, সেই থেকে এর নামকরণ সাতছড়ি (অর্থ: সাতটি ছড়াবিশিষ্ট)।[সাতছড়ির আগের নাম ছিলো “রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ফরেস্ট”।]

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে এর দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার। উদ্যানের কাছাকাছি ৯টি চা বাগান আছে। উদ্যানের পশ্চিম দিকে সাতছড়ি চা বাগান এবং পূর্ব দিকে চাকলাপুঞ্জি চা বাগান অবস্থিত।

“নিসর্গ” নামের একটি এনজিও, বন বিভাগের পাশাপাশি, তাদের ‘নিসর্গ সহায়তা প্রকল্প’-এর অধীনে এই জাতীয় উদ্যানের দায়িত্ব পালন করে। নিসর্গের তত্ত্বাবধানে বন সংরক্ষণ ছাড়াও, বনে ইকো-ট্যুর পরিচালিত হয়।

পর্যটকদের জন্য নিসর্গ কর্মসূচীর আওতায় ৩টি ট্রেইল তৈরি করে দেয়া হয়েছে।

আধা ঘন্টার ট্রেইল: ১ কি.মি দৈর্ঘ্যের এই ট্রেইল ধরে বনের মধ্যে অবস্হিত একমাত্র গ্রাম টিপরা পাড়াতে যাওয়া যায়।

এক ঘন্টার ট্রেইল: বৈচিত্রময় বনের বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী/উদ্ভিদ দেখতে চাইলে এই ট্রেইল ধরে এগিয়ে যাওয়া উচিত। আমার এই ট্রেইলে সাতছড়ি দেখা হয়েছে।

তিন ঘন্টার ট্রেইল: ৬ কি.মি দৈর্ঘ্যের এই ট্রেইল ধরে এগুলে পেয়ে যাবেন আগরের বন। পাখি প্রেমীদের জন্য এই ট্রেইল আদর্শ।

উদ্ভিদের মধ্যে গর্জন, কড়ই, চাঁপালিশ, শিমুল, বনবড়ই, হাড়গোজা, বহেড়া, হরিতকী, শেওড়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। প্রাণীদের মধ্যে গন্ধগোকুল, উল্লুক, উল্টালেজী বানর, লজ্জাবতী বানর, মায়া হরিণ, মেছোবিড়াল, গুই সাপ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের মাধবপুর থানার সায়হাম চত্বরে এসে হাতের ডান দিকে মোড় নিয়ে আসতে হবে। সড়কপথে ঢাকা থেকে ২.৫-৩ ঘন্টা লাগবে। তথ্য কেন্দ্র থেকে গাইড পাবেন।

যেভাবে যেতে হবেঢাকার সায়েদাবাদ হতে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কয়েকটি বাস হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে সড়কপথে হবিগঞ্জের দূরত ১৭৯ কি মি। । সময় লাগে সাড়ে তিন ঘন্টা। হবিগঞ্জ থেকে জেতে হবে ছুনারুঘাট

রেলপথে দূরত্ব ২৪২ কি মি। রেলপথে ট্রেনে শায়েস্তাগঞ্জ নেমে এরপর বাস ধরে হবিগঞ্জ বা মাধবপুর বা চুনারুঘাট যেতে পারেন।অথবা ঢাকা থেকে এসে মাধবপুর নেমে বাসে তেলিয়াপাড়া জগদীশপুর মুক্তিযোদ্বা হয়ে পূর্ব-দক্ষিণে চা বাগানের মধ্য দিয়ে আঁকাবাঁকা পথ ধরে ছয় কিলোমিটার অগ্রসর হলেই দেখা মিলবে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের।

★★একটা কথা আপনারা কেউ কোথায় বেরাতে গেলে দয়া করে পরিবেশ নস্ট করবেন না।বিরানীর প্যাকেট,পানির বোতল,চিপস,চুইংগাম খেয়ে নির্দিষ্ট যায়গায় রাখুন।আর বন্য প্রানীর মত চিল্লা চিল্লি করবেন না,না হলে বন্য প্রানীরা আপনাদের চিল্লা চিল্লি শুনে নীরব হয়ে যায়,ভাবে আমাদের চেয়েও বন্য আছে। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত করবে না।সচেতন হন এটা যে আমাদের ধন্যে ধন্যা ভরা আমার সোনার বাংলাদেশ।

Post Copied From:Nisen Hossian‎>Travelers of Bangladesh (ToB)