১৮ টি বিষয় ভুটানে বেড়ানোর পরিকল্পনাই রাখলে আপনার ভ্রমণ হবে আরামদায়ক।

যে ১৮ টি বিষয় ভুটানে বেড়ানোর পরিকল্পনাই রাখলে আপনার ভ্রমণ হবে আরামদায়ক।

১. ভুটানের পর্যটন ঋতুগুলি হল বসন্ত: মার্চ-মে এবং শরৎকাল: সেপ্টেম্বর-নভেম্বর বিশেষ করে মার্চ, এপ্রিল, অক্টোবর এবং নভেম্বর বিশেষ করে ব্যস্ত। আপনি যদি এই মাসের মধ্যে ভ্রমণের জন্য বিবেচনা করছেন, তাহলে আপনার রিজার্ভেশন নিশ্চিত করার জন্য কমপক্ষে ৩ মাস আগে আপনার সফর প্যাকেজ এবং ফ্লাইট টিকেট বুকিং করা ভাল।
২০১০ সালে , Drukair এর টিকেট পরপর ৩ সপ্তাহ জন্য অগ্রিম বিক্রি হয়ে যায়, তাই হতাশা এড়াতে, অগ্রিম পরিকল্পনা করা ভালো। বেশীরভাগ পর্যটক এই সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করে, কারণ এই মাস গুলো হল উৎসব এবং ট্রেকিং এর জন্য আদর্শ মাস, যা স্বাভাবিকভাবেই বড় আকর্ষণ।
যদি আপনি পর্যটকের ভিড় এড়িয়ে চলতে চান, তবে অফ-সিজনে ভ্রমণ বিবেচনা করুন।
২. মার্চ-মে এবং সেপ্টেম্বর-নভেম্বরের পর্যটন মৌসুমের সময় দিন প্রতি দৈনিক ট্যারিফ ৪৫০০ টাকা। ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারী এবং জুন-অক্টোবরের অফ সিজনে দিন প্রতি দৈনিক ট্যারিফ ৩০০০-৪০০০ টাকা। যদি আপনি ভুটানে ভ্রমণ করতে চান কিন্তু অল্প বাজেটে চান তবে অফ-পিক মাসগুলিতে আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন।
৩. বেশিরভাগ হোটেলে ওয়াইফাই আছে, কিন্তু যদি আপনার আরও বেশি সংযোগের প্রয়োজন হয় তবে আপনি টাসি সেল বা বি-মোবাইল থেকে স্থানীয় সিম কার্ড পেতে পারেন এবং প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে রি-চার্জ করতে পারেন।
৪. ভুটানের রাষ্ট্রীয় ভাষা ঝংখা, কিন্তু ভুটানের অধিকাংশ মানুষ ইংরেজিতে পারদর্শী কারন তাদের শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজিতে, তাই যোগাযোগ করতে কোন সমস্যা হবে না।
৫. ভুটানের স্থানীয় মুদ্রাটি নগলট্রাম, যা ভারতীয় রুপির সাথে পরিমাপ করা হয়। দ্রষ্টব্য: ৫০০ এবং ১০০০ মূল্যের ভারতীয় মুদ্রা আর ভুটানে গৃহীত হয়না।
৬. ভ্রমনের প্যাকেজগুলি প্রিপেইড হিসাবে, কিন্তু আপনার নিজের ব্যক্তিগত ব্যয়ের জন্য শুধুমাত্র অর্থের প্রয়োজন হবে যেমন – সুভেনির , টিপস (ড্রাইভার ও গাইডের জন্য) এবং পানীয়। সাধারণত প্রায় $ ২০০ রাখা ভালো।
৭. ভুটানে এটিএম বুথ আছে, কিন্তু শুধুমাত্র প্রধান শহরে। মনে রাখবেন, এটিএম সবসময় কাজ করে না এবং যদিও কাজ করে তবে সাধারণত শুধুমাত্র অল্প পরিমাণে উইথড্র করতে সক্ষম।
৮. বেশিরভাগ হোটেল এবং হস্তশিল্পের দোকানগুলিতে পর্যটকরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করতে পারবেন।
৯. ভুটান বিশ্বের একমাত্র দেশ যে ধূমপান এবং তামাক বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে, যার ফলে পাবলিকপ্লেসে ধূমপান নিষেধ। বলা হয়ে থাকে যে, ভুটানে সম্পূর্ণভাবে ধূমপান নিষিদ্ধ না, যদি আপনি ধূমপান করতে চান, আপনার নিজের সিগারেট নিয়ে যান এবং আপনার গাইডকে জিজ্ঞেস করুন কোথায় আপনি ধূমপান করতে পারবেন।
১০. মঙ্গলবার ‘শুকনো দিন’ জাতীয় দিবস হিসাবে বিবেচিত হয়, এইদিন অ্যালকোহল বিক্রয় নিষিদ্ধ।
১১. গরম কাপড় প্যাক করুন, বিশেষ করে যদি আপনি নভেম্বর ও মার্চ মাসের মধ্যে ভ্রমণ করছেন। একটি সাধারণ টিপস হিসাবে, ভূটান ভ্রমণের সময় জ্যাকেট সঙ্গে রাখুন।
১২. ফ্লাইট এবং ট্রিপের জন্য আপনার নিজস্ব কিছু বিনোদন প্রস্তুত করুন। আপনার ল্যাপটপ বা ট্যাবলেটটি তে দেখার জন্য কিছু সিনেমা সংরক্ষণ করতে পারেন কিংবা কিছু বই আনুন। থিম্পু ও পারু ব্যতীত, নাইট লাইফ অস্তিত্বহীন এবং বেশিরভাগ হোটেল মূল শহর থেকে দূরে অবস্থিত।
১৩. গান শুনতে চান? পশ্চিমা গানগুলির জন্য সেরা রেডিও স্টেশনগুলি রয়েছে 92, 965 এবং 99.9 এফএম। আপনি রেডিওতে অন্যান্য স্থানীয় স্টেশনগুলিতে স্থানীয় সঙ্গীত উপভোগ করতে পারেন।
১৪. আপনি বেশিরভাগ দোকানের মধ্যে দরদাম করতে পারেন তবে ১০% ডিসকাউন্ট আশা করবেন না। সাধারণভাবে বলতে গেলে, দোকানগুলির মধ্যে দামের তফাৎ কম।
১৫. পশ্চিমা দেশগুলির মত রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলিতে টিপস দিতে হবে না। গাইড আপনার পক্ষে টিপিং এর যত্ন নেবে। তবে, আপনার গাইডকে টিপস করতে ভুলে যাবেন না।
১৬. ভুটানের রাস্তাগুলোতে প্রচুর বাতাস থাকে, তাই আপনার যদি মোশন সিকনেস থাকে তবে ভুটানের ভেতরে ভ্রমণের সময় ডামামাইন বা অন্যান্য ঔষধ নিয়ে আসুন।
১৭. একটি মাল্টিপ্লাগ এবং একটি ইউনিভার্সাল ভ্রমণ অ্যাডাপ্টারের সাথে আনুন। অধিকাংশ হোটেল রুমে সীমিত বিদ্যুৎ প্লাগ আছে, তাই আপনার কাছে অনেকগুলি ডিভাইস থাকলে মাল্টিপ্লাগ এবং একটি ইউনিভার্সাল ভ্রমণ অ্যাডাপ্টার সাথে নিয়ে আসা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
১৮. ডজং, মঠ, মন্দির বা অন্য কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছবি তোলার সময় আপনার নির্দেশিকাটি চেক করে দেখুন তা ছবি তুলতে অনুমোদিত কিনা, কিছু এলাকায় ছবি তোলা অনুমোদিত নয়।
#হ্যাপি_ট্রাভেলিং

Post Copied from:

ভুটান

পরিচ্ছন্ন শহর, সুসভ্য নাগরিক, গহীন জঙ্গলে ছাওয়া পাহাড় বা দূষণহীন নদী দেখে আমাদেরও যদি একসময় নিজদেশে এই জিনিসগুলো নিশ্চিত করার আকাঙ্খা জাগার কোন সম্ভাবনা থাকে, তাহলে আমি বলবো ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য মারামারি, ধরাধরি, দালালের পেছনে ছোটাছুটি না করে বরং ভারতের ট্রানজিট ভিসা নিয়ে ঘুরে আসুন সুন্দর সুসভ্য দেশ ভুটান, একই খরচে। আর চাইলে আরেকটু বেশি খরচে বিনা ভিসায় আকাশপথে তো যেতে পারেনই।

ট্যুরিস্ট ভিসা ছাড়া আর কোন ভিসার জন্য টোকেন-ফোকেন, ক্যাম্প/ট্যাম্প লাগে না। ট্রানজিট ভিসার জন্যও না। পনের দিনের ভিসা দেবে, যাওয়ার সময় ৩ দিন, এবং আসার সময় ৩ দিন চাইলে ভারতও কিছুটা ঘুরে আসতে পারেন। আমরা যেমন কালিম্পং আর দার্জিলিং ঘুরে এসেছি আসার সময়। দার্জিলিং আগেও গিয়েছি, ভুটান থেকে ফিরে এবার আর ভাল লাগেনি। হোটেলের কাছাকাছি এলেই দালালরা ছেঁকে ধরে! রাস্তাঘাটে ময়লা তো আছেই বাংলাদেশের মত।

খরচ: শ্যামলির শিলিগুড়ি-ঢাকা আসা-যাওয়া টিকেট ৩০০০ টাকা (এসি বাস)
ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেসিং ফি ৬০০ টাকা
এনডোর্সমেন্ট ফি ১৩০-৫০০ টাকা (ব্যাংক ভেদে)
ট্র্যাভেল ট্যাক্স (বাংলাদেশ সরকার) ৫০০ টাকা। বাসের সুপারভাইজার নেবে, নিয়ে ব্যাংকে জমা দিয়ে দেবে বুড়িমারীতে। ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ নেবে। ওরা সীমান্তের সব কাজে হেল্প করে। এমনকি ওই পাড়েও।
বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ কোন রিসিট ছাড়াে আসা ও যাওয়ার সময় প্রতিবার ১০০ টাকা নেবে, যদি আপনার সবকিছু ঠিক থাকে। না থাকলে আরও বেশি। বিনিময়ে চেকিং বা হ্যারাস করবে না।
চ্যাংড়াবান্ধা থেকে জয়গাঁও ট্যাক্সিতে জনপ্রতি ৩০০-৩৫০ রুপি। বাসে গেলে ময়নাগুড়ি থেকে জয়গাঁও, অর্ধেকের কম খরচ।

জয়গাঁও ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে ভুটান গেইট দিয়ে ফুন্টসোলিং হেঁটে ঢুকতে হবে, কোন খরচ নাই। এখানেই আপনাকে অন অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে দেবে। সাথে এক কপি ছবি ও পাসপোর্টের ফটোকপি রাখবেন। বালাদেশে থাকতেই মোবাইল ফোনে গুগুল ম্যাপে জায়গাগুলো দেখে রাখবেন, পরে নেটওয়ার্ক ছাড়াও ক্যাশের জমে থাকা ম্যাপ দিয়ে পথ চিনতে পারবেন। এটা করলে ভেঙে ভেঙেও বাসে চলাচল করা সম্ভব। তাতে সময় বাঁচে।
ফুন্টসোলিংয়ে ৮০০-১২০০ নিউলট্রামে (Ngultrum, গুলট্রাম নয়) হোটেলে ঝকঝকে ডাবল রুম পাবেন, গিজার সহ। অর্থাৎ মাথাপিছু খরচ ৪০০-৫০০ নিউ।

খাওয়া খরচ আপনার ওপর। মোমো/থুকপা খেলে ৪০-৬০ নিউ, ভাত খেলে ১৩০-২৫০ নিউ লাগবে। চা ২০ নিউ। মিনারেল ওয়াটার না কিনলেও পারেন, ওদের নরমাল পানি ভাল। রুপি আর নিউলট্রামের ভ্যালু একই। রুপিও চলে পুরো ভুটানেই।

ফুন্টসোলিং পৌঁছেই পরের দিন দুপুরের বাসের টিকিট কেটে রাখলে থিম্পু যেতে পারেন বাসে। ২৪০ নিউ লাগবে। এই ফাঁকে ফুন্টসোলিং দেখে নিন। সুন্দর আছে। হেঁটেই দেখুন, ভালমত দেখতে পাবেন। ছোট্ট শহর। পাশে সুন্দর নদী, মধ্যদিয়ে ঝর্ণা বয়ে গেছে। পাহাড় তো আছেই। মানুষও দেখার মত। প্রায় সবাই খুব সুন্দর ইংরেজি বলে, ফলে যোগাযোগে সমস্যা হবে না। আর যারা হিন্দি বলতে পারেন, তাদেরও সমস্যা হবে না। শুধুমাত্র ফুন্টসোলিং দেখার জন্যও ভুটান যেতে পারেন। তাতেও পোষাবে। খরচ হবে ৮/৯ হাজার টাকা মাত্র। ভারতের জয়গাঁও থেকে ফুন্টসোলিং ঢুকলেই মনে হবে, দক্ষিণ এশিয়া থেকে ইউরোপ চলে এলেন। ভুটানের মানুষের মন অবশ্য দক্ষিণ এশিয়দের মতোই, ফলে সবার সাথে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারবেন, পথের সন্ধান জানতে চাইতে পারবেন। সবাই হেল্পফুল।
ট্যাক্সিতে থিম্পু গেলে মাথাপিছু ৬০০ নিউ লাগবে। বাসের টিকিটের সংকট আছে, বাসও খুব বেশি না।

থিম্পুতে হোটেল খরচ/খাওয়া খরচ ফুন্টসোলিংয়ের মতই। অর্থাৎ দিনে ১ হাজার টাকায়ই হয়ে যাবে। ট্যাক্সি ছাড়াও ঘোরা সম্ভব, মজাই লাগে। দু একটা জায়গায় ট্যাক্সি খরচ যোগ করতে হবে। শেয়ার করলে খরচ কমই। থিম্পু এক রাত থেকে পরদিন সকালে রওনা দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি বা কালিম্পং চলে আসতে পারেন সারা দিনে। রাতটা কাটিয়ে পরের দিন বর্ডার ক্রস করে দেশে ঢুকতে পারেন। আমি হলে শিলিগুড়ি না এসে ফুন্টসোলিংয়ে, অর্থাৎ ভুটানেই রাতটা কাটিয়ে পরদিন বিকালে চ্যাংড়াবান্ধা ক্রস করবো।

বাজেট দশ হাজারের বেশি হলে:

এ পর্যন্ত যাওয়া আসা ও ভুটান ও/বা ভারতে ৩ রাতের খরচ মিলে বোধহয় ১০ হাজার টাকার মতো হলো, ক্যালকুলেট করতে ইচ্ছা হচ্ছে না :p বাসে করে পারোও যেতে পারবেন, প্রতি দিনের জন্য এক-দেড় হাজার টাকা যোগ করুন 😉 শেয়ারড ট্যাক্সিতেও মাথাপিছু মাত্র ২০০ নিউ লাগে, ফলে আমরা ট্যাক্সি নিতে দ্বিধা করিনি। এমনকি থিম্পু থেকে পুনাখাও যেতে পারেন, ট্যাক্সিতে ৩০০ টাকা। একই দিনে পুনাখা জং (মনেস্ট্রি কাম সরকারী অফিস) দেখে থিম্পু ফিরে আসতে পারেন। বাসে গেলে আগের দিন টিকিট কাটতে হবে। বাসে গেলেও একই বাসে থিম্পু ফিরে আসতে পারবেন। এখন কিন্তু ১০ হাজার+ এর কথা বলছি! যেতে পারেন মধ্য ভুটানের বুমথাংয়েও। সেক্ষেত্রে বাসেই যেতে হবে, ট্রিপ লম্বা করতে হবে, কারণ যেতে সারাদিন, আসতে আরও একদিন লাগে। তবে অনেক সুন্দর জায়গাটা। ও হ্যাঁ, পুনাখা বা বুমথাং যেতে হলে থিম্পু থেকে স্পেশাল পারমিট নিয়ে নিতে হবে থিম্পু পৌঁছেই। কোন টাকা লাগবে না, শুধু ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। যাবার পথে চেকপোস্টে কাগজ দেখাতে হবে।

আর ভুটান বর্ডারে অন অ্যারাইভেল ভিসা পাবেন ৭ দিনের। আমরা থিম্পুতে গিয়ে আরও চারদিন এক্সটেন্ড করে নিয়েছিলাম, ফলে মোট ১১ দিন ঘুরেছি ভুটানে। ফুন্টসোলিং, পারো, থিম্পু, পুনাখা/ওয়াংদি ও বুমথাং। ফেরার পথে ভারতে কালিম্পং ও দার্জিলিং। আমরা দুইজন গিয়েছিলাম, কোন এজেন্ট ফেজেন্ট ছাড়াই, ১৩ দিনের ট্রিপে খরচ হয়েছে সর্বসাকুল্যে ৫৫০ ডলার। অর্থাৎ জন প্রতি প্রায় ২৭৫ ডলার, অর্থাৎ প্রায় ২২ হাজার টাকা।

চারজন গেলে ভাল হবে, রুম ও ট্যাক্সি শেয়ার করতে পারবেন আরামে। তবে যত বেশী ভ্রমণসঙ্গী, তত ফ্যাকরা। কেউ সকালে ঘুম থেকে উঠবে না, কেউ নিজের পানির বোতল নিজে বহন করবে না, কেউ এখানে যেতে চাইবে, কেউ ওখানে। আমার হিসাবে দুজনই বেস্ট। কোনভাবেই ৩ জন বা ৫ জন নয়।

ভিসার মেয়াদ বাড়াতে ও পুনাখা/ বুমথাংয়ের পারমিট নিতে থিম্পু হোটেল থেকে ৬০ নিউ দিয়ে ট্যাক্সিতে ইমিগ্রেশন অফিস যেতে হবে। হেঁটেও যেতে পারবেন, কাছেই। ওখানে বললেই ফরম দেবে। পূরণ করে জমা দেবার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পেয়ে যাবেন

ছবি: থিম্পু।

বিদ্র: ১. ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা থাকলে চলবে না, ট্রানজিট ভিসা নিতে হবে। আর তখন আপনার বিদ্যমান ট্যুুরিস্ট ভিসা বাতিল হয়ে যাবে।

বিদ্র ২. ১০ হাজার টাকায় ২/৩ দিন ঘুরতে পারবেন ভুটানে, যাওয়া আসা ও ভিসার খরচ সহ। এক সপ্তাহ থাকলে ১৫/১৬ হাজার লাগবে। আমরা ১১ দিন ভুটানে আর আসার পথে দুইদিন ভারতে ছিলাম, আমাদের মাথাপিছু ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

বিদ্র ৩. ভুটান পরিচ্ছন্ন দেশ, সেটাকে পরিচ্ছন্নই রাখবেন দয়া করে। রাস্তা পার হবেন জেব্রা ক্রসিংয়ে, নিয়ম মেনে। সবার সাথে বিনীত আচরণ করবেন, যেন বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুণ্ণ থাকে। মনে রাখবেন, ওরা প্রতিবেশি অনেক দেশের (!) মানুষের চাইতে বাংলাদেশিদের শ্রদ্ধা করে। শ্রদ্ধার দাম দেবেন অনুগ্রহ করে। আমরা যে রুমে থেকেছি, সেটার বালিশ কম্বল পর্যন্ত গুছিয়ে রেখে এসেছি, যেন পরে দেখে খুশি হয় 😉 এমনকি একটা ঘরোয়া রেস্তোরায় নিজের প্লেট ধুয়ে দেয়ারও প্রস্তাব করেছিলাম, পরিবারটিও অবশ্য সমান বিনয় দেখিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ঘড়ি দেখে চলুন। ওদের সকাল ৮ টার বাস ৮:০০ বাজেই ছাড়ে। আধঘণ্টা আগে রিপোর্ট করার নিয়ম। ওয়াংদিতে আমাদের দেরি দেখে ফোন দিয়েছিল। আমরা পৌঁছাবার পর বাস ছাড়লো, তাও নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট আগেই, ৭:৫৬ মিনিটে, কারণ যাত্রী সবাই চলে এসেছে। দেরী করলে বাস মিস করবেন, তখন আর ১০ হাজার টাকায় হবে না। আমার দোষ দিয়ে কিন্তু টাকা ফেরত পাবেন না :v
গেলে এখনই যাওয়া ভাল। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে সাদা চামড়ার ট্যুরিস্টদের উৎপাতে সবকিছুর দাম বেড়ে যেতে পারে।

Key words:
Indian transit visa ট্রানজিট ভিসা
Bhutan Nepal by road সড়ক পথে নেপাল ভুটান, বাই রোড নেপাল ভুটান

Post Copied From:Tanim Ashraf‎>Travelers of Bangladesh (ToB)