কক্সবাজার এ শুধু কলাতলী, লাবণী আর সুগন্ধা পয়েন্ট এর সমুদ্র সৈকত দেখে যারা বিরক্ত

কক্সবাজার এ শুধু কলাতলী, লাবণী আর সুগন্ধা পয়েন্ট এর সমুদ্র সৈকত দেখে যারা বিরক্ত হয়ে যান
তাদের জন্য এই স্থান/রোডটি হতে পারে কক্সবাজার ঘুরার অন্যতম একটি জায়গা।

মেরিন ড্রাইভ, এক পাশে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি আর অন্যদিকে বড় বড় পাহাড়ের সারি।
কক্সবাজার থেকে টেকনাফের দুরত্ব ৭৮ কিমি। ইনানি থেকে মূল নতুন মেরিন ড্রাইভ সড়কটি উদ্বোধন হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি।

জীপ/চান্দের গাড়ির খোলা ছাদে বাতাস খেতে খেতে এই রুটে বেড়িয়ে আসতে পারেন। ভাড়া নিবে ৪০০০-৫০০০ টাকা।
আবার টমটম/সিএনজি নিয়েও যেতে পারেন গ্রুপ সদস্য কম হলে। হিমছড়ি-ইনানি-শামলাপুর-টেকনাফ।
কলাতলী মোড় থেকে লোকাল সিএনজি/মাহিন্দ্র ও পাওয়া যায়। ভাড়া ৫০/

সাইকেল চালানোর জন্য আদর্শ রুট।তবে মুখোমুখি বাতাস একটু ঝামেলা করে।

সমুদ্র যদিও ১টাই তবে এক এক স্থানের সৌন্দর্য এক এক রকম। একটু নেমে ঘুরে দেখবেন।

*দরিয়ানগরে আছে প্যারাসেইলিং
*ইনানীতে আছে বিলাসবহুল রয়েল টিউওলিপ
*হিমছড়িতে আছে কৃত্রিম ঝর্না+পার্ক+পাহাড়ের উপর থেকে টপভিউ সমুদ্রের
*রেজুখাল ব্রীজের পর আছে প্যাঁচার দ্বীপ।
* শামলাপুরে আছে স্থানীয় মাছবাজার
*শীলখালির আগে আছে শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ
*টেকনা

 

—প্লাস্টিক/অপচনশীল দ্রব্য সৈকতে ফেলবেন না। পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা ইভেন্টে টিশার্ট পড়ে পরিষ্কার করার চেয়ে নিজেরা চারপাশটা পরিষ্কার রাখি।
সৈকতে বিপদে আপদে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিন, ইভটিজিং এর শিকার হলেও।

ভ্রমণ হোক নিরাপদ

Post Copied From:Sakib Mahmud>Travelers of Bangladesh (ToB)

প্যারাসেইলিং

 

সারাজীবন পাখিকে দেখেছি আকাশ থেকে উড়ে এসে পানিতে পা ছোঁয়াতে। কিন্তু কক্সবাজারের প্যারাসেইলিং এর বদৌলতে নিজেই পাখির রোলটা প্লে করে আসলাম।

যদিও সেফ কি সেফ না এটা নিয়ে প্রথমে একটা কনফিউশন ছিল। কিন্তু তাদের ম্যানেজমেন্ট দেখে সব কনফিউশন দূর হয়ে গেছে। সার্ভিস খুব ই ভাল ছিল।

যেভাবে যাবেনঃ 
– প্রথমে ঢাকা থেকে বাসে কক্সবাজার।
– কক্সবাজার থেকে অটো নিয়ে দরিয়ানগর।

সাধারণত সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্যারাসেইলিং চলে। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই খোজ নিয়ে যাবেন। কারণ, বাতাস বেশী থাকলে প্যারাসেইলিং অফ থাকে।

প্যারাসেইলিং এর অনেকগুলা প্যাকেজ আছেঃ

– ২৫০০ টাকার প্যাকেজে সাগরের মধ্যে নিয়ে পানিতে পা ছোয়াবে।
– ২০০০ টাকার প্যাকেজে সাগরে পা ছোয়াতে পারবেন, কিন্তু বেশী দূরে না।
– ১৫০০ টাকার প্যাকেজে পা ছোঁয়ানোর কোনো স্কোপ নাই। শুধু প্যারাসেইলিং।

(তবে ভাল রেফারেন্স থাকলে কিংবা কখনো কখনো বার্গেইন করে দাম কিছুটা কম করা যায়।)

অভিজ্ঞতাঃ
আপনি যখন আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠতে থাকবেন, তখন থেকেই মনে হবে একটা অপার্থিব পৃথিবীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

এরপরে উপরে উঠার পর সাগর, পাহাড় এবং দূর থেকে কক্সবাজারের বড় বড় হোটেলগুলোকে ছোটো ছোটো ব্লকের মত দেখার ফিলিংসটা আসলেই অসাধারণ।

এক্ষেত্রে বার্ড আই ভিউ এর এই ক্লিপটা দেখতে পারেনঃ http://youtu.be/g7GKNEJdNw4

তবে কিছু ব্যাপার ভাল করে বুঝে যাবেন উঠার সময়। যেমনঃ কখন কোন রোপে টান দিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

যাহোক, সব মিলিয়ে অসাধারণ এই এক্সপিরিয়েন্স আশা করি সারাজীবন মনে থাকবে আপনাদের।

হ্যাপি প্যারাসেইলিং।

এর বদৌলতে নিজেই পাখির রোলটা প্লে করে আসলাম।

যদিও সেফ কি সেফ না এটা নিয়ে প্রথমে একটা কনফিউশন ছিল। কিন্তু তাদের ম্যানেজমেন্ট দেখে সব কনফিউশন দূর হয়ে গেছে। সার্ভিস খুব ই ভাল ছিল।

যেভাবে যাবেনঃ 
– প্রথমে ঢাকা থেকে বাসে কক্সবাজার।
– কক্সবাজার থেকে অটো নিয়ে দরিয়ানগর।

সাধারণত সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্যারাসেইলিং চলে। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই খোজ নিয়ে যাবেন। কারণ, বাতাস বেশী থাকলে প্যারাসেইলিং অফ থাকে।

প্যারাসেইলিং এর অনেকগুলা প্যাকেজ আছেঃ

– ২৫০০ টাকার প্যাকেজে সাগরের মধ্যে নিয়ে পানিতে পা ছোয়াবে।
– ২০০০ টাকার প্যাকেজে সাগরে পা ছোয়াতে পারবেন, কিন্তু বেশী দূরে না।
– ১৫০০ টাকার প্যাকেজে পা ছোঁয়ানোর কোনো স্কোপ নাই। শুধু প্যারাসেইলিং।

(তবে ভাল রেফারেন্স থাকলে কিংবা কখনো কখনো বার্গেইন করে দাম কিছুটা কম করা যায়।)

অভিজ্ঞতাঃ
আপনি যখন আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠতে থাকবেন, তখন থেকেই মনে হবে একটা অপার্থিব পৃথিবীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

এরপরে উপরে উঠার পর সাগর, পাহাড় এবং দূর থেকে কক্সবাজারের বড় বড় হোটেলগুলোকে ছোটো ছোটো ব্লকের মত দেখার ফিলিংসটা আসলেই অসাধারণ।

এক্ষেত্রে বার্ড আই ভিউ এর এই ক্লিপটা দেখতে পারেনঃ http://youtu.be/g7GKNEJdNw4

তবে কিছু ব্যাপার ভাল করে বুঝে যাবেন উঠার সময়। যেমনঃ কখন কোন রোপে টান দিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

যাহোক, সব মিলিয়ে অসাধারণ এই এক্সপিরিয়েন্স আশা করি সারাজীবন মনে থাকবে আপনাদের।

হ্যাপি প্যারাসেইলিং।

Post Copied From:Iftekhar I Asi>fTravelers of Bangladesh (ToB)