নরসিংদীর চাঁন্দের পাড়ার হলুদ রূপ

যেভাবে যাবেনঃ

আপনি মহাখালী/বনানী এরিয়া থেকে নরসিংদী আসতে চাইলে এসে পিপিএল বাসের টিকিট কেটে সরাসরি নরসিংদী চলে আসবেন। নতুন বাসস্টেন্ড থেকে রিক্সায় যাবেন সাটিরপাড়া রজনীগন্ধা চত্বর।ওখান থেকে অটোতে সুইচগেট। আর তার একটু সামনে আগালেই চাঁন্দের পাড়া গ্রাম।

আর যারা গুলিস্থান থেকে যারা আসবেন তারা সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স সংলগ্ন মেঘালয় লাক্সারী বাসে সরাসরি নরসিংদী নতুন বাসস্টেন্ড ওখান থেকে অটোতে সুইচ গেইট। সুইচ গেইট বাজারে নেমে একটু আগালেই চাঁন্দের পাড়া গ্রাম।

যদি চাঁন্দের পাড়া সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখে দিনের অর্ধেক সময় বেঁচে যায় তাহলে আপনি দুপুরের খাবারটা নরসিংদী শহরে খেতে পারেন। খাওয়া শেষে নরসিংদীর পুরান লঞ্চঘাট থেকে ট্রলার নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন মেঘনায়।

আর যদি হেরিটেজ ভালবাসেন তাহলে সুইচগেইট বাজার থেকে চাইলে রিজার্ভ চার্জের অটোরিক্সা নিয়ে শর্টকাট ওয়েতে ভিতরের রাস্তা দিয়ে আবদুল্লাহপুর হয়ে মাধবদীর বালাপুর নবীন শাহার জমিদার বাড়িতে যেতে পারেন। তবে অটোর ড্রাইভারকে বলে মাধবদী শহরে খেয়ে তারপর বালাপুর জমিদার বাড়িতে যাবেন। জমিদার বাড়ি দেখা শেষ হলে এক থেকে দেড় কিলো সামনেই মেঘনা বাজার। এই বাজারের ভিতর দিয়েই চলে গেছে রাস্তা। বাজার থেকে পাঁচ মিনিট হাটলেই পেয়ে যাবেন মেঘনা নদী। চাইলে ওখান থেকে নৌকা নিয়ে ঘুরতে পারবেন মেঘনা নদীতে। তারপর মেঘনা বাজার থেকে সিএনজিতে চলে আসতে পারেন মাধবদী। ওখান থেকে ১০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে মাধবদী বাসস্টেন্ড। তারপর মেঘালয় লাক্সারী বাসে চলে আসতে পারেন গুলিস্থান নয়তো মনোহরদী/রয়েল পরিবহনে সায়েদাবাদ চলে আসতে পারেন।

অথবা রাস্তার অপজিট থেকে অটো/লোকাল বাসে চলে আসতে পারেন পাঁচদোনা মোড়। ওখানে পিপিএল, বাদশা, উত্তরা পরিবহনসহ আরও কিছু কাউন্টার সার্ভিস পাবেন যা উত্তরা, বনানী হয়ে মহাখালী আসে।

আর যারা ট্রেনে যাবেন তারা কমলাপুর থেকে প্রতিদিন সকাল ৭:১০ টায় (বুধবার সারাদিন বন্ধ) এগারসিন্ধুরে এবং মহানগর গোধুলি (রবিবার সারাদিন বন্ধ) দিয়ে সকাল ৯:০০ টার ট্রেনে নরসিংদী আসতে পারবেন।আর সারদিন ঘুরাঘুরি করে আবার ট্রেনে ঢাকায় ফিরতে চাইলে বিকাল ৫ টায় এগারসিন্ধুরে (শুক্রবার বিকালে বন্ধ) অথবা ৫:৩০ মিনিটে মহানগর ট্রেনে ফিরতে পারবেন।

আর যদি কেউ নিজস্ব গাড়ি/বাইক নিয়ে আসতে চান তাহলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল ৩০০ ফিট দিয়ে কাঞ্চন ব্রিজ পার হয়ে এক কিলোমিটার আসলেই চাঁন টেক্সটাইল মোড়। মোড়ে হাতের বামের রাস্তা ধরে সরাসরি চলে আসবেন ছনপাড়া বাসস্টেন্ড (ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক)। ছনপাড়া হাইওয়েতে হাতের বামে চলে যাবেন সরাসরি মাধবদী। মাধবদী বাসস্টেন্ড থেকে কাউকে জিগ্যেস করে মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের রাস্তাটা জেনে নিবেন। ঐ রাস্তা ধরে আবদুল্লাপুর বাজার। কাউকে জিগ্যেস করলেই দেখিয়ে দিবে সুইচগেট যাওয়ার রাস্তাটা। সুইচগেট এর সাথেই চাঁন্দের পাড়া সরিষা ফুলের এরিয়া (এইটা লোকাল রাস্তা তবে সময় বাঁচবে)।

যাতায়াত ভাড়া: মহাখালী থেকে নরসিংদী পিপিএল বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৯৫ টাকা অথবা গুলিস্থান থেকে নরসিংদী মেঘালয় বাসের ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। শালিধা (নতুন বাসস্টেন্ড) থেকে অটোতে সাটিরপাড়া রজনীগন্ধা চত্বরের লোকাল ভাড়া ৫ টাকা আর রিক্সায় ২০-৩০ টাকা নিবে। রজনীগন্ধা চত্বর থেকে চাঁন্দের পাড়া অটোভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা।

Post Copied From:Farhad Miah>Travelers of Bangladesh (ToB)

সরিষা ফুলের মহাসমুদ্র

এইটা হলুদের সমুদ্র নাহ, মহাসমুদ্র!!
স্থানঃ চান্দের পাড়া; নরসিংদী।
ছবি ও পোস্ট কৃতজ্ঞতাঃ এস এম রিফাত
.
কিভাবে যাবেনঃ বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে নরসিংদী নতুন বাসস্টপেজ( ঢাকার গুলিস্তান অথবা মহাখালি থেকে ১০০ টাকা ভাড়া)- রিকশা অথবা অটোবাইক করে সাটিরপাড়া রজনীগন্ধা মোড়( ৫/১০ টাকা)- সাটিরপাড়া থেকে অটোবাইকে করে সুইচ গেট বাজার অথবা (১৫/২০ টাকা)!

সাটিরপাড়া থেকে কিছুক্ষন গেলেই বাম পাশে চোখে পড়বে হলুদের সমারোহ এবং পাবেন সরিষা ফুলের ঘ্রাণ! চান্দের পাড়া থেকে যতই সামনে যাবেন ততই ভাল লাগবে! হলুদের এই সমারোহ পাশেই বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর সৌন্দর্যকেও ম্লান করেছে!
এছাড়াও আপনি এখানের সম্পূর্ণ গ্রামীণ পরিবেশ অবলোকন করতে পারবেন।

সুইচগেট বাজারে ছোট ছোট খাবারের দোকান আছে; ওখানেই সকাল অথবা দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে পারবেন!
বি.দ্র: গ্রামের মানুষের সাথে ভাল আচরণ করুন এবং সরিষাখেত নষ্ট করবেন না। আশা করি পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আসবেন!

Post Copied From:Shopnil Mithun‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

একদিনে অনেক জায়গাতেই যাওয়া যায়

একদিনে ঘুরাঘুরি।

অনেকেই একদিনে ঘুরাঘুরির ব্যাপারে জানতে চান। একদিনে অনেক জায়গাতেই যাওয়া যায়। এই যেমন নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, সোনারগাঁও, নরসিংদী, গাজীপুর, মাওয়া ঘাট, পদ্মা রিসোর্ট, মানিকগঞ্জ জমিদার বাড়ি, গোলাপ গ্রাম। অনেকেই আবার ঘুরাঘুরির জন্য সুদূর সিলেট, শ্রীমঙ্গল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী সাজেস্ট করে বসেন। এগুলা মারাত্মক ভুল গাইড। এগুলাকে ট্যুর বলে না, জাস্ট চুরির মত দৌড়ের উপর থাকা। মানুষ ট্যুর দেয় রিল্যাক্সের জন্য। কিন্তু সেটাই যদি না পাওয়া যায় তাইলে কিসের ট্যুর।

আমি যেহেতু কুমিল্লার তাই একদিনে কুমিল্লা ভ্রমণের ফিরিস্তি দিব। সকাল ৮ টায় সায়েদাবাদ থেকে এশিয়া লাইন/এশিয়া ট্রান্সপোর্টে (যেটা আগে ছাড়ে) চড়ে বসুন। ভাড়া নিবে ২০০ টাকা। কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্ট এসে নামবেন। সাড়ে ১০ টার আগেই পৌঁছে যাবেন। তবে আপনি যদি এসিতে আসতে চান তাইলে সায়েদাবাদ থেকে এশিয়া এয়ার কন্ডিশন অথবা কমলাপুর থেকে রয়েল কোচে আসতে পারেন। রয়েল অনেক কমফোর্টেবল বাট স্লো। ক্যান্টনম্যান্ট নেমে উত্তর দিকে ১০ মিনিট হাঁটলেই পেয়ে যাবেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত যোদ্ধাদের সমাধি ক্ষেত্র ওয়ার সিমেট্রি। বেশ নিরিবিলি পরিবেশটা আপনার ভাল লাগবে। ৩০ মিনিটের মধ্যেই ঘুরে দেখতে পারবেন।

এরপর আবার ক্যান্টনম্যান্ট ফিরে আসুন। রাস্তায় দাঁড়ালেই কুমিল্লা শহরগামী অনেক বাস যেমন পাপিয়া, কুমিল্লা হোমনা, সুগন্ধা, বিরতিহীন পাবেন। যে কোন একটায় উঠে পরুন। শাসনগাছা নামবেন। ভাড়া নিবে ১০ টাকা। এরপর অটোতে করে চলে যান কুমিল্লা জজ কোর্টের সামনে। সর্বোচ্চ ১৫ টাকা নিবে। সেখান থেকে কুমিল্লা পার্ক ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যাবেন ধর্মসাগরের উত্তর পাড়। চোখ জুড়ায়ে দেখুন ঐতিহাসিক ধর্মসাগর। আপনি চাইলে ধর্মসাগরের ভিতরে বোট রাইড করতে পারেন। ধর্মসাগর দেখতে দেখতে একবারে চলে আসুন দক্ষিণ মাথায়। এরপর একটু সামনে হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন কান্দিরপাড়।

যদি রসমালাই নিতে চান তাইলে কান্দিরপাড় থেকে পূর্বদিকে হাটা দিন। যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই মাতৃভান্ডার দেখায়া দিবে। রসমালাই কিনে কান্দিরপাড় থেকে সিএনজিতে উঠুন পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের। ২০ টাকা নিবে ভাড়া। বিশ্বরোড পৌছাতে পৌছাতে ততক্ষণে লাঞ্চ টাইম হয়ে যাবে। লাঞ্চ করতে পারেন দেশের প্রথম ৩ স্টার হোটেল নুরজাহানে। তবে খাবার ব্যয়বহুল। হোটেলের বাহিরের প্লেসটা আপনার ভাল লাগবে। পুরাই একটা মিনি পার্ক। খাবার অর্ডার করে বাইরে বসে খেতে পারেন। চেয়ার টেবিল বসানোই আছে। তখন মনে হবে আপনি বনভোজনে বসে খাচ্ছেন। আর যদি আপনার বাজেট কম তাইলে বিশ্বরোডে আরও অনেক হোটেল পাবেন। ঐগুলাতেও খেতে পারেন। আপনি যদি আমার মত লেটে লাঞ্চ করার লোক হন তাইলে লালমাই পাহাড় দেখে ফিরার সময় লাঞ্চ করতে পারেন বিশ্বরোডেই। বিশ্বরোড থেকে সিএনজিতে চলে যান লালমাই বাজারে। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ২০ টাকা। লালমাই বাজার থেকে অটোতে চলে যান চন্ডিমুড়া পাহাড়ে। লাল মাটি ঘেরা পাহাড়ের পরিবেশ আপনাকে অন্য রকম অনুভূতি দিবে। ঘণ্টা খানেক চারপাশটা ঘুরে দেখেন। তবে সাবধান পাহাড়ের বেশি ভিতরে যাবেন না। ছিনতাইয়ের শিকার হতে পারেন। লালমাই পাহাড় দেখে আবার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে ফিরে আসেন।

সেখান থেকে মাইক্রোতে করে চলে আসুন কোটবাড়ি বিশ্বরোড। ভাড়া নিবে ১৫ টাকা। এরপর সিনজিতে করে সোজা কোটবাড়ি বাজার। ১০ টাকা নিবে প্রতিজনে। সিএনজি থেকে নেমেই দেখতে পারেন তাক লাগানো বার্ডের গেট। তবে বার্ডের ভিতরে ঢুকতে দিবে না কারও রেফারেন্স ছাড়া। অবশ্য জাতীয় দিবসগুলোতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। বার্ডের গেট দেখে সোজা পশ্চিম দিকে হাটা দিন। সাইনবোর্ডই আপনাকে জানিয়ে দিবে ইটাখোলা মুড়ার কথা। সেখানে একটা প্রাচীন বিহার আছে। সাথে ধ্যানমগ্ন এক মূর্তি। ২০/২৫ মিনিটে সব দেখা শেষ করে আবার কোটবাড়ি বাজারে ফিরে আসুন। এরপর অটো/সিনজিতে উঠে পরুন। ড্রাইভারকে বললেই শালবন বিহারের গেটে নামায়া দিবে। ভাড়া নিবে ১০ টাকা।

এরপর টিকেট কেটে ঢুকে পরুন প্রাচীন ঐতিহ্যে ঘেরা শালবন বিহারে। ২০ টাকা প্রবেশ ফি। বিহারের চারপাশের কৃত্রিম পরিবেশটাও আপনাকে নাড়িয়ে দিবে। ঘণ্টা দেড়েক এখানে কাটাতে পারেন। এরপর দেখতে পারেন ময়নামতি মিউজিয়াম। প্রবেশ ফি ১০ টাকা। তবে এটার ভিতরে এখন তেমন কিছুই নাই। শালবন বিহার থেকে বেরিয়ে রাস্তার পশ্চিম পাশে যে বন দেখতে পাবেন ঐটাই শালবন । শালবনে ঘুরাঘুরি করতে পারেন। বৈকালিক স্ন্যাকস করতে পারেন কাশবন রিসোর্টে। আশা করি সাড়ে ৫ টার আগেই আপনার সব দেখা হয়ে যাবে। এরপর শালবন বিহারের গেট থেকে সিনজিতে উঠে পরুন। কোটবাড়ি বিশ্বরোড নামবেন। ২০ টাকা নিবে।

এরপর অপেক্ষা করতে থাকেন এশিয়া ট্রান্সপোর্টের। বাস আসলে হাত দেখালেই থামাবে। উঠে পড়ুন। ২০০ টাকা নিবে। আর আপনি যদি এসিতে আসতে চান তাইলে কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে মাইক্রো দিয়ে ক্যান্টনম্যান্ট চলে আসুন। ভাড়া নিবে ২০ টাকা। ক্যান্টনম্যান্ট থেকে এশিয়া এয়ার কন্ডিশন/রয়েল কোচে উঠতে পারবেন। আশা করি রাত ৮ টার আগেই আপনি ঢাকা পৌঁছে যাবেন।
কোন সমস্যা হলে বলতে পারেন।

Post Copied From:Masud Sarker Rana‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

একদিনে ঘুরাঘুরির

অনেকেই একদিনে ঘুরাঘুরির ব্যাপারে জানতে চান। একদিনে অনেক জায়গাতেই যাওয়া যায়। এই যেমন নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, সোনারগাঁও, নরসিংদী, গাজীপুর, মাওয়া ঘাট, পদ্মা রিসোর্ট, মানিকগঞ্জ জমিদার বাড়ি, গোলাপ গ্রাম। অনেকেই আবার ঘুরাঘুরির জন্য সুদূর সিলেট, শ্রীমঙ্গল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী সাজেস্ট করে বসেন। এগুলা মারাত্মক ভুল গাইড। এগুলাকে ট্যুর বলে না, জাস্ট চুরির মত দৌড়ের উপর থাকা। মানুষ ট্যুর দেয় রিল্যাক্সের জন্য। কিন্তু সেটাই যদি না পাওয়া যায় তাইলে কিসের ট্যুর।

আমি যেহেতু কুমিল্লার তাই একদিনে কুমিল্লা ভ্রমণের ফিরিস্তি দিব। সকাল ৮ টায় সায়েদাবাদ থেকে এশিয়া লাইন/এশিয়া ট্রান্সপোর্টে (যেটা আগে ছাড়ে) চড়ে বসুন। ভাড়া নিবে ২০০ টাকা। কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্ট এসে নামবেন। সাড়ে ১০ টার আগেই পৌঁছে যাবেন। তবে আপনি যদি এসিতে আসতে চান তাইলে সায়েদাবাদ থেকে এশিয়া এয়ার কন্ডিশন অথবা কমলাপুর থেকে রয়েল কোচে আসতে পারেন। রয়েল অনেক কমফোর্টেবল বাট স্লো। ক্যান্টনম্যান্ট নেমে উত্তর দিকে ১০ মিনিট হাঁটলেই পেয়ে যাবেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত যোদ্ধাদের সমাধি ক্ষেত্র ওয়ার সিমেট্রি। বেশ নিরিবিলি পরিবেশটা আপনার ভাল লাগবে। ৩০ মিনিটের মধ্যেই ঘুরে দেখতে পারবেন।

এরপর আবার ক্যান্টনম্যান্ট ফিরে আসুন। রাস্তায় দাঁড়ালেই কুমিল্লা শহরগামী অনেক বাস যেমন পাপিয়া, কুমিল্লা হোমনা, সুগন্ধা, বিরতিহীন পাবেন। যে কোন একটায় উঠে পরুন। শাসনগাছা নামবেন। ভাড়া নিবে ১০ টাকা। এরপর অটোতে করে চলে যান কুমিল্লা জজ কোর্টের সামনে। সর্বোচ্চ ১৫ টাকা নিবে। সেখান থেকে কুমিল্লা পার্ক ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যাবেন ধর্মসাগরের উত্তর পাড়। চোখ জুড়ায়ে দেখুন ঐতিহাসিক ধর্মসাগর। আপনি চাইলে ধর্মসাগরের ভিতরে বোট রাইড করতে পারেন। ধর্মসাগর দেখতে দেখতে একবারে চলে আসুন দক্ষিণ মাথায়। এরপর একটু সামনে হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন কান্দিরপাড়।

যদি রসমালাই নিতে চান তাইলে কান্দিরপাড় থেকে পূর্বদিকে হাটা দিন। যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই মাতৃভান্ডার দেখায়া দিবে। রসমালাই কিনে কান্দিরপাড় থেকে সিএনজিতে উঠুন পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের। ২০ টাকা নিবে ভাড়া। বিশ্বরোড পৌছাতে পৌছাতে ততক্ষণে লাঞ্চ টাইম হয়ে যাবে। লাঞ্চ করতে পারেন দেশের প্রথম ৩ স্টার হোটেল নুরজাহানে। তবে খাবার ব্যয়বহুল। হোটেলের বাহিরের প্লেসটা আপনার ভাল লাগবে। পুরাই একটা মিনি পার্ক। খাবার অর্ডার করে বাইরে বসে খেতে পারেন। চেয়ার টেবিল বসানোই আছে। তখন মনে হবে আপনি বনভোজনে বসে খাচ্ছেন। আর যদি আপনার বাজেট কম তাইলে বিশ্বরোডে আরও অনেক হোটেল পাবেন। ঐগুলাতেও খেতে পারেন। আপনি যদি আমার মত লেটে লাঞ্চ করার লোক হন তাইলে লালমাই পাহাড় দেখে ফিরার সময় লাঞ্চ করতে পারেন বিশ্বরোডেই। বিশ্বরোড থেকে সিএনজিতে চলে যান লালমাই বাজারে। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ২০ টাকা। লালমাই বাজার থেকে অটোতে চলে যান চন্ডিমুড়া পাহাড়ে। লাল মাটি ঘেরা পাহাড়ের পরিবেশ আপনাকে অন্য রকম অনুভূতি দিবে। ঘণ্টা খানেক চারপাশটা ঘুরে দেখেন। তবে সাবধান পাহাড়ের বেশি ভিতরে যাবেন না। ছিনতাইয়ের শিকার হতে পারেন। লালমাই পাহাড় দেখে আবার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে ফিরে আসেন।

সেখান থেকে মাইক্রোতে করে চলে আসুন কোটবাড়ি বিশ্বরোড। ভাড়া নিবে ১৫ টাকা। এরপর সিনজিতে করে সোজা কোটবাড়ি বাজার। ১০ টাকা নিবে প্রতিজনে। সিএনজি থেকে নেমেই দেখতে পারেন তাক লাগানো বার্ডের গেট। তবে বার্ডের ভিতরে ঢুকতে দিবে না কারও রেফারেন্স ছাড়া। অবশ্য জাতীয় দিবসগুলোতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। বার্ডের গেট দেখে সোজা পশ্চিম দিকে হাটা দিন। সাইনবোর্ডই আপনাকে জানিয়ে দিবে ইটাখোলা মুড়ার কথা। সেখানে একটা প্রাচীন বিহার আছে। সাথে ধ্যানমগ্ন এক মূর্তি। ২০/২৫ মিনিটে সব দেখা শেষ করে আবার কোটবাড়ি বাজারে ফিরে আসুন। এরপর অটো/সিনজিতে উঠে পরুন। ড্রাইভারকে বললেই শালবন বিহারের গেটে নামায়া দিবে। ভাড়া নিবে ১০ টাকা।

এরপর টিকেট কেটে ঢুকে পরুন প্রাচীন ঐতিহ্যে ঘেরা শালবন বিহারে। ২০ টাকা প্রবেশ ফি। বিহারের চারপাশের কৃত্রিম পরিবেশটাও আপনাকে নাড়িয়ে দিবে। ঘণ্টা দেড়েক এখানে কাটাতে পারেন। এরপর দেখতে পারেন ময়নামতি মিউজিয়াম। প্রবেশ ফি ১০ টাকা। তবে এটার ভিতরে এখন তেমন কিছুই নাই। শালবন বিহার থেকে বেরিয়ে রাস্তার পশ্চিম পাশে যে বন দেখতে পাবেন ঐটাই শালবন । শালবনে ঘুরাঘুরি করতে পারেন। বৈকালিক স্ন্যাকস করতে পারেন কাশবন রিসোর্টে। আশা করি সাড়ে ৫ টার আগেই আপনার সব দেখা হয়ে যাবে। এরপর শালবন বিহারের গেট থেকে সিনজিতে উঠে পরুন। কোটবাড়ি বিশ্বরোড নামবেন। ২০ টাকা নিবে।

এরপর অপেক্ষা করতে থাকেন এশিয়া ট্রান্সপোর্টের। বাস আসলে হাত দেখালেই থামাবে। উঠে পড়ুন। ২০০ টাকা নিবে। আর আপনি যদি এসিতে আসতে চান তাইলে কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে মাইক্রো দিয়ে ক্যান্টনম্যান্ট চলে আসুন। ভাড়া নিবে ২০ টাকা। ক্যান্টনম্যান্ট থেকে এশিয়া এয়ার কন্ডিশন/রয়েল কোচে উঠতে পারবেন। আশা করি রাত ৮ টার আগেই আপনি ঢাকা পৌঁছে যাবেন।
কোন সমস্যা হলে বলতে পারেন।

Post Copied From:Masud Sarker Rana‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

নরসিংদী জমিদার বাড়ি

এর পাশেই সুন্দর ধানের ক্ষেত।
how to go: biman bondor station thke norsingdi train er ticket 30-60 taka.satnding ticket.40 mint lage.erpor easy bike a baduer chor(বাদুয়ার চর) ar pasei ai jomider bari 10 taka vara.Kha bari o bole onek a.

Post Copied From:Kazi Fattaur Rahman Faisal‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

ঢাকার অদূরে ছোট্ট শহর নরসিংদী।

ঢাকার অদূরে ছোট্ট শহর নরসিংদী।
যারা ঢাকার এই ইট পাথরের শহরে থেকে হাপিয়ে উঠেছেন, তারা একদিন এর জন্য ঘুরে আসতে পারেন সবুজ শ্যামল পরিবেশ থেকে।
আশা করি প্রকৃতি প্রেমিদের কাছে অবশ্যই ভাল লাগবে ইনশাআল্লাহ।
ঢাকার সায়দাবাদ অথবা মহাখালি থেকে ২ ঘন্টায় আসা যায় নরসিংদী তে…
তার পর সারাদিন ঘুরে মেঘনা আর শীতলক্ষ্যার বাতাস খেয়ে বিকেল অথবা সন্ধ্যায় ফিরে যেতে পারবেন ঢাকা…

Post Copied From:সাদা কালো.>Travelers of Bangladesh (ToB)