তেওতা জমিদার বাড়ী

জাতীয় কবি নজরুল আর তার স্ত্রী প্রমিলা দেবীর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই বাড়ীর সাথে। প্রমিলা দেবীর ডাক নাম ছিল দুলি। জাতীয় কবি তার ক্ষুরধার কবিতার জন্য পরিচিতি লাভ করে বিদ্রোহী কবি হিসাবে। তবে প্রেমের কবিতায় যে তার সমান ধার ছিল তা কবির বিভিন্ন কবিতা পড়লেই বুঝা যায়। এই জমিদার বাড়ীর কোন পুকুর ঘাটে বসে প্রমিলা দেবী কে দেখে কবি রচিত করেন “তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়”। জমিদার বাড়ীর পাশেই ছিল দুলির বাড়ী। দুলির পিতা বসন্ত সেনের ভ্রাতুষপুত্র বীরেন সেনের সঙ্গে কবির পরিচয় সূত্র ধরে প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাতায়াত করত।

” ইতিহাসবিদদের মতে, সতেরশ’ শতকে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণ করেছিলেন পঞ্চানন সেন নামক একজন জমিদার। জনশ্রুতি অনুসারে, পঞ্চানন সেন এক সময় খুবই দরিদ্র ছিলেন ও দিনাজপুর অঞ্চলে তিনি তামাক উৎপাদন করে প্রচুর ধসম্পত্তির মালিক হওয়ার পর এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তিতে এখানে জমিদারি প্রতিষ্ঠিত করে জয়শংকর ও হেমশংকর নাম দুজন ব্যক্তি। ভারত বিভক্তির পর তারা দুজনেই ভারত চলে গেলে বাড়িটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।” [ সূত্র : বাংলা উইকিপেডিয়া]

কি ভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে আরিচাগামী বাসে আরিচাঘাট। এরপর এখান থেকে অটো/লেগুনা করে তেওতা গ্রাম। তেওতা গ্রামে গেলে যে কেউ দেখিয়ে দিবে জমিদার বাড়ী।

Post Copied From:Ashik Sarwar‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

দিনাজপুর ভ্রমন

প্রশ্নঃ  দিনাজপুর ভ্রমনের জন্য কোন কোন যায়গাতে যাবেন???

উত্তরঃকান্তজির মন্দির, নয়াবাদ মসজিদ, রাম সাগর, সুখ সাগর, মাতা সাগর, রাজবাটি, বিরল দ্বিপশিখা/মাটির স্কুল

প্রশ্নঃ দিনাজপুর বেড়াতে যেতে চাই লিচু বাগান, বাজার দেখতে। ফ্যামিলি নিয়ে যাব তাও এবারই প্রথম আর তাই ঢাকা থেকে যাওয়া-আসা, থাকা-খাওয়ার সুবিধা-অসুবিধা, কোথায় কোথায় ঘুরব ইত্যাদি ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হেল্প চাচ্ছি অভিজ্ঞদের কাছ থেকে।

যাওয়ার জন্য কোন সময়টা সবচেয়ে উপযুক্ত হবে?
আর ঐখানে কি গাছে চড়ে লিচু খেতে দেয়?

উত্তরঃ আপনি ট্রেন /বাস এসি, নন এসি সব পাবেন।(ট্রেনে টাইম লাগে বেশি) থাকার জন্য শহরের বাহাদুর বাজারে হোটেল “শীতল ” আছে ২০০-৩০০ মধ্যে ভালো রুম পাবেন(আমি নিজে ছিলাম)।
ঘুরতে পারেনঃ কান্তজী মন্দির(উইকিপিডিয়া তে বিস্তারিত পাবেন )
রামসাগর,প্রমোদতরী,রাবার ড্রাম(মোহনপুর অবস্থিত),রাজবাড়ি,কাঞ্চন ব্রিজ,রাজবাড়ী,মাতা সাগর,সুক সাগর এছাড়া ব্রাক এর প্রশিক্ষক কেন্দ্র অনুমতি নিয়ে ঘুরতে পারেন।
★ভালো মানের খাবারের জন্য আপনাকে “দিলশাদ” রেস্তরাঁ খেতে হবে সব রকম খাবার পাবেন অনেক সুস্বাদু(Google map থেকে লোকেশন পাবেন) পায়ে হেটে ৫মি.
এই হোটেলের “পাটিসাপটা” পিঠা খেতে পারেন দারুন মজা।

প্রশ্নঃ  দিনাজপুর কান্তজির মন্দির যেতে চাচ্ছি। একদিনের ট্যুরে আর কি কি দেখা যেতে পারে? তাজহাট জমিদার প্যালেস কি যাওয়া যাবে একদিনে? যাওয়ার উপায় কি? কোন বাস/ ট্রেন যায় ঢাকা থেকে?

উত্তরঃঢাকা থেকে বাস ও ট্রেন দুই পথেই যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী (Dinajpur) বাসগুলো সাধারণত ছাড়ে গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে। এ পথে নাবিল পরিবহনের এসি বাস চলাচল করে। ভাড়া ৯০০ টাকা। নাবিল পরিবহনের নন-এসি বাসও চলাচল করে এ পথে।প্রায় সারাদিন ৩০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা পরপর গাড়িগুলো ছেড়ে যায়।
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃনগর ট্রেন দ্রুতযান এক্সপ্রেস ছাড়ে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। আর আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ছাড়ে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে। ঢাকা থেকে একতা ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস বন্ধ থাকে যথাক্রমে মঙ্গল ও বুধবার। ভাড়া শোভন সিট ১৮৫ টাকা,শোভন চেয়ার ২৫০, প্রথম শ্রেণি চেয়ার ৩৫০, প্রথম শ্রেণি বার্থ ৫৩৫, এসি চেয়ার ৬১৮, এসি বার্থ ৮৯৭ টাকা।

দিনাজপুর শহর থেকে অটোরিকশায় পৌঁছে যাওয়া যায় কান্তজীর মন্দির এ।
কান্তজীর থেকে তাজহাটের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিমি
যদি দুটো একসাথে দেখতে চান তাহলে সকাল সকাল কান্তজীর দেখেই বাসে চলে যেতে হবে রংপুর সদরে তারপর সেখান থেকে অটোতে যেতে পারবেন তাজহাট