একের ভিতর পাঁচ (খৈয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া, চন্দ্রনাথ, ইকোপার্ক, বাশবাড়ীয়া ট্যুর)

খৈয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া, চন্দ্রনাথ, ইকোপার্ক, বাশবাড়ীয়া ট্যুর।
এক ট্যুরে পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, সমুদ্র, ঝর্না সব দেখে আসছি।
বাংলাদেশের ট্রাভেলারদের মধ্যে সবচেয়ে হাইপ তোলা route এখন নিঃসন্দেহে খৈয়াছড়া+বাশবড়ীয়া/ নাপিত্তাছড়া+বাশবাড়ীয়া/সীতাকুণ্ড+বাশবাড়ীয়া। গ্রুপে পোস্ট দেখতে দেখতে আমি নিজেও বিরক্ত হয়ে গেছিলাম, মনে হচ্ছিল এখানে না গেলে মনে হয় বাংলাদেশী ট্রাভেলার হিসেবে আর পরিচয় দিতে পারবো না।
ফ্রেন্ডরা ডিসিশন নিলাম, এইটা+ওইটা না, একসাথে সব কাভার করবো, যেই ডিসিশন সেই কাজ। সময়টাও অনুকূলে ছিল, মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মতো একসাথে ২ দিন সরকারি ছুটি+ তুমুল বৃষ্টি। আমি এর আগেও খৈয়াছড়া গিয়েছিলাম কিন্তু একদম ই পানি পাই নি, তাই সবাইকে সাজেস্ট করবো ঝর্নার আসলরূপ দেখতে হলে অবশ্যই বর্ষায়+ বৃষ্টির মধ্যে যাবেন।
ওকে, আর কথা না বাড়িয়ে একদম চলে যাই ট্যুর প্লানে। আমি মোটামুটিভাবে সবকিছু in details এ বলার চেষ্টা করবো, তারপরেও কিছু জানার থাকলে feel free to ask. আচ্ছা আগেই বলে নেই, আমি ৫০০ টাকায়/৪৮০ টাকায় ঘুড়ে আসুন অমুক-তমুক জায়গা প্লানিং এ বিশ্বাসী নই। ট্যুর দিতে যাচ্ছেন যুদ্ধ করতে নয়, টাকা বাচাতে ৩ টা পরোটা না খেয়ে ২ টা খেলেন, এতো আপনার লাভ না ক্ষতি ই হবে। চেষ্টা করবেন সবচেয়ে কম খরচে ভালো ট্যুর দেয়ার বাট তাই বলে কিপটামো নয়।
আমরা ২ দিনে খৈয়াছড়া+নাপিত্তাছড়া+চন্দ্রনাথ+ইকোপার্ক+
বাশবাড়ীয়া কাভার করেছি খরচ হয়েছে ১৪২৯ টাকা। আমরা ১১ জন ছিলাম,মাথা পিছু খরচের হিসেব দেয়া হচ্ছে। চেষ্টা করবেন ১০/১২ জন যেতে এতে টাকা সেভ হবে। আমাদের Tour plan+cost এর হিসেব:
বাসা টু কমলাপুর (১৫ টাকা) > কমলাপুর টু ফেনী মেইল ট্রেন (মেইল ট্রেন নিয়ে কিছু কথা “টিপস” সেকশন এ লিখবো) ৯০ টাকা>ফেনী স্টেশন টু মহিপাল (১৫)>ব্রেকফাস্ট (৩২)> মহিপাল টু বড়তাকিয়া (৪০)>বড়তাকিয়া থেকে আমরা হাটা স্টার্ট করেছি চাইলে সিএনজি নিতে পারেন (২০)> বাশ (১০)>খৈয়াছড়া ট্রেল(কোন খরচ নেই) >দুপুরের খাবার(৯৫)>বড়তাকিয়া থেকে নয়দুয়ারি বাজার (২০)>আবার বাশ (১০) [আমরা খৈয়াছড়ায় বাশ রেখে আসছিলাম তাই আবার কিনতে হইছে]> গাইড (২৭)>নাপিত্তাছড়া ট্রেইল (০টাকা)>নয়দুয়ারি বাজার টু সীতাকুণ্ড বাজার (৩০)> রাতের খাবার (৭৫)> হোটেল ভাড়া (২২৫)>ব্রেকফাস্ট (৩০)>
সীতাকুণ্ড বাজার টু চন্দ্রনাথ (২০)>বাশ(২০ টাকা)> চন্দ্রানাথ টু সীতাকুণ্ড বাজার (২০)> বাজার টু ইকোপার্ক (২৫) [চন্দ্রনাথ থেকে ইকোপার্ক হেটে যাওয়ার রাস্তা আছে কিন্তু রাস্তার কন্ডিশন ভালো না এবং ডাকাত আছে তাই ব্যবহার না করাই ভালো ]> ইকোপার্ক এন্ট্রিফী(২০)> সুপ্তধারা+সহস্রধারা ভ্রমন (০ টাকা)>সহস্রধারা টু মেইন গেট (৫০টাকা)পর্যন্ত >দুপুরের খাবার (৯৫ টাকা) >ইকোপার্ক টু মেইনরোড (১০ টাকা)>মেইনরোড টু বাশবাড়ীয়া (১৫)>বাশবাড়ীয়া বাজার টু সীবীচ (২০)> সিবীচে চিলিং (০ টাকা)> সীবীচ টু বাশবাড়িয়া বাজার (২০) >রাতের খাবার (৭০)>বাশবাড়িয়া টু মহিপাল(৬০) মহিপাল টু ঢাকা গুলিস্তান (২৫০)>গুলিস্তান টু বাসা(২০)
টোটাল:১৪২৯ টাকা

আমাদের জার্নি স্টার্ট হয়েছে ১৩ তারিখ রাত ৮ টায় এবং ঢাকা পৌছেছি ১৬ তারিখ রাত ২:৩০ এ।
এবার একটু স্পট ডিটেলস এ আসি।

১.খৈয়াছড়া:
অসম্ভব সুন্দর রকমের একটা ঝর্না এবং ট্রেইল টাও তুলনামূলক সহজ। আমরা 7th step পর্যন্ত উঠেছি এরপর সবাই না করছিল তাই আর সহস করতে পারি নি। বৃষ্টিতে জঘন্য হয়ে ছিল উপরের উঠার রাস্তা, ৩/৪ জন পরতে পরতে বেচে গিয়েছে (আমার উপর একজন এসে পরেছে, এখনো ঘাড় ব্যাথা করছে তার ধাক্কার)। মনে রাখবেন safety comes first, কিছু জাগায় পিছনে সরে যাওয়া কাপুরুষত্ব নয় বুদ্ধিমত্তা। যে পর্যন্ত পারবেন সে পর্যন্তই যাবেন এরপর রিস্ক নেওয়া মোটেও উচিত নয়। টানা বৃষ্টিতে উপরে উঠার রাস্তা খুব খারাপ হয়ে আছে। 7th পর্যন্ত উঠেই আমরা হ্যাপি (আলহামদুলিল্লাহ্)
২ নাপিত্তাছড়া:
“ভয়ংকর সুন্দর ” এই শব্দটি শুধুমাত্র এই ট্রেইলটির ক্ষেত্রেই যায়। যারা ১৪ তারিখ এই ট্রেইল এ গিয়েছেন তারা যানেন রাস্তার অবস্থা।
অবশ্যই গাইড নিবেন এতে সময় বাচবে (ওদের সব রাস্তা মুখস্থ) একদিনে ২ টা ট্রেইল কাভার করতে চাইলে গাইড অবশ্যই নিবেন (আমাদের নাপিত্তাছড়া থেকে রিটার্ন করতে সন্ধ্যা ৭:৩০ বেজেছে, ঝুম অন্ধকার, পাহাড়ি অচেনা রাস্তা। গাইড ছাড়া অসম্ভব ছিল)। নাপিত্তাছড়ার প্রতি বাকে বাকে অদ্ভুত রকমের সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে যা নিজ চোখে না দেখলে বুঝা অসম্ভব। এই ট্রেইল এ আমরা টোটাল ৪ টি ঝর্না দেখেছি, প্রতিটি ঝর্নাই আলাদা রকমের সুন্দর (কুপিকাটাখুম+উজিলা+বান্দরখুম+বাঘবিয়ানী) এই ৪ টি ঝর্না।

৩.চন্দ্রনাথ মন্দির:
Almost 300 মিটার উপরে, আগের দিন খৈয়াছড়া+নাপিত্তাছড়া কাভার করে শরীরের অবস্থা ১২ টা। পরদিন ঘুম থেকে উঠেই আবার ৯০০ ফিট উপরে উঠো, শরীরের উপর অত্যাচার ই বলা যায়। এই পথে ১০-১২ টা (আমি ৯ টা গুনছি) মন্দির পরবে, সবগুলো মন্দির ঘুড়ে ঘুড়ে দেখবেন। একদম চূড়ায় চন্দ্রনাথ মন্দির (বৃষ্টির কারনে রাস্তা বেশ পিচ্ছিল হয়ে ছিল, উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে) কিন্তু উঠার পর যা দেখবেন অন্যরকম শান্তি, আমি অনেকটা নীলগিরির ফিল পাচ্ছিলাম। উপরে উঠার ২ টা পথ, আমার মতে সিরি ব্যবহার করাই ভালো।
৪ সিতাকুন্ড ইকোপার্ক:
বেশ সাজানো গুছানো একটি পার্ক, অনেকেই গেট থেকে সি এনজি নিয়ে যায় কিন্তু আমি সাজেস্ট করবো হেটে যান। পাহাড়ি আকাবাকা রাস্তা, দু পাশ ঘিড়ে গাছ। মাঝে মাঝে উকি দিয়ে দেখা যাচ্ছে সাগরের একঝলক। হাটতে হাটতে পৌছে যাবনে সুপ্তধারার কাছে সেখান থেকে ৪৯৮ টা সিরি বেয়ে নিচে নামতে হবে আবার ঝর্না দেখে উপরে উঠতে হবে। এই পথে এক বাবুমশাই এর সাথে আপনার পরিচয় হবে (জোক) আমাকে ৩ টা ধরছে। ওই রাস্তায় অলমোস্ট সবাইকে জোক ধরছিল, রাস্তাটা জোকে কিলবিল করতেছিল। জোককে ভয় পাওয়ার কিছু নেই (সাথে লবন রাখবেন) এই জিনিস আপনার জাস্ট রক্ত চুষবে, আপনাকে মেরে ফেলবেনা। সুপ্তধারা থেকে চলে যাবেন সহস্রধারায় (তুলনামূলক সবচেয়ে কম পানি পেয়েছি এখানে) তবে পানিটা বরফগলা পানির মতো ঠান্ডা ছিল, এতোটাই টায়ার্ড ছিলাম যে ঝর্ণার নিচে বসতেই আমার ঘুম চলে আসছিল। এই একটা রূটেই জোক অনেক উৎপাত করেছে, অনেকে জোকের ভয়ে ঝর্ণা অব্দি না গিয়েই চলে এসেছে।
৫ বাশবাড়িয়া সীবীচ:
আহা!! ২ দিনের অত্যাচারের পর এবার রিলেক্স করার পালা। একটা অন্যরকম প্রশান্তিময় ঠান্ডা বাতাস। মনে হচ্ছিল সে বাতাস শরীরের সব ক্লান্তিকে নিজের সাথে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জোয়ার+বৃষ্টির জন্য স্টিলের রাস্তাটা পানির অনেক নিচে চলে গিয়েছিল, খানিকটা যাওয়ার পর পানির স্রোত দেখে আর সাহস করতে পারি নাই। সী বীচে হৈহুল্লোড়+ঠান্ডা বাতাস+সূর্যাস্ত দেখে অবশেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ২ টা দিন বললে হয়তো ভুল হবে না, প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম হয়েছে কিন্তু তারমধ্যেও অন্যরকম শান্তি ছিল।

কিছু সতর্কতা ও টিপস:
১। মেইল ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই ৯:৩০ এর মধ্যে কমলাপুর চলে যাবেন এবং প্লাটফর্ম এর শেষ মাথায় দাড়াবেন, এতে সিট পাওয়ার পসিবিলিটি বেড়ে যাবে।
২।বাসে উঠার আগে দামাদামি করে নিবেন, মহিপাল থেকে ভাড়া চেয়েছল ৬০, গিয়েছি ৪০ দিয়ে।
৩।ব্যাগ যথাসম্ভব হালকা রাখবেন, সাথে পানি ক্যারি করবেন, প্লাস্টিক এর জুতা ব্যবহার করবেন।
৪।খৈয়াছড়া থেকে নাপিত্তাছড়া যাওয়ার পথে বাশ ফেলে যাবেন না, এতে আবার বাশ কিনা লাগবে। জীবনে অনেক রকম বাশ খেয়েছি, এই ট্যুরে বাশ জীবন রক্ষা করেছে।
৫।ব্যাগ কম করবেন এতে এনার্জি সেভ হবে, লোকাল বাসা গুলোতে ব্যাগ রেখে যাবেন। উনাদের ব্যবহার যথেষ্ট ভালো, এবং উনারা ভরসাযোগ্য
৬।সুপ্তধারার পথে অনেক জোক, সাথে লবন রাখবেন (আমাকে ৩ টা ধরছে)
৭।বৃষ্টির জন্য রাস্তার খুব বাজে কন্ডিশন,অবশ্যই বাশ ব্যবহার করবেন।
৮।সীতাকুণ্ড থেকে ডিরেক্ট বাসে উঠবেন না, লোকালে করে মহিপাল চলে আসুন, সেখান থেকে ২৫০ টাকায় ইজিলি ঢাকার বাস পেয়ে যাবেন।

এই, আশাকরি সবকিছুই তুলে ধরেছি। বড়কথা সবাই সাবধানে যাবেন, এই রূটে মারা যাওয়ার রেকর্ড ও আছে। সো চিল করতে গিয়ে যেনো শেষে জীবন না দিতে হয় সেটা মাথায় রাখবেন।
#Stay_safe
#Happy_Traveling

চন্দ্রনাথ, গুলিয়াখালি আর বাঁশবাড়িয়া

বিগত দুই তিন মাস ধরে আমার সবচেয়ে প্রিয় গ্রুপ Traveller’s of Bangladesh এ চন্দ্রনাথ, গুলিয়াখালি আর বাঁশবাড়িয়া এর পোস্ট দেখে দেখে সিতাকূন্ডে যাবার আগ্রহ বেড়ে যায়।পাশাপাশি সিতাকূন্ড ধাম সনাতন ধর্মাবলম্বিদের পবিত্র স্থান হওয়ায় আর ছোট ভাই আগ্রহ প্রকাশ করায় উতসাহ বেড়ে যায় দুই গুন। সিধ্যান্ত নেই যাবই যাব সিতাকূন্ডে যা আছে কপালে 😂😂
সময় বিষয়ক কিছু তথ্য আসা করি সবার কাজে লাগবে:
তাই চিটাগাং থেকে গত ১৭ ই নভেম্বর সকাল ৭ টায় অলংকার মোড় থেকে বাসে করে রওয়ানা দেই
সিতাকূন্ডের উদ্দেশ্য করে।ড্রাইভার কাকুকে বলা ছিল সিতাকূন্ড বাজার নামিয়ে দিতে।ঠিক ১ ঘণ্টা পর বাজারে পউছে যাই।বাজার থেকে অটোতে করে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে চলে যেতে সময় লাগে ১০ মিনিট।অইখান থেকে ঢোকার পথে হাতের বাম দিক দিয়ে পাহাড় এর উপরে উঠতে সময় লাগে ১ঘণ্টা ২০ মিনিট। মন্দিরে ঘণ্টা খানিক কাটিয়ে একই পথ দিয়ে নিচে নামতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সোজা বড় বাজারে।
বড় বাজারে রেস্তরাঁ থেকে খেয়ে CNG রিজার্ভ করি বাঁশবাড়িয়া আর গুলিয়াখালি এর উদ্দেশ্য করে।বাজার থেকে প্রথমে বাঁশবাড়িয়া যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা। ওইখান থেকে গুলিয়াখালি CNG তে যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা। এবং গুলিয়খালি থেকে সিতাকূন্ড বাজার এ আসতে সময় লাগবে ২০ মিনিট। অইখান থেকে বাসে করে ব্যাক টু চিটাগাং।
আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একদিনে সব কাভার করা এবং তাতে আমরা সফল।
ছবিটি গত ১৭ ই নভেম্বর আমার হাতে তোলা।
সত্যিই সুন্দর আমাদের এই বাংলাদেশ

Post Copied From:Pratik Biswas‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

মাত্র ৯৯৭ টাকায় ঘুরে আসলাম চট্টগ্রামের

মাত্র ৯৯৭ টাকায় ঘুরে আসলাম চট্টগ্রামের

(১) কমলদহ ট্রেইলের কমলদহ ও ছাগলকান্ধা ঝর্ণা

(২) পন্থিছিলার ঝরঝরি ঝর্ণা

(৩) সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়।

#বিঃদ্রঃ চাইলে আরো একটা ট্রেইল কভার করতে পারতাম এবং আরো ২০০ টাকা কমে ট্রিপটা শেষ করতে পারতাম। আমাদের ট্রিপটা ছিল এক রাত ও দুই দিনের।
ছবি-কমলদহ ঝর্ণা

#কিভাবে_যাবেনঃ ঢাকা > চট্টগ্রামের বড় দাড়োগার হাট > ইট ভাটার পরের রাস্তা দিয়ে পূর্ব দিকে ২০-২৫ মিনিটের হাটা পথ।

#খরচের_বিবরণঃ-

#১ম দিন-কমলদহ ট্রেইলঃ-

১। রাত ১০.৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেইলে করে সীতাকুন্ড (সকাল ৭ টায় পৌছানো), ভাড়া-১০০ টাকা।

২। নাস্তা (ভাত, সবজি, ডাল,চা)-৬১ টাকা।

৩। হোটেল ভাড়া (সাইমুন হোটেল)-১৮০ টাকা (ডাবল বেড ২ রুম ৯০০ টাকা, ৫ জন)

৪। সীতাকুন্ড টু বড় দাড়োগার হাট লেগুনা ভাড়া-২০ টাকা।

৫। দুপুরের জন্য শুকনা খাবার (বিস্কুট, কলা)-২০ টাকা।

৬। বড় দাড়োগার হাট টু সীতাকুন্ড লেগুনা ভাড়া-১৫ টাকা।

৭। রাতের খাবার-৭৩ টাকা।

(মোট খরচ-৪৬৯)

#২য় দিন-ঝরঝরি ট্রেইলঃ-

১। সকালের নাস্তা-২৮ টাকা।

২। সীতাকুন্ড টু পন্থিছিলা সিএনজি ভাড়া, যাওয়া-আসা-২০ টাকা।

৩। গাইড-২৫ টাকা (১০০ টাকা, ৪ জন)

#চন্দ্রনাথ পাহাড়ঃ-

৪। সীতাকুন্ড টু ২ নং পুলের গোড়া অটো ভাড়া, যাওয়া-আসা-৪০ টাকা।

৫। শুকনা খাবার (কলা, বিস্কুট)-২৫ টাকা।

৬। ১৫ মিনিটের জন্য হোটেল ভাড়া (ফ্রেস হওয়ার জন্য)-২০ টাকা। (৬০ টাকা, ৩ জন)

৭। দুপুরের খাবার-৭০ টাকা

৮। সীতাকুন্ড টু ঢাকা (লোকাল বাস, ৪.৩০ ঘন্টা সময় লেগেছে সায়েদাবাদ পৌছাতে)-৩০০ টাকা।

(মোট খরচ-৫২৮)

দুই দিনে মোট খরচ-৪৬৯+৫২৮=৯৯৭ টাকা।

Content Writer: Sawkat Hossain