প্রিয় সাজেকের বুকে কোন এক দিন এক রাত.

জীবনে আনন্দ ঘন মূহুর্তের ভীতরে সাজেক ভ্রমণ একটি,গত মাসের ২ তারিখ থেকে ৪ তারিখ ঘুরে আসলাম,যদিও অনেক রিস্ক নিয়ে,কারন ১ তারিখে আমি বাড়িতেই ছিলাম ছুটি কাটাতে।ওইদিন রাতে বন্ধু মেহেদি ফোন করে বলল দোস্ত হঠাত প্লান ওদের ভার্সিটি থেকে সাজেক যাচ্ছে,আমার টিকেট কনফার্ম করবে কিনা?আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করবো, কারন তখনও আমি বাড়িতে আর বাড়ি থেকে ঢাকা আসতে মিনিমাম ৮ ঘন্টা লাগবে তার উপরে যে পরিমান জ্যাম ছিল, তারপরে ২০ মিনিট সময় নিয়ে কইলাম কনফার্ম করে দে ,ব্যাচ ২ তারিখে ভোরে ৫টার সময় সাতক্ষিরা থেকে রহনা দেই আমি।ভাগ্য ভালো ফেরিতে এসে কোন জ্যাম পাই নাই,একেবারে ডাইরেক্ট ফেরি ২ টাই এসে রুমে প্রবেশ করলাম,ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নিয়ে ৪.৩০ এ চলে গেলাম ক্লাস এ কারন আমার ল্যাব ক্লাস ছিল কোন ভাবেই মিস দেওয়া যাবে না… ক্লাস করে ৮.৩০ তে বের হয়ে রুমে আসলাম রেডি হয়ে চলে গেলাম ৯.৪৫ এর ভীতরে ধানমন্ডি ৩২ এ একে একে সবাই আসলো ১৬ জন.আমরা ২৫০০ টাকা করে আনুমানিক চাদা ধরেছিলাম লাগলে পরে আবার নেওয়া হবে শর্তে. শুরু হয়ে গেল সেলফি আর সেলফি আমাদের গাড়ি ছিল ইকোনো ১০ টায় গাড়ি ছাড়ল,ড্রাইভার ছিল একেবারে আমাদের মতই শালা পাকনা এবং যুবক…শুরু হলো বাসের ভীতরে আড্ডা গান সে যে কি পৈশাচিক ভাবে তা কল্পনা করি আর হাসি, আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম আমরা ১৬ জন ছাড়া বাসে অন্য কেউ আছে,আর মনে হবেই না কেন,আমাদের সিট যে ছিল একেবারেই সামনে তাই মজাটা একটু বেশিই হয়েছিল,এভাবেই চলতে লাগলো।এক সময় মেগনা ব্রিজ এর জ্যামে আসলাম পিছন থেকে একজন বলল বাপ আমার সরিরটা ভালো নাই তোমরা একটু হৈ হুল্লু কম কর। আমরা থেকে গেলাম উনার কথা শুনে ,একটু খান্ত সবাই,সবাই এবার ঘুমের জন্য প্রস্তুতি নীল কিন্তু আমি সহ আমার ৪ বন্ধু ঘুমাতেই পারলাম না কারন আমরা একেবারেই সামনের সিটে বসেছিলাম,আমার বন্ধু মটু তো সিট ছেড়ে ইঞ্জিন কভারের উপরে এসে বসেছে আর এক জন এসে সুপারভাইজার রে তার সিটে বসিয়ে দিয়ে সে সুপারভাইজার এর সিটে বসেছে, আমাদের গাড়ি সামনের ছুটতে লাগলো আর গল্পের মত সেই পাগলা ড্রাইভার তার পাগলা ঘোড়া নিয়ে ছুট্টটে লাগলো সব ভেংগে চুড়ে, শুরু হলো মহড়া কে কারে পিছে ফেলে,কত গুলো বাস যে পিছে ফেলেছে মনে নাই,কিন্তু শালার গ্রিন লাইন কে টপকাতে পারে নাই,রাতে এক অসাধারন রেস্টুরেন্ট এর সামনে গিয়ে থামলো মনে হয় তাজমহল রেস্টুরেন্ট ই হবে খেয়াল নাই,ব্যাচ সবাই নেমে পড়লাম নেমে মিষ্টি খেলাম সবাই মিলে পাল্লা করে,আর চিপস ও নিয়ে নিলাম অনেক করে।আবার শুরু করলো হটাত কখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম মনে নাই, ৩০ মিনিট এর মত ঘুমিয়েছি,চলতে চলতে এক সময় ভর হলো,স্বপ্ন ভাই বলেছিল ভোরের সময় ঘুমাবনা তাহলে অনেক কিছু দেখতে পারবা, তাই ভাই এর কথা মনে পড়াই আর ঘুমানোর চেষ্টা করলাম না, স্বপ্ন ভাই আমার আগে গিয়েছিল তাই উনার কাছ থেকে টিপস নিয়ে গিয়েছিলাম, উনার টিপস এর ভীতরে একটা ছিল প্রচুর পানি খাবা, আমি এত পানি খাচ্ছিলাম যে ১ ঘন্টা পর পর আমার মেশিনের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল,আর ড্রাইভারকে হুদাই আমার জন্য পথে ৪ বার থামা লাগছিল… :p হঠাত এক মসজিত এর সামনে বিরতি দিল যারা যারা নামাজ পড়ে ,তারা নামাজ পড়ে নীল,আমি সেইখান থেকে কিছু খাবার পানি নিলাম আবার,আমাদের পিছু আর ২ টা বাস এসে থাম্লো,কাজ শেষ বাস আবার চলতে শুরু করলো পথি মধ্যে সিলিটের সাধ পেলাম দেখলাম প্রচুর চা বাগান, আর রাবার বাগান,পাহার আর পাহাড় আমরা বড় বড় পাহাড় দেখি আর চিল্লা দেই, গাড়ি গিয়ে থাম্লো খাগড়াছড়ি বাজারে ৭ টাই,আমাদের এখনো কোন গাড়ি ভাড়া করা হয়নাই, আগে থেকেও ঠিক ছিল না, আমার এক বন্ধু ছিল উচিং মারমা স্থানীয়,সে ঠিক করে রেখেছিল ৭ হাজার টাকায় কিন্তু আমরা গত রাতেই ওইটা ক্যান্সিল করে দিছিলাম কম পাওয়ার আশাই,খাগড়াছড়ি নেমে বড় সড় একটা চান্দের গাড়ি ঠিক করলাম ৮ হাজার টাকা ১৬ জন বসা যাবে এমন,আর সাথে সাথে ব্যাক করার টিকেট অ কনফার্ম করে কেটে নিলাম শ্যামলী কাউন্টার থেকে,পরে নাস্তা করে চিপস বিস্কুট অন্যান্য খাবার নিয়ে নিলাম যার যার মত,চল্লো আমাদের চান্দের গাড়ি,আমি সহ আমার বন্ধু ৩ জন বসলাম ছাদে উহ কি যে মজা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে চলতে লাগলো,গলা ছেড়ে গাইতে লাগলাম গান মাতাল হাওয়া সহ অন্যান্য,আমাদের সাথে অন্যান্য গাড়ির ছেলে মেয়েরাও কন্ঠ মেলাতে লাগলো আমরাও অনেকের সাথে তাল মেলাতে লাগলাম,মাঝে মাঝে গাড়ির ছাদ থেকে নামা লেগেছিল,কারন আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য, কিন্তু কে শোনে কার কথা চেকিং পার হওয়ার পরেই আবার উঠি, এর মাঝে এক বাজার থেকে আবার ৬০ লিটার পানি নিয়ে নেই খাওয়ার জন্য অন্য সবাই যে যার মত নিছে খাবার দাবার,কারন সাজেকে শুকনা খাবারের দাম একেবারেই ডাবল…চলতে চলতে এমন উচু উচু পাহাড় এবং খাড়া ঢালু রাস্তা যে গাড়ি আর উঠে ও উঠে না ,এমন মনে হচ্ছে গেলাম গেলাম,বুকের ভীতরে ধুক ধুক করতে লাগলো,শেষ বেশ ১২.৩০ বা ১ টার দিকে আমরা কাঙ্ক্ষিত সাজেকে পৌছলাম,নেমে রুম ঠিক করলাম ২ টা বড় সড় ৩ বেড ওয়ালা এক বেডে অনায়াসে ৪ জন করে থাকা যাবে যেহেতু আমরা ছেলে ছিলাম তাই কোন ঝামেলা ছিল না,রুমে কাপড় ব্যাগ রেখে গেলাম ঝর্নার খোজে ওইখানে নাকি ঝর্না আছে কিন্তু প্রায় ১.৩০ ঘন্টা নিচে হেটে নামা লাগবে, ওকে নো প্রোব্লেম এক দোকানে দুপুরের খাবারের ওর্ডার দিয়ে চললাম,১৪ জন ৪ জন অন্য কাজে খাবার দাবার নিয়ে ব্যস্ত ছিল.নিসর্গ কটেজের পিছন দিয়ে নামা শুরু প্রায় ১ ঘন্টা পরে একে একে সবাই হাল ছেড়ে দিতে লাগলো ১,৩০ পরেও পেলাম না সেই কাঙ্ক্ষিত ঝর্না।শুধু শব্দ শুন্তেছি পানির,সে এক ভয়ঙ্কর ঝর্নার পানির শব্দ,আমাদের টিমের সদস্য সংখ্যা তখন ৪ জন আর সবাই ফিরে গেছে অনেক আগেই কিন্তু আমরা মরিরা নাম্বই তাই যত কষ্ট হোক,পরে দেখলাম স্থানীয় ৩ টা ছোট ছোট ছেলে নামছে গোসল করার জন্য আমরা ওদের পিছন ধরলাম,১০ মিনিটের ভিতরেই পৌছে গেলাম আহা গোসল দিলাম পুরা শরির বরফ হয়ে গেল,সত্যি মারাত্বক ভুতুড়ে এক ঝর্না মানুষ তেমন নামে না বোঝাই যাচ্ছে, গোসল দিয়ে উপরে উঠে হাটা শুরু করলাম আমাদের কটেজে উঠার জন্য উঠার সময় দেখি আমার পা জলে হাই হাই একি দেখলাম, যেটা দেখলাম সেটা দেখার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না,এটা লেখার সময় আমার গা ঝাড়া দিয়ে উটছে,আমার ২ পায়ে ৩ টা জোক পুরা লাল হয়ে গেছে রক্ত খেয়ে,হাত দিয়ে টান দিলাম উঠে না,পরে ওই স্থানীয় ছেলে পুলে বাশের আগা দিয়ে গুতা মেরে ছাড়িয়েছিল, ছাড়ানোর পরে পড়লাম আরেক ঝামেলায় ওই ৩ জাইগা দিয়ে অনবরত রক্ত পড়তে লাগলো,তারপর ছেলে গুলো কি এক পাতার রস দিল কোন রকম বন্ধ হলো রক্ত বের হওয়া, আমার জিভ পুরা শুকায় গিয়েছে আর হাটতে পারি না, সবার একি অবস্থা ওই ৩ টা পিচ্ছি ছেলে ছাড়া ওদের কিছুই যেন হচ্ছে না,রেস্ট নিলাম উঠতে উঠতে কত বার জানি না,আমাদের অবস্থা দেখে ওই ৩ পোলা হেসে কুটিকুটি,আল্লাহর রহমতে কোন রকমে ৪.৪০ এর দিকে রুমে আসলাম, এসেই বেডে পড়ে রইলাম,২০ মিনিট রেস্ট নিয়ে খেলাম দুপুরের খাবার,চা খেলাম একটা রেস্ট করতে লাগলাম,হঠাত দেখি সবাই সাজগজ শুরু করেছে সুর্য মামার অস্ত যাওয়া দেখবে হ্যালিপ্যাডের বুক থেকে, আমি ক্লান্ত থাকা সর্তেও পারলাম না রুমে থাকতে, বের হয়ে পড়লাম বাহিরে এসে দেখি একটু শীত তাই আবার গিয়ে চাদর নিয়ে আসলাম,শুক্রবার থাকাই মানুষে পরিপুর্ন হ্যালিপ্যাড এর বুক,আহা কত মানুষ।অজস্র মানুষ আর মানুষ হ্যালিপ্যাডের বুকে সবাই সুর্য অস্ত দেখতে আর সৃতিতে ধরে রাখতে ফোন ক্যামেরা নিয়ে ব্যস্ত,আমরাও থেমে থাকবো কেন শুরু করলাম আমরাও,তারপরে ওইদিন পুর্নিমা ছিল কে জানে, চাদখানা দেন তার সমস্ত সৌন্দর্য নিয়ে এসে হাজির হলো আমাদের বরন করতে,সে এক অপরুর দৃশ্য,আমরা বসে পড়লাম গোল হয়ে। অন্যরাও সবাই এভাবেই গোল গোল হয়ে,কেউ বা দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলো উপভোগ করতে লাগলো রাতের সাজেক,আমরা গোল হয়ে বসে আগের দিনের পুরানো গান ধরলাম লালনের গান গলা ছেড়ে সবাই একসাথে,৯ টা পর্যন্ত চল্লো এভাবেই, তারপর আবার কটেজে গেলাম। গিয়ে আগে থেকে অর্ডার করে রাখা বার্বি কিউ আর বাম্বু চিকেন বানানো দেখলাম আর একটু টুকটাক হেল্প ও করলাম,কিছু ফটো ও খিচলাম,রাতে খেয়ে রুমে রেস্ট করতে লাগলাম,১২ টার দিকে ৫ জন সিদ্ধান্ত নিলাম হ্যালি প্যাডে যাব,দেখি ১৪ জন হয়ে গেছে যাবে বলে, গেলাম সবাই গিয়ে বসে পড়লাম এবার ১ নং হ্যালিপ্যাডের বুকে,যদিও বেশ কয়েক জোড়া কপোত কপোতি ছিল ওইটার উপরে আর কয়েকটা ছেলে.আমরা এবার গলা ছেড়ে গাইতে লাগলাম শিরোনামহীন এর আবার হাসি মুখ আর জলের গান, উহ ভোলার নয়,পরে ১ টা পর্যন্ত চল্লো, রুমে গেলাম সবাই ঘুমানোর জন্য ব্যাস্ত সাথে আমিও ।পরে আমি চিন্তা করলাম বারান্দায় এক বেঞ্চ আছে ওইয়াটতে ঘুমালে কেমন হয়,আমি একটা কম্বল নিয়ে গেলাম ওইটাতেই আহা কি শান্তি হালকা বাতাস উহ এখন মনে হচ্ছে আমি ওইখানেই আছি,ভোর হলে সবাই কংলাক এর চুড়াই যাবে এই জন্য সবাই এলার্ম দিয়ে রেখেছে তাদের এলার্ম বাজার আগেই আমার ঘুম ভাংলো, কারন ভোরে ওঠা আমার অভ্যাস।উঠে যা দেখলাম তাতে আমার মাথা হ্যাং হয়ে জাওয়ার মত, মেঘ আর মেঘ, এইদিকে আবার আমার প্রাকৃতিক ডাক ডাকতেছে … রুমের দরজা বন্ধ ঘরে ঢুক্তে পারছিনা,পরে জোরে জোরে ধাক্কা দিলাম দরজাই।বিরক্ত হয়ে দরজা খুল্লো বন্ধু সৌরভ কইলাম হালা বাহিরে তাকিয়ে দেখ,সে বাহিরে গেল আর আমি গেলাম শান্তির ঘরে,ঘর থেকেই শুন্তেছি ও মাই গড… তোরা দ্রুত উঠে পড় সবাই ওর চেচামেচিতে উঠে পড়লো, আমি আমার কাজ শেরে বারান্দা থেকে মেঘের ২ একটা ছবি তুলে নিলাম,পরে রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম কংলাক জয়ের জন্য,বাহিরে গিয়ে দেখি সবাই ছুটেছে কংলাক হ্যালি প্যাডের দিকে আর ফটো শুট করতেছে,হাটতে ক্লান্ত হয়ে এক সময় পৌছে গেলাম সর্বচ্চ চুড়াই শান্তি কি শান্তি,পুরা জগতটাই মনে হচ্ছিল আমার এখান থেকে আর আমি ফিরবো না ওই জ্যামিস্ট নগরি ঢাকাই,কিন্তু মন চাইলেই কি সব হয়,ঘুরে ফিরে আবার ফিরতে হলো কটেজের উদ্দশ্যে, আসার পথে স্থানীয় দের চাষ করা কমলা কিনে নিলাম কংলাক এর উপর থেকে, বেশ মিষ্টি খেতে,কটেজে এসে ফ্রেশ হয়ে গোসল দিয়ে নাস্তা করে,এবার ব্যাক করার পালা,১২ টার দিকে ছাড়পত্র পেলাম বের হওয়ার,কিনে নিলাম এক কাঁদি কলা অনেক কম দামে, খেলাম ইচ্ছে মত,১ টার দিকে হাজাছড়া ঝর্নার কাছে আমাদের চান্দের গাড়ী এসে থামলো গেলাম ঝর্নায় গোসল দিতে, ওয়াও এ যেন এক অপুরুপ দৃশ্য,বরফের মত ঠান্ডা মানুষ আর মানূষ কারন সবাই দুপুরের গোসল সারতে ব্যস্ত আমিও নেমে পড়লাম বন্ধুদের সাথে… গোসল শেষ দিয়ে এলাম,আবার গাড়িতে উঠে পড়লাম দুপুর ২.৪০ এর দিকে খাগড়া ছড়ি বাজারে এসে লান্স করে ৩.৪০এর দিকে আলূটিলা গুহার উদ্দশ্যে বের হলাম আবার,আলুটিলা থেকে পুরা খাগড়াছড়ি দেখতে একেবারে মানচিত্র এর মত লাগছিল , এটাকে কেন নিউজ্যিল্যান্ড ফিল্ড বলে বুঝলাম,আলুটিলা গুহা জয় করে বের হয়ে পড়লাম এতোটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম বলার নয়,৭ টার দিকে এসে আবার খাগড়াছড়ি বাজারে পৌঁছলাম বাস ৯ টায় পুরা ২ ঘন্টা কি করবো, স্থানীয় এক জন বলল মেলা হচ্ছে রাশ মেলা একেবারে পাশেই, দূর হয়ে গেল আমার ক্লান্তি বের হয়ে পড়লাম মেলায় উদ্দেশ্যে, মেলা ঘুরে মিষ্টি জাতিয় কিছু খেয়ে বাচ্চাদের মত হাওয়ায় মিঠাই ও খেলাম,তারপরে মেলা থেকে কিছু প্রিয় জিনিস কিনে আবার কাউন্টারে ব্যাক করলাম,তারপর রাতের খাবার খেলাম ওইখানে এক হোটেলে, গাড়ি আসলো উঠে পড়লাম, এতো টাই ক্লান্ত ছিলাম যে কখন ঘুমিয়েছি জানি না,তাজমহল রেস্টুরেন্ট এ এসে বন্ধুদের ডাকে ঘুম ভাংলো, উঠে রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে খেলাম কুমিল্লাহ এর বিখ্যাত রস মালায়, পরে বাসে উঠলাম আবার ঘুম ৬ টার দিকে ৩২ এ পৌঁছলাম, তারপর টানা ২ দিন ঘুমিয়েছি বাহিরে বের হইনাই… :p
২ দিন পরে আমার ফোনে ১০০ টাকা লোড আসলো শুনলাম আমাদের ২৪০০ টাকা করে খরচ পড়েছে… আর আমার ব্যক্তিগত ৫০০শত এর একটু বেশি সব মিলিয়ে ৩০০০ টাকা…
গ্রুপের নিয়ম থাকায় ১ টার বেশি ফটো দিতে পারলাম না বাকি ফটো কমেন্টে দেওয়া আছে দেখে নিতে পারেনছবিতে হাত উচিয়ে দাড়িয়ে থাকা রহিঙ্গাটা আমি,খরচ পার্ট বাই পার্ট দিতে না পারাই দুঃখিত, কারন সব খরচ আমাদের ভিতরে এক জন ই করেছিল তাই দিতে পারলাম না।
কোন হেল্প লাগলে বলবেন চেষ্টা করবো উপকার করতে…

Post Copied From:Azizul Islam>Travelers of Bangladesh (ToB)

সাজেক ভ্যালি

সেই ছোট্ট বেলায় যখন স্কুলে ভর্তি হয়নি, গ্রামেই থাকতাম আমরা। মাঝে মাঝে গরমের রাতে আব্বু কে জিজ্ঞেস করতাম মেঘ কত উপরে? আব্বু বলত মেঘ খুবি কাছে থাকে আমাদের। মোটামুটি ৯০০-১৫০০ মিটার উপরে উঠলেই মেঘ ধরতে পারবে। আমি ভাবতাম তাই কখনো যদি হয় আমি উপরে যাব কিভাবে? আব্বু তখন এও বলেছিলেন যে আমাদের অনেক পাহাড় আছে যেগুলোর উপরে গেলে আমরা খুব সহজেই মেঘ দেখতে পারব, ধরতে পারব।
খুব কষ্ট করে বিশ্বাস করেছি সেদিন আর মনে মনে ভেবেছি এই উচ্চাতায় যেতে পারলেই একটুকরো মেঘের উপরে উঠে বসে সারা পৃথিবী ঘুরে আসব। আবার এও মনে হয়েছে যে মেঘ যদি বৃষ্টী হয়ে ঝরে পরে? একরম নানা কল্পনায় কাটে আমাদের শৈশব আর কৈশর। শৈশব কৈশরএর সে সব স্বপ্ন কে সত্যি যদি করতে চান তবে লিখা টা হয়তো কিছুটা সাহায্য করতে পারে আপনাকে।

বলছিলাম মেঘের স্বররগ রাজ্য খেত সাজেক ভ্যালির কথা। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে যেতে হবে আপনাকে এস আলম, শান্তি বা হানিফের বাসে। তাঁর মধ্যে আমরা গিয়েছিলাম এস আলমের বাসে। এই বাসের সিটের সামনে পা রাখার জন্য যথেষ্ট যায়গা পাবেন আপনি। রাত ১২ টায় শুকারবাদ থেকে যাত্রা করে খুব সকালেই খাগড়াছড়ি পৌছে যাওয়া যায়। আমরা পৌছেছিলাম সকাল সাতে সাতটায়। এর পরে বাস থেকে নেমে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে আমরা শুরু করেছিলাম চাদের গাড়ি বা পিকাপ খোজা। আমরা গিয়েছিলাম ৬ জন। চাঁদের গাড়িতে সাজেক যেতে আপনাকে গুনতে হবে ৭৮০০ টাকা আর যদি একটু আরাম করে পিকাপে করে যেতে চান তবে আপনাকে গুনতে হবে ৯৮০০ টাকা। খাগড়াছড়ি শহর থেকে দীঘিনালা হয়ে মাচালং বাজার হয়ে যখন সাজেক পৌছাবেন বেলা তখন প্রায় দুপুর। বলে রাখা ভাল সকাল সারে দশটায় দিঘিনালা থেকে আর্মি স্কর্ট করে নিয়ে যায় সাজেকে। তাই অবস্যই চেষ্টা করবেন এর মধ্যেই দিঘিনালা চেক পোস্টে পৌছাতে। সবাই অবস্যই ফটো আই ডি সাথে রাখবেন। এখানে আমাদের সাবার নাম ঠিকানা লিখে সামনে পেছনে আর্মির গাড়ি রেখে যাত্রা শুরু হয় সকাল সারে ১০ টায়।

আগে অবস্য এরকম স্কর্ট করে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা ছিল না। ৩১/১২/২০১৫ তে একবার এক ফামিলির গাড়িতে আগুণ লাগিয়ে দেয়ে শান্তি বাহীনির ক্যাডাররা। তার পরেই ১ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে এই সিস্টেম শুরু হয়। এখানে এক সময় কোন রাস্তাও ছিল না। এখন আমরা যেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি সেই রাস্তা ২০০৮ সালে শুরু হয়ে ২০১৫ সালে চালু হয়। এই কাজও বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ আর্মি।

সে যাই হোক, সাজেক কিন্তু এক সময় ছিল আদিবাসি পাড়া এখন যারাকিনা কংলাকের স্থায়ী বাসিন্দা। উঁচুনিচু পাহাড়ি রাস্তা মাঝেই মাঝেই মনে করিয়ে দেবে রোলার কোস্টার রাইডের কথা।
এসব দেখতে দেখতে সাজেকে পৌছে গেইটে ঢুকতে রুইলুই পারা চেক পোস্ট যেখান থেকে সবার জন্য ২০ টাকা দিয়ে টিকেট আর ১০০ টাকা দিয়ে গাড়ির টকেট কাটলেই আর মাত্র মিনিট কয়েকের পথ স্বপ্নের মত স্বপ্নিল আকাশ আর মেঘের মিলেমিশে একারকার হয়ে যাবার জন্য বিক্ষাত জায়গা সাজেক ভ্যালি।

এখানে গিয়ে আপনি চাইলে থাকতে পারেন হোটেল কিংবা রিসোর্ট গুলোতে। ছোট বড় সব মিলিয়ে ৬৩ টি রিসোর্ট আছে এখানে আর রেস্টুরেন্ট বা খাবারের দোকান আছে ২৫ টির মত। আপনি এখানে যে কোন যায়গায় থাকতে বা খেতে গেলে আগেই ফোন করে জানিয়ে রাখলে ভাল হবে। অনেক সময় নাহলে গিয়ে দেখবেন খাবার নেই বা থাকার জায়গা নেই। এডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য শেষে আমি কিছু নাম্বার দিয়ে রাখব। আমরা ছয় জন খেয়েছিলাম রক প্রশান্তি তে, এটা আর্মির দ্বারা মেইন্টেইন করা। দুপুরে বন মুরগী ভাত সবজী ডাল সব মিলিয়ে মোট খরচ ২২০ টাকা। আর বন মুরগীর প্রতিটা পিস স্টারের লেগ রোস্টের সাইজের। দুপুরে খাবার আগেই আমরা একটা কটেজে উঠে গিয়েছিলাম কংলাক পাড়ায়। বলে রাখা ভাল কংলাক হল সাজেকের সব থেকে উচু চুড়া। এখানে থাকতে হলে আপনাকে অনেক আগেই জানিয়ে আসতে হবে। যদি আপনি এডভেঞ্চার প্রিয় হন তাহলে আপনি তাবুতেও থাকতে পারেন। এতে করে অবশ্য খরচো কম পরবে কিছু। আর এর জন্য আপনাকে জানাতে হবে অন্তত এক সপ্তাহ আগে। আসিফুর রহমান নামের এক ভদ্রলোক পরিচালনা করছেন মন জুড়ানি উঠোন নামের এই ক্যাম্পিং ইয়ার্ডটির।

দুপুরে খাওয়াদাওয়ারর পরে তেমন একটা কাজ থাকে না সাজেকে। দেখার তেমন কিছু নেই তখন। সুর্য ডুবার ঠিক আগেই যদি হাজির হতে পারেন তিন নাম্বার হ্যালিপ্যাডে যদি আপনারা নিচ দিকে থাকেন, তাহলে দেখতে পাবেন আপনার পায়ের অনেক নিচে মেঘ বয়ে যাচ্ছে। কি অপুর্ব সে দৃশ্য বলে বুঝানো যাবে না। সন্ধ্যার ঠিক আগেই চাইলে অর্ডার দিয়ে রাখতে পারেন ব্যাম্বো চিকেনের। এটা স্থানীয় একটা বেশ জনপ্রিয় খাবার, সাথে আর যা খেতে চান। আমরা খেয়েছিলাম ব্যাম্বো চিকেন, ভাত, ডাল, আলু ভর্তা আর পাহাড়ি সবজি। যদি খুব সাহসী হয়ে থাকেন কাঁচামরিচে কামড় বসাতে ভুলবেন না।

সব্ধার পর পরেই শুরু হয় আরেক অন্য জগত। এখানে খুব একটা নাইট লাইফ নাই, পুর্নিমার সময় গেলে খুব কাছ থেকে দেখতে পাবেন চাঁদ কে আর তার পাশে ভিড় করা মেঘ গুলো কে। তবে চাইলেই চাঁদ ধরতে পারবেন না কিন্তু মেঘ অবলীলায় আপনাকে জড়িয়ে ধরে রাখবে আপনি না চাইলেও। এ এক অন্য রকম অন্য জগত!

সাজকে রাতের খাবার খেয়ে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরাই ভাল। কারণ আসল রুপ দেখা যায় খুব সকালে। আমরা উঠেছিলাম ভোর ৫ টায়। ফ্রেশ হয়ে শীতের কাপড় গায়ে চাপিয়ে দরজা খুলতেই হতবাক। রুইলুই পাড়ায় থাকবেন যারা তাদের জন্য মন জুড়ানি উঠোন আর হ্যালিপ্যাড হল বেস্ট জায়গা। এখান থেকে আপনারা খুব ভাল ভাবেই দেখতে পারবেন মেঘের কি সুন্দর এক নদী বয়ে চলে যাচ্ছে আপনার অনেক নিচ দিয়ে। এখন চাইলে কিছু ছবি তুলতে পারেন। আর না চাইলে উপভোগ করতে থাকুন পুর্ব আকাশটাকে, আস্তে আস্তে পাহাড়ের কোল থেকে ভেসে উঠবে গত কালের অস্ত যাওয়া সূর্যটা।
সকালটা উপভোগ করেই আমরা নাস্তা করতে গিয়েছিলাম রক প্রশান্তিতে। খিচুড়ি আর ডিম ভুনা, এটাও অবস্যই আগেই বলে রাখতে হবে। এখানের ইনচার্জের নাম্বারো নিচে দিয়ে দেব। সকালের নাস্তার পরে রুমে গিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে এবার আমরা সকাল দশটার স্কর্টে খাগড়াছড়ি শহরের দিকে রওনা দেবার পালা।
পথে পরবে বেস কিছু ঝর্না। তারপর আবার খাগড়াছড়ি শহর। এখানে দুপুরের খাবার খেতে পারেন সিস্টেম হোটেলে। এটা এখানকার সব থেকে ভাল হোটেল হাস, মুরগী, শুটকি ভর্তা ডাল সবজি ছাড়াও এমন অনেক কিছু পাওয়া যায় এখানে যা কেউ ভাবেনি আগে। খরচ পরবে জন প্রতি ৩০০-৪০০ টাকার মধ্যে, তবে চাইলে কমেও খেতে পারবেন, সেট মেন্যু আছে ১৮০ টাকা করে।

যদি আপ্নারা ৯-১০ জন গ্রুপ করে যান তাহলে খরচ অনেকটাই কমে আসবে। জনপ্রতি লাগবে প্রায় চার হাজার টাকার মত। আমরা ছয়জন গিয়েছিলাম, খুব আরামে থেকে খেয়ে আমাদের খরচ হয়েছিল ছয় হাজার টাকার মত।

বলে রাখা ভাল আসার টিকেট আগেই করে রাখবেন, নাহলে আমাদের মত পেছন সিটে বসে ধাক্কা খেতে খেতে পরের দিনের অফিস বা কাজ কর্ম মিস করতে হবে। আসার সময় আমারা এসেছিলাম শান্তি পরিবহনের এসি বাসে এর জন্য খরচ পরেছিল জনপ্রতি ৮৫০ টাকা। গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে এখান থেকে সব বাস ঢাকার জন্য ছেড়ে যায় রাত নয়াটায়। ভোর চারটা পাঁচটা নাগাদ বাস পৌছে যাবে ঢাকায়। শান্তি পরিবহনের এ বাস গুলো গাবতলি বাস টার্মিনাল পর্যন্ত গিয়ে থাকে। তাই বাসায় ফেরার জন্য আগে থেকেই কোথায় নামবেন ভেবে রাখুন। গাড়ি বা নিজের যাওয়ার ব্যাবস্থা থাকলে আগেই তাদের জানিয়ে রাখুন।

বাসায় গিয়ে ঘুমদিন, পরের দিনের কাজের জন্য রেডি হোন।
সাজেকে রবি টেলিটক ছাড়া অন্য অপারেটরের নেটোয়ার্ক নাই।

আসিফ-01820106131 (মন জুরানি উঠোন)
রক প্রশান্তি- (খাবার যায়গা)
পলাশ- (ড্রাইভার,ইনি অভিজ্ঞ এবং ভদ্র)
ডিজে কিং- (সিস্টেম হোটেল)

Post Copied From:S M Mahadi Masnad‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

মেঘের দেশে ২ দিন

আমরা ২৪ জন,গন্তব্য সাজেক।
এই শুক্রবার রাত ১১ টার গাড়িতে রওনা হলাম,পৌছালাম সকাল ৭ টায়।মালিক সমিতি থেকে গাড়ি নিলাম,শুধু সাজেক যাওয়া আসা করলে আর সাজেকে ১ দিন থাকলে ভাড়া ৭১০০ আর সাথে থাকা খাওয়ার জন্যে হাজার খানেক টাকা গুনতে হয়।সাজেকের যাওয়ার রাস্তার বর্ণনা দেওয়ার ভাষা খুজে পাওয়া দুষ্কর, এক কথায় বলতে গেলে ভয়ংকর সুন্দর।আমাদের কটেজ ঠিক করা ছিল,মেঘ মাচাং।সকালের মেঘ কিং বা সবুজ পাহাড় সাথে রাতের তারা দেখার আর্দশ স্থান মেঘ মাচাং এর বারান্দা।দুপুরে আর্মিংদের রেস্টুরেন্ট এ খাবার পর রুইলুই পাড়া ঘুড়লাম।বিকেলে সুর্যাস্ত দেখতে গেলাম কংলাক পাড়া।
সাজেকের শেষ প্রান্তে কংলাক পাহাড়। এর চূড়াতেই কংলাক
পাড়ার অবস্থান। সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প থেকে এক কিলোমিটার দূরে এ গ্রামের অবস্থান।
এ গ্রামেও
লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বসবাস। কংলাক পাড়া থেকে
ভারতের লুসাই পাহাড় খালি চোখে দেখা যায়।
এ গ্রামের নিচে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আরও
কয়েকটি গ্রাম আছে। তবে এ গ্রামগুলো খুবই দুর্গম।
সন্ধ্যায় আমরা সবাই এক সাথে বসলাম হ্যালি প্যাডের পাশের পাহাড়ে।আকাশে চাঁদ না থাকলেও তারাদের মেলা বসেছিল এই দিন।রাতে আর্মিদের রেস্টুরেন্টে বার বি কিউ করলাম,২৫০ টাকা মাথাপিছু।
পরের দিন ভোর ৫ টা,সাজেকের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য যেন আমাদের জন্যে অপেক্ষা করছিল।পূর্ব কোণে হাল্কা লাল আর চারিদিকে মেঘের মেলা।ভারতের মিজোরাম আর আমাদের পাহাড়ের মধ্যে যেন মেঘের সমুদ্র।এই সৌন্দর্য় হজম করতে না করতেই পাহাড়ের এক কোণায় সূর্য মামার আগমন। সূর্যের আলো পেয়ে আমাদের চারিদিক যেন শুভ্রতায় ভরে গেল।
সকালে নাস্তা করলাম চিম্বাল রেস্টুরেন্টে, তাদের খিচুড়ি ছিল অসাধারণ,ডিম দিয়ে খিচুরি ১০০ টাকা।
এরপর গন্তব্য খাগড়াছড়ি। যাবার পথে গাড়ি খারাপ হওয়ায় দুপুরে ব্যাম্বো সুট আর রাতে সিস্টেম রেস্টুরেন্টে খাওয়ার কথা থাকলেও শুধু
ব্যাম্বো সুটে রাতে খেলাম।আর দুপুরবেলা গেলাম আলুটিলা,রিসাং ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রিজ।আলুটিলার অন্ধকার আর রিসাং এর উচু থেকে ড্রাইভিং এর আসল মজা না নিলে খাগড়াছড়ি ভ্রমণ অসম্পূর্ণই থেকে যায়……….

Post Copied From:

Nasrullah Kanon‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)