হাতিমাথা পাহাড়

খাড়া উচু পাহাড়ের সামনের দিক টা হাতির মাথার মত দেখতে হওয়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা একে হাতিমাথা বা হাতিমুড়া বলে ডাকে।
আকাশের সিঁড়ি_হাতিমাথা: স্বর্গের সিঁড়িটা মর্ত্যভূমি থেকে উঠে গেছে সোজা উপরের দিকে। পাহাড় আর বনের ফাঁকে ফাঁকে চলা সেই সিঁড়ির শেষ দেখা যায় না। উপরে যেন স্বর্গেই শেষ হয়েছে সিঁড়িটা।আনুমানিক 120-110° এ্যাঙ্গেলের খাড়া প্রায় ৩০০ সিঁড়ি বেয়ে হাতিমাথায় উঠতে হয়।হিমশীতল হওয়া সিঁড়ি বেয়ে যখন পাহাড়ের চূড়াতে উঠা হয় তখন নৈসর্গিক সৌন্দর্যে চোখ ধাধিয়ে যাবে।চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ
যাবার_উপায়:খাগড়াছড়ি শহর থেকে ইজিবাইক ঠিক করে জামতলী যাত্রীছাউনির পাশের ইটের রাস্তা দিয়ে বেশ খানিক আগায় গেলে চেঙ্গী নদী পর্যন্ত যেতে হবে।প্রতি জনের ভাড়া নিবে ১৫ টাকা করে।তারপরে খরস্রোতা চেঙ্গী নদী পার হতে হবে।নদী পার হয়ে সোজা রাস্তায় হাটলে কিছু দোকান পাওয়া যায়।দোকান গুলা ছাড়িয়ে কিছুদূর আগালে একটা স্কুল,স্কুলের পাশের রাস্তা দিয়ে যেতে হবে।তারপরেই শুরু হবে আসল মজা
ভালই ট্রেকিং করতে হবে।এবড়োখেবড়ো পাহাড়ি রাস্তা।আমারা সেদিন যায় সেদিন ভালই বৃষ্টি হচ্ছিল।হয়তোবা সেজন্য আমাদের জন্য রাস্তা কঠিন মনে হয়ছে।প্রায় ১.৩০ ঘন্টা ট্রেকিং করার পর কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌছয়। বৃষ্টি না হলে আরো একটু কম সময় লাগত।স্কুলের পাশের রাস্তা দিয়ে কিছুদূর যাবার পর একটা নড়বড়ে ছোট কাঠ-বাশের সাকো পার হতে হবে।এই যাবার পথে এই রকম দুইটা সাকো পড়বে।আর ছোট বড় মিলায় চারটার মত টিলা পার হতে হবে।তার মধ্যে দুইটা খুব খাড়া।বৃষ্টি হচ্ছিল বলে রাস্তা খুব পিচ্ছিল ছিল,আমাদের একজন তো যাবার হতে কয়েক বার আছাড় খেয়েছে।
যাবার সময় অবশ্যই পানি এবং কিছু হালকা খাবার নিয়ে যাওয়া ভাল।পুরা রাস্তায় কোথায় কোন পানি বা খাবার পাওয়ার কোন সম্ভবনা নাই।
আমাদের যে জিনিস সবচেয়ে বেশি থ্রিল দিছে তা হল পাহাড়ে উপরে ১.৫ ফুটের পিচ্ছিল রাস্তার দুই পাশে খাদ আর বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাস।এই রাস্তা দিয়ে আমার বেশি দূর আগাতে পারি নাই।শুনেছি এই রাস্তা দিয়ে কিছুদূর গিলে একটা আদিবাসী পাড়া আছে।তার সামনে বলে একটা আর্মি ক্যাম্প ও আছে।

Post Copied From: Tamim > Travelers of Bangladesh (ToB)

Leave a Reply

Your email address will not be published.