ঝর্ণা  প্রেম

ঝর্ণা  প্রেম বড়ই অদ্ভুত, একবার পেয়ে বসলে আর ছাড়ার নাম নেই। কিছুদিন আগে তিন পাগল রওনা দিয়েছিলাম বড়কমলদহ ছোটকমলদহ, ছাগলকান্দা ও নাম না জানা কিছু ঝর্ণার উদ্দেশ্যে।
.
বড়দারোগার হাটের পাশের কাচা রাস্তা দিয়ে হাটলেই ট্রেইল।ট্রেইলে কিছুক্ষণ হাঁটলেই প্রথম একটা ঝর্ণা পরবে। পাশে পাহার বেয়ে উপরে চলে যাবেন (তেমন কোন রিস্কি নেই) এরপর মিনিট বিশেক হাটলে দেখবেন ডান-বাম দু’টো রাস্তা। ডানের টায় চলে যাবেন। ঐখানে একটা ঝড়না আছে তা দেখে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসুন।
এরপর বামের রাস্তা দিয়ে হাটুন। আর বিশ্বাস করুন এখন পর্যন্ত আমার দেখা সেরা ঝিড়িপথ এটাই। (এর আগে হামহাম আর খৈয়াছড়া যাওয়া হয়েছে)। এত্ত প্রশস্ত আর সচ্ছ ঝিড়িপথে ঝড়না নানা থাকলেও শুধু ঝিড়িপথ দেখতে হলেও যাওয়া উচিৎ। আপনি অন্যরকম এক এডভেঞ্চারের অনুভব পাবেন। আধাঘণ্টা /চল্লিশ মিনিট হাটার পর পেয়ে যাবেন আসল মজা অর্থাৎ ছাগনকান্দা ঝর্ণা।
.
ছাগলকান্দার ঝর্ণার পাশের পাহাড় দিয়ে উপরে যান। তেমন কোন রিস্ক নেই। কিন্তু উঠে আপনি যা পাবেন, সিরিয়াস, আপনার কল্পনা শক্তিকেও হার মানাবে। শুধু এত্তটুকু বলবো। আপনি ছোটকরে হলেও নাফাখুমের একটা স্বাধ পেয়ে যাবেন। পরপর তিনটা ঝর্ণার মত খুম। আহা আহা। আহা।
.
যাতায়াত:
বাসে : ঢাকা থেকে ফেনী। ফেনী থেকে বরদারোগার হাট অথবা ডাইরেক্ট বাসে বড়দারোগারর হাট। নামার পর হাতের বাম দিকে একটি “ইটখোলা” আছে। “ইটখোলা” র পাশ দিয়ে কাঁচা রাস্তা ধরে ১০মিনিট হাঁটলে রেললাইন। রেললাইন পার হয়ে কিছুক্ষণ হাঁটলেই ট্রেইলের মুখ।

ট্রেনে : সিতাকুণ্ডু স্টেশনে নেমে মেইন রোডে চলে আসবেন। রাস্তার বিপরীত দিকে চলে এসে,ঐখান থেকে অটো বা মিনি বাসে বড়দারোগারর হাট।
.
বি.দ্র. ১: ট্রেইলে ঢুকার আগে গ্রামে একটা খাবার দোকান আছে। ঐখানে দুপুরের খাবারের অর্ডার আর ব্যাগ রেখে যেতে পারবেন। খানা নাকি খুবই ভালো (আমরা খাইনি, জানতাম না কিন্তু খেয়েছে এমন কিছু ভাইয়ের মুখে শুনেছি)।

২. লোক বা বাজেট বেশি হলে এবং রিস্ক নেয়ার সাহস থাকলে গাইড নিয়ে নিবেন। আর বলবেন, ঐখানে মোট যতগুলো ঝর্ণা আছে সবগুলোতেই নিয়ে যেতে। কারন ঐখানে ঝরনা আর খুম প্রায় ১৭টার কাছাকাছি। রাস্তা না চিনা আর গাইড না থাকার কারনে আমরা যেতে পারিনি। আর এই বিষয়টা পরে জেনেছি। আল্লাহ চাহেতো আগামী বছরে আরেক অভিযান হবে।

Post Copied From:Md Affan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)