মৈনট ঘাট (আ লিটিল কক্সবাজার অব বাংলাদেশ)

যেভাবে যাবেন-গুলিস্থান এর গোলাপ শাহ মাজার এর সামনে থেকে যমুনা পরিবহণ ছাড়ে।সোজা আপনাকে ঘাটে নামিয়ে দিবে। ভাড়া ৬৫-৭০ এর মতো। দিনে দিনে ফিরতে চাইলে সন্ধ্যা ৬ টায় লাস্ট গাড়ি ঢাকা ব্যাক করে।সকাল সকাল গিয়ে আরামসে সারাদিন ঘুরতে পারবেন। 🙂
কোথায় খাবেনঃ-ঘাটে দুটো হোটেল আছে সেখানে খেতে পারেন বা দুপুরে বা ঘাটের আগে কার্তিকপুর বাজারেও খাওয়ার কাজ সারতে পারেন।ব্যাক্তিগতো গাড়ি নিয়ে গেলে আরো মজা পাবেন।তেলের চিন্তা নেই।সেখানে ঘাটে তেল ভরতে পারবেন।

এবার বলি আমার ব্যাক্তিগতো অভিজ্ঞতা:প্রথমেই বলে রাখি আমার গ্রামের বাড়ি আশেপাশেই মানে বান্দুরায় ? সো অন্য সবার থেকে আলাদা সুবিধাই পেয়েছি 😉 নদীতে গোসলের প্রয়াসে নামলে আলাদা কাপড় নিয়ে যাবেন আর সাতার না জানলে লাইফজ্যাকেট মাস্ট।পাড়ে হাটতে অসাধারণ অনুভুতি কিন্তু একটু গভীরে গেলে ছোটোখাটো গর্তে পরে যেতেন পারেন হাটু পানিতে।আমার ব্যাক্তিগতো অভিমত হলো যদি আসল মজা পেতে চান অফ ডে না গিয়ে কর্মদিবসে যান।হলিডে গুলোতে ভীর থাকে বেশি।আমি ঈদের পরেরদিন গিয়ে উপচে পড়া ভীর পেয়েছি।ফ্যামিলি, ফ্রেন্ডস বা কাপলরা কর্মদিবসে গেলে স্বস্তিতে বেড়াতে পারবেন।
আর হ্যা,আমাদের দোহার-নবাবগঞ্জ এর মিস্টি কিন্তু দেশসেরা।

Post Copied From : Shihab Safin Pranto‎ to Travelers of Bangladesh

বিছনাকান্দি ডেথ জোন

**বিছনাকান্দি ডেথ জোন** বিস্তারিত… সচেতনতায়  Tourist Police Bangladesh

বিছানাকান্দি ডেথ জোন আসলে কি ???
দেখুন আসলে যে কোন পানি পূর্ণ জায়গাই ডেথ জোন যদি আপনি সাতার না জানেন এবং সতর্ক ও সচেতন না থাকেন . গুগল ম্যাপ হতে নেয়া প্রথম ছবি টি দেখুন … সোজা লাল দাগটি বর্ডার … সবুজ অংশ টি পাথুরে জায়গা যেখানে পানির গভীরতা খুব বেশি হলে 1-2 ফিট এবং এখানেই ট্যুরিস্ট রা নেমে থাকেন. ট্যুরিস্টরা এখানে সম্পূর্ণ নিরাপদ … লাল দাগ দেয়া জায়গাটি আসলে পাথরের কুয়ারি . এখান থেকে পাথর তোলার কারণে বেশ গভীর গর্ত আছে (দ্বিতীয় ছবিটি দেখলে গর্তের গভীরতা সম্পর্কে ধারণা পাবেন .

এবার বর্ষাকালের একটি ছবি দেখি (তৃতীয় ছবি ) এখানে দেখুন পানিতে ফেনা অংশটি আসলে সবুজ দাগ দেয়া অগভীর অংশ এবং লাল বৃত্তাকার অংশটি গভীর পানি যেখানে সাতার না জানা থাকলে আপনি সহজেই ডুবে যাবেন .. কিন্তু আসল কথা হচ্ছে আপনি যত বড়ই সাঁতারু হোন না কেনো এই অংশে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির স্রোত এত বেশি যে আপনিও পানির ঘৃর্নির টানে ডুবে যাবেন … তাই এই অংশে বা এর কাছাকাছি কারোরই নামা উচিত না ..নামলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরে নামবেন . আরো সুবিধার জন্য চতুর্থ ছবি দেখুন ……

ডেথ জোনের থেকে বাচতে কি করব ?
দেখুন আপনাদের সচেতনতাই পারবে আপনাকে বাচাতে. কক্সবাজার কুয়াকাটা মাধবকুন্ড জাফলং বিছানাকান্দি যে কোন পানি ও পানির স্রোত পূর্ণ এলাকায় সাতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না .. সাতার জানা থাকলেও আগে জেনে নিন ওখানে পানির গভীরতা এবং স্রোত কেমন … কোন কিছু না জেনে না বুঝে আগেই গিয়ে পানিতে ঝাপ দেবেন না … লোকাল কাউকে আগে জিগাসা করুন.. আমাদের কে আগে ফোন দিয়ে বা পেজে মেসেজ দিয়ে জেনে নিন … prevention is always better than cure.

বিছানাকান্দি বেড়াতে যাবো কি ?
যাবেন .. তবে একটু সতর্ক হয়ে বুঝে পানিতে নামলে ভয়ের কিছু নেই..

আগে থেকেই কেন লাল পতাকা টাঙানো হয়নি ? কেন আপনাদের লোক টুরিস্টদের আগে সচেতন করেনি ?

দেখুন পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির পরিমানের উপর নির্ভর করে এখানকার স্রোত ও পানির গভীরতা পরিবর্তন হয় .. তাই আসলে লাল পতাকা দিয়ে কখনোই সঠিক ভাবে এই জায়গা চিন্নিত করা সম্ভব না .. এছাড়া সাধারণত টুরিস্ট রা সবসময় পাথরে ঢাকা অগভীর পানিতেই নেমে থাকেন ..কেউ যে সাতার না জানা থাকা সত্তেও এইরকম গভীর পানির কাছাকাছি নামটা পারে তা সবার চিন্তার বাইরে ছিল . এই দুর্ঘটনা ঘটার পর পরেই এই বেপারটি সবার নজর এসেছে …..আর এখানে সবসময় বিজিবি বা আমাদের লোক থাকে টুরিস্টদের সতর্ক করার জন্য …কিন্তু জনবল কম হওয়ায় এবং টুরিস্ট বেশি হবার কারণে অনেক সময় সবাইকে সতর্ক করা সম্ভব হয়না … এক্ষেত্রে আপনাদের সচেতনতা জরুরি ..

এখন কি ব্যবস্থা নিয়েছেন আপনারা ?
ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ , বিজিবির পাশাপাশি আনসার-ভিডিপি ও পর্যটন কেন্দ্রিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের এব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে … শাহাবুদ্দিন শিহাব ,চেয়ারম্যান ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদ( বিছনাকান্দি) খুব তারাতারি সব কয়টি বিপদজনক পয়েন্টে লাল পতাকা লাগিয়ে দেবেন বলে কথা দিয়েছেন .. এছাড়া আমরাও এই বেপারে সতর্কতা মূলক পোস্টার ও ছবি সেখানে লাগিয়ে দিব যাতে টুরিস্টরা আরো সচেতন হয় .. ধন্যবাদ সবাইকে.

৫০ ডলারে দার্জিলিং (রিশপ-লাভা) ভ্রমণ

৫০ ডলারে দার্জিলিং (রিশপ-লাভা) ভ্রমণ

কিভাবে সেটা?

চলেন দেখে বা ঘুরে আসি মাত্র ৫০ ডলারে দার্জিলিং আসলে (রিশপ-লাভা) যা আমার চোখে দার্জিলিং এর চেয়েও শতগুণে সুন্দর, আকর্ষণীয় আর অভিজাত! তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে বেড়িয়ে আসি, কি বলেন?

যাত্রা শুরু ঢাকা থেকে……

৬৫০ টাকায় নাবিল পরিবহনের ধূমপান যুক্ত ও প্রায় লোকাল গাড়িতে! করে সকাল ৭:৩০ এ পঞ্চগড়। প্রথমবার এই গাড়ি যথেষ্ট ভালো সার্ভিস দেয়াতে, দ্বিতীয় কোন চিন্তা না করে নাবিলের টিকেট কেটেছিলাম। যার পরিণাম এইবার পেয়েছি হাতে-হাতে।

পঞ্চগড় থেকে দেড় ঘণ্টার সুপার লোকালে ৭০ টাকার বিনিময়ে বাংলাবান্ধা, মাঝে তেতুলিয়াতে ১০ টাকার লুচি আর চা, ব্যাস হয়ে গেল সকালের নাস্তা।

ফুলবাড়ি গিয়ে মাত্র ৫/৭ মিনিটে সব ফর্মালিটি শেষ করে, ১০ মিনিট হেটে মূল শহরের রাস্তায় গিয়ে, ২২ টাকা দিয়ে শিলিগুড়ি গেলাম পানির ট্যাংকি জীপ স্ট্যান্ডে। যেখান থেকে সরাসরি কালিম্পং ও লাভার শেয়ার জীপ পাওয়া যায়। পৌঁছে গেলাম ১৫/২০ মিনিটে সেই গন্ত্যব্যে। তখন বেলা ১১ টা।

গিয়ে জানলাম কালিম্পং এর জীপ এখনি যাচ্ছে, লাভার জীপ আছে তবে সেটা দুপুর ২ টার পরে। লাভা যেতে সময় লাগবে প্রায় ৩:৩০ ঘণ্টা! আর সেই জীপও কালিম্পং হয়েই যাবে। তাই আর দেরী না করে কালিম্পং যাবার জীপের টিকেট কাটলাম, সাথে কিনে নিলাম পথে খাবার জন্য প্রায় ২০০ টাকার শুকনো খাবার। পথে যদি ভালো যায়গা না পাই তবে যেন লাঞ্চটাও সেরে ফেলা যায়, এমন কিছু খাবার সহ।

ঠিক ঠিক ২:৩০ ঘণ্টায় পৌঁছে গেলাম কালিম্পং। মাঝের যে অপার্থিব প্রকৃতির সৌন্দর্য পেয়েছি সেজন্য আলাদা গল্প লেখা আছে “৩০ সেকেন্ড আর ৫০ টাকার” গল্পে, চাইলে পড়ে দেখবেন। এখানে শুধুই টাকার হিসেবের খতিয়ান, কারণ সবাই এটাই পড়তে চান! বাকি গল্পগুলো আমার নিজের টাইম লাইনের জন্য! আগ্রহ থাকলে ওখানে গিয়ে পড়ে নিয়েন!

কালিম্পং গিয়ে জীপ থেকে নাম্বার আগেই দেখি লাভার দিকে ছেড়ে যাচ্ছে আর একটি জীপ। ড্রাইভারকে জানাতেই তিনি লাভার জীপকে দার করালেন। এক জীপ থেকে নেমেই আর এক জীপে উঠে পড়তে গিয়েই দেখি, আরে এ যে অরণ্য আর মাধবী! “নো ম্যান্স ল্যান্ড!” ধারাবাহিকের আহা! মাধবীদের সাথে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি আর ঢেউ খেলানো পথে দুলতে-দুলতে, বৃষ্টিতে ভিজতে-ভিজতে আর শিহরিত হতে-হতে লাভায় পৌঁছে গেলাম ১:৩০ মিনিটে (এই ভীষণ রোম্যান্টিক গল্পটা “নো ম্যান্স ল্যান্ড” উপন্যাসের জন্য আমার টাইম লাইনে!) ভাড়া ছিল টাকায় ৭৮ টাকা মাত্র!

লাভায় গিয়ে দেখি সব বন্ধ, কিছুই খোলা নেই! না কোন হোটেল না কোন লজ, না কোন খাবার জায়গা! কারণ এখন পুরোপুরি অফ সিজন। তাই সবাই যে যার মত আছে, নিজেদের নিয়ে। পাহাড়েরও যেন কোনই কাজ নেই, নেই কোন পর্যটক, তাই সব পাহাড়েরা মিলে গল্প করছে খুব-খুব মন খারাপ নিয়ে, কারো মুখে হাসি নেই যেন, গাড় কালো মেঘে ঢেকে রেখেছে নিজেদেরকে কষ্টের আঁচল দিয়ে! কোন-কোন পাহাড় আবার করুন কণ্ঠে সূর তুলেছে ঝরিয়ে বৃষ্টির তান!

তবুও খুঁজে-খুঁজে একটি লজে থাকার ব্যাবস্থা করে ফেললাম, ভাড়া অফ সিজন বলে মাত্র ৩৬০ টাকা রুম প্রতি! যদিও ৪০০ টাকা চেয়েছিল, কিন্তু দরদাম করে এটাতেই রফা করেছিলাম। হিম শীতল পানিতে একটু ফ্রেস হয়ে গরম কাপড় পড়ে বাইরে বের হলাম, বৃষ্টি আর পাহাড় দেখতে একা-একা, ঘুরে-ঘুরে।

কোন খাবারের (লাঞ্চ এর জন্য) দোকান খোলা না পেয়ে শেষে নিজের কাছে রক্ষিত কেক-কোক আর চকলেট দিয়েই লাঞ্চ সারতে হয়েছিল। হাটতে হাটতে চলে গেলাম লাভার ভীষণ সুন্দর, ছিমছাম আর পরিচ্ছন্ন এক মনেসট্রিতে। সেখানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র পেয়ে গেলাম, যে ভ্যাকেশনে বাড়িতে এসেছে সময় কাটাতে। তার সাথে বৃষ্টির মাঝেই ঘুরে দেখলাম সেই জায়গাটার খুঁটিনাটি।

ভিউ পয়েন্ট, রাচেলা পিক, কাঞ্চন পিক, এমন আরও অনেক অনেক মজার তথ্যে আমাকে অভিভূত করে রেখেছিল সন্ধা নাম্বার পূর্ব পর্যন্ত। এরপর বৃষ্টির ছাট আর প্রায় সন্ধার আঁধারে দুজনে মিলে লাভার পিকে বসে উপভোগ করলাম গরম কফি! আহ সে এক অপার্থিব পাওয়া। (ভিন্ন গল্পে থাকবে সেই মজার সৃতি!)

সন্ধা নামতেই সব সুনসান। এমনিতেই মানুষ নাই, তখন তো আরও নাই। তাই রুমে ঢুঁকে দুই কম্বলের নিচে ঢুঁকে পড়লাম! হ্যাঁ এমনই ঠাণ্ডা যে মোটা মোটা দুই কম্বলেই সস্থি খুঁজে নিতে হয়েছে! তন্দ্রা লেগেছিল বেশ, সারাদিনের পাহাড়ি ঝাঁকুনিতে, ঝিমিয়ে পড়েছিলাম কানে হেডফোন লাগিয়ে। চমকে গেলাম, লজের কেয়ারটেকারের ডাকে। তিনি গরম গরম খাবার রেডি করে ডাকতে এসেছেন। ৯০ টাকায় ডিনারের প্যাকেজ! খেয়ে দেয়ে ঘুম।

সকাল ৫:১৫ তে ঘুম থেকে উঠে রিশপের পথে পায়ে হাটা শুরু, নেওরাভ্যালী ন্যাশনাল ফরেস্ট এর ভিতর দিয়ে, যে গল্পটা ইতিমধ্যেই পোস্ট করা হয়েছে (যাহ কুত্তা, কাম বয়েস!” নামে!) রিশপ পৌঁছে মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা! বুঝতে পারছিলাম না কোন দিকে তাকাবো, পূর্বে না পশ্চিমে, উত্তরে না দক্ষিণে? চারদিকে এতটাই মুগ্ধতা আর আকর্ষণের ছড়াছড়ি!

দুপুর পর্যন্ত রিশপে কাটিয়ে আবার ফেরার পথ ধরলাম। লাভায় ফিরে এসে, লাঞ্চ সেই ১০০ টাকার প্যাকেজ! সারাদিন এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে কাটিয়ে, এটা সেটা খেয়ে আরও ২৫ টাকা খরচ করে ফেললাম! ওহ সাথে কফির জন্যও ২০ টাকা! পরের দিন আবার ফেরার পালা। সেই একই ভাবে তবে এবার কেন যেন ৮৫ টাকা লাগলো, লাভা থেকে কালিম্পং যেতে! তবে কালিম্পং এসে লাভা থেকে ফেরার সেই অতিরিক্ত জীপ ভাড়ার টাকা পুষিয়ে নিয়েছিলাম, কালিম্পং থেকে ১৪৫ টাকার জীপে না ফিরে, পাবলিক বাসে ১২০ টাকা ভাড়া দিয়ে!

শিলিগুড়ি ফিরে ৫০ টাকার চাওমিন, ২৫ টাকার রসগোল্লা, ১৫ টাকার লিমকা খেয়ে আর ২০ টাকার আইসক্রিম নিয়ে উঠে পড়লাম ফুলবাড়ির অটোতে ভাড়া ১৮ টাকা। তারপর ফুলবাড়ি সীমান্তে অভাবনীয় আতিথিয়তা! (সে অন্য গল্পে)। এরপর আর কি? ৭০ টাকায় পঞ্চগড় আর ৬০০ টাকায় ধূমপানযুক্ত নাবিল পরিবহণে ঢাকা!

এই হল আমার দার্জিলিং জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় দুই যায়গা রিশপ-লাভা ভ্রমণের খরচের খতিয়ান। তো দেখে নেয়া যাক, সাকুল্যে কত খরচ হল?

  • ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধা ৬৫০+৭০= ৭২০/- টাকা
  • ট্র্যাভেল ট্যাক্স-৫০০/- টাকাফুলবাড়ি থেকে শিলিগুড়ি ২০/- টাকা
  • দুই দিনের জন্য স্ন্যাক্স ১৭৫/- টাকা
  • (২০০ টাকার স্ন্যাক্স এর কিছু বেঁচে গিয়েছিল যা পরে ফেরত নিয়ে এসেছি!)
  • কোক ৫০/- টাকা
  • শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ১৫০/- টাকা
  • কালিম্পং থেকে লাভা ৮৫/- টাকা
  • সেদিন দুপুরে লাঞ্চ পাওয়া যায়নি লাভাতে! কাছে থাকা কেক আর কোক দিয়ে লাঞ্চ!
  • প্রথম রাতের ডিনার ১১৫/- টাকা
  • সকালে স্ন্যাক্স সাথে ছিল, কফি ১৫/- টাকা
  • দুপুর আর রাতের লাঞ্চ-ডিনার ২৩০/- টাকা
  • দুই রাতের লজ ভাড়া ৭২০/- টাকা
  • সকালের নাস্তা কেনা ছিল, কফি ২০/ টাকা
  • লাভা থেকে কালিম্পং ৯০/- টাকা
  • কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি ১২০/- টাকা বাস ভাড়া।
  • আরও ৫০ টাকা নিজের তিস্তায় নেমে গোসল করার জন্য অতিরিক্ত বাস ভাড়া।
  • দুপুরের পরে শিলিগুড়ি ফিরে লাঞ্চ স্বরূপ ১৩৫/- টাকা (চাওমিন-মিষ্টি-লিমকা-আইসক্রিম)
  • বাংলাবান্ধায় খাবার ৭০/- টাকা
  • বাংলাবান্ধা থেকে পঞ্চগড় ৭০/- টাকা
  • পঞ্চগড় থেকে ঢাকা ৬০০/- টাকা বাস ভাড়া
  • মোট খরচ= ৩৯৩৫/- টাকা! (৪৯.১৮ ডলার!

 

সবাইকে ধন্যবাদ।

সবার ভ্রমণ সুন্দর আর আনন্দঘন হোক।

সেই প্রত্যাশায়………
কৃতজ্ঞতায়ঃ Sajol Zahid

 

মাওয়া ফেরি ঘাট

যারা পদ্মার তাজা ইলিশ খেতে মাওয়া ফেরি ঘাটে ঢু মারার প্ল্যান করছেন তাদের বলছি।

মাওয়া ফেরি ঘাটেই ত বসার সুন্দর জায়গা আছে, আর বড় বড় ঢেউ ত আছেই, সাথে নানান কিসিমের মানুষের আনাগোনা।

রেসটুরেন্ট গুলোতে বিশাল বিশাল সব পাঙ্গাশ মাছের পেটি পাবেন ।।নদীর বাতাস খেতে খেতে পাঙ্গাশ আর ইলিশ খাওয়ার এক অপার্থিব আনন্দ আছে।

মাওয়া ঘাটে যাওয়ার পারফেক্ট সময় হচ্ছে রাত নয়টায় রউনা দেয়া ঢাকা থেকে ১২টার ভিতরে পৌছে যাবেন এবং ঘাটে বসে বসে বাতাস – ফেরীর হর্ন আর মানুষের কোলাহল মিলে রাতের অন্ধকারে যেই অনুভুতি পাবেন তা দিনের বেলার পাবেন না।। আর ক্ষুধা লাগলে ত আছেই অনেক রেসটুরেন্ট – চট করে ইলিশ আর পাঙ্গাশ খেয়ে আবার ঘাটে বসে বসে আড্ডা।।

যদি জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ কিনে খেতে চান তবে আপনাকে অন্তত এক দিনের জন্য সকালের কাঁচা ঘুম ত্যাগ করে মাওয়া পৌঁছাতে হবে সকাল ৯ তার মধ্যে।আর শুধু ইলিশ খেয়ে চলে আসা নেহায়েত বোকামি হবে যদি নদীর পাড়ে বসে পদ্মার বিশাল জলের একটু উন্মাদনা না দেখেন।
তার জন্য বেস্ট প্ল্যান হবে, মাওয়া ঘাট থেকে জন প্রতি ২৫/= টাকা করে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সায় লোহজং যেতে পারেন। সম্পূর্ণ অটো রিক্সায় রিজার্ভ নিলে ১৫০/= টাকা নিবে।

সেখান থেকে নৌকায় যাবেন পদ্মা রিসোর্ট। রিসোর্ট ও দেখা হবে নৌকা ভ্রমণ ও হয়ে যাবে। ইচ্ছা করলে সারা দিন অথবা রাত দিন থাকার ব্যবস্থা আছে রিসোর্ট এ। না থাকতে চাইলেও অসুবিধা নেই শুধু এক্সট্রা ৫০ টাকা দিলেই ঘুরে দেখা যাবে সম্পূর্ণ রিসোর্ট।

যেভাবে যাবেন : মিরপুর ১০, ফার্মগেট , শাহবাগ থেকে যেতে পারেন স্বাধীন পরিবহন এ। অথবা গুলিস্থান থেকে ইলিশ/প্রচেষ্টা বা অন্য অনেক বাস পাবেন মাওয়া যাওয়ার জন্য (বি,আর,টি,সি এর এসি বাস ও আছে ) ।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী, পদ্মা নদী। ৩৬৬ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এই পদ্মার পাড়ে দাঁড়ালে যেন মনে হয় সাগর, কোনো কিনারা দেখা যায় না; কিন্তু নদীর মাঝে নানা জায়গায় জেগে উঠেছে বহু চর। নদীভ্রমণের জন্য পদ্মা একটি উত্তম পছন্দ। তাই ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে কম সময়ে ভ্রমণের জন্য ঘুরে আসুন পদ্মার পাড় থেকে।

কীভাবে যাবেনঃ

ঢাকার যেকোন স্থান থেকে যাত্রাবাড়ী পোঁছে ফুটওভার ব্রীজের দক্ষিণ দিকের পোস্তাগোলাগামী রাস্তা দিয়ে একটু সামনে গেলেই পাওয়া যাবে মাওয়া বাসষ্ট্যান্ড। এখান থেকে প্রতি ৫ থেকে ১০ মিনিট অন্তর অন্তর বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির বাস ছেড়ে যায় মাওয়ার উদ্দেশ্যে। আনন্দ, ইঁলিশ, গুন-গুন ইত্যাদি পরিবহনে মাওয়া যেতে বাস ভাড়া লাগবে কম-বেশী ৫০ টাকা । ৫০ টাকার বিনিময়ে প্রায় ৩৫ কি.মি. পারি দিয়ে মাওয়া ফেরী ঘাটে পৌছতে সময় লাগবে ঘন্টাখানেক। নিশ্চিন্তে চড়ে বসুন যে কোন একটা বাসে। ইচ্ছে করলে সকাল কিংবা দুপুরে রওনা হয়ে বিকেলটা মাওয়ার পদ্মা পাড়ে কাটিয়ে সন্ধ্যার পরপরই ফিরে আসা যায় ঢাকাতে। যাত্রাবাড়ি ছাড়া গুলিস্থান থেকেও মাওয়ার সরাসরি বাস পাওয়া যায়। এখান থেকে ভাড়া একই পরিমান লাগলেও সময় একটু বেশী লাগে।

দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যার আগে পর্যন্ত নদীতে থাকবে সূর্যের রূপালী ঝিলিক। মৃদু বাতাসে নদীর জলে ছোট ছোট রূপালী ঢেউ ঝলকে দেয় চোখ। পদ্মায় ভেসে ঘোরার মতো মাঝি ও নৌকা দুর্লভ। এপার হতে ওপারে যাওয়ার জন্য আছে লঞ্চ আর স্পীড-বোট। ফেরীতেও পারাপার হতে পারেন। স্পীড বোটে এপার হতে ওপারে যেতে ২০-২৫ মিনিটের মতো লাগে; ভাড়া ১৫০ টাকা। যারা একটু ভীতু এবং সাঁতার জানেন না, তাদের স্পীড-বোটে না চরাই ভালো; দ্রুতগতির এই স্পীড-বোট পদ্মার বুকে অনেক সময় লাফিয়ে লাফিয়ে চলে যা রোমাঞ্চকর এবং মজাদার বটে, কিন্তু ভয় পেলে তাতে না চড়াই ভালো। লঞ্চ পারাপারে সময় একটু বেশী লাগে, আশেপাশের প্রকৃতিও দেখা যায় বেশী। ভাড়া ৩০ টাকা (লোকাল) এবং ৪০ টাকা (ডাইরেক্ট)।

পদ্মা ভ্রমণের আরো একটা আকর্ষণ হচ্ছে পদ্মার ইলিশ। যদিও হোটেলে পরিবেশ ততটা পরিষ্কার নয়, তবুও এর স্বাদ অন্য সব জায়গা থেকে অন্যতম।

কোথায় খাবেন:

মাওয়া ফেরিঘাটে বাস থেকে নামতেই রাস্তার পাশে দেখা যাবে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট যেগুলো ভাতের হোটেল নামেই বেশি পরিচিত। এই সব রেস্টুরেন্ট দেখতে যেমনই মনে হোকনা কেন, এখানকার গরম ভাত আর গরম গরম ভাঁজা পদ্মার টাটকা ইঁলিশের স্বাদই আলাদা। পরিবেশটি যেমন আলাদা তেমনি এই ভোজনের আনন্দ আর স্বাদও আবশ্যই আলাদা।

কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে নামলেই চোখে পড়বে এরকম পাথরের স্তুপ। পাথর গুলো সব এবড়োথেবড়ো। পা ফেলতে হবে খুব সাবধানে। ভুল বশত যদি কোনো পাথরে পা ফেলতে গিয়ে সেটা নড়ে যায় তাহলে পাথরের নিচে চাপা পড়ার ভয়ও উড়িয়ে দেয়া যায় না। পদ্মার কোলের এই বিশাল পাথরের স্তুপের উপরে বসে সামনে দিগন্ত বিস্তৃত পদ্মা দেখে মন জুড়িয়ে যাবে নিশ্চিত।

পাথর গুলো দিয়ে ‘সাতচক্র’ (বাণিজ্যিক কারনে আসল নাম বলা যাচ্ছে না।) নামের সিমেন্ট তৈরি করা হয়।

যেভাবে যাবেন: গুলিস্তান থেকে ইলিশ/প্রচেষ্টা বাসে করে মাওয়া। এরপর ফেরি/লঞ্চ/স্পিডবোটে করে কাওড়াকান্দি।

 

নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর জায়গাটাও এখন একটা টুরিস্ট স্পট হিসেবে গণ্য হতে পারে।

পদ্মা নদীর সৌন্দর্য, দুপাশের সুন্দর গ্রাম আর সেতুর কাজ দেখতে বেরিয়ে আসতে পারেন মাওয়া থেকে।

কিভাবে যাবেনঃ ঢাকার মিরপুর, উত্তরা এবং গুলিস্তান থেকে সরাসরি বাসে মাওয়া ঘাট। তারপর লঞ্চ বা স্পীডবোট।

আন্ধারমানিক বেড়িবাধ পদ্মার পাড়

strong>কিভাবে যাবেন:
ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে ঝিটকাগামী ভিলেজ লাইন বাসে ঝিটকা হরিরামপুর মোড়ে নামবেন। ভাড়া নেবে ৯০-১০০ টাকা। ঝিটকা নেমে বাজারের পাশে ঝিটকা মাঠের সামনে ব্রিজের উপর থেকে অটো বা সিএনজিতে আন্ধারমানিক বেড়িবাধ বললেই নিয়ে যাবে। জনপ্রতি ভাড়া ৫০টাকা করে পড়বে। এছাড়া গাবতলি থেকে শুকতারা পরিবহনে সিংগাইর-হরিরামপুর হয়েও যাওয়া যায়, তবে আমার পার্সোনাল সাজেশন ঝিটকা হয়ে যাওয়াটাই বেটার। এতে সর্বোচ্চ ৩ ঘন্টা সময় লাগবে।
কি দেখবেন:
অবশ্যই পদ্মা দেখবেন। পদ্মার ভয়ংকর সুন্দর সর্বগ্রাসী রূপ আপনি এখানে ভালোভাবেই দেখতে পারবেন। কয়েকটা লম্বা নারিকেল গাছ আছে, উপকূলীয় অঞ্চলে যেগুলো সাধারণত হয়ে থাকে। প্রথম দর্শনে তাই সমুদ্র সৈকত বলে ভুল হতেই পারে! বেড়িবাধের পাশে কয়েকটি ফেরির পন্টুন রাখা আছে। সেখানে উঠে খোলা হাওয়ায় পদ্মার সৌন্দর্য আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন। চাইলে নৌকায় ঘুরতেও পারবেন। পদ্মা পাড়ি দিয়ে ওপাশের চরের গ্রামে যাওয়া যায়। বাঁধের উপর এক চাচা চটপটি বিক্রি করেন, সেটাও টেস্ট করে দেখতে পারেন। আমরা ৫ জনে ১২ প্লেট শেষ করেছিলাম! এছাড়া কিছু খেতে হলে পাশেই আন্ধারমানিক বাজারে পাবেন।

ভৈরব ব্রীজ

যে সেতু দিয়ে মেঘের বাড়ি যাওয়া যায়।।

নরসিংদী শহরের কাছাকাছি ড্রিম হলিডে পার্ক আছে এবং স্থানীয় কিছু উদ্যান আর পিকনিক স্পট রয়েছে…
ভৈরবে মেঘনা নদীর ঘাট পাবেন, ভৈবর ব্রীজ আছে তাছাড়া রেল লাইন ও দর্শনীয়।।

বিকাল কাটানোর জন্য চমৎকার একটা যায়গা।একদিনে যাওয়া-আসা সম্ভব।

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে ভৈরব/ব্রাহ্মনবাড়িয়া/সিলেটগামী যেকোন বাসে ভৈরব নেমে রিক্সায় ব্রীজ পাড়। নদীর পাড়ে সময় কাটানো ছাড়াও নৌকা ভাড়া নিয়ে নদীতে ঘুরতে পারবেন। ঢাকা থেকে বাস ভাড়া সাধারনত ভৈরব পর্যন্ত ১৫০ টাকা আর সেখান থেকে ব্রীজ পাড় পর্যন্ত রিক্সা ভাড়া ২০-৩০ টাকা।

সোনাকান্দা দুর্গ

এটি একটি মোঘল জলদুর্গ। দুর্গটি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার শীতলক্ষা নদীর পূর্বতীরে অবস্থিত। মোঘল আমলে কিছু জলদুর্গ নির্মাণ করা হয়েছিল ঢাকার পানিপথকে সুরক্ষিত করার জন্য। সোনাকান্দা দুর্গ তাদের মধ্যে একটি। এটি ১৭ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত।

কিভাবে যাবেনঃ
বাস থেকে নারায়ণগঞ্জ টার্মিনালে নেমে নৌকায় শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে রিকশাচালককে বললেই নিয়ে যাবে সোনাকান্দা দুর্গে। রিকশা ভাড়া ৩০-৪০ টাকা। এ পথে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করে বিআরটিসি বন্ধন, উৎসব, সেতু, আনন্দ ইত্যাদি পরিবহনের বাস। ঢাকার বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট ও গুলিস্তান হকি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে ছাড়ে বাসগুলো। ভাড়া ২৫-৩৫ টাকা।

পানাম নগর

যাতায়াত‬: গুলিস্তান স্ট্যাডিয়ামের পাশ থেকে দোয়েল/স্বদেশ/বোরাক গাড়িতে করে মোগড়াপাড়া। ভাড়া ৪৫/৫০ টাকা। মোগড়াপাড়া হতে রিক্সায় পানাম নগর। ভাড়া ২০/২৫ টাকা। এখানে আরও ঘুরতে পারেন লোক ও কারুশিল্প যাদুঘর,গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ এর মাজার, গোয়ালদী শাহী মসজিদ ইত্যাদি।

বুধবার ও বৃহঃস্পতিবার বন্ধ থাকে

ইন্দোনেশিয়া ট্যুর

মাত্র ইন্দোনেশিয়া ঘুরে আসলাম। বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য ভিসা ফ্রি, দেনপাসার এয়ারপোর্টে নেমে ডান দিক থেকে বাম দিক ভালমত তাকানোর আগেই সিল পরে যায়। সর্বোচ্চ এক মিনিট সময় লাগে। কোন ভিসা ফি লাগে না, কোন ডকুমেন্টও লাগে না।

এয়ারপোর্টে ডলার যত কম ভাঙ্গানো যায়, তত ভাল। এয়ারপোর্টে মিনিমাম ২০০ রুপিয়া কম হয় রেট। তবে ২০০ রুপিয়া মানে বাংলাদেশি ১ টাকা ২৪ পয়সা। আজকে ডলার রেট ছিল, ১ ডলার = ১৩০৫০ রুপিয়াহ। একসাথে বেশি ডলার ভাঙ্গালেও সমস্যা, এতো টাকা রাখার জন্য ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হতে পারে।

এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নেয়ার সময় আপনি ঠকবেনই। ব্লু বার্ড ট্যাক্সি বালির সবচেয়ে বিখ্যাত। ওরাও এয়ারপোর্ট থেকে সানুর যাওয়ার জন্য প্রায় ১,০০,০০০ রুপিয়াহ মানে ৬২৫ টাকা বেশি নিয়েছে। তবে ব্লু বার্ড উত্তম।

সি-ওয়াক করলে সানুরে করা ভাল। আর বাকি ওয়াটার স্পোর্টস সব নুসা-দুয়াতে। অনেক কম খরচে ভাল্ভাবে শেষ করে আসতে পারবেন। যাদের বুকিং দেবেন, তারাই গাড়ি পাঠাবে। যে কোন একজনের রেট বিশ্বাস না করে, রেট যাচাই করা ভাল।

মাউন্ট বাতুর ট্রেকিং অনেক অনেক অনেক কস্টকর। আমাদের ট্যুরের একটা দিন শেষ করে দিছে এই ট্রেকিং। ওইদিন আর কিছু করতে পারি নাই। খালি ঘুমাইছি। কাজেই বেশিদিনের ট্রেকিং না হলে মাউন্ট বাতুর ট্রেকিং এভোয়েড করা উত্তম।

স্নরকের্লিং করেছি, সাতার জানি না। তবে ডাইভ দেওয়াটাই বেস্ট ছিল, সময়ের অভাবে দিতে পারি নাই। সাতার না জানলেও কোন সমস্যা নাই।

জিম্বারান বীচে সি-ফুড অনেক কস্টলি। সেই তুলনাই আমার কাছে সানুর বিচের সি-ফুড ভাল লেগেছে। অনেক শান্ত পরিবেশে, জিম্বারান বিচের ফিল। অনেক বেশি কমফোর্টেবল।

অনেক স্কুটি চলে, স্কুটি চালাতে পারলে, একটা স্কুটি ভাড়া করে নিলে আর গুগল ম্যাপ থাকলে খরচ অর্ধেক কমে যাবে। দূরে কোথাও গেলে গাড়ি কন্ট্রাক্টে নিয়ে যাওয়া ভাল। কাছে গেলে মিটারে।

সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়। রাতের বেলা সাইক্লিং করে সানুরে বেশ মজা আছে। আমরা অবশ্য মানুষের মজা দেখছি। নিজেরা ভাড়া করি নাই। ভাড়া বাংলাদেশের মতই। দিনে ৩০,০০০ রুপিয়াহ মানে ২৪০ টাকার মত।

আমরা সানুরে ছিলাম, অনেক কম কস্টলি, নির্ঝঞ্ঝাট।

সবশেষে, ৩-৪ দিনের জন্য বালি ট্যুর দিয়ে লাভ নাই। কমপক্ষে ৭ দিনের ট্যুর দেন। মনে রাখার মত কিছু স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারবেন।