লাদাখের ট্যুর স্পট

লেহ শহরে অন্য প্রদেশের গাড়ি চলে না। আমরা সাইদ ভাই নামের এক ভাই এর গাড়ি ঠিক করি।আমাদের লাদাখ ভ্রমনের কাহিনী শুরু হয় সাইদ ভাই কে দিয়েই.।অসাধারন একজন মানুষ। আমি উনার কথা বাংলাদেশ এ থাকা অবস্তাতেই শুনেছি। এই যুগে এত মজার একজন ট্যুর পার্টনার পাওয়া দুষ্কর। উনি ছিলেন একধারে doctor, driver এবং tour planner… Altitude sickness এ প্রচন্ড অসুস্ত আমাদের দুই ট্যুর পার্টনার কে সারিয়ে তোলা , লাদাখ এর বিভিন্ন স্পট এর পার্মিশন নেয়া, প্রচণ্ড দুর্গম এলাকায় অসাধারন থাকার ব্যাবস্থা সব কিছুই উনিই করেছেন। সত্যি কথা বলতে উনি ছাড়া আমাদের ট্যুর অস্মপুর্ন। +91949049038, +919622965186 এই দুইটি ঊনার নাম্বার। আপ্নারা যদি কেউ কখনো লাদাখ যান। অবশ্যই উনার সাথে যোগাযোগ করবেন। Ur journey will be tension less.

লাদাখের প্রধান ট্যুর স্পট গুলো ঘুরতে কম পক্ষে ৪ দিন লাগে…। আমরাও লাদাখ এ ৪ দিন ছিলাম। প্রথম দিন আমরা লাদাখ শহরের আসেপাশের স্পট গুলো ঘুরি…। ২য় দিন আমরা ভোরে খারদুংলা পাস হয়ে তুরতুকের দিকে রওয়ানা দেই…তুরতুকে ১ রাত থাকার পর ৩য় দিন দুপুরে নুব্রা ভ্যালী তে চলে যায়… সেখানে ১ রাত থেকে ৪র্থ দিন আমরা Pangong Lake হয়ে লেহ ফেরত যাই.।। এই চার দিনে আমাদের প্রতিদিনের গাড়ির খরচ ৪০০০ রুপি থেকে ৬০০০ রুপি…।।। যা season ভেদে ঊঠা নামা করে…। প্রতিদিন জনপ্রতি হোটেল খরচ ছিলো ৫০০ রুপি…। খাওয়া দাওয়া প্রতি বেলা ১২০ রুপি…। লাদাখে আমাদের ৬ জনের টিম এর ৪ দিন মোট খরচ ছিলো ৫৬,০০০ টাকা…। আর জন প্রতি খরচ ছিলো মাত্র ৯,০০০ টাকার মত।। বিশ্বাস করুন এই ৯০০০ টাকাতেই আপনি সারা জীবন মনে রাখার মত কিছু মেমরি পাবেন……।

Leh শহরের আসে পাশে ৬ টি প্রধান tourist spot আছেঃ Thiksey Monestry, Rancho School, Shey Palace, Shanti Stupa, Hall of Fame এবং Leh Palace। এই এল্বাম এ আমি শুধু Rancho School এর ছবি দিয়েছি… 3 Idiots movie টির শেষ দৃশ্য গুলোর শুটিং এর জন্য এই School টিই ব্যাবহৃত হয়েছিলো…। মুভিতে যদিও দেখায় যে স্কুল টি লেক এর পাড়ে, আসলে স্কূল থেকে লেক প্রায় ২০০ কিঃ মিঃ দূরে…। স্কুল টির আসল নাম Druk White Lotus School… 3 idiots এর পর এটিকে সবাই Rancho School বলেই চেনে…।

ছবির মত সুন্দর এই স্কুলটিতে সব ছাত্রদের লেখা পড়া এবং থাকা সম্পুর্ন ফ্রি…ভারতের সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র ছাত্র অথবা অন্য প্রতিষ্ঠানে অকৃতকার্য ছাত্র ( সোজা বাংলায় ফেল করা ছাত্ররা) এই স্কুল এ লেখা পড়ার সুযোগ পায়..। স্কুল তার লেখা পড়ার ধরনের জন্য বিশ্বখ্যাত…। এখানে সব কিছু হাতে কলমে শেখানো হয়… স্কুল এর ছাত্র রা নিজেরা নিজেদের খাবার তৈইরি করে… সেগুলো দিয়ে জেম জেলী বানাই… তার পর সেই খাদ্য বেচা প্রফিট দিয়ে বছরে একবার ভারতের অন্য প্রদেশ গুলো ঘুরতে যায়… বিষ্বাস করুন আর নাই করুন , এই স্কুল এর যেই ঘর গুলো দেখছেন তা স্কুল এর ছাত্র দের বানানো…। এই ঘর গুলোর বৈশিষ্ঠ হলো যখন বাহিরের তাপমাত্রা Minus 15 degree Celsius… তখন তার ভেতরের তাপমাত্রা +১৫ degree…!!! ।স্কুল টি তার অসাধারন নির্মান শৈলির জন্য বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার ও পেয়েছে..

যাই হোক আমরা স্কুলটির দরজায় আসার পর একজন সুন্দর মোটা মহিলা আমাদের স্কূল দেখাতে নিয়ে যা্য। স্কুল এর প্রেমাইজ এ শব্দ করা নিষেধ, বাচ্চাদের ছবি তোলা নিষেধ। কিন্তু বড়দের ছবি তোলা নিষেধ এই কথা কোথাও লেখা না থাকাই আমি আমাদের গাইড এর সাথে ছবি তুলতে চাই। তাকে আমি সরাসরি জিজ্ঞেস করি “Excuse me can we take a photo with u?.সে কইলোঃ No sir… এর পর স্কুল টিতে বেশিক্ষন থাকা যায় না । মান সম্মান এর ব্যাপার

Post Copied From:Mizan Rana>Travelers of Bangladesh (ToB)

Leave a Reply

Your email address will not be published.